প্রবেশদ্বার যৌনতা |
প্রবেশদ্বার | প্রবেশদ্বার:যৌনতা/ | - | আলাপ |
ভূমিকা |
সারাংশ |
বহু প্রজাতির জীব সম্প্রদায় রয়েছে যেগুলো প্রধানত নারী ও পুরুষ হিসেবে দুটি আলাদা শ্রেণীতে বিভক্ত, এই শ্রেণী দুটির প্রতিটিই পৃথকভাবে এক একটি যৌনতা বা জৈবিক লিঙ্গ বা সেক্স (ইংরেজি: Sex) হিসেবে পরিচিত, এবং প্রক্রিয়ার ব্যর্থতার ফলশ্রুতিতে কিছু সদস্য আন্তঃলিঙ্গে পরিনত হয়। যৌন প্রজনন হল জীবজগতের মাঝে একটি সাধারণ প্রজনন বা সন্তান জন্মদান প্রক্রিয়া। এই প্রক্রিয়ার জন্য একই প্রজাতির দুটি বিপরীত যৌনতার জীবের প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষ সংযোগের প্রয়োজন হয়। উদ্ভিদ এবং প্রাণী উভয়ের দ্বারাই যৌন প্রজনন প্রক্রিয়া ঘটে থাকে। এছাড়া কিছু ছত্রাক এবং বিভিন্ন এককোষী জীবেও এই প্রক্রিয়া দেখা যায়। যৌন প্রজনন প্রক্রিয়ায় একাধিক উৎস থেকে আগত জেনেটিক বৈশিষ্ট্য মিলিত ও মিশ্রিত হয়: গ্যামেট নামক বিশেষায়িত কোষদ্বয় মিলিত হয়ে সন্তান গঠন করে, যা পিতা ও মাতা উভয়ের কাছ থেকে বৈশিষ্ট্য ধারণ করে। গ্যামেটদ্বয় গঠন ও কার্যপ্রণালীর দিক থেকে একই রকম হতে পারে (যা আইসোগ্যামি নামে পরিচিত), কিন্তু বহু ক্ষেত্রে এটি বিবর্তিত হয়ে গ্যামেটের ভিন্নতা দেখা যেতে পারে, এমন ক্ষেত্রে দুটি নির্দিষ্ট-যৌনতা বিশিষ্ট পৃথক গ্যামেট পাওয়া যায় (এই প্রক্রিয়াকে এনাইসোগ্যামি বলে।)।
মানুষ এবং অন্যান্য স্তন্যপায়ী প্রাণিতে, পুরুষ সাধারণত এক্সওয়াই (XY) ক্রোমোজোম ধারণ করে, যেখানে নারী প্রাণী এক্সএক্স (XX) ক্রোমোজোম বহন করে, যেগুলো হল এক্সওয়াই লিঙ্গ-নির্ধারণ ব্যবস্থার একটি অংশ। অন্যান্য প্রাণিতেও অনুরূপ কোন না কোন লিঙ্গ-নির্ধারণ ব্যবস্থা রয়েছে, যেমন পক্ষীকুলে জেডডব্লিউ লিঙ্গ-নির্ধারণ ব্যবস্থা এবং পতঙ্গরাজ্যে এক্সজিরো লিঙ্গ-নির্ধারণ ব্যবস্থা।
কোন জীবে কোন ধরনের গ্যামেট তৈরি হবে তা তার যৌনতা দ্বারা নির্ধারিত হয়: পুরুষ জীব পুরুষ গ্যামেট (স্পারমাটোজোয়া বা প্রাণিতে শুক্রাণু, উদ্ভিদে পরাগরেণু) তৈরি করে যেখানে নারী জীব তৈরি করে নারী গ্যামেট (ডিম্বাণু বা ডিম্বক কোষ); যে সকল জীব পুরুষ ও স্ত্রী উভয় গ্যামেট উৎপাদন করে তাদেরকে হারমাফ্রোডিটিক বা উভলিঙ্গীয় বলা হয়। সাধারণত, কোন জীবের যৌনতার পার্থক্যের কারণে শারীরিক পার্থক্য তৈরি হয়; উক্ত যৌন দ্বিরূপতা এই যৌনতাদ্বয়ের অভিজ্ঞতায় পৃথক ধরনের প্রাজননিক চাপ সৃষ্টিতে ভূমিকা রাখে। উদাহরণস্বরূপ, সঙ্গী নির্বাচন ও যৌন নির্বাচন প্রক্রিয়া এই দুটি যৌনতার মাঝে দৈহিক পার্থক্যের বিবর্তনকে তরান্বিত করতে পারে।আপনি জানেন কি? |
পায়ুকাম মানব-সভ্যতায় অনেক আগে থেকেই ছিলো। সাধারণত পুরুষ-সমকামিতায় এই ধরণের ক্রিয়াকলাপ দেখা গেলেও বিষমকামী সম্পর্কেও পায়ুকাম দেখা যায়। অনেকেই পায়ুকামকে মানবযৌনপ্রকৃতির অস্বাভাবিক একটি আচরণ বলে অভিহিত করে থাকেন কিংবা অনেকে একে প্রকৃতিবিরুদ্ধও বলেন, আসলে পায়ুপথে শিশ্ন প্রবেশের আকাঙ্ক্ষা অপ্রাকৃতিক নয় কিংবা অস্বাভাবিকও নয় তবে পায়ুকাম পায়ুপথের ক্ষতি করে, এর কারণে মলত্যাগে অসুবিধা হতে পারে কিংবা পায়ুবিদার হতে পারে অথবা পায়ুপথে অর্শ্বরোগ হতে পারে অথবা কোনো কোনো ক্ষেত্রে কর্কট রোগও হতে পারে।
অন্যান্য পায়ুকামের মধ্যে রয়েছে পায়ুপথের গন্ধ শোকা বা পায়ুপথ চোষা। এই দুটি ক্রিয়া তেমন একটা ক্ষতিকর না হলেও মলদ্বার চোষার ফলে কোনো কোনো ক্ষেত্রে মুখে ঘা হতে পারে।
পায়ুকামিতা আইন নামের একটি আইন আজও বিশ্বের অনেক দেশেই বলবৎ রয়েছে যে আইন অনুযায়ী পায়ুকামিতা আইনগতভাবে অবৈধ।
প্রেমমূলক অথবা কামদ চিত্রকলার ইতিহাসে পটচিত্র, ভাস্কর্য, আলোকচিত্র, নাটক, সঙ্গীত এবং পুঁথি রয়েছে তা তৎকালীন থেকে সমসাময়িক সময়ের ধারার যৌন প্রকৃতির দৃশ্যগুলি দেখায়। তারা প্রায় সমস্ত প্রাচীন এবং আধুনিক সভ্যতা দ্বারা নির্মিত হয়েছে। পূর্বোক্তন সংস্কৃতিতে প্রায়শই দেখা যায় যৌন আচরণগুলি অতিপ্রাকৃত শক্তির সঙ্গে জড়িত এবং এইভাবেই তাদের ধর্ম এই ধরনের চিত্রকলার সঙ্গে বিজড়িত হয়। ভারতবর্ষ, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, জাপান এবং চীন এশিয়ার মহাদেশের এই দেশগুলিতে যৌনতা এবং কামদ শিল্পের উপস্থাপনা স্থানীয় ধর্মের আধ্যাত্মিক অর্থের মধ্যে নির্দিষ্ট রয়েছে। প্রাচীন গ্রীক ও রোমানরা অনেক শিল্প এবং কামদ প্রকৃতি প্রসাধনের সৃষ্টি করেছিলেন যার বেশিরভাগই তাদের ধর্মীয় বিশ্বাস এবং সাংস্কৃতিক অনুশীলনের মধ্যে সংহিত হয়েছিল।
যৌনউত্তেজক চলচ্চিত্র |