ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জয়াবর্ধনে রত্নায়াকে আরাচ্চিগে প্রভাত নিশাঙ্কা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | আম্বালান্তোতা, শ্রীলঙ্কা | ২৫ অক্টোবর ১৯৮০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, কোচ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৯৫) | ২৫ এপ্রিল ২০০৩ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৭ জুন ২০০৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১০৯) | ২৭ অক্টোবর ২০০১ বনাম পাকিস্তান | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৮ জুন ২০০৩ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ১৭ মে ২০২০ |
জয়াবর্ধনে রত্নায়াকে আরাচ্চিগে প্রভাত নিশাঙ্কা (সিংহলি: ප්රභාත් නිස්සන්ක; জন্ম: ২৫ অক্টোবর, ১৯৮০) আম্বালান্তোতা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক শ্রীলঙ্কান আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০১ থেকে ২০০৩ সময়কালে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে শ্রীলঙ্কার পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[১][২][৩]
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর শ্রীলঙ্কান ক্রিকেটে ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব এবং মাতারা স্পোর্টস ক্লাবের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম-ফাস্ট বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন প্রভাত নিশাঙ্কা।
মাতারা’র সেন্ট টমাস কলেজে পড়াশুনো করেন। শ্রীলঙ্কার অন্যতম দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে পরিচিতি লাভ করেছিলেন। সেন্ট টমাস মাতারায় এক বছর প্রতিনিধিত্ব করেন। ১৯৯৮-৯৯ মৌসুম থেকে মৌসুম ২০০৭ সাল পর্যন্ত প্রভাত নিশাঙ্কা’র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। অপরিপক্ক ও ক্ষিপ্রগতির প্রভাত নিশাঙ্কা তার অধিনায়ক সনাথ জয়াসুরিয়ার প্রিয়পাত্র ছিলেন।
১৯৯৮ থেকে ২০০৩ সময়কালে লিস্ট এ ক্রিকেটে অংশ নেন। এমআরএফ ফাউন্ডেশনে পেস বোলিং শেখার জন্যে প্রশিক্ষণ নেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে চারটিমাত্র টেস্ট ও তেইশটি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন। ২৫ এপ্রিল, ২০০৩ তারিখে কলম্বোয় সফরকারী নিউজিল্যান্ড দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৭ জুন, ২০০৩ তারিখে কিংস্টনে স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।
অক্টোবর, ২০০১ সালে শারজায় দূর্দান্তভাবে তার অভিষেক পর্ব সম্পন্ন হয়েছিল। অভিষেক ঘটা ওডিআই খেলায় নাভেদ লতিফ ও ইনজামাম-উল-হকের দুই উইকেট নিয়ে পাকিস্তানের বিপক্ষে দলকে জয়ে সহায়তা করেন।
অস্ট্রেলিয়ায় অনুষ্ঠিত ভিবি সিরিজে সাধারণমানের খেলা উপহার দেয়া সত্ত্বেও ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ প্রতিযোগিতা অষ্টম আসরে শ্রীলঙ্কা দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন প্রভাত নিশাঙ্কা। পার্লে অনুষ্ঠিত খেলায় কানাডার বিপক্ষে ৪/১২ নিয়ে প্রতিপক্ষকে মাত্র ৩৬ রানে গুটিয়ে দিতে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন ও সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড গড়তে বাধ্য করেন।
নিশাঙ্কা তার সর্বশেষ টেস্ট খেলায় ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ৫/৬৪ পান। হাঁটুর সমস্যায় জর্জরিত হন ও ঐ খেলার পর অস্ত্রোপচার করতে হয় যা তার স্বাভাবিক ক্রীড়াশৈলীতে ব্যাঘাত ঘটায়। চিকিৎসকেরা তাকে প্রতিযোগিতামূলক ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণে বিরত থাকার পরামর্শ দেন।
ক্রিকেট খেলা থেকে অবসর গ্রহণের পর শ্রীলঙ্কার জাতীয় অনূর্ধ্ব-১৯ দলের স্ট্রেন্থ ও কন্ডিশনিং কোচের দায়িত্ব দেয়া হয়েছিল। তৃতীয় পর্যায়ের হাই পারফরম্যান্স কোচ হিসেবে প্রশিক্ষণ নেন। এরপর, শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট কর্তৃক জাতীয় দলের সহকারী বোলিং কোচ হিসেবে নিযুক্ত হন। ২০১৩ সালে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট থেকে পদত্যাগ করেন। এরপর, শারীরিক সক্ষমতার বিষয়ে তৃতীয় ও চতুর্থ পর্যায়ে প্রশিক্ষণ নেয়ার উদ্দেশ্যে অস্ট্রেলিয়া চলে যান। বর্তমানে তিনি ক্রিকেট কোচ ও ব্যক্তিগত শারীরিক প্রশিক্ষণ কেন্দ্রের প্রশিক্ষকের দায়িত্বে রয়েছেন।