প্রযুত চান-ও-চা (প্রাইউথ শান-ওশা) ประยุทธ์ จันทร์โอชา | |
---|---|
থাইল্যান্ডের ২৯তম প্রধানমন্ত্রী | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২২ মে, ২০১৪ ভারপ্রাপ্ত: ২২ মে, ২০১৪ - ২৪ আগস্ট, ২০১৪ | |
সার্বভৌম শাসক | ভূমিবল অতুল্যতেজ মহা ভজিরালঙ্কম |
পূর্বসূরী | নিওথামরং বুনসংপাইসান (ভারপ্রাপ্ত) |
ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর পিস এন্ড অর্ডারের প্রধান | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২২ মে, ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | পদ সৃষ্ট |
রয়্যাল থাই আর্মি’র কমান্ডার ইন চিফ | |
কাজের মেয়াদ ১ অক্টোবর, ২০১০ – ৩০ সেপ্টেম্বর, ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | অনুপাং পাওচিন্দা |
উত্তরসূরী | ইউদমেমজ সিতাবুর |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | নাখোন রাচাসিমা, থাইল্যান্ড | ২১ মার্চ ১৯৫৪
রাজনৈতিক দল | স্বতন্ত্র |
দাম্পত্য সঙ্গী | নারাপর্ন চান-ও-চা[১] |
সন্তান | থানায়া নিত্যা |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ন্যাশনাল ডিফেন্স কলেজ চুলাচমকলাও রয়্যাল মিলিটারী একাডেমি |
ধর্ম | থেরবাদ বৌদ্ধ |
স্বাক্ষর | |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | Thailand |
শাখা | রাজকীয় থাই সেনাবাহিনী |
কাজের মেয়াদ | ১৯৭২-২০১৪ |
পদ | জেনারেল |
কমান্ড | কমান্ডার-ইন-চিফ |
জেনারেল প্রযুত চান-ও-চা (থাই: ประยุทธ์ จันทร์โอชา; IPA:[prà.jút tɕān.ʔōː.tɕʰāː]; জন্ম: ২১ মার্চ, ১৯৫৪) নাখোন রাচাসিমা এলাকায় জন্মগ্রহণকারী অবসরপ্রাপ্ত রাজকীয় থাই সেনা কর্মকর্তা।[২] বর্তমানে তিনি থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি দেশ পরিচালনায় নিযুক্ত সামরিক একনায়কতন্ত্রবাদী ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর পিস এন্ড অর্ডারের (এনসিপিও) প্রধান। রয়্যাল থাই আর্মির কমান্ডার ইন চিফ (সর্বাধিনায়ক) ছিলেন তিনি।
চুলাচোমলাও রয়্যাল মিলিটারী একাডেমি থেকে বিজ্ঞান বিভাগে স্নাতক ডিগ্রী লাভ করেন।[৩] তার পূর্বসূরী অনুপাং পাওচিন্দা ও সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী প্রয়িত অংসুয়ানের ন্যায় তিনিও সেনাবাহিনীর ইস্টার্ন টাইগার্সের সদস্য। থাইল্যান্ডের পূর্বাংশে স্থাপিত দ্বিতীয় পদাতিক ডিভিশনে বিশেষতঃ ২১শ পদাতিক রেজিম্যান্টে (কুইন্স গার্ড) অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার সামরিক জীবনের সূত্রপাত ঘটে।[৪][৫][৬][৭]
২০০৮ থেকে ২০০৯ সাল পর্যন্ত সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ ছিলেন। ২০০৯ সালে রাজা কর্তৃক তাকে সম্মানসূচক সহকারী হিসেবে মনোনীত করা হয়। ২০১০ সালে অনুপাং পাওচিন্দার পরিবর্তে তাকে কমান্ডার ইন চিফ করা হয়।[৩][৮]
এ পদে অক্টোবর, ২০১০ থেকে অক্টোবর, ২০১৪ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন।[৯][১০] সেনাপ্রধানের দায়িত্ব পালনের পর প্রযুত রাজ পরিবারের বেশ জোরালো সমর্থক ছিলেন ও পরবর্তীকালে সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রা’র বিরুদ্ধাচরণ করেন।[১১]
সামরিকবাহিনীতে অবস্থানকালে তিনি বেশ কঠোর ছিলেন। এপ্রিল, ২০০৯ ও এপ্রিল-মে, ২০১০ সালে সৃষ্ট ‘লাল শার্ট’ আন্দোলন দমনে অন্যতম ভূমিকা পালন করেন।[১২][১৩] পরবর্তীতে তাকে রক্তক্ষয়ী সংঘর্ষে নিহত বিক্ষোভকারীদের আত্মীয়-স্বজনদের সাথে কথা বলতে দেখা যায়।[১৪] এছাড়াও, জুলাই, ২০১১ সালের সংসদীয় নির্বাচনে বিজয়ী ইংলাক সিনাওয়াত্রা’র সরকারকে সহযোগিতা করেন।[১৫]
নভেম্বর, ২০১৩ সালে রাজনৈতিক সঙ্কট ঘণীভূত হতে শুরু করলে ও ইংলাক সিনাওয়াত্রা’র তত্ত্বাবধায়ক সরকারের বিপক্ষে প্রতিবাদ হতে থাকলে প্রযুত সেনাবাহিনীকে নিরপেক্ষ অবস্থানে থাকার কথা ঘোষণা করেন।[১৬] এছাড়াও তিনি অভ্যুত্থান ঘটাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নেন। কিন্তু, মে, ২০১৪ সালে সরকারের বিরুদ্ধে অপ্রত্যাশিতভাবে সামরিক অভ্যুত্থান পরিচালনায় নেতৃত্ব দেন ও এনসিপিও নেতাদের নিয়ে দেশের নিয়ন্ত্রণভার দখল করেন।[১৭] পরবর্তীতে তিনি অন্তর্বর্তীকালীন সংবিধানে ক্ষমতার বিষয়ে স্বাক্ষর দেন ও অভ্যুত্থানের ফলে নিজেকে নির্দোষ দাবী করেন।[১৮] আগস্ট, ২০১৪ সালে জাতীয় আইনসভায় তাঁর নিয়ন্ত্রণাধীন সামরিক বাহিনীর সদস্যদের প্রভাব বৃদ্ধি করেন। সদস্যরা তাঁকে থাইল্যান্ডের নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে নির্বাচিত করে।[১৯][২০] ২৪ আগস্ট, ২০১৪ তারিখে তাঁকে আনুষ্ঠানিকভাবে প্রধানমন্ত্রী হিসেবে ঘোষণা করা হয়। অক্টোবর, ২০১৪ তারিখে সেনাপ্রধানের পদ থেকে অবসর নেয়ার পূর্বে তিনি একই সময়ে সেনাপ্রধান, এনসিপিও নেতা ও প্রধানমন্ত্রী - এ তিন পদ ধারণ করেছিলেন।
ক্ষমতা দখলের পর প্রযুত ভিন্নমতাবলম্বীদের দমনে সংশ্লিষ্ট পদক্ষেপ নেন।[২১] তাঁর নির্দেশনায় থাই বিদ্যালয়ে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীদেরকে ‘বারো মূল্য’ শিরোনামে কবিতা আবৃত্তির বিষয়টি বাধ্যতামূলক করেন।[২২][২৩][২৪] এছাড়াও তিনি গণতন্ত্রের বিষয়ে যে-কোন ধরনের আলাপ-আলোচনা নিষিদ্ধকরণসহ তার সরকারের সমালোচনা না করার কথা জানান।[২৫]
অভ্যুত্থানের বিষয়ে তিনি দুর্নীতি মোকাবেলা করাকে উল্লেখ করেন। কিন্তু তার ভাই প্রিচা চান-ও-চাসহ নিজ মন্ত্রিসভা ও জাতীয় আইনসভার কিছু সদস্য দুর্নীতিতে জড়িত।[২৬] ফলশ্রুতিতে তিনি সরকারের বিরুদ্ধে সমালোচনা নিষিদ্ধ ঘোষণা করেন।[২৫] ফেব্রুয়ারি, ২০১৫ তারিখে এ বিষয়ে বলেন, ‘যদি জনগণ নিজেদের মতামত ভোটের মাধ্যমে দিতে চায়, তাহলে তারা তা দিতে পারে। কিন্তু যদি ঐ ভোট এনসিপিও’র বিপক্ষে যায় তাহলে তা মেনে নেয়া হবে না।’[২৭]
সামরিক দপ্তর | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী অনুপাং পাওচিন্দা |
রয়্যাল থাই আর্মি’র কমান্ডার-ইন-চিফ ২০১০-২০১৪ |
উত্তরসূরী ইউদমেমজ সিতাবুর |
রাজনৈতিক দপ্তর | ||
পূর্বসূরী নিওথামরং বুনসংপাইসান ভারপ্রাপ্ত |
থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী ২০১৪-বর্তমান |
নির্ধারিত হয়নি |