প্রসূন জোশী | |
---|---|
হিন্দি: प्रसून जोशी | |
জন্ম | |
পেশা | কবি, লেখক, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ, বিপণন কর্মকর্তা |
কর্মজীবন | ১৯৯২-বর্তমান |
উপাধি | কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র অনুমোদন পর্ষদের চেয়ারপারসন |
পুরস্কার | পূর্ণ তালিকা |
কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র অনুমোদন পর্ষদের চেয়ারপারসন | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ১২ আগস্ট ২০১৭ | |
পূর্বসূরী | পহলাজ নিহলানি |
প্রসূন জোশী (জন্ম ১৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭১) একজন ভারতীয় কবি, লেখক, গীতিকার, চিত্রনাট্যকার, যোগাযোগ বিশেষজ্ঞ ও বিপণন কর্মকর্তা।[১] তিনি ম্যাকান ওয়ার্ল্ড গ্রুপ ইন্ডিয়ার সিইও এবং ম্যাকান এরিকসনের পৃষ্ঠপোষকতাধীন এপ্যাক (এশিয়া প্যাসিফিক)-এর চেয়ারম্যান। তিনি ২০১৭ সালের ১১ই আগস্ট কেন্দ্রীয় চলচ্চিত্র অনুমোদন পর্ষদের চেয়ারপারসন হিসেবে নিয়োগ লাভ করেন। তিনি আইজিএনসিএ'র ট্রাস্টিদের একজন, নেহরু মেমোরিয়াল মিউজিয়াম অ্যান্ড লাইব্রেরি সোসাইটি প্যানেলের সদস্য এবং মহাত্মা গান্ধীর ১৫০তম জন্মবার্ষিক আয়োজনের জাতীয় কমিটির ১২০ জন সদস্যের একজন।[২][৩][৪]
প্রসূন একটি কান লায়ন্স গোল্ড,[৫] দুইবার শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার, তিনবার শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার, একবার শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে আইফা পুরস্কার, দুইবার শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে জি সিনে পুরস্কার, এবং তিনবার শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে স্ক্রিন পুরস্কার অর্জন করেন।[৬] শিল্পকলা, সাহিত্য ও বিজ্ঞাপনে অবদানের জন্য ভারত সরকার ২০১৫ সালে তাকে পদ্মশ্রী পদকে ভূষিত করে।
প্রসূন জোশী ১৯৭১ সালের ১৬ই সেপ্টেম্বর উত্তরাখণ্ডের (তৎকালীন উত্তর প্রদেশ) আলমোরায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা ডি.কে. জোশী রাজ্যের শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত পরিচালক ছিলেন। তার মাতা সুষমা জোশী রাষ্ট্রবিজ্ঞানের প্রভাষক ছিলেন এবং অল ইন্ডিয়া রেডিওতে তিন দশকের বেশি সময় কাজ করেছেন।[৭] প্রসূনের শৈশব কাটে আলমোরা, নৈনিতাল, তেহরি, চামোলি গোপেশ্বর ও রামপুর, মিরাট ও দিল্লিতে।[৮][৯]
প্রসূন রাজকুমার সন্তোষীর লজ্জা (২০০১) চলচ্চিত্র দিয়ে গীতিকার হিসেবে তার কর্মজীবন শুরু করেন। এরপর তিনি যশ চোপড়ার হাম তুম (২০০৪) চলচ্চিত্রের "হাম তুম" গানের জন্য শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে স্ক্রিন পুরস্কার অর্জন করেন। তিনি ফনা (২০০৬)-এর "চান্দ সিফারিশ" গানের জন্য তার প্রথম শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কার ও আইফা পুরস্কার অর্জন করেন।[১০] একই বছর তিনি রং দে বাসন্তী চলচ্চিত্রের সংলাপ লিখেন ও গীত রচনা করেন। এই চলচ্চিত্রের জন্য তিনি শ্রেষ্ঠ সংলাপ ও শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন।
তিনি তারে জামিন পার (২০০৭) চলচ্চিত্রের "মা" গানের জন্য তার প্রথম শ্রেষ্ঠ গীতিকার বিভাগে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার ও দ্বিতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন। পরের বছর তিনি গজনী চলচ্চিত্রের "হ্যায় গুজারিশ" গানের জন্য আরেকটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কারের মনোনয়ন লাভ করেন। ২০০৯ সালের দিল্লি-৬ চলচ্চিত্রের "মাসাককালি" ও "রেহনা তু" গানের জন্য তিনি দুটি ফিল্মফেয়ার পুরস্কার মনোনয়ন লাভ করেন।
২০১২ সালে তিনি চিটাগাং চলচ্চিত্রের "বলো না" গানের জন্য তার দ্বিতীয় জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার অর্জন করেন। পরের বছর তিনি দৌড়বিদ মিলখা সিংয়ের জীবনী নিয়ে নির্মিত ভাগ মিলখা ভাগ (২০১৩) চলচ্চিত্র রচনা করেন। এই চলচ্চিত্রের "জিন্দা" গানের জন্য তিনি তার তৃতীয় ফিল্মফেয়ার পুরস্কার অর্জন করেন এবং শ্রেষ্ঠ কাহিনি, শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য ও শ্রেষ্ঠ সংলাপ বিভাগে আইফা পুরস্কার অর্জন করেন।[১১]
বছর | মনোনীত কর্ম | পুরস্কার | বিভাগ | ফলাফল |
---|---|---|---|---|
২০০৩ | ঠাণ্ডা মতলব কোকা কোলা ক্যাম্পেইন | কান লায়ন পুরস্কার | আন্তর্জাতিক বিজ্ঞাপন উৎসব | বিজয়ী |
২০০৫ | হাম তুম | স্ক্রিন পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("'হাম তুম'" গানের জন্য) | বিজয়ী |
২০০৭ | রং দে বাসন্তী | মিডিয়া ম্যাগাজিন | এশিয়া প্যাসিফিকের ১ নং সৃজনশীল পরিচালক | বিজয়ী |
১০ম জি সিনে পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("মস্তি কি পাঠশালা" গানের জন্য) | বিজয়ী | ||
গ্লোবাল ইন্ডিয়ান চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার | বিজয়ী | ||
৫২তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ সংলাপ | মনোনীত | ||
শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("রুবারু" গানের জন্য) | মনোনীত | |||
ফনা | শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("চান্দ সিফারিশ" গানের জন্য) | বিজয়ী | ||
৮ম আইফা পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("চান্দ সিফারিশ" গানের জন্য) | বিজয়ী | ||
বলিউড মুভি পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("চান্দ সিফারিশ" গানের জন্য) | বিজয়ী | ||
২০০৮ | তারে জমিন পর | ৫৫তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("মা" গানের জন্য) | বিজয়ী |
৫৩তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("মা" গানের জন্য) | বিজয়ী | ||
১১তম জি সিনে পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("মা" গানের জন্য) | বিজয়ী | ||
প্রডিউসার্স গিল্ড চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("মা" গানের জন্য) | বিজয়ী | ||
স্ক্রিন পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("মা" গানের জন্য) | বিজয়ী | ||
২০০৯ | — | এনডিটিভি বর্ষসেরা ভারতীয় | গীতের জন্য বিশেষ পুরস্কার | বিজয়ী |
গজনী | ৫৪তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("গুজারিশ" গানের জন্য) | মনোনীত | |
২০১০ | দিল্লি-সিক্স | ৫৫তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("মাসাকালি" গানের জন্য) | মনোনীত |
শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("রহনা তু" গানের জন্য) | মনোনীত | |||
২য় মির্চি সঙ্গীত পুরস্কার[১২] | বর্ষসেরা অ্যালবাম | বিজয়ী | ||
বর্ষসেরা গীতিকার ("মাসাকালি" গানের জন্য) | বিজয়ী | |||
২০১০ | ব্রেক কে বাদ | ৩য় মির্চি সঙ্গীত পুরস্কার | বর্ষসেরা অ্যালবাম | মনোনীত[১৩] |
২০১১ | আরক্ষণ | ৪র্থ মির্চি সঙ্গীত পুরস্কার | বর্ষসেরা আসন্ন সুরকার ("সাঁস আলবেলি" গানের জন্য) | মনোনীত[১৪] |
২০১২ | চিটাগাং | ৬০তম জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("বোলো না" গানের জন্য) | বিজয়ী |
২০১৪ | ভাগ মিলখা ভাগ | ৫৯তম ফিল্মফেয়ার পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ গীতিকার ("জিন্দা" গানের জন্য) | বিজয়ী |
১৫তম আইফা পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য | বিজয়ী | ||
শ্রেষ্ঠ কাহিনী | বিজয়ী | |||
শ্রেষ্ঠ সংলাপ | বিজয়ী | |||
প্রডিউসার্স গিল্ড চলচ্চিত্র পুরস্কার | শ্রেষ্ঠ চিত্রনাট্য | বিজয়ী | ||
শ্রেষ্ঠ কাহিনী | বিজয়ী | |||
৬ষ্ঠ মির্চি সঙ্গীত পুরস্কার | বর্ষসেরা গীতিকার ("মস্তোঁ কা ঝুন্ড" গানের জন্য) | বিজয়ী[১৫] | ||
২০১৫ | — | ভারত সরকার | পদ্মশ্রী (শিল্পকলায় অবদানের জন্য) | সম্মানসূচক |
২০২১ | চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব | ৫২তম ভারতের আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব | বর্ষসেরা ভারতীয় চলচ্চিত্র ব্যক্তিত্ব | সম্মানিত[১৬] |