নিবন্ধটি এমন একজন ব্যক্তি সম্পর্কে যিনি বর্তমানে সাম্প্রতিক ঘটনাবলীর সাথে সম্পৃক্ত। সময়ের সাথে সাথে তথ্যসমূহ তাই দ্রুত পরিবর্তিত হতে পারে। (মার্চ ২০২৪) |
জেনারেল (সম্মানসূচক) (অব.) প্রাবোও সুবিয়ান্তো | |
---|---|
ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচিত-রাষ্ট্রপতি | |
দায়িত্ব গ্রহণ ২০ অক্টোবর, ২০২৪ | |
উপরাষ্ট্রপতি | জিবরান রাকাবুমিং রাকা (নির্বাচিত) |
যার উত্তরসূরী | জোকো উইদোদো |
২৬তম প্রতিরক্ষামন্ত্রী | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২৩ অক্টোবর ২০১৯ | |
রাষ্ট্রপতি | জোকো উইদোদো |
ডেপুটি |
|
পূর্বসূরী | রিয়ামিযার্দ রিয়াচুদু |
২য় গেরিন্দ্রা পার্টির চেয়ারম্যান | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০ সেপ্টেম্বর ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | সুহার্দি |
২২তম কোস্ট্রাডের কমান্ডার | |
কাজের মেয়াদ ২০ মার্চ ১৯৯৮ – ২২ মে ১৯৯৮ | |
রাষ্ট্রপতি | |
পূর্বসূরী | লেফটেন্যান্ট-জেনারেল সুগিওনো |
উত্তরসূরী |
|
১৫তম কোপাসাসের সাধারণ কমান্ডার | |
কাজের মেয়াদ ১ ডিসেম্বর ১৯৯৫ – ২০ মার্চ ১৯৯৮ | |
রাষ্ট্রপতি | সুহার্তো |
পূর্বসূরী | ব্রিগেডিয়ার-জেনারেল সুবাগিও হাদি সিসওয়ো |
উত্তরসূরী | মেজর-জেনারেল মুখদি পুরওপ্রানিওনো |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | প্রাবোও সুবিয়ান্তো জোয়োহাদিকুসুমো ১৭ অক্টোবর ১৯৫১ জাকার্তা, ইন্দোনেশিয়া |
রাজনৈতিক দল | গেরিন্দ্রা |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | গোলকার (২০০৮ পর্যন্ত) |
দাম্পত্য সঙ্গী | সিতি হেদিয়াতি হারিয়াদি (বি. ১৯৮৩; বিচ্ছেদ. ১৯৯৮) |
সন্তান | দিদিত হেদিপ্রাসেতিও জোয়োহাদিকুসুমো |
মাতা | দোরা মারি সিগার |
পিতা | সুমিত্র জোয়োহাদিকুসুমো |
আত্মীয়স্বজন |
|
শিক্ষা | দি আমেরিকান স্কুল ইন লন্ডন |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | ইন্দোনেশীয় সামরিক একাডেমি |
পেশা | |
স্বাক্ষর | |
ওয়েবসাইট | Archived website |
সামরিক পরিষেবা | |
আনুগত্য | ইন্দোনেশিয়া |
শাখা | ইন্দোনেশীয় সেনাবাহিনী |
কাজের মেয়াদ | ১৯৭৪–১৯৯৮ |
পদ | জেনারেল (সম্মানসূচক) |
ইউনিট | কোপাসাস |
কমান্ড | |
যুদ্ধ | |
সার্ভিস নং | ২৭০৮২ |
প্রাবোও সুবিয়ান্তো জোয়োহাদিকুসুমো[১][২][৩] (ইন্দোনেশীয়: Prabowo Subianto Djojohadikusumo, জন্ম ১৭ অক্টোবর ১৯৫১) একজন ইন্দোনেশীয় রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী এবং অবসরপ্রাপ্ত সম্মানসূচক সেনাবাহিনীর জেনারেল যিনি ইন্দোনেশিয়া রাষ্ট্রপতি হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন।[৪] তিনি ১৯৮৩ সালে প্রয়াত রাষ্ট্রপতি সুহার্তোর দ্বিতীয় কন্যা তিতীক সুহার্তোকে বিয়ে করেন এবং বর্তমানে প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। পূর্ব তিমুরে মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে ১৯৯৮ সালে তাঁর উপর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে প্রবেশে সাময়িক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।[৫][৬][৭][৮]
প্রাবোও সুবিয়ান্তো ১৯৭০ সালে ইন্দোনেশীয় সামরিক একাডেমি থেকে স্নাতক হন এবং ১৯৯৮ সালে স্ট্র্যাটেজিক রিজার্ভ কমান্ডের (কোস্ট্রাড) নেতৃত্বে নিযুক্ত হওয়া পর্যন্ত বেশিরভাগ সময়েই স্পেশাল ফোর্সে (কোপাসাস) দায়িত্ব পালন করেন। তাঁকে ডানপন্থী জাতীয়তাবাদী হিসাবে বর্ণনা করা হয়েছে।[৯][১০][১১]
২০০৮ সালের গোড়ার দিকে ফাদলি জোনসহ প্রাবোওর অভ্যন্তরীণ বৃত্ত গেরিন্দ্রা পার্টি প্রতিষ্ঠা করে। ২০০৯ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তিনি মেঘবতী সুকর্ণপুত্রীর রানিং মেট হিসেবে উপরাষ্ট্রপতিত্বের জন্য ব্যর্থ হয়েছিলেন।[১২] তিনি ২০১৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন[১৩] কিন্তু জাকার্তার গভর্নর জোকো উইদোদোর কাছে পরাজিত হন, যা নিয়ে তিনি প্রাথমিকভাবে বিতর্ক তুলে ছিলেন।[১৪] তিনি ২০১৯ সালে সান্দিয়াগা উনোকে রানিং মেট হিসেবে নিয়ে রাষ্ট্রপতি পদের জন্য আরেকটি ব্যর্থ দৌড়ে অবতীর্ণ হন যেখানে তিনি গেরিন্দ্রা, সমৃদ্ধ ন্যায়বিচার দল (পিকেএস), জাতীয় অধিকার দল (পিএএন), গণতন্ত্রী দল এবং বেরকারিয়া পার্টির সমর্থন লাভ করেছিলেন।[১৫][১৬] কিন্তু ফলাফল গ্রহণ করতে অস্বীকৃতির জন্য তাঁর অনুগামীরা বিক্ষোভ প্রদর্শন করে যার ফলে জাকার্তায় মারাত্মক দাঙ্গার সংঘটিত হয়।[১৭] যাইহোক, একটি উত্তপ্ত প্রতিদ্বন্দ্বিতার পর প্রাবোও সুবিয়ান্তো ২০১৯ থেকে ২০২৪-এর জন্য প্রতিরক্ষা মন্ত্রী হিসাবে মন্ত্রিসভায় যোগদান করেছিলেন।[১৮]
১০ অক্টোবর ২০২১ তারিখে গেরিন্দ্রা ২০২৪ ইন্দোনেশীয় রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাঁদের প্রার্থী হিসেবে প্রাবোও সুবিয়ান্তোর নাম ঘোষণা করেছিল।[১৯] ১২ আগস্ট ২০২২ তারিখে প্রাবোও সুবিয়ান্তো ঘোষণা করেন যে তিনি ২০২৪ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতার জন্য গেরিন্দ্রার মনোনয়ন গ্রহণ করেছেন।[২০] প্রাবোও ১৪ ফেব্রুয়ারির নির্বাচনে নিজের বিজয় ঘোষণা করেন, যেহেতু প্রাথমিক বেসরকারি পোলিং-এ তাঁকে প্রথম রাউন্ডের ভোটে লিড দেখিয়েছিল।[২১] ২০ মার্চ সাধারণ নির্বাচন কমিশন ফলাফল প্রত্যয়িত করে এবং তাঁকে ইন্দোনেশিয়ার নির্বাচিত-রাষ্ট্রপতি হিসাবে ঘোষণা করে।[৪]