প্রিটি বেবি | |
---|---|
পরিচালক | লুই মাল |
প্রযোজক | লুই মাল |
চিত্রনাট্যকার | পলি প্ল্যাট |
কাহিনিকার | পলি প্ল্যাট লুই মাল |
শ্রেষ্ঠাংশে | ব্রুক শিল্ডস কিথ ক্যারাডিন সুজান সার্যান্ডন |
সুরকার | ফার্ডিনান্ড মর্টন |
চিত্রগ্রাহক | স্ভেন নিকভিস্ট |
সম্পাদক | সুজান ফেন |
পরিবেশক | প্যারামাউন্ট পিকচার্স |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১০৯ মিনিট |
দেশ | মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র |
ভাষা | ইংরেজি |
আয় | $৫.৮ মিলিয়ন |
প্রিটি বেবি লুই মাল পরিচালিত ব্রুক শিল্ডস, কিথ ক্যারাডাইন এবং সুজান সার্যান্ডন অভিনীত ১৯৭৮ সালের একটি মার্কিন ঐতিহাসিক নাট্য চলচ্চিত্র। এই চলচ্চিত্রের চিত্রনাট্য লিখেছেন পলি প্ল্যাট। চলচ্চিত্রের পটভূমি মূলত ২০ শতকের শুরুর দিকের নিউ অর্লিন্সের রেড-লাইট জেলার ১২ বছর বয়সী একজন পতিতাকে কেন্দ্র করে।
টনি জ্যাকসনের গান প্রিটি বেবি থেকে অনুপ্রাণিত হয়ে এই চলচ্চিত্রটির নামকরন করা হয়। এই গানটি এখানে সাউন্ডট্র্যাক হিসেবে ব্যবহার করা হয়েছে। বেশিরভাগ সমালোচক চলচ্চিত্রটির প্রশংসা করলেও শিশু পতিতাবৃত্তির চিত্র তুলে ধরা এবং মাত্র ১২ বছর বয়সী ব্রুক শিল্ডসের নগ্ন দৃশ্যের কারণে এটি অনেক বিতর্ক সৃষ্টি করেছিল। [১][২]
১৯১৭ সালে লুইজিয়ানা অঙ্গরাজ্যের নিউ অরলিন্সের রেড-লাইট জেলার স্টোরিভিলের বৈধ পতিতাবৃত্তির শেষ মাসগুলিতে, হ্যাটি একজন পতিতা হিসেবে কোকেইন-স্নিফিং ম্যাডাম নেল দ্বারা পরিচালিত একটি পতিতালয়ে কাজ করে। হ্যাটির একজন ১২ বছর বয়সের মেয়ে ছিল যার নাম ভায়োলেট, সে বাড়িতে থাকতো। পরে হ্যাটি একজন ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছে। ফটোগ্রাফার আর্নেস্ট জোসেফ বেলোকক ঐ পতিতালয়ে ছবি তোলার জন্য তার ক্যামেরাসহ আসে। জোসেফ সেখানের মহিলাদের ছবি তোলার অনুমতি চায়। কিন্তু, ম্যাডাম নেল এতে অস্বীকৃতি জানায়। পরে, জোসেফ অর্থ দেয়ার প্রস্তাব দিলে ম্যাডাম নেল ছবি তোলার অনুমতি দেয়।
জোসেফ নিয়মিতই পতিতালয়ে পতিতাদের ছবি তুলতে থাকে। তবে, সে বেশিরভাগ সময় হ্যাটির ছবি তোলে। জোসেফের কার্যকালাপ ভায়োলেটকে বিমোহিত করতে থাকে, যদিও ভায়োলেট জানত যে জোসেফ তার মাকে পছন্দ করে এবং এই কারণে সে খুবই ঈর্ষান্বিত হয়। ভায়োলেট ছিল খুব জেদি স্বভাবের মেয়ে এবং দীর্ঘদিন ধরে হতাশাগ্রস্থ।
ম্যাডাম নেল সিদ্ধান্ত নেয় যে ভায়োলেটের কুমারীত্ব নিলামের জন্য যথেষ্ট বয়স হয়েছে। ঐ পতিতালয়ের নিয়মিত গ্রাহকদের মধ্যে একটি নিলামের মাধ্যমে তুলনামূলক একজন শান্ত প্রকিতির লোক ভায়োলেটকে কিনে নেয়। অন্যদিকে, হ্যাটি পতিতাবৃত্তি থেকে পালিয়ে যেতে চায়। সে তারই একজন গ্রাহককে বিয়ে করে এবং তার মেয়েকে রেখে সেন্ট লুইসে চলে যায়, কারন তার স্বামী ভায়োলেটকে হ্যাটির বোন মনে করত। হ্যাটি ভায়োলেটকে ফিরে আসার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল। এজন্য, একবার সে স্থির করে ভায়োলেটকে ফিরিয়ে নিতে এবং সে তার নতুন স্বামীর কাছে তার মেয়ে ভায়োলেট সম্পর্কে জানায়।
অন্যদিকে, কিছু হাইজিংক লোক ভায়োলেটকে মারধর করে ফলে ভায়োলেট পতিতালয় থেকে পালিয়ে যায়। তিনি জোসেফের দরজায় হাজির হন এবং জোসেফের সাথে ঘুমাতে এবং তার যত্ন নেয়ার ইচ্ছার কথা জানায়। তিনি প্রথমে ভায়োলেটকে না বলেন, কিন্তু তারপর তিনি তাকে নিয়ে যান এবং সন্তানতুল্য ভায়োলেটের সাথে যৌন সম্পর্ক শুরু করেন। তাদের সম্পর্ক অনেকটা পিতা এবং সন্তানের মতো মনে হয়, কারন জোসেফ ভায়োলেটের মাতৃ শূন্যতাও দূর করে। এমনকি সে ভায়োলেটকে একটি পুতুল কিনে দেয় এবং তাকে বলে যে "প্রত্যেক শিশুর একটি পুতুল থাকা উচিত"। জোসেফ শুধু ভায়োলেটের সৌন্দর্য, তারুণ্য এবং ফটোজেনিক মুখের কারণে খুবই বিমোহিত ছিল। কিন্তু, ভায়োলেট জোসেফের ফটোগ্রাফির প্রতি প্রচণ্ড আকর্ষণ এবং তার প্রতি যত্নের অভাব এবং উদাসীনতার কারণে হতাশ হয়ে পরে।
জোসেফের সাথে ঝগড়া করে ভায়োলেট শেষ পর্যন্ত ম্যাডাম নেলের কাছে ফিরে আসে, কিন্তু ততদিনে সামাজিক সংস্কার গোষ্ঠী স্টোরিভিলের চাপে পতিতালয় বন্ধ হয়ে যায়। পরে জোসেফ ভায়োলেটকে বিয়ে করতে আসে, স্পষ্টতই তাকে অন্যএক জগৎ থেকে রক্ষা করার জন্য।
বিয়ের দুই সপ্তাহ পরে, হ্যাটি এবং তার স্বামী সেন্ট লুই থেকে ভায়োলেটকে নিতে আসেন। তারা দাবি করেন, যে তাদের সম্মতি ছাড়া এই বিয়ে অবৈধ। জোসেফ ভায়োলেটকে যেতে দিতে চায় না। কিন্তু ভায়োলেট যেতে চায় এবং জোসেফকে জিজ্ঞাসা করে যে সে তার এবং তার পরিবারের সাথে যাবে কিনা। ভায়োলেট তাদের সাথে যেতে চায় শুনে জোসেফ উপলব্ধি করে যে আসলে তাদের সাথে গেলে ভায়োলেটের স্কুলে পড়াশোনা এবং পরবর্তী জীবন আরও বেশি সুন্দর হবে। তাই সে ভায়োলেটকে যেতে বাধা দেয় না।
এবিসি রেকর্ডস চলচ্চিত্রের র্যাগটাইম স্কোরের সাউন্ডট্র্যাক প্রকাশ করে, যা একাডেমি পুরস্কারে শ্রেষ্ঠ উপযোগকৃত সুর শাখায় "উপযোগকৃত সুর" বিভাগে মনোনীত হয়।
প্রিটি বেবি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে $৫.৮ মিলিয়ন আয় করেছে।[৩]
চলচ্চিত্রটি সমালোচকদের কাছ থেকে বেশিরভাগ ইতিবাচক পর্যালোচনা পেয়েছে। পর্যালোচনা সংগ্রাহক রটেন টমেটোসে ২৮ জন সমালোচকের মধ্যে ৭১% চলচ্চিত্রটিকে ইতিবাচক পর্যালোচনা দিয়েছে, যার রেটিং গড় ৬.৮৮/১০।[২][৪]
চলচ্চিত্রটি ১৯৭৮ সালের কান চলচ্চিত্র উৎসবে টেকনিক্যাল গ্র্যান্ড পুরস্কার লাভ করে।[৫]