প্রিয়তমা | |
---|---|
পরিচালক | হিমেল আশরাফ |
প্রযোজক | আরশাদ আদনান |
চিত্রনাট্যকার |
|
কাহিনিকার | ফারুক হোসেন |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার |
|
প্রযোজনা কোম্পানি | ভার্সেটাইল মিডিয়া |
পরিবেশক | দি অভি কথাচিত্র |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ২ ঘন্টা ৩৫ মিনিট |
দেশ | বাংলাদেশ |
ভাষা | বাংলা |
নির্মাণব্যয় | ৳২.৫ কোটি[১] |
প্রিয়তমা ২০২৩ সালের একটি বাংলাদেশী রোমান্টিক-এ্যাকশন চলচ্চিত্র। এটি পরিচালনা করেছেন হিমেল আশরাফ, যা তার দ্বিতীয় চলচ্চিত্র এবং ভার্সেটাইল মিডিয়ার অধীনে প্রযোজনা করেছেন আরশাদ আদনান। চলচ্চিত্রটির কাহিনি এককভাবে লিখেছেন প্রয়াত ফারুক হোসেন এবং তার সঙ্গে চিত্রনাট্য ও সংলাপ যৌথভাবে লিখেছেন হিমেল আশরাফ। চলচ্চিত্রে মূখ্য ভূমিকা অভিনয় করেছেন শাকিব খান, ইধিকা পাল ও শহীদুজ্জামান সেলিম। এছাড়াও অন্যান্য চরিত্রে আছেন এলিনা শাম্মী, ডন, লুৎফুর রহমান খান সীমান্ত ও লুৎফর রহমান জর্জ।
"অনেক প্রতিবন্ধকতার পরও সিনেমা নির্মাণে আমরা যে পিছিয়ে নেই, তার উদাহরণ হতে পারে ‘প্রিয়তমা’। এখন শুধু তা প্রমাণের অপেক্ষা। আমি সাধ্যমত আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। বাকিটা দর্শকরাই বলবেন।"
—প্রিয়তমা নির্মাণ সম্পর্কে হিমেল আশরাফ।[২]
২০১৪ সালে শাকিব খান তাঁর নিজের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মস থেকে প্রথম চলচ্চিত্র হিরো: দ্য সুপারস্টার নির্মাণ করেন। এর প্রায় তিন বছর পর ২০১৭ সালের নভেম্বরে নিজ প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান থেকে প্রিয়তমা নির্মাণের ঘোষণা দেন, যা সেই সময় তার প্রযোজিত দ্বিতীয় চলচ্চিত্র হওয়ার কথা ছিল।[৩] দ্বিতীয় চলচ্চিত্র নির্মাণ প্রসঙ্গে সেসময় তিনি প্রথম আলোকে বলেন, "আমার এসকে ফিল্মস থেকে প্রথম ছবি নির্মাণ করার পর মাঝে অনেক সময় গেছে। এমন একটি গল্পের জন্যই এত দিন অপেক্ষা করছিলাম।"[৪] এরপর ২০১৭ সালের ৬ নভেম্বর বাংলাদেশ চলচ্চিত্র পরিচালক সমিতিতে চলচ্চিত্রটির নাম নিবন্ধন করা হয়। সেসময় পরিচালক হিমেল আশরাফ প্রথম আলোকে জানান, আগামী বছরের (২০১৮ সাল) ফেব্রুয়ারি মাসের শেষের দিকে বা মার্চের শুরুতে হবে শুটিং।[৪] পরিচালক হিমেল আশরাফের সঙ্গে যৌথভাবে চলচ্চিত্রটির কাহিনী ও চিত্রনাট্য লিখেন প্রয়াত ফারুক হোসেন, যা তার লেখা সর্বশেষ চিত্রনাট্য। এর আগে ২০১৫ সালে সাগরে নেমে নিখোঁজ হন ফারুক হোসেন।[৫][৬] চিত্রনাট্যকার ফারুক হোসেনের সর্বশেষ লেখা অসমাপ্ত চিত্রনাট্য এটি। পরে এটির পূর্ণাঙ্গ রূপ দিয়েছেন ছবির পরিচালক হিমেল আশরাফ। হিমেল আশরাফ প্রথম আলোকে বলেন, “ফারুকের দুটি অসমাপ্ত চিত্রনাট্য এক জায়গায় করে নিজের মতো করে তৈরি করেছি চিত্রনাট্যটি।”[৪] ঘোষণার প্রায় ৬ বছর পর, ২০২৩ সালের ২৫ এপ্রিল একটি ফেসবুক পোস্টের মাধ্যমে পরিচালক হিমেল আশরাফ চলচ্চিত্রটি ২০২৩ সালের ঈদুল আজহায় মুক্তির তারিখ ঘোষণা করেন এবং ভার্সেটাইল মিডিয়ার অধীনে প্রযোজক হিসাবে আরশাদ আদনানের নাম প্রকাশ করেন।[৭][৮] পরিচালক হিমেল আশরাফ চ্যানেল আইয়ের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে জানান, ২০২৩ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি থেকে চলচ্চিত্রটির নির্মাণ-পূর্বের কাজ শুরু হয় এবং এর টেবিল ওয়ার্কে ১০০জনের বেশি কাজ করছে। তিনি আরো জানান, চলচ্চিত্রটিতে মারপিট ও নৃত্য পরিচালক প্রত্যেকেই দেশের বাইরের এবং উন্নতমানের বিজিএম থাকবে, চলচ্চিত্রটির পোস্ট ভিএফএক্সসহ যাবতীয় প্রোডাকশনের কাজ দেশের বাইরে করা হবে।[৯] চলচ্চিত্রটিতে প্রাথমিকভাবে কোন অভিনেত্রী ঠিক করা হয়নি, তবে ২০১৭ সালের নভেম্বরে প্রথম আলোর মঞ্জুর কাদেরের সঙ্গে এক সাক্ষাৎকারে শবনম বুবলি চলচ্চিত্রটিতে নিজে অভিনয় করবেন বলে দাবি করেন।[১০] সেসময় এ বিষয়ে জাতীয় গণমাধ্যমগুলোতে সংবাদ প্রচার হয়।[১১][১২][১৩] যদিও ২০২৩ সালের ৫ মে প্রধান চরিত্রে অভিনেত্রী হিসাবে নাম প্রকাশ করা হয় ভারতীয় মডেল-টেলিভিশন অভিনেত্রী ইধিকা পালের নাম।[১৪] চলচ্চিত্র থেকে শবনম বুবলি কেন বাদ পড়েছেন, গণমাধ্যমের এমন প্রশ্নের জবাবে, শাকিব খান জানান, "চরিত্রের প্রয়োজনেই বুবলীকে বাদ দিতে হয়েছে।"[১৫] তবে তিনি প্রথম আলোর সঙ্গে একটি একান্ত আলাপনে চলচ্চিত্রে বুবলিকে না নেওয়ার সুনির্দিষ্ট কারণ জানান, তিনি বলেন "শুরুতে যখন ‘প্রিয়তমা’ নিয়ে আলাপ হয়েছিল, তখন গল্পের প্রয়োজনে একদম নতুন কাউকে দরকার ছিল, যে টুকটাক অভিনয় করেছে, কিন্তু ছবিতে অভিনয়ের অভিজ্ঞতা একেবারেই নেই। বুবলী তো গত কয়েক বছরে ডজনখানেকেরও বেশি ছবিতে অভিনয় করেছে। তা ছাড়া ছবির গল্পের সঙ্গে বুবলীর বয়সও এখন কাভার করছে না। সব বিবেচনায় তাকে নেওয়া হয়নি।"[১৬] ২০২৩ সালের ৮ মে চলচ্চিত্রটির দৃশ্যধারণের কাজ শুরু হয়। দুদিন পর ১০ মে পুরান ঢাকার সদরঘাটে শাকিব খান তার অংশের দৃশ্যধারণে অংশগ্রহণ করেন। পরিচালক হিমেল আশরাফ বাংলা ট্রিবিউনকে বলেন, “প্রথম লটে আমরা ঢাকায় শুটিং করছি। এরপর সুনামগঞ্জে যাবো। সেখানে বেশ কিছু দিন চিত্রায়ন সেরে যাবো কক্সবাজারে। আগামী ২ জুন পর্যন্ত টানা শুটিংয়ে শেষ হবে চিত্রায়ন।”[১৭] এরপর একইদিন চলচ্চিত্রটির প্রথম দর্শণ প্রকাশ করা হয়, শাকিব খানকে লম্বা চুল, পেছনে ঝুঁটি করা, বিষণ্ণ চেহারায় ঠোঁটে সিগারেট নিয়ে বৃষ্টিতে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়।।[১৮][১৯] প্রকাশের পর এটি দর্শক ও সমালোচকদের প্রশংসা অর্জন করে এবং সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমগুলোতে ভাইরাল হয়ে যায়।[২০][২১][২২][২৩] পরে, ২৮ মে প্রধান অভিনেতা শাকিব খানের চলচ্চিত্র শিল্পে ২৪ বছর পূর্তি উপলক্ষে চলচ্চিত্রের দ্বিতীয় পোস্টার প্রকাশ করা হয়।[২৪] চলচ্চিত্রটি মারপিট পরিচালক হিসাবে কাজ করছেন রাজেশ কান্নান, যিনি এর আগে প্রধান অভিনেতার সঙ্গে শিকারী, নবাব ও চালবাজ চলচ্চিত্রগুলোতে কাজ করেন।[২৫][২৬] এরপর ১৭ জুন চলচ্চিত্রটির ৩০ সেকেন্ডের ভিডিও ফার্স্ট লুক টিজার প্রকাশ করা হয়। প্রকাশের পর এটি দর্শক ও সমালোচকদের মিশ্র প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়।[২৭][২৮][২৯] এরপর ২০ জুন এটির তৃতীয় ফার্স্ট লুক প্রকাশ করা হয়, যেখানে শাকিব খানকে ৮০ বছরের বায়োবৃদ্ধ দেখা যায়।[৩০][৩১][৩২] এটি প্রকাশের পর দর্শক ও সমালোচকদের ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া পায়।[৩৩] শাকিব খানের এই লুকটি তৈরী করতে আনু. ৫ লাখ টাকা খরচ হয়।[৩৪][৩৫] চলচ্চিত্রে এই লুকটি ছয়-সাত মিনিটের জন্য ব্যবহার করা হয়। এটি তৈরী করতে প্রস্থেটিক রূপসজ্জায় দক্ষ বড় একটি মেকআপ টিম ১৫ দিনের মতো সময় নেয়।[৩৬] প্রথমে নেওয়া হয় শাকিব খানের মুখমণ্ডলের মাপ। সেভাবে একটি আবরণ তৈরি করা হয়। সেখানে চুল–দাড়ি বসিয়ে ঠিক করা হয় লুক। পরে চরিত্রের সঙ্গের মানানসই কি না, যাচাই করার জন্য লুক পরীক্ষা করা হয়।[৩৭] খানের ব্যক্তিগত রূপসজ্জাকর সবুজ খান প্রথম আলোকে বলেন, “পুরো শুটিংয়ে আমরা এই অংশটা নিয়ে চিন্তিত ছিলাম। কারণ, প্রস্থেটিক মেকআপ করাটা কঠিন। দীর্ঘ সময় প্রয়োজন হয়। একটানা বসে থাকতে হয়। ভুল করা যাবে না। সব আলাদা করে লিখে রাখতে হয়। মেকআপের কাজগুলোও ভাগ করে দিতে হয়। শুটিংয়ের সময় এই মেকআপ দিতে আমাদের প্রতিদিন ছয় থেকে সাত ঘণ্টা লাগত। এই মেকআপ তুলতেও আবার তিন ঘণ্টা সময় লেগেছিল। তিন দিন আগে থেকেই আমরা টানা এই মেকআপের সঙ্গে ছিলাম।”[৩৮][৩৯] চলচ্চিত্রের সিকোয়েন্স, এন্ট্রি, মারপিট আর দুটি গানের প্রতিটি লুক ও কস্টিউম আলাদাভাবে ডিজাইন করা হয়।[৪০] ২১ জুন চলচ্চিত্রটির চিত্রগ্রহণ সম্পন্ন হয়।[৪১] একইদিন এটি ছাড়পত্রের জন্য বাংলাদেশ চলচ্চিত্র সেন্সর বোর্ডে জমা করা হয়। পরেরদিন এটি বিনাকর্তনে সেন্সর ছাড়পত্র প্রদান করে।[৪২][৪৩] প্রযোজনা সংস্থার মাধ্যমে পাওয়া খবর অনুযায়ী, ২০২৩ সালের ঈদুল আযহায় মুক্তি পাওয়া সবচেয়ে ব্যয়বহুল চলচ্চিত্রটি এটি। ২০২৩ সালের ২৮ জুন সংবাদমাধ্যম সমকাল জানায়, এ চলচ্চিত্রে ২.৫ কোটি টাকার বেশি ব্যয় করা হয়েছে।[১]
প্রিয়তমা | ||||
---|---|---|---|---|
কর্তৃক সাউন্ডট্র্যাক অ্যালবাম | ||||
মুক্তির তারিখ | ২০২৩ | |||
শব্দধারণের সময় | ২০২৩ | |||
স্টুডিও | ভার্সেটাইল মিডিয়া | |||
ঘরানা | চলচ্চিত্র সঙ্গীত | |||
ভাষা | বাংলা | |||
সঙ্গীত প্রকাশনী | টাইগার মিডিয়া | |||
প্রযোজক | আরশাদ আদনান | |||
আকাশ সেন কালক্রম | ||||
| ||||
প্রিন্স মাহমুদ কালক্রম | ||||
| ||||
প্রিয়তমা থেকে একক গান | ||||
|
চলচ্চিত্রটির সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন আকাশ সেন ও প্রিন্স মাহমুদ। চলচ্চিত্রটির প্রথম গান কুরবারী কুরবানী, যার সুর ও সঙ্গীতায়োজন করেছেন আকাশ সেন। এছাড়াও গানটির গীত রচনার পাশাপাশি গেয়েছেনও তিনি নিজেই। ঢাকায় বাংলাদেশ চলচ্চিত্র উন্নয়ন কর্পোরেশনে (এফডিসি) ও নারায়ণগঞ্জের পানাম সিটিতে সেট বানিয়ে তিনদিন ধরে এই গানের দৃশ্যধারণ করা হয়।[৪৫] এটি ২০২৩ সালের ২৪ জুন শাকিব খানের অফিসিয়াল ফেসবুক পেইজ ও তার নিজস্ব প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান এসকে ফিল্মসের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ করা হয়।[৪৬] গানটি প্রকাশের তিন ঘণ্টায় তার ফেসবুক পেজে ১ লাখ ৫৪ হাজারের বেশি প্রতিক্রিয়া পায় এবং ১০ লাখেরও বেশিবার দেখা হয়।[৪৭][৪৮] এরপর ২৭ জুন প্রকাশ করা হয় এটির দ্বিতীয় গান, "ও প্রিয়তমা", যা একটি প্রণয়ধর্মী গান। গানটিতে বালামের সঙ্গে কণ্ঠ দিয়েছেন সোমনুর মনির কোনাল। আসিফ ইকবালের লেখা গানটির সুর-সংগীত করেছেন আকাশ সেন।[৪৯][৫০] চ্যানেল আই জানায়, চলচ্চিত্রটির মাধ্যমে কণ্ঠশিল্পী বালাম প্রায় দশ বছর পর নেপথ্যে শিল্পী হিসাবে প্রত্যাবর্তন করেন।[৫১] এতে ঈশ্বর শিরোনামে আরেকটি গানের সুর করেছেন প্রিন্স মাহমুদ, যিনি এর আগে গানের সুর ও সংগীতায়োজন করেছিলেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার (২০০৯) ও অনিমেষ আইচের জিরো ডিগ্রী (২০১৫) চলচ্চিত্রেগুলোতে। তবে চলচ্চিত্রের গানে নিয়মিত পাওয়া যায়নি তাঁকে, এবারই মূলধারার বাণিজ্যিক ছবিতে প্রথম গান করলেন তিনি। চলচ্চিত্রের প্রথম গানটি প্রকাশের পর, ২৫ জুন প্রিন্স মাহমুদ গানটি সম্পর্কে প্রথম আলোকে বলেন, “গানটি খুব ভালো হয়েছে। নব্বইয়ের দশকে যাঁরা আমাদের গান শুনেছেন, তাঁদের ভালো লাগবে, আবার এই সময়ের শ্রোতাদেরও ভালো লাগবে।” সোমেশ্বর অলির কথায় গানটিতে কণ্ঠ দিয়েছেন রিয়াদ, যা অভিষেক চলচ্চিত্র।[৫২] যা প্রিন্স মাহমুদের সঙ্গে সোমেশ্বর আলি প্রথম কাজ।[৫৩] চলচ্চিত্রের "গভীরে" শিরোনামে একটি গানে কণ্ঠ দিয়েছেন রেহান রসুল ও প্রিয়াংকা গোপ। যেটির সুর ও সঙ্গীতায়োজন সাজিদ সরকার এবং গীত রচনা করেছেন জাহিদ আকবর। এটি প্রধান অভিনেতা শাকিব খানের সাথে আকবরের তৃতীয় কাজ। এর আগে তিনি ২০১৪ সালে শাকিব খানের প্রযোজিত হিরো: দ্য সুপারস্টার চলচ্চিত্রের "যেখানেই যাবে আমাকে পাবে" এবং ২০২৩ সালের লিডার: আমিই বাংলাদেশ চলচ্চিত্রে "সুরমা সুরমা" শিরোনামের আরেকটি গান লিখেছিলেন। গানটি প্রসঙ্গে জাহিদ আকবর চ্যানেল আইকে বলেন, "গভীরে গানটা হৃদয়ের গভীরে পৌঁছে যাওয়ার মতো গান, উত্তেজনার কোনো গান নয়। শিরা উপ-শিরায় ভালোবাসা ছড়িয়ে যাওয়ার মতো গান। গল্পে শাকিব খানের ৮০ বছরের লুকের ডামি ছবি দেখে গানটা লিখতে বেশি উৎসাহী হয়েছিলাম। গানটা শুনে শ্রোতারা বলতে পারবেন কেমন হয়েছে।"[৫৪]
নং. | শিরোনাম | গীতিকার | সুরকার | সংঙ্গীতশিল্পী | দৈর্ঘ্য |
---|---|---|---|---|---|
১. | "কুরবানী কুরবানী" | আকাশ সেন | আকাশ সেন | আকাশ সেন | ৩:২৬ |
২. | "ও প্রিয়তমা" | আসিফ ইকবাল | আকাশ সেন | বালাম, কোনাল | ৩.৪৬ |
৩. | "ঈশ্বর" | সোমেশ্বর অলি | প্রিন্স মাহমুদ | রিয়াদ | ৪.০২ |
৪. | "গভীরে" | জাহিদ আকবর | সাজিদ সরকার | রেহান রসুল, প্রিয়াংকা গোপ | ৪.১১ |
৫. | "তোমার পরশ" | আরজিন কামাল | আরজিন কামাল | আরজিন কামাল | ৩:৩১ |
মোট দৈর্ঘ্য: | ১৮:৫৬ মিনিট |
প্রাথমিকভাবে চলচ্চিত্রটি ২০১৮ সালের ঈদে মুক্তির পরিকল্পনা করা হয়, যদিও সেসময় বিভিন্ন কারণে চলচ্চিত্রটির নির্মাণকাজ বিলম্বিত হয়।[৫৫]
চলচ্চিত্রটি মুক্তির দুই সপ্তাহ আগেই চড়া মূল্যে প্রেক্ষাগৃহ বুকিং শুরু হয়।[৫৬] ২০২৩ সালের ২৯ জুন ঈদে মাল্টিপ্লেক্সসহ দেশের ১০৭টি সিনেমা হলে চলচ্চিত্রটি মুক্তি পায়।[৫৭]
এটি ৭ জুলাই যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডার ৪২টি প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়।[৫৮]
চলচ্চিত্র সমালোচক রহমান মতি বাংলা মুভি ডেটাবেজে (বিএমডিবি) চলচ্চিত্রটিকে ৭.৫/১০ প্রদান করে। তিনি প্রিয়তমাকে একটি মিশ্র উপস্থাপনা হিসাবে উল্লেখ করেন। তিনি ছবির গল্পের উপস্থাপনার প্রশংসা করেন, তিনি উল্লেখ করেন, "ছবির নাম শুনে অনেকেই রোমান্টিক (প্রণয়ধর্মী) ছবি ভেবে নেবে স্বাভাবিকভাবেই কিন্তু এর মধ্যে থ্রিলার (মসলাদার) ও ট্র্যাজেডির (বিয়োগান্তিক) আবহ এনে ছবিটিকে মিক্সড ক্যাটাগরির (মিশ্র ঘরনার) বানানো হয়েছে।" তবে তিনি ছবির কমেডি খুবই দুর্বল বলে উল্লেখ করেন।[৫৯]
বক্স অফিস
প্রিয়তমা সিনেমার পরিচালক হিমেল আশরাফ তার ব্যক্তিগত ফেসবুক পেজে জানান প্রিয়তমা সিনেমাটি ১ম সপ্তাহ শেষে বাংলাদেশে ১০ কোটি ৩০ লাখ টাকা আয় করেছে।[৬০]
চলচ্চিত্রটির ফার্স্টলুকে শাকিব খানের ঠোঁটে জ্বলন্ত সিগারেট দেখা যায়। পোস্টারটিতে ধূমপানের চিত্র থাকা সত্ত্বেও কোনো সতর্কতামূলক বার্তা না থাকায়, এমন দৃশ্যকে ধূমপান করাকে উৎসাহ দেওয়া হচ্ছে বলে সমালোচিত হয়। বাংলাদেশ তামাকবিরোধী জোট ধূমপান ও তামাকজাত দ্রব্য ব্যবহার (নিয়ন্ত্রণ) আইন লঙ্ঘন হয়েছে বলে নিন্দা জানিয়ে লিখিত বিবৃতি প্রদান করে।[৬১][৬২][৬৩][৬৪][৬৫]
২০২৩ সালের ১০ এপ্রিল চলচ্চিত্রটির প্রথম দর্শন (ফার্স্ট লুক) প্রকাশ পায়।[৬৬] ঈদে মুক্তি দেয়ার জন্য ২৭টি প্রেক্ষাগৃহের কর্তৃপক্ষ চলচ্চিত্রটি বুকিংয়ের জন্য যোগাযোগ করে।[৬৭][৬৮][৬৯] ২৪ জুন "কুরবানী কুরবানী" গানটি প্রকাশের পর ফেসবুকে ২৪ ঘন্টায় ৫০ লাখ ভিউয়ের মাইলফলক স্পর্শ করে এবং টিকটকে ট্রেন্ডিংয়ে চলে আসে।[৭০]