প্রিয়া দত্ত রনকন | |
---|---|
![]() | |
মুম্বই উত্তর মধ্য আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০০৯ - ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | একনাথ গাইকোয়াড় |
উত্তরসূরী | পুনম মহাজন |
মুম্বই উত্তর পশ্চিম আসনের সংসদ সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০০৫ - ২০০৯ | |
পূর্বসূরী | সুনীল দত্ত |
উত্তরসূরী | গুরুদাস কামাত |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মুম্বই, মহারাষ্ট্র, ভারত | ২৮ আগস্ট ১৯৬৬
রাজনৈতিক দল | ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস |
দাম্পত্য সঙ্গী | ওয়েন রনকন |
সম্পর্ক | দত্ত পরিবার |
সন্তান | ২[১] |
পিতামাতা | সুনীল দত্ত নার্গিস |
বাসস্থান | পালি হিল, বান্দ্রা, মুম্বই |
জীবিকা | সমাজকর্মী, রাজনীতিবিদ[১] |
প্রিয়া দত্ত রনকন (জন্ম ২৮শে আগস্ট ১৯৬৬) একজন ভারতীয় রাজনীতিবিদ। ২০০৫ সালের ২২শে নভেম্বর, তিনি প্রথমবারের মতো মহারাষ্ট্রের মুম্বই উত্তর পশ্চিম নির্বাচনী অঞ্চল থেকে চতুর্দশ লোকসভায় নির্বাচিত হয়েছিলেন, তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস দলের প্রতিনিধি। ২০০৯ সাল থেকে তিনি মুম্বই উত্তর মধ্য আসনে প্রতিনিধিত্ব করেছিলেন। ২০১৪ সালের ভারতীয় সাধারণ নির্বাচনে তিনি বিজেপির পুনম মহাজনের কাছে প্রায় ১,৮৬,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হন। [২] ২০১৯ সালের ২৩ শে মে তিনি তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী পুনম মহাজনের কাছে আরও একবার ১,৩০,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।
প্রিয়া দত্ত বলিউড অভিনেতা এবং রাজনীতিবিদ সুনীল দত্ত এবং অভিনেত্রী নার্গিসের কন্যা। তিনি পাঞ্জাবি বংশোদ্ভূত।[৩][৪] তাঁর বাবা-মা ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিনিধিত্ব করার জন্য নির্বাচিত হয়েছিলেন এবং তাঁর বাবা ছিলেন একজন সংসদীয় মন্ত্রী। তিনি অভিনেতা সঞ্জয় দত্ত এবং নম্রতা দত্তের বোন।[৫] ২০০৭ সালে, তাঁর বোনের সাথে, তিনি একটি স্মৃতিচারণ প্রকাশ করেছিলেন, যার নাম মিঃ অ্যান্ড মিসেস দত্ত: মেমোরিজ অব আওয়ার পেরেন্টস।[৬]
তিনি মুম্বই বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে সোফিয়া কলেজ (তৎকালীন বোম্বে বিশ্ববিদ্যালয়) থেকে সমাজবিজ্ঞানে তাঁর বি.এ. ডিগ্রি অর্জন করেন। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ক শহরের সেন্টার ফর মিডিয়া আর্টস থেকে টেলিভিশন প্রযোজনায় তাঁর স্নাতকোত্তর ডিপ্লোমা রয়েছে। [৭]
২০০৫ সালে, তাঁর বাবা সুনীল দত্তের মৃত্যুর পরে, খুব কম সংখ্যক ভোট কাস্ট হওয়া সত্ত্বেও, তিনি শিবসেনা প্রার্থীর চেয়ে ১,৭২,০৪৩ ভোটের ব্যবধানে লোকসভায় তাঁর আসনটি জিতেছিলেন। এই জয়ের জন্য দত্ত আংশিকভাবে তাঁর বিখ্যাত পরিবারের কারণে গণমাধ্যমের যথেষ্ট মনোযোগ কাড়তে সক্ষম হয়েছিলেন। [৮]
নির্বাচনের পর তাঁকে সর্বভারতীয় কংগ্রেস কমিটির সেক্রেটারি নিযুক্ত করা হয়েছিল। ২০১৯ সালের ২৩ শে মে তিনি দ্বিতীয়বারের মত তাঁর প্রতিদ্বন্দ্বী পুনম মহাজনের এর কাছে ১,৩০,০০০ ভোটের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়া শেষ করে, দত্ত টেলিভিশন এবং ভিডিওতে কাজ করেছেন এবং নিউইয়র্কের দ্য সেন্টার ফর মিডিয়া আর্টস থেকে পড়াশোনা করেছিলেন।[৯] ১৯৯২-৯৩ সালে বোম্বাই দাঙ্গার সময় এবং তার পরে, দত্ত মুম্বইয়ের মুসলিম শরণার্থীদের নিয়ে কাজ করেছেন। তিনি এই সময় হুমকিযুক্ত টেলিফোন এবং হয়রানির কথা জানিয়েছেন।[১০]
প্রিয়া দত্ত 'নার্গিস দত্ত মেমোরিয়াল চ্যারিটেবল ট্রাস্ট' (এনডিএমসিটি) প্রতিষ্ঠা করেছিলেন, যেটি তাঁর বাবা সুনীল দত্ত শুরু করেছিলেন। ১৯৮১ সালে ক্যান্সারে আক্রান্ত হয়ে তাঁর মা নার্গিস দত্তের মৃত্যু হয়েছিল। তাঁর স্মরণে প্রিয়া দত্ত এটি করেছিলেন।[১১]
২০০৩ সালের ২৭শে নভেম্বর প্রিয়া ওয়েন রনকনকে বিবাহ করেছিলেন।[৭] রনকন একটি সংগীত প্রচার সংস্থা 'অরেঞ্জুস এন্টারটেইনমেন্ট' এবং একটি বিপণন সংস্থা 'ফাউন্টেনহেড প্রমোশনস অ্যান্ড ইভেন্টস প্রাইভেট লিমিটেড' এই দুটির অংশীদার।[১২] রনকন মুম্বাইয়ের বান্দ্রার একজন রোমান ক্যাথলিক।[১৩] তাঁদের দুটি পুত্র আছে, সুমাইর (জন্ম ২০০৭) এবং সিদ্ধার্থ (জন্ম ২০০৫)।[১৪]