| |||
| |||
নামসমূহ | |||
---|---|---|---|
ইউপ্যাক নাম
প্রোপিন
| |||
শনাক্তকারী | |||
ত্রিমাত্রিক মডেল (জেমল)
|
|||
সিএইচইবিআই | |||
সিএইচইএমবিএল | |||
কেমস্পাইডার | |||
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | ১০০.০০৩.৬৯৩ | ||
ইসি-নম্বর | |||
কেইজিজি | |||
পাবকেম CID
|
|||
আরটিইসিএস নম্বর |
| ||
ইউএন নম্বর | 1077 In Liquefied petroleum gas: 1075 | ||
কম্পটক্স ড্যাশবোর্ড (EPA)
|
|||
| |||
| |||
বৈশিষ্ট্য | |||
C3H6 | |||
আণবিক ভর | ৪২.০৮ g·mol−১ | ||
বর্ণ | Colorless gas | ||
ঘনত্ব | 1.81 kg/m3, gas (1.013 bar, 15 °C) 613.9 kg/m3, liquid | ||
গলনাঙ্ক | −১৮৫.২ ডিগ্রি সেলসিয়াস (−৩০১.৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট; ৮৮.০ kelvin) | ||
স্ফুটনাঙ্ক | −৪৭.৬ ডিগ্রি সেলসিয়াস (−৫৩.৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট; ২২৫.৬ kelvin) | ||
0.61 g/m3 | |||
সান্দ্রতা | 8.34 µPa·s at 16.7 °C | ||
গঠন | |||
ডায়াপল মুহূর্ত | 0.366 D (gas) | ||
ঝুঁকি প্রবণতা | |||
প্রধান ঝুঁকিসমূহ | Highly flammable, Asphyxiant | ||
আর-বাক্যাংশ | 12 | ||
এস-বাক্যাংশ | 9-16-33 | ||
এনএফপিএ ৭০৪ | |||
ফ্ল্যাশ পয়েন্ট | −১০৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (−১৬২ ডিগ্রি ফারেনহাইট; ১৬৫ kelvin) | ||
সম্পর্কিত যৌগ | |||
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে। | |||
![]() ![]() ![]() | |||
তথ্যছক তথ্যসূত্র | |||
প্রোপিন একটি অ্যালিফ্যাটিক হাইড্রোকার্বন। এটি একটি বর্ণহীন গ্যাস এবং পেট্রোলিয়ামের মতো হালকা গন্ধযুক্ত। এর সমগোত্রীয় শ্রেণীর অণুতে কার্বন=কার্বন দ্বিবন্ধন (C=C) বিদ্যমান। প্রোপিন সাধারণভাবে অ্যালকিন বা অলিফিন নামে পরিচিত। লাতিন অলফিন মানে তৈল উৎপাদনকারী। এই যৌগগুলো ক্লোরিনের সাথে বিক্রিয়া করে ডাইক্লোরাইড গঠন করে যা তৈলজাতীয় যৌগ।
এটি একটি মুক্ত শিকল অ্যালকিন।
প্রোপিনের গঠন সংকেতঃ CH3-CH=CH2
স্বাভাবিক তাপমাত্রায় প্রোপিন গ্যাসীয় পদার্থ। প্রোপেনের ন্যায় অধ্রুবীয় জৈব দ্রাবকে দ্রবনীয় কিন্তু ধ্রুবী দ্রাবক যেমন জলে অদ্রবনীয়। প্রোপিনের সাথে নিকেল প্রভাবকের উপস্থিতিতে হাইড্রোজেন অণু যুক্ত হয়ে প্রোপেন তৈরী করে।[১]
প্রোপিলিন উৎপাদনের সবচেয়ে জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো স্টিম ক্রাকিং। এই পদ্ধতিতে কাঁচামাল হিসাবে জৈব যৌগ প্রোপেন ব্যবহার করা হয়। প্রোপেন থেকে হাইড্রোজেন বিযুক্তি করে প্রোপিলিন তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে উপজাত হিসাবে হাইড্রোজেন পাওয়া যায়।[২]
জৈব যৌগ ইথেন থেকে ইথিলিন উৎপাদনের ক্ষেত্রেও এই পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
প্রোপিলিন উৎপাদনে কাঁচামাল হিসাবে ন্যাপথাও ব্যবহার করা হয়। মধ্যপ্রাচ্যে পেট্রোলিয়াম থেকে বিভিন্ন ধরনের তেল ও গ্যাস প্রক্রিয়াকরণের সময় প্রচুর পরিমাণে প্রোপেন পাওয়া যায়।[৩] পেট্রোলিয়াম শোধন এবং তাপবিভাজন প্রক্রিয়ার (Cracking) সময় উৎপন্ন হাইড্রোকার্বন মিশ্রণ থেকে আংশিক পাতন পদ্ধতির সাহায্যে প্রোপেনকে আলাদা করা হয়। পেট্রোলিয়াম শোধনগার থেকে যে প্রোপেনে উৎপন্ন হয় (রিফাইনারি গ্রেড) তাতে শতকরা ৫০ থেকে ৭০ ভাগ প্রোপেন থাকে।থাকে।
রেনিয়াম এবং মলিবডেনাম অনুঘটকের উপস্থিতে ইথিলিন ও 2-বিউটিন মিশ্রণের বিক্রিয়ায় প্রোপিলিন তৈরি করা হয়। এক্ষেত্রে সমগ্র মিশ্রণের ওজনের শতকরা প্রায় ৯০ ভাগই প্রোপিলিনে রূপান্তরিত হয়। [৪] বিক্রিয়াটি এই রকমঃ
CH2=CH2 + CH3CH=CHCH3 → 2 CH2=CHCH3
প্রোপিন দুই পদ্ধতিতে উৎপাদন করা যায়। ভাঙন বা ক্রাকিং পদ্ধতিতে পেট্রোলিয়াম থেকে প্রাপ্ত হাইড্রোকার্বন থেকে এটি আহরণ করা হয়। আমেরিকায় প্রাকৃতিক গ্যাস এবং ইউরোপে অপরিশোধিত তেলের ন্যাপথা অংশ থেকে প্রোপিন পাওয়া যায়।[৫]
উচ্চ তাপমাত্রা ও চাপে প্রোপেনকে ভাঙলে প্রোপিন পাওয়া যায়। সেই সাথে কিছু অ্যালকেনও উৎপন্ন হয়।
প্রোপেন---> প্রোপিন + অ্যালকেন
পরীক্ষাগারে অধিক পরিমাণ গাঢ় সালফিউরিক অ্যাসিডের সাথে প্রোপানলকে উত্তপ্ত করলে প্রোপিন উৎপন্ন হয়।
CH3-CH-OH + H2SO4 = CH3-CH=CH2 + (H2O + H2SO4)
শিল্প কারখানায় প্রোপিন উৎপাদনে বেশ কয়েকটি পদ্ধতি অনুসরণ করা হয়।
প্রোপানলকে উচ্চ তাপমাত্রায় অ্যালুমিনিয়াম অক্সাইডের উপর দিয়ে প্রবাহিত করলে প্রচুর পরিমাণে প্রোপিন উৎপন্ন হয়। এক্ষেত্রে অ্যালুমিনা (AL2O3) নিরুদক হিসেবে কাজ করে।
লেড এবং বেরিয়াম সালফেট এর উপস্থিতিতে প্রোপাইন এর সাথে হাইড্রোজেন যুক্ত হয়ে প্রোপিন উৎপন্ন করে।
পেট্রোরাসায়নিক শিল্পে ইথিলিনের পরেই দ্বিতীয় গুরুত্বপূর্ণ কাঁচামাল ইিসাবে প্রোপিলিন ব্যবহার করা হয়। অনেক জৈব পদার্থ তৈরির কাঁচামাল হিসাবে প্রোপিলিনের ব্যবহার রয়েছে। পলিপ্রোপিলিন তৈরিতে প্রোপিলিনের চাহিদা সব থেকে বেশি। সমগ্র উৎপাদনের দুই তৃতীয়ংশই পলিপ্রোপিলিন তৈরিতে ব্যবহার হয়ে যায়। [৬]
প্রোপিলিন অন্যান্য অ্যালকেনের মতো সাধারণ তাপমাত্রায় তুলনামূলকভাবে সহজে সংযোজন বিক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।
প্রোপিলিন অন্যান্য অ্যালেকেনের মতো দহন প্রক্রিয়ায় অংশগ্রহণ করে।পর্যাপ্ত বা অতিরিক্ত অক্সিজেনের উপস্থিতিতে প্রোপিলিনের দহনে জল এবং কার্বন ডাই অক্সাইড তৈরি হয়।
2 C3H6 + 9 O2 → 6 CO2 + 6 H2O
অক্সিজেনের পরিমাণ কম হলে দাহন সম্পূর্ণ না হওয়ার জন্য কার্বন মনোক্সাইডের সঙ্গে ঝুল/ভুসা (কার্বন)ও তৈরি হয়।
C3H6 + 2 O2 → 3 H2O + 2 C + CO
কার্বনঘটিত পদার্থের দহনে প্রোপিলিন তৈরি হয়। বনজঙ্গলে আগুন লাগলে, সিগারেটের ধোঁয়ায়, গাড়ীর ধোঁয়ায়, এবং উড়োজাহাজের নির্গত ধোঁয়ায় প্রোপিলিন থাকে।
যেহেতু প্রোপিলিন উদ্বায়ী এবং দাহ্য তাই এটি ব্যবহারের সময় বিশেষ সাবধানতা অবলম্বন করতে হয়। ব্যবহারের সময় আগুন যেন না লাগে তার জন্য সতর্কতা প্রয়োজন। প্রোপিলিন পরিবহন বা ভর্তির সময় কোন যন্ত্র, আধার, বা যন্ত্রাংশ থেকে যেন স্ফুংলিঙ্গ বের না হয়। হবার সম্ভাবনা থাকলে সেটি ঠিক করা উচিত। প্রোপিলিন তরল অবস্থায় চাপে সংরক্ষণ করা হয়। অনুমোদিত আধারে সাধারণ তাপমাত্রায় সংরক্ষণ করা চলে।