প্লাসমিড

ব্যাকটেরিয়া কোষে অবস্থিত ব্যাকটেরিয়ার নিজস্ব DNA (ক্রোমোজোম) ব্যতীত ক্ষুদ্র, চক্রাকার, দ্বিসূত্রক, স্বপ্রজননশীল DNA অণুগুলোকে প্লাসমিড বলে।প্ল্যাসমিড হচ্ছে ছোট ডিএনএ অণু, যা একটি কোষে থাকে কিন্তু ক্রোমোজোমাল ডিএনএ থেকে আলাদা থাকে। এটি নিজে নিজেকে প্রতিলিপন করতে পারে। এগুলোকে সাধারণত পাওয়া যায় ব্যাকটেরিয়াতে। ছোট বৃত্তাকার,দুইটা ছাচ বিশিষ্ট ডিএনএ অণুরূপে। কখনো কখনো একে আর্কিয়া এবং ইউক্যারিওটিক জীবেও পাওয়া যায়। সাধারণত প্লাসমিড যেসব জিন ধারণ করে সেগুলো জীবকে টিকে থাকতে সহায়তা করে। যখন ক্রোমোজোম বড় হয় তখন সে যে সকল প্রয়োজনীয় জীন ধারণ করে তার মাধ্যমে জীব সাধারণ পরিস্থিতিতে বেঁচে থাকে। কিন্তু প্লাসমিড ছোট হলেও যেসব অতিরিক্ত জীন ধারণ করে সেগুলো জীবকে প্রতিকূল পরিস্থিতি মোকাবেলা করতে সহায়তা করে। প্লাসমিড vector হিসেবে molecular cloning এ ব্যবহার করা হয়।

প্লাসমিডকে replicon s হিসেবে বিবেচনা করা হয়। [[ডিএনএ]]-এর ইউনিট,যার মাধ্যমে ডিএনএ বাহকের অভ্যন্তরে স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের প্রতিলিপি গঠন করতে সক্ষম হয়। যাইহোক, প্লাসমিডকে ভাইরাসের মতই জীব হিসেবে গণ্য করা হয় না।প্লাজমিড হল এক্সট্রা ক্রোমোসোমাল ডিএনএ অণু। এগুলি ছোট, বৃত্তাকার এবং স্বায়ত্তশাসিতভাবে প্রতিলিপি করার ক্ষমতা রয়েছে। প্লাজমিডের প্রতিলিপি ক্রোমোসোমাল ডিএনএর নিয়ন্ত্রণে নেই। তারা বেশিরভাগ ব্যাকটেরিয়া পাওয়া যায়। কিছু ইউক্যারিওট যেমন খামির এবং উদ্ভিদেও প্লাজমিড থাকে।তাদের স্বাধীনভাবে প্রতিলিপি করার ক্ষমতা প্লাজমিডকে জিন স্থানান্তর এবং হেরফের করার জন্য রিকম্বিন্যান্ট ডিএনএ প্রযুক্তিতে একটি ক্লোনিং ভেক্টর করে তোলে।জোশুয়া লেডারবার্গ প্লাজমিড "Plasmid" ইংরেজি প্রতিশব্দটি তৈরি করেছিলেন।প্ল্যাসমিড এক ধরনের বৃত্তাকার DNA অণু যা সাধারণত ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যে পাওয়া যায়। এটি অন্য প্ল্যাসমিড বা মূল DNA এর সাথে সমন্বয় ঘটাতে সক্ষম এবং অর্ধসংরক্ষণশীল প্রক্রিয়ায় প্রতিলিপন ক্ষমতাসম্পন্ন। জেনেটিক ইঞ্জিনিয়ারিং এ বিশেষ কর ইনসুলিন ও Genetically modified Food উৎপাদনে প্লাজমিক ব্যবহার করে।[] প্লাসমিডকে এক ব্যাকটেরিয়াম থেকে আরেক ব্যাকটেরিয়ামে প্রতিস্থাপন করা যায়(এমনকি অন্য প্রজাতিতেও) এই প্রতিস্থাপন করা যায় তিনটি গঠন প্রক্রিয়ার উপর নির্ভর করে। সেগুলো হল: transformation, Transduction এবং conjugation।এই যে বাহক থেকে বাহকে জেনেটিক উপাদানের এই প্রতিস্থাপন, একে বলা হয় horizontal gene transfer এবং প্লাসমিডকে mobilome এর অংশ হিসেবে বিবেচনা করা হয়।ভাইরাস(যারা তাদের জেনেটিক উপাদানসমূহকে রক্ষক প্রোটিন; (যাকে capsid বলা হয়) দিয়ে আবদ্ধ করে রাখে)। কিন্তু প্লাসমিডের ডিএনএ উলঙ্গই থাকে।কিছু কিছু শ্রেণির প্লাসমিড conjugative sex কে এনকোড করে, যা তার প্রয়োজন। প্লাসমিডের আকার ১ থেকে 200k bp(বেস পেয়ার:-Base pair) এর বেশি হতে পারে।প্ল্যাসমিডের গড় আণবিক ভর হলো {১০⁶-২০০×১০⁶=১৯৯০⁶}ডাল্টন (একক)।আণবিক বংশগতিবিদ্যায় (molecular genetic) গবেষণায় প্ল্যাসমিড প্রচুর পরিমাণ এবং ব্যাপকভাবে ব্যবহার করা হয়।প্ল্যাসমিড অল্প ও বেশি সংখ্যক জিন ধারণ এবং বহন করতে পারে। [১] []

বৈশিষ্ট্য

[সম্পাদনা]
একটি পাত্র ব্যাকটেরিয়াতে প্লাজমিডের দুই ধরণের অন্তর্ভুক্তি রয়েছে: অন্তর্ভুক্তি না করা প্লাজমিডগুলি শীর্ষ উদাহরণের মতো অনুপ্রবেশ করে, যেখানে ইপিসোমগুলি, নিম্নবিন্দুগুলি, বাস্তবায়ন করে, প্লাজমিডটি পাত্র ক্রোমোসোমে অন্তর্ভুক্ত হতে পারে।

যুক্তরাষ্ট্রের আণবিক জীববিজ্ঞানী জোসুয়া লেডারবার্গ ১৯৫২ সালে প্রথম প্লাসমিড শনাক্ত করেন।[] ১৯৬৮ সালে এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হল যে প্লাসমিডকে অতিরিক্ত জেনেটিক উপাদান হিসেবে আলাদা বাহকে সংযুক্ত করা যায়।[] এবং এটাই তাকে ভাইরাস থেকে পৃথক করেছে এবং এর সংজ্ঞায় পরিবর্তন আসল, বুঝা গেল প্লাসমিড ক্রোমোজোমের বাইরেও টিকে থাকতে পারে ও স্বয়ংক্রিয়ভাবে নিজের প্রতিলিপি গঠন করতে পারে।[]

কোষের অভ্যন্তরে স্বাধীনভাবে প্লাসমিড নিজের প্রতিলিপন করতে চাইলে তাকে অবশ্যই ডিএনএ এর ছাচ তৈরী করতে হবে,যা সূচনা বিন্দু(origin of species হিসেবে কাজ করবে। যেহেতু এটি নিজে নিজে প্রতিলিপি গঠন করতে পারে তাই এই এই দৃষ্টিকোণ থেকে প্লাসমিডকে replicon বলা হয়।[] ক্ষুদ্রাকৃতির প্লাসমিড তাদের বাহকের প্রতিলিপন উৎসেচক ব্যবহার করে নিজেদের প্রতিলিপি করে থাকে। কিন্তু বড় প্লাসমিডগুলো নিজেদের প্রতিলিপির জন্য সুনির্দিষ্ট জীন ধারণ করতে পারে। কিছু কিছু প্লাসমিড নিজেদেরকে বাহক ক্রোমোজোমে অভ্যন্তরে সংযুক্ত করতে পারে। এই ধরনের বিশেষ প্লাসমিডকে বলা হয় এপিজোম[]

যতই ক্ষুদ্র হোক নানা কেন প্লাসমিড অন্ততপক্ষে একটা হলেও জিন বহন করে। প্লাসমিড যে সকল জীন বহন করে তার অধিকাংশই বাহক কোষের জন্য উপকারী। উদাহরণ স্বরুপ: প্রতিকূল পরিস্থিতিতে বাহক কোষকে টিকে থাকার জন্য প্লাসমিড সহায়তা করে। কিছু জীন অ্যান্টিবায়োটিকের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে সাহায্য করে(যেমনঃAmpR,tetR,NeoR ইত্যাদি)। আবার কিছু জীন ভারী পদার্থ যেগুলো প্রতিরোধ করে অন্যরা ভাইরুলেন্স ফ্যাক্টর তৈরি করতে পারে যা একটি ব্যাকটেরিয়ামকে একটি হোস্টকে উপনিবেশ করতে এবং তার প্রতিরক্ষাকে কাটিয়ে উঠতে সক্ষম করে, বা নির্দিষ্ট বিপাকীয় ফাংশন থাকতে পারে যা ব্যাকটেরিয়ামকে একটি নির্দিষ্ট পুষ্টি ব্যবহার করতে দেয়, যার মধ্যে অপ্রত্যাশিত বা বিষাক্ত জৈব যৌগগুলিকে হ্রাস করার ক্ষমতা সহ।[] প্লাসমিড সক্ষম ব্যাকটেরিয়া দিয়ে nitrogefix nitrogen(নাইট্রোজেন সংবন্ধন) করাতে। কিছু কিছু প্লাসমিডের কোষে কোনো প্রভাব দেখা যায় না।অথবা বাহকে তাদের উপকার কী সেটা এখনো নির্ণয় করা যায় নি। এইধরনের প্লাসমিডকে বলা হয় ক্রিপ্টিক প্লাসমিড (cryptic plasmids)

সংজ্ঞানুসারে কয়েকটি প্ল্যাসমিডের নাম সমূহ & কিছু জিনের জেনেটিক বায়োঅ্যাক্সপ্রেশন

[সম্পাদনা]

(১)ফোসমিড (Fosmid/Fertility plasmid):-আদিকোষে অভ্যন্তরে স্বাধীনভাবে প্ল্যাসমিডে উর্বরতা ফ্যাক্টর জিনকে ফ্যাক্টর বাহক একটি ব্যাকটেরিয়া থেকে অন্য ব্যাকটেরিয়াতে স্থানান্তরিত করার অনুমতি দেয় যেখানে ফ্যাক্টরের অভাব থাকে,সেক্স পিলাস ও অতিদ্রুততে কন্জুগেশন নালী গঠন করতে সক্ষম এবং কন্জুগেশনের মাধ্যমে জেনেটিক উপাদান স্থানান্তর করতে সক্ষম,যখন (F+) এবং (F-) কোষের মধ্যে সংযোজন ঘটে , তখন ফলস্বরূপ দুটি (F+) কোষ হয়। এছাড়াও, (F+) কোষের বিস্তার একটি বড় হুমকি নয়, এমন ধরনের প্ল্যাসমিডকে উর্বর প্ল্যাসমিড বা ফোসমিড বলে।ফোস সিকোয়েন্স,সেক্স পিলাস-ফ্ল্যাজেলাম সংগঠক জিন(ফেরিলিটি জিন:-TrA,TrB,TrC,TrH,FimA,FimH,FimF, FimG,PapA,PapC,FlaA,FlaB,FigH,FlhD,FlhC,FliC,FliD,FlgK,FlgL,FliP,FliL,FliF,FigG,FigF,FigC,FliE,FlgB,MotA,MotB,FIgE,FihA,FliJ,FliL,FliO,FliP,FliQ,FilR:-FliR1,FliG,FliM,FliN,motX,motY,,(CupA:-cupA1&cupA2),CupB,CupC, CupD,psaA,psaB,psaC, psal,psaJ,psbA,psbB,psbC,psbD,psbE,psbF,psbH,psbl,psbJ.psbK,psbL,psbM,psbN,psbT, psbZ,petA,petB,petD,petG,petL,petN,atpA, atpB, atpE, atpF,atpH, atpl,ndhA, ndhB,ndhC,ndhD, ndhE, ndhF,ndhG,ndhH,ndhl, ndhJ, ndhK,rbcL,гроА, гроB,(RpC:- гроС1, гроС2),rps2,rps3,rps4,rps7,rps8,rps11,rps12,rps12_3end,rps14,rps15,rps16,rps18,rps19,rpl2,rpl14,rpl16,rpl20,rpl22,rpl23,rpl32,rpl33,rpl36,clpP,matK, accD, ccsA, infA, cemA,ycf1, ycf2, ycf3, ycf4, ycf15,ycf68,orf42,orf56,trnA, trnC,trnD,trnE,trnF,trnG, trnH,trnl,trnl,tỉnK,trnL,trnL,trnM,trnN,trnP,trnQ,trnR,trnS,trnT, trnV,trnW,trnY,rrn4.5,rrn5,rrn16,rrn23,PilA,PilE,TcpA,PilX, PilW, PilV,FimU,PilH, Pill, Pill, Pilk, Pill,TcpT,PilB,PilF,PilT,PilC,PilG,TcpE,TcpB,PilQ,TcpC,motC,motD,CsgA,CsgB,CsgC,frr, infC, nusA, pgk, pyrG, rplA, rplB, rplC, rplD, rplE, rplF, rplK, rplL, rplM, rplN, rplA, rplA, rplA, rplM, rplN, rplA, rplM, rplN, rpsB, rpsC, rpsE, rpsI, rpsJ, rpsK, rpsM, rpsS, tsf,) ও উর্বরতা ফ্যাক্টরসমূহ ফোসমিডে থাকা (Fosmid Operon:-ফোসমিড অপেরন) অঞ্চলে অবস্থিত।এ প্লাসমিডে বিভিন্ন রকমের উর্বরতাশীল জিনসমূহ রয়েছে,যেমনঃ পিলাস,ফ্ল্যাজেলাম,অ্যাকোয়াপোরিন, ইফ্ল্যাক্স পাম্প,ইউসকিপিং ও ইত্যাদি।একটি উর্বরতা প্লাজমিড, যা একটি কনজুগেটিভ প্লাজমিড নামেও পরিচিত, এটি এক ধরনের প্লাজমিড যা সংযোগের সময় ব্যাকটেরিয়ার মধ্যে জেনেটিক উপাদান স্থানান্তরের জন্য দায়ী জিন বহন করে। এই প্লাজমিডগুলি অনুভূমিক জিন স্থানান্তরে একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে, ব্যাকটেরিয়াগুলিকে নিজেদের মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের জিন সহ জেনেটিক তথ্য ভাগ করে নেওয়ার অনুমতি দেয়। তারা ব্যাকটেরিয়া জনসংখ্যার মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিস্তারে উল্লেখযোগ্যভাবে অবদান রাখে। উদাহরণস্বরূপঃ Escherichia coli ও ইত্যাদি ব্যাক্টেরিয়া এধরনের প্ল্যাসমিডধারী এবং স্যাফ্রানিন(C20H19ClN4) নামক গোলাপী রঙের রঞ্জক পদার্থ ধারী হয়ে থাকে।ফোসমিডের ভেক্টর সমূহ হলো pNZ273,pNZ8020,pNZ8037,pNZ8048,pNZ9520,pNZ9530,pNZ9500,Human mtDNA, ইত্যাদি।বায়োফ্রামেন্টেশন,বায়োডিগ্ৰেডেশন,ইন্টিগ্ৰেশন,পোটুরিফেকশন,ডিকম্পোজিশন,অ্যাক্সোট্রিমোফিলোসিস,আল্ট্রাসেন্ট্রিফিউগেশন,প্ল্যাসমিড ডিএনএ বায়োঅ্যাক্সপ্রেশন,প্ল্যাসমিডের ট্রান্সক্রিপশন ও ট্রান্সলেশন, প্রোটিয়োস্টেসিস,অর্গানিক অ্যাসিমিলেশন,রাইজোরিমিডিয়েশন,র‍্যাণ্ডম মিউটেশন,ফার্মেন্টেশন,রিকম্বিনেশন,ইমিউনোপিউরিফিকেশন,কন্জুগেশন,অবাত-শ্বসন,অ্যামোনিফিকেশন,নাইট্রোফিকেশন-ডেনাইট্রোফিকেশন,বায়োলুমিনেন্স,বায়োফিল্ম,কোরাম-সেন্সিং,ব্যাসিলাস সাবটিলিসের স্পোরুলেশনচক্র,মেরোজাইগোট গঠন,প্ল্যাসমিড ডিএনএ রেপ্লিকেশন-প্ল্যাসমিড ডি-লুপ রেপ্লিকেশন,প্ল্যাসমিড ও ক্রোমোসোমাল ডিএনএ পরিপক্কতা-স্থিতিশীলতা-ছেদন,অ্যানজাইমেটিক ডিটোক্সিফিকেশন,প্যাথোজেনেসিটিক পোলার ফরমেশন,পিগমেন্টেশন,অ্যাগ্রোব্যাকটেরিয়াম-মিডিয়াটেড ট্রান্সফরমেশন পদ্ধতি,ব্যাক্টেরিয়াল প্যাথোজেনেসিস,ট্রান্সপোসোন মিউটেজেনেসিস,ক্যারিওস্টেনোসিস,অ্যানোক্সিজেনিক সালোকসংশ্লেষণ,ডায়াজোট্রোফিক নডিউল অর্গানোজেনেসিস ,মিক্সোস্পোরোজেনেসিস ,মিথোনোজেনেসিসচক্র পদ্ধতি সহায়তা করে।এ প্ল্যাসমিডে সমীকরণ মাধ্যমে সহজেই বুঝতে পারবেন:-ফোস সিকোয়েন্স+প্ল্যাসমিডীয় সিকোয়েন্স:-ফোসমিড। [২]

(২)প্রতিরোধী প্ল্যাসমিড (Resistance plasmid):-এক বা একাধিক অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স ও (যেমনঃAmpR,AmpA,TetR জিন:-(5'UTR-ACGATGTCGAGTTTACTCCCTATC GTA TAAGCTGATAGAGAT-3'UTR),TetO জিন:- (5'UTR-TCCCTATCAGTGATAGAGAT-3' UTR);,AmpC, NeoR,Ampf,Tetf,PenR,PenA,AmpD, Penf,TetD,TetA,CmR,MerR,TnpR,TnpA,HygR,KanR,yfbR,mphR,mphA,ArsR,CoR,SilR,mcr-1,taxA,taxB,taxC,trbM,pilX operon,MerA,MerC,MerD,MerP,MerT,ycbR,strB,strA,qnrB,mcr-3,arr3,De-Alanin,OqxAB,QepA,qnrA,qnrS,qnrC,qnrD,mecA,VanA,norA,qac,erm,msr(A),blaTEM,blaсTX-M,blaSHV,blaOXA,blaIMP,blavIM,blaNDM,blaAmpc) ইন্টেগ্ৰন জিন বহন ও ধারণ করে এবং অন্যান্য বিষাক্ত ভারী ধাতু প্রতিরোধী জিনসমূহ (Resistance Operon) নামক অঞ্চলে অবস্থিত,অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট জিন এনকোডিং এর মাধ্যমে অ্যান্টিবায়োটিক অবক্ষয়ক ও পরিবর্তক এনজাইম ইফ্ল্যাক্স পাম্প দ্বারা নিঃসরিত করে,সেসব প্লাসমিডকে প্রতিরোধী প্ল্যাসমিড বলে।এ প্ল্যাসমিডে ampR ও tetR ইত্যাদি অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্ট ও ইন্টেগ্ৰন জিন থাকে।অ্যান্টিবায়োটিক অবক্ষয়ক-পরিবর্তক এনজাইমঃ বিটা ল্যাক্টামেজ, পেনিসিলিনেজ।রেজিস্ট্যান্স জিন, প্রায়শই অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্সের সাথে যুক্ত থাকে, তারা যে ধরনের প্রতিরোধ ক্ষমতা প্রদান করে তার উপর নির্ভর করে তাদের নির্দিষ্ট নাম থাকতে পারে। কিছু সাধারণভাবে পরিচিত প্রতিরোধের জিনগুলির মধ্যে রয়েছে ব্লেটিইএম, টিটিএ, ইর্মবি এবং সুল1। এই জিনগুলি যথাক্রমে β-ল্যাকটাম, টেট্রাসাইক্লাইনস, ম্যাক্রোলাইডস এবং সালফোনামাইডের মতো নির্দিষ্ট শ্রেণীর অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধের জন্য দায়ী। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং কার্যকর অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল কৌশলগুলির বিকাশের ক্ষেত্রে এই প্রতিরোধী জিনের আণবিক প্রক্রিয়া এবং বিস্তার বোঝা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ৷ একটি প্রতিরোধের প্লাজমিড হল এক ধরনের প্লাজমিড যা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল এজেন্টগুলির প্রতি জিন এনকোডিং প্রতিরোধের বহন করে, যেমন অ্যান্টিবায়োটিক। এই প্লাজমিডগুলি সাধারণত ব্যাকটেরিয়ায় পাওয়া যায় এবং ব্যাকটেরিয়া জনসংখ্যার মধ্যে অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বিস্তারে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এগুলিতে প্রায়শই জিন থাকে যা একাধিক অ্যান্টিবায়োটিকের প্রতিরোধ করে, যা হোস্ট ব্যাকটেরিয়াকে এই অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল যৌগগুলির উপস্থিতিতে বেঁচে থাকতে দেয়। অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের বৈশ্বিক চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং ব্যাকটেরিয়া সংক্রমণের চিকিৎসায় অ্যান্টিবায়োটিকের কার্যকারিতা সংরক্ষণের জন্য কৌশল বিকাশের ক্ষেত্রে প্রতিরোধের প্লাজমিডের প্রক্রিয়া বোঝা গুরুত্বপূর্ণ। উদাহরণস্বরূপঃ Escherichia coli,NeisseriaI Gonorrhoeae,Acinetobacter Baumannii,Staphylococcus Aureus(Mrsa),Burkholderia Cepacia,Pseudomonas Aeruginosa,Clostridium DifficileI,Mycobacterium Tuberculosis,Klebsiella Pneumoniae,Streptococcus Pyogenes,Asiatic cholera, Vibrio cholerae,Staphylococcus aureus,Streptococcus pyogenes,Bacillus cereus, Bacillus Subtilis, Bacillus anthracis,Salmonella,Helicobacter pylori,Bordetella pertussis,Corynebacterium diphtheriae,Mycobacterium Tuberculosis,Klebsiella Pneumoniae,Pseudomonas Aeruginosa, Clostridium DifficileI,Agrobacterium radiobacter,Agrobacterium Tumefaciens,Treponema Denticola,Vancomycin,Ideonella sakaiensis,Bradyrhizobium japonicum,Rhizobium bacterium,Bifidobacterium longum,Staphylococcus Hominis,Salmonella enterica,Salmonella typhimurium,Photorhabdus luminescens,Chromobacterium violaceum,Aeromonas hydrophila,Vibrio harveyi,Yersinia pseudotuberculosis,Vibrio fischeri,Citrobacter freundii,Enterobacter cloacae,Yersinia enterocolitica,Morganella morganii,Hafnia alvei,Serratia marcecen,Paenibacillus polymyxa,Bacillus macerans,Escherichia intermedia,Azotobacter vinelandii,Blastobacter denitrificans,Thiobacillus denitrificans,Paracoccus denitrificans,Azotobacter vinelandii, Alcaligenes faecalis, Alcaligenes xylosoxidans,Clostridium butyricum,Bacillus licheniformis,Bradyrhizobium diazoefficiens,Thiomargarita namibiensis,Epulopiscium fishelsoni,Micrococcus luteus,Neisseria flavescens,Staphylococcus saprophyticus,Sarcina ventriculi,ও ইত্যাদি ব্যাক্টেরিয়ার মধ্যে এধরনের প্ল্যাসমিডধারী হয়ে থাকে এবং এসব ব্যাক্টেরিয়াকে সুপারবাগ(Superbug) বলা হয়। এধরনের প্ল্যাসমিডের অপর নাম হলো রেজিমিড(Resimid) বলা হয়।অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধের জিন থাকতে পারে।ব্যাকটেরিয়ায় অর্জিত অ্যান্টিবায়োটিক প্রতিরোধের জিনগুলি প্রায়শই প্ল্যাসমিডগুলিতে বহন করা হয়, তাই পরিচিত প্রতিলিপিগুলির উপস্থিতি প্ল্যাসমিড-ফাইন্ডার ব্যবহার করে মূল্যায়ন করা হয়েছিল।অ্যান্টিবায়োটিক রেজিস্ট্যান্স জিন:-অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স সম্পর্কে। ব্যাকটেরিয়া এবং ছত্রাকের মতো জীবাণু যখন তাদের হত্যা করার জন্য ডিজাইন করা ওষুধগুলিকে পরাস্ত করার ক্ষমতা বিকাশ করে তখন অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল প্রতিরোধ ঘটে। তার মানে জীবাণু জীবিত অবস্থায় থাকে এবং অতিদ্রুততে বাড়তে থাকে। প্রতিরোধী সংক্রমণের চিকিৎসা করা কঠিন এবং কখনো কখনো প্রায় অসম্ভব হতে পারে।অ্যান্টারোব্যাক্টর হোর্মাইসির ১৮টি জিন মাল্টিড্রাগ রেজিস্ট্যান্ট জিন থাকে।pRK290,pRK415, pGEX-3X,pcDNA3.1plus,pBMN-Z-IN,pBMN-Z, নামক ভেক্টরধারী প্ল্যাসমিডকে রেজিমিড বলে।এন্টিবায়োটিক প্রতিরোধ ক্ষমতা সম্পন্ন জিন থাকে। [৩]

ব্যাক্টেরিয়াল অ্যাক্সপ্রেশন ভেক্টরের একটি উদাহরণ হল pGEX-3x প্ল্যাসমিড
পিবিআর ৩২২ প্ল্যাসমিড হল প্রথম প্ল্যাসমিডগুলির মধ্যে একটি যা ব্যাপকভাবে একটি ক্লোনিং ভেক্টর হিসেবে ব্যবহৃত হয়।


(৩) রহস্যজনক প্ল্যাসমিড (Cryptic plasmid):-কিছু কিছু প্লাসমিডের আদিকোষে কোনো প্রভাব দেখা প্রায় অসম্ভব অথবা বাহকে তাদের উপকার কী সেটা এখনো নির্ণয় করা প্রায় অসম্ভব, এইধরনের প্লাসমিডকে রহস্যজনক প্ল্যাসমিড বলে। এধরনের প্ল্যাসমিডের অপর নাম হলো ক্রিপ্টোমিড (Cryptomid) ও এধরনের প্ল্যাসমিডধারী ব্যাক্টেরিয়াকে ক্রিপ্টিকাস ব্যাক্টেরিয়াম (Crypticus Bacterium)।FI10564 নামক ভেক্টরধারী প্ল্যাসমিডকে ক্রিপ্টিক প্ল্যাসমিড বলে।একটি ক্রিপ্টিক প্লাজমিড হল এক ধরনের প্লাজমিড যা হোস্ট ব্যাকটেরিয়ামকে কোন সুস্পষ্ট নির্বাচনী সুবিধা প্রদান করে না, যার অর্থ এটি কোন সহজে পর্যবেক্ষণযোগ্য বৈশিষ্ট্য বা সুবিধা প্রদান করে না। এই প্লাজমিডগুলিতে প্রায়শই কোনও স্বীকৃত ফেনোটাইপিক প্রভাবের অভাব থাকে এবং ঐতিহ্যগত পরীক্ষাগার কৌশলগুলির মাধ্যমে সহজেই সনাক্ত করা যায় না। তাদের আপাত উপযোগের অভাব সত্ত্বেও, গোপনীয় প্লাজমিডগুলি এখনও প্রতিলিপি করা যেতে পারে এবং কোষ বিভাজনের সময় কন্যা কোষে প্রেরণ করা যেতে পারে। উদাহরণস্বরূপঃ Escherichia coli

(৪)রোগসৃষ্টিকারী ক্ষমতাধর প্ল্যাসমিড (Virulence plasmid):-আদিকোষের অভ্যন্তরে স্বাধীনভাবে প্ল্যাসমিড সংক্রমণ এবং রক্ষণাবেক্ষণের জন্য ফাংশন ছাড়াও অনেক ভাইরুলেন্স-জিন:-(virA,virB,virC,virD,virE,virG,VirF,VirH,Chv,HylA,HylB,EaE,{RD:-RD1&RD2},{SPI:-SpI1&SpI2},) বহন ও ধারণ করে এবং সেসব ভাইরুলেন্স জিন এনকোডিং এর মাধ্যমে বিভিন্ন ধরনের ভাইরুলেন্স-ফ্যাক্টর[৪]:-(tcdA,tcdB,tcdC,tcdR,tcdE,{Stx:-Stx1&Stx2},CpB,BontA,BontB,BontE,CtxA,CtxB,SeC,),টক্সিনজাতীয় বা অত্যধিক তীব্রতাশীল বিষাক্ত পদার্থ ও এনজাইম ইফ্ল্যাক্স পাম্প দ্বারা নিঃসরিত হয়ে যা প্রাণীর কোষকে ক্ষতিগ্রস্ত করে এবং পোষক দেহকোষ বিগলিত করে মেরে ফেলে, অন্যরা ব্যাক্টেরিয়াকে প্রাণী কোষের সাথে সংযুক্ত করতে ও বিভিন্ন প্রক্রিয়ার মাধ্যমে মানুষ, প্রাণী বা এমনকি গাছপালাকে সংক্রমিত করতে সাহায্য করে যেখানে অন্যরা ব্যাক্টেরিয়াকে প্রতিরোধ ব্যবস্থার প্রতিশোধের বিরুদ্ধে সুরক্ষা করে থাকে, সেসব প্ল্যাসমিডকে অত্যধিক তীব্রতাশীল বা রোগসৃষ্টিকারী প্ল্যাসমিড বলে। ভাইরুলেন্স জিন ও ভাইরুলেন্স ফ্যাক্টরসমূহ ভাইরুলেন্স প্ল্যাসমিডে থাকা (Virulence Operon) নামক অঞ্চলে অবস্থিত।এ প্লাসমিডে পঁয়ত্রিশটি ভাইরুলেন্ট জিন ও আটটি ভাইরুলেন্ট অপেরন থাকে (Virulent Genes:-35; Virulent Operons:-8;)। এধরনের প্ল্যাসমিডধারী ব্যাক্টেরিয়াকে (Pathogen Bacterium বা রোগস্রষ্টা ব্যাক্টেরিয়াম) বলা হয়। এধরনের প্ল্যাসমিডের অপর নাম হলো ভাইরুমিড (Virumid) ও রোগসৃষ্টি করতে সক্ষম ব্যাক্টেরিয়ামকে ভাইরুলেন্ট (Virulent) এবং রোগ সৃষ্টি করা পদ্ধতিকে প্যাথোজেনেসিস (Pathogenesis) বলা হয়।ভাইরুলেন্স প্লাজমিডে পাওয়া কিছু সাধারণ জিনের মধ্যে রয়েছে vir জিন, যেমন virA, virB, virC এবং virD, সেইসাথে অন্যান্য জিন এনকোডিং ফ্যাক্টর যা হোস্ট ব্যাকটেরিয়ামের প্যাথোজেনিসিটি,ইনফ্ল্যামাসোম তৈরি এবং ভাইরুলেন্সে অবদান রাখে। এই প্লাজমিডগুলি প্রায়শই জিন বহন করে যা হোস্ট জীবের বেঁচে থাকা এবং উপনিবেশে সাহায্য করে, সেইসাথে হোস্টের রোগ প্রতিরোধ ব্যবস্থাকে ফাঁকি দিতে। উদাহরণস্বরূপঃ Asiatic cholera, Vibrio cholerae,Staphylococcus aureus,Streptococcus pyogenes,Bacillus cereus, Bacillus Subtilis, Bacillus anthracis,Salmonella,Helicobacter pylori,Bordetella pertussis,Corynebacterium diphtheriae, Escherichia coli,Mycobacterium Tuberculosis,Klebsiella Pneumoniae,Pseudomonas Aeruginosa, Clostridium DifficileI,Agrobacterium radiobacter,Agrobacterium Tumefaciens,Treponema Denticola,Vancomycin,Ideonella sakaiensis,Bradyrhizobium japonicum,Rhizobium bacterium,Bifidobacterium longum,Yersinia pestis,Photorhabdus luminescens,Chromobacterium violaceum,Aeromonas hydrophila,Vibrio harveyi,Yersinia pseudotuberculosis,Vibrio fischeri,Citrobacter freundii,Enterobacter cloacae,Yersinia enterocolitica,Morganella morganii,Hafnia alvei,Serratia marcecen,Paenibacillus polymyxa,Bacillus macerans,Escherichia intermedia,Xanthomonas oryzae,Bacillus dysenteri,Diplococcus pneumoniae,Bacillus avisepticus,Salmonella typhosa,Mycobacterium bovis,Pasturella multocida,Agrobacterium tritici,Corynebacterium sepidonicum,Xanthomonas citri,Pseudomonas solanacearum,Clostridium tetani,Clostridium botulinum,Bacillus thuringiensis,Azotobacter vinelandii,Blastobacter denitrificans,Thiobacillus denitrificans, Alcaligenes faecalis, Alcaligenes xylosoxidans,Paracoccus denitrificans,Clostridium butyricum,Bacillus licheniformis ও ইত্যাদি ব্যাক্টেরিয়ার কোষে এধরনের প্ল্যাসমিডধারী হয়ে থাকে।ডেস্টাবিলেস নামক প্রোটিন বহু জেদি অণুজীব কে ধ্বংস করতে সক্ষম।

(৫)অবক্ষয়ক প্ল্যাসমিড (Degradative plasmid):-হোস্ট ব্যাকটেরিয়ামকে এমন যৌগ অতিদ্রুততে হজম করতে সাহায্য করে যা সাধারণত কৃত্রিমভাবে পাওয়া যায় যেমনঃ কর্পূর,প্ল্যাস্টিক,পলিথিন,জাইলিন,ক্যাথেলিসিডিন,লেসিথিন, টলুইন,পলিহেক্সামেথোডায়ামিনোঅ্যাডিপেট (নাইলন ৬:৬),পলিক্যাপ্রোল্যাক্টাম(নাইলন ৬) এবং স্যালিসাইলিক অ্যাসিড,টলুইন, সাকসিনিক অ্যাসিড ও ইত্যাদি,বিশেষ করে মনোহাইড্রোক্সিইথিল-টেট্রাফথ্যালেটেজ,স্যালিসাইলেজ,জাইলিনেজ,ডায়াস্ট্রোজ,জাইমেজ,টলুইনেজ,পলিইথিলিন-টেট্রাফথ্যালেটেজ,নিউক্লিয়েজ,মেটালোপ্রোটিনেজ,ডিপলিমারেজ,পলিক্যাপ্রোল্যাক্টামেজ,আলফা-অ্যামাইলেজ,পেনিসিলিনেজ,সিফালোস্পোরেজ,অ্যাসিটালোট্রান্সফারেজ,ফ্লোরোকুইন্যালোনেজ,ইরিথ্রোমাইসিনেজ,অক্সালোক্রোটোনেজ,হাইড্রোক্সিমুকোনেজ,হাইড্রোক্সিমিথালোআইডিনেজ,হাইড্রোক্সিহেন্টাডিয়োনেজ,ডাইহাইড্রোক্সিফেনলোপ্রোপিয়োনেজ,হাইড্রোক্সিফেনলপ্রোপিয়োনেজ, ইন্ভার্টেজ,ইথানোলেজ,টার্পিনোয়েডেজ,লাইপেজ,ক্যাথেলিসিডেজ,ফাইজেট,লেসিথিনেজ, পেনিসিলিনেজ, বিটা-ল্যাক্টামেজ, সাক্সিনেজ, বেন্জিনেজ, লুসিফারেজ, নাইলোনেজ,রেস্ট্রিকশনেজ,লাইপেজ এনজাইম বা উৎসেচক জন্য এইসব (ডিগ্ৰেডেশন জিন:-NylA, NylB, NylC, Cuti1,mhpA,mhpR,mhpB,mhpC,mhpD,mhpE,mhpF,mhpG,mhpH,AmyE,AmyA,AmyB,PETase,MHETase,tpaA,(TodC:-TodC1,TodC2),TodB,TodA,TolX,TolY,TolL,TolZ,TolT,TolE,TolG,TolF,TolJ,TolQ,TolK,TolI,TolH, (Degradative Operon) নামক অঞ্চলে থাকে যা এনকোডিং এর মাধ্যমে বায়োডিগ্ৰেডেশনাল এনজাইম এবং ইফ্ল্যাক্স পাম্পের মাধ্যমে নির্দিষ্ট যৌগগুলিকে বায়োডিগ্ৰেডেশন ও বায়োফ্র্যাগ্মেন্টেশন পদ্ধতিতে ভেঙ্গে দিতে বা অবক্ষয় ঘটাতে সক্ষম এমন ধরনের প্ল্যাসমিডকে অবক্ষয়ক প্ল্যাসমিড বলে। এধরনের প্ল্যাসমিডের অপর নাম হলো ডিগ্ৰোমিড(Degromid) ও বায়োডিগ্ৰেডেশন পদ্ধতিতে কঠিন,জৈব ও রাসায়নিক জটিল পদার্থকে অবক্ষয় বা ভেঙ্গে দিতে সক্ষম ব্যাক্টেরিয়ামকে বায়োডিগ্ৰোলেন্ট(Biodegrolent) বলা হয়।একটি অবক্ষয়কারী প্লাজমিড হল এক ধরনের প্লাজমিড যা নির্দিষ্ট জৈব যৌগকে অবনমিত করতে সক্ষম জিন এনকোডিং এনজাইম বহন করে। এই প্লাজমিডগুলি প্রায়শই ব্যাকটেরিয়ায় পাওয়া যায় যা জটিল জৈব দূষক, যেমন তেল, কীটনাশক বা শিল্প রাসায়নিক দ্বারা দূষিত পরিবেশে বাস করে। অবক্ষয়কারী প্লাজমিড দ্বারা এনকোড করা এনজাইমগুলি ব্যাকটেরিয়াগুলিকে ভেঙে ফেলতে এবং এই যৌগগুলিকে কার্বন এবং শক্তির উৎস হিসাবে ব্যবহার করতে সক্ষম করে। অবক্ষয়কারী প্লাজমিডের উপর গবেষণায় বিশেষায়িত অণুজীব ব্যবহারের মাধ্যমে পরিবেশ দূষণ পরিষ্কার করার লক্ষ্যে বায়োরিমিডিয়েশন কৌশলগুলির প্রভাব রয়েছে। উদাহরণস্বরূপঃ Ideonella sakaiensis, Treponema Denticola, Vancomycin,মেথিলোব্যাকটেরিয়াম পপুলি নামক ব্যাক্টেরিয়া এধরনের প্ল্যাসমিডধারী হয়ে থাকে।

(৬)কোসমিড (Cosmid):-এক ধরনের প্লাজমিড যা আলফা ফেজ থেকে কস সিকোয়েন্সের সন্নিবেশ দ্বারা নির্মিত,একটি ফেজ ডিএনএ অণু এবং একটি ব্যাকটেরিয়াল প্ল্যাসমিডের মধ্যে সংকর জাতিভুক্ত। কোসমিড উল্লেখযোগ্য কোল জিন:-(ColA, ColB,ColC,{ColE:-ColE1 জিন:-(5'UTR-ACGATGTCGAGTTTACAAGAGCTTTT-3'UTR),ColK,ColM,ColN) নামক জিনসমূহ এবং কোসমিড ভেক্টর বহন ও ধারণ করে যা এনকোডিং এর মাধ্যমে কোলিসিন&মাইক্রোসিন(ব্যাক্টেরিওসিন:-Bacteriocin;) নামক প্রোটিন উৎপাদন করতে সক্ষম,লাইসোজাইম এনজাইম নিঃসরণের মাধ্যমে অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার কোষপ্রাচীরকে বিগলিত করলে মেরে ফেলে এবং হোস্ট ব্যাকটেরিয়াকে অন্যান্য ব্যাকটেরিয়ার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করে, এনজাইমের জন্য সাবস্ট্রেট যা (λ) আলফাফেজের ডিএনএ অণুকে ফেজ কোট প্রোটিনে প্যাকেজ করে, এমন প্ল্যাসমিডকে কোসমিড বলে।এ প্ল্যাসমিডে সমীকরণ মাধ্যমে সহজেই বুঝতে পারবেন:-কস সিকোয়েন্স+প্ল্যাসমিডীয় সিকোয়েন্স=কোসমিড।কস সিকোয়েন্স,ব্যাক্টেরিওসিন-লাইসোজাইম এনজাইম উৎপাদক জিন ও কোসমিড ভেক্টরসমূহ কোসমিডে থাকা (Cosmid Operon) অঞ্চলে অবস্থিত। কোসমিড প্ল্যাসমিডের অপর নাম হলো কোলিসিনোজেনিক প্ল্যাসমিড (Colisinogenic plasmid)। উদাহরণস্বরূপঃ Escherichia coli

একটি কোসমিড ভেক্টরে ডিএনএ ক্লোনিংয়ের স্কিম।

[৫]

(৭)স্বঅনুলিপিক প্ল্যাসমিড (Replicative plasmid):-আদিকোষের অভ্যন্তরে স্বাধীনভাবে প্ল্যাসমিড অর্ধসংরক্ষণশীল প্রক্রিয়ায় নিজের প্রতিলিপন করতে চাইলে তাকে অবশ্যই ডিএনএ এর ছাঁচ তৈরী করতে হবে,যা সূচনা বিন্দু হিসেবে কাজ করবে,তাই সেই দৃষ্টিকোণ থেকে এধরনের প্ল্যাসমিডকে স্বঅনুলিপিক প্ল্যাসমিড বলে।রেপ্লিকেটিভ প্ল্যাসমিড (YRp), যা ক্রোমোসোমাল ডিএনএর একটি ক্রম পরিবহন করে যার মধ্যে প্রতিলিপির উৎস রয়েছে। এই প্ল্যাসমিড কম স্থিতিশীল, কারণ এগুলি উদীয়মান হওয়ার সময় হারিয়ে যেতে পারে। এধরনের প্ল্যাসমিডের অপর নাম হলো রেপ্লিমিড (Replimid) বলে ও রেপ্লিকেশন পদ্ধতি সহায়তাকারী জিনসমূহ রেপ্লিমিডে থাকা (Ori:-Origin of replication) নামক অঞ্চলে অবস্থিত। উদাহরণস্বরূপঃ Escherichia coli

(৮) সংযুক্তি প্ল্যাসমিড(Episome plasmid):-আদিকোষের ভিতরে স্বাধীনভাবে প্লাসমিড নিজের ধারক ও বাহক ক্রোমোজোমে অভ্যন্তরে একীয়ভূতকরণ পদ্ধতিতে সংযুক্ত করতে পারে এমন বিশেষ ধরনের প্ল্যাসমিডকে সংযুক্তি প্ল্যাসমিড বলে। এধরনের প্ল্যাসমিডের অপর নাম হলো ক্রোমিড (Chromid) বলা হয়।ক্রোমিড হল এমন উপাদান যা একটি ক্রোমোজোম এবং একটি প্ল্যাসমিডের মধ্যে সীমারেখায় বিদ্যমান, যা ২০০৯ সালের ক্রমানুসারে প্রায় ১০% ব্যাক্টেরিয়া প্রজাতিতে পাওয়া যায়। এই উপাদানগুলি মূল জিন বহন ও ধারণ করে এবং ক্রোমোজোমের মতো কোডন ব্যবহার করে, তবুও প্ল্যাসমিড-টাইপ রেপ্লিকেশন মেকানিজম ব্যবহার করে যেমনঃ কম কপি নম্বর হিসাবে (RepABC)।ফলস্বরূপ,অতীতে এগুলিকে বিভিন্নভাবে মিনিক্রোমোজোম বা মেগাপ্ল্যাসমিড হিসাবে শ্রেণীবদ্ধ করা হয়েছে। ভিব্রিওতে, ব্যাকটেরিয়া একটি সংরক্ষিত জিনোম আকারের অনুপাত দ্বারা ক্রোমোজোম এবং ক্রোমিডের প্রতিলিপি সিঙ্ক্রোনাইজ করে।ইন্টিগ্রেটিভ প্ল্যাসমিড (YIp), খামির ভেক্টর যা বেঁচে থাকার এবং প্রতিলিপির জন্য হোস্ট ক্রোমোজোমের একীয়ভূতকরণ বা ইন্টিগ্ৰেশনের উপর নির্ভর করে এবং সাধারণত একক জিনের কার্যকারিতা অধ্যয়ন করার সময় বা জিনটি বিষাক্ত হলে ব্যবহৃত হয়। এছাড়াও URA3 জিনের সাথে সংযুক্ত, যা পাইরিমিডিন অলিগোনিউক্লিওটাইডস (T:-থায়ামিন, C:-সাইটোসিন) এর জৈব সংশ্লেষণের সাথে সম্পর্কিত অরোটেট ফসফোরাইবোসাইলট্রান্সফারেজ নামক একটি এনজাইম কোড করে। এধরনের প্ল্যাসমিডে অপর নাম হলো ইন্টিগ্ৰোমিড(Integromid) বলে।এ প্লাসমিডের ইন্টিগ্ৰোজ(Integrase) তৈরি জিনসমূহ থাকে। RepABC,YIp,URA3 নামক ক্রোমিড বা ইন্টিগ্ৰোমিডে থাকা এইসব রেপ্লিকেটর জিনসমূহ(Chromid Operon)। উদাহরণস্বরূপঃ Escherichia coli

(৯) নাইট্রোজেন সংবন্ধক প্লাসমিড (Nitrogefix plasmid):-আদিকোষের ভিতরে স্বাধীনভাবে প্ল্যাসমিডে থাকা {নিফ অপেরন:-Nif Operon}(Nif Gene)[৬]নিফ (Nif gene:NifA,NifB,{FdxN:-5'UTR-CTC GAATTC GAGGTGGTTGGCTCTGTCAT-3′UTR},FdXB(5'UTR-GGATCC ACCTCCACGCAATCCTCGAAT-3'UTR),FdxA:-5′UTR-CCA GGATCC ACCTCCACGCAATCCTCGAAT-3′UTR),mcpA,erpA,,FixA,FixB,FixC,FixX,FixL,FixI,FixK,FixN,FixO,FixQ,FixP,FixG,FixH,FixJ,FixS,,NifD,NifE,NifF,NifH,HbN,NifJ,NifK,NifL,NifM,NifN,LhbN,NifP,NifQ,{NifR:-NifR1&NifR2},NifS,NifT,NifU,NifV,NifW,NifX,NifZ;) জিন এনকোডিং এর মাধ্যমে নাইট্রোজেনেজ(Nitrogenase)[৭] নামক নাইট্রোজেন সংবন্ধক এনজাইম ইফ্ল্যাক্স পাম্পের মাধ্যমে নিঃসরিত করে এবং {নোড অপেরন:-Nod Operon}থাকা রুট নডিউলসৃষ্টিকারী (Nod gene:NodA,NodB,NodC,{NodD:-NodD1,NodD2 & NodD3},NodE,NodF,NodG,NodH,NodI,NodJ,NodK,NodL,NodM,NodO,NodP,NodQ,{NodR:NodR1&NodR2},NodS, NodT, NodU,NodV,NodW,NodX,NodY,NodZ;) জিন এনকোডিংয়ের নোড ফ্যাক্টর ও রুট নডিউল‌সৃষ্টিকারী ইনফেকশনাল প্রোটিন নোডিউলিন তৈরি করে ও ,ফলে Fabaceae গোত্রভুক্ত পোষক বৃক্ষের শিকড়ের ডায়াজোট্রোফিক নডিউল অর্গানোজেনেসিস ও সিম্বোসিস পদ্ধতিতে পোষক বৃক্ষের সালোকসংশ্লেষণ পদ্ধতিতে তৈরিকৃত খাদ্য শোষণ করে আদিকোষের পুষ্টি সাধন ও নাইট্রোজেন-ফিক্সেশন পদ্ধতিতে সহায়তা করে এবং পোষক বৃক্ষের সাথে বন্ধুত্বপূর্ণ আচরণ করে,সেসব প্ল্যাসমিডকে নাইট্রোজেন সংবন্ধক প্ল্যাসমিড বলে। এধরনের প্ল্যাসমিডের অপর নাম হলো ডায়াজোস্ট্রোমিড(Diazotsromid) বলা হয়।উদাহরণস্বরূপঃ শিমের শিকড়ে নডিউলস্রষ্টা Rhizobium bacterium,Bradyrhizobium japonicum,Bradyrhizobium diazoefficiens নামক সিম্বোটিক ব্যাক্টেরিয়া এধরনের প্ল্যাসমিডধারী হয়ে থাকে‌। এইসব নিফ জিনসমূহ নাইট্রোজেন সংবন্ধক প্ল্যাসমিডে থাকা (Nif Operon) নামক অঞ্চলে অবস্থিত, এধরনের প্ল্যাসমিড (HbN, LHbN) নামক জিন দুইটি এনকোডিং এর মাধ্যমে লেগোহিমোগ্লোবিন (LHb2) নামক রঞ্জক পদার্থ ক্ষরিত অক্সিজেন(O2) দ্বারা নাইট্রোজেনেজ এনজাইমের কার্যকারিতা বিঘ্ন ঘটার হাত থেকে সুরক্ষা নিশ্চিত করে এবং নাইট্রোজেন সংবন্ধন প্রক্রিয়া সম্পূর্ণরূপে অব্যাহত রাখতে সাহায্য করে। যেসব অণুজীব নাইট্রোজেন(N2) সংবন্ধন করতে সক্ষম তাদের Diazotroph(ডায়াজোট্রোফ)[৮] বলে। এধরনের প্লাসমিডকে মেগাপ্ল্যাসমিড(Megaplasmid) বলে।কিছু উন্নত উদ্ভিদ ও প্রাণী Diazotroph এর সাথে মিথোজীবী রূপে সহাবস্থান করে। ঐ ধরনের উল্লেখযোগ্য প্ল্যাসমিড ডিএনএ ভেক্টরসমূহ হল In-fusion pMWnifVSU GluDH,pHY NifB-hesA,pRHB470,pRHB506,qRT-PCR-,pSymA, pSymB, ইত্যাদি।এ প্লাসমিডে আরো nol ও noe নামক জিনসমূহ রয়েছে।

(১০)জীব দ্যুতি প্ল্যাসমিড (Bioluminescent plasmid):-আদিকোষের অভ্যন্তরে স্বাধীনভাবে প্ল্যাসমিডে থাকা রিপোর্টার জিন(Bioluminescent/Lux gene:luxA,luxB,{luxC:-(5′UTR-CCCGGGTTAGAATTCCAGGCTGGAGGATACGT ATG ACTAAAAAAATTTC-3′UTR)},luxD,luxE,luxF,luxG,LuxI,{luxR:-luxR1&luxR2},ribE,ribB,ribA,ribH,Frp;) নামক জিন এনকোডিং এর মাধ্যমে লুসিফারেজ নামক জৈবিক দ্যুতি উৎপাদক এনজাইম নিঃসৃত হয় যা সিউডোনিউক্লিয়াস থেকে ক্ষরিত লুসিফেরিন নামক প্রোটিন ও শক্তি বাহক অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট (ATP:-Adenosine Triphosphate) বায়োলুমিনেন্স পদ্ধতিতে জৈবিক দ্যুতি বা আলো ও শক্তি উৎপাদন করতে সক্ষম, এমন প্ল্যাসমিডকে জীব দ্যুতি প্ল্যাসমিড বলে। এইসব লুসি জিনসমূহ বায়োলুমিনেন্স প্ল্যাসমিডে থাকা (lux-operon) নামক অঞ্চলে অবস্থিত। এধরনের প্ল্যাসমিডধারী ব্যাক্টেরিয়াকে লুমিনাস ব্যাক্টেরিয়া(Luminous bacterium) ও এধরনের প্ল্যাসমিডের অপর নাম হলো লুসিমিড (Lucimid) বা প্রোমোটার প্রোব প্ল্যাসমিড (Promotor Prob Plasmid) বলে। উদাহরণস্বরূপঃ Bifidobacterium longum,Photorhabdus luminescens,Chromobacterium violaceum,Aeromonas hydrophila,Vibrio harveyi,Yersinia pseudotuberculosis ও ইত্যাদি নামক ব্যাক্টেরিয়া এধরনের প্ল্যাসমিডধারী এবং pJE202/pVIB,pSB417,pSB418,pUC18,pSB416,pSB390,pRK415,pSB389,pSB395,pSB382,pSB383,pACYC184,pSB384,pSB373,pSB375,pSB312,pHG177,pSB322,pSB377, pBMN-Z-IN, pBMN-Z,pLuxCDEfrp,pLuxAB,pUT mini-Tn5 luxlackm2,pGEN-LUX (Pem7-lux),pBEN276,pSB1C3,pbbr1-mcs5-luxCDABE,pCMV LuxG418R,PEF1a LuxG418, ইত্যাদি নামক প্ল্যাসমিড ভেক্টরসমূহকে লুসিমিড বলা হয়ে থাকে।লুসিমিডগুলি সাধারণত নিয়ন্ত্রক উপাদানগুলির প্রভাব তদন্ত করতে ব্যবহৃত হয়,যেমনঃ প্রবর্তক, বর্ধক এবং অনুবাদিত অঞ্চলে (gfpmut3.1,amCyan,dsRed2, lux-operon {LuxC, LuxD, LuxA, LuxB, LuxE},phoA বা lacZ,luxAB,frp) নামক জিনের অভিব্যক্তিতে এই নিয়ন্ত্রক উপাদানগুলির র‍্যাণ্ডম মিউটেশনের প্রভাব।একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ লাক্স অপারন সিস্টেমের সুপরিকল্পিত। লাক্স অপেরনে সাধারণত পাঁচটি ভিন্ন জিন থাকে: luxC, luxD, luxA, luxB এবং luxE। এই পাঁচটি জিন লাক্স অপেরনের বন্য ধরনের সংস্করণ গঠন করে যা ফটোর্হাবোডাস লুমিনেসেন্সে পাওয়া যায়; এই চিত্রটি লাক্স অপেরনের পরিবর্তিত সংস্করণ দেখায় যেটিতে একটি অতিরিক্ত Frp জিন থাকে যা নির্দিষ্ট জীবের মধ্যে প্রকাশ করার সময় সমুন্নত কর্মক্ষমতার জন্য। ডাইমেরিক LuxAB লুসিফারেজের জন্য luxA এবং luxB কোড দুটি সাবইউনিট; luxC, luxD, এবং luxE কোড আপেক্ষিক এনজাইম, যা LuxAB এর জন্য ফ্যাটি অ্যাল্ডিহাইড সাবস্ট্রেট তৈরি করতে ডোডেকামার প্রোটিন কম্প্লেক্স গঠন করতে পারে; এবং Frp জিন ফ্ল্যাভিনেজ পি কোড করে যা FMN এবং FMNH2 এর মধ্যে প্রাকৃতিক সেলুলার ভারসাম্য পরিবর্তন করতে ব্যবহার করা যেতে পারে। অক্সিজেনের উপস্থিতিতে, LuxAB ফ্যাটি অ্যাল্ডিহাইড এবং FMNH2 কে অক্সিডাইজ জারিত করে সায়ানোলুমিনেসেন্স (λ = 490 nm) তৈরি করে। অক্সিডাইজড পণ্য, ফ্যাটি অ্যাসিড এবং FMN, সাবস্ট্রেটগুলি পুনরায় গঠনের জন্য পুনর্ব্যবহৃত করা যেতে পারে। লাক্স সিস্টেমের ক্রমাগত চালানোর জন্য শুধুমাত্র ATP, NDPH এবং অক্সিজেনের সরবরাহের প্রয়োজন হয়, তাই এটি স্বয়ংসম্পূর্ণ এবং যতক্ষণ হোস্ট সেল জীবিত থাকে ততক্ষণ এটি ক্রমাগত ও অতিদ্রুততে আলোকসজ্জা তৈরি করতে সক্ষম।

Reaction: ({Encoding by frp Gene:- FMNH₂:-(ফ্ল্যাভিন মনোনিউক্লিওটাইড হাইড্রোইড:-C₁₇H₂₁N₄O₉P}₂(Bacterial Luciferin:-ব্যাক্টেরিয়াল লুসিফেরিন)+ RCHO+C₁₀H₁₆N₅O₁₃P₃+লুসিফারেজ এনজাইম {আণবিক গড় ভর:-৭৭,০০০KD (সাতাত্তর হাজার কিলোডাল্টন(ডাল্টন (একক) থেকে নেয়া)}(Enzymatic detoxification{Flavinase:-ফ্ল্যাভিনেজ}{অ্যানজাইমেটিক ডিটোক্সিফিকেশন})+(37°C/30°C/45°C{Temperature{তাপমাত্রা }🌡️})+(Myristyl aldehyde:-মাইরিস্ট্যোল অ্যাল্ডিহাইড):-C₁₄H₂₈O)+₁₀O₂(অক্সিডাইজেশন)+{Myristyl Dehydrogenase:-মাইরিস্ট্যোল ডিহাইড্রোজিনেজ (ডিহাইড্রোজিনেশন)}+অ্যাডিনোসিন ডাইফসফেট:-(C₁₀H₁₅N₅O₁₀P₂)+অর্থোফসফেট (Pi)+(NADPH:-নিকোটিনামাইড অ্যাডিনোসিন ডাইনিউক্লিওটাইড হাইড্রোইড:-(C₂₁H₂₇N₇O₁₄P₂)→ (FMN:-ফ্ল্যাভিন মনোনিউক্লিওটাইড:-{C₁₇H₂₁N₄O₁₁P₃})(Oxyluciferin:-অক্সিলুসিফেরিন)+ RCOOH+CO₂+C₁₀H₁₅N₅O₁₀P₂+ H₂O +990-মিলিমিটার আলো(950 নয়শো পঞ্চান্ন ইলেকট্রন)🕯️💡+(Myristic acid:-মাইরিস্টিক অ্যাসিড:-C₁₄H₂₈O₂)+(প্রোটনস এ= 490nm- চারশো নব্বই ন্যানোমিটার)+(খনিজজল 💦:-H₂O)+অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেট:-(C₁₀H₁₆N₅O₁₃P₃)+NADP:-নিকোটিনামাইড অ্যাডিনোসিন ডাইনিউক্লিওটাইড=(C₂₁H₂₈N₇O₁₄P₂)

[৯]

A chemical formula
অ্যাডিনোসিন ট্রাইফসফেটের কাঠামোর ইন্টারেক্টিভ অ্যানিমেশন ও ত্রিমাত্রিক চিত্র
ব্যাক্টেরিয়াল লুসিফেরিনের ত্রিমাত্রিক চিত্র এফআরপি নামক জিন থেকে অ্যান্কোডিংকৃত (এফএমএন:-ফ্ল্যাভিন মনোনিউক্লিওটাইড)
ব্যাক্টেরিয়াল লুসিফারেজ দুটি সাবইউনিট নিয়ে গঠিত, লাল এবং নীল অঞ্চল দ্বারা চিত্রিত ও ত্রিমাত্রিক চিত্র।

(১১)টিউমার ইন্ডিউসিটিভ প্ল্যাসমিড(Tumour inductive plasmid):-আদিকোষের অভ্যন্তরে স্বাধীনভাবে প্ল্যাসমিডে (ভাইরুলেন্স জিনগুলো প্রায় একই থাকে,OcsA,OcsB,OcsC,AccA,AccB,AccC,{AccR:-AccR1&AccR2},NosA,NosB,NosC,NosD,NosO,{NosR:-NosR1&NosR2},NosZ,) জিন এনকোডিং এর মাধ্যমে সংক্রামিত হতে দেয়, একটি টিউমার,ক্রাউন পিত্তর টিউমার তৈরি করতে সক্ষম আর repABC জিন এনকোডিং এর মাধ্যমে সাইটোকাইনিন[১০],অক্সিন[১১] ও অপাইন[১২] নামক ফাইটোহরমোন নিঃসরণ করতে বিঘ্ন ঘটায়, এমন ধরনের প্ল্যাসমিডকে টিউমার ইন্ডিউসিটিভ প্ল্যাসমিড বলে। উদাহরণস্বরূপঃ Agrobacterium radiobacter, Escherichia coli ও Agrobacterium এর প্যাথোজেনিক প্রজাতির মধ্যে পাওয়া যায়, যার মধ্যে রয়েছে এ. টিউমেফেসিয়েন্স, এ. রাইজোজেনস, এ. রুবি এবং এ. ভিটিস ও Alphaprotobacterium এধরনের প্ল্যাসমিডধারী হয়ে থাকে। এধরনের প্ল্যাসমিড ট্রান্সফর্মেশন পদ্ধতিতে পোষক বৃক্ষের দেহকোষে ইনফেকশন সৃষ্টি করে, সেই প্রক্রিয়াকে অ্যাগ্রোব্যাকটেরিয়াম-মিডিয়াটেড ট্রান্সফরমেশন পদ্ধতি বলে ও প্রাকৃতিকভাবে ট্রান্সজেনিক উদ্ভিদে ওপাইন বায়োসিন্থেসিস,অক্সিন বায়োসিন্থেসিস ও সায়ানোব্যাক্টেরিয়ামের সাইটোকাইনিন বায়োসিন্থেসিস সম্পন্ন করে। [১৩]

A diagram showing the structure of the Ti plasmid, with various important regions labeled
টিউমার ইন্ডিউসিং প্ল্যাসমিডের গঠন ও ত্রিমাত্রিক চিত্র
A diagram showing the composition of the vir region of Ti plasmids
অক্টোপিন-টাইপ টিউমার ইন্ডিউসিং প্ল্যাসমিড এবং ভাইরুলেন্স প্ল্যাসমিডের ভাইরুলেন্স অপেরন অঞ্চলের গঠন ও ত্রিমাত্রিক চিত্র

(১২)ফ্যাগেমিড(Phagemid):-আদিকোষের অভ্যন্তরে DNA-ভিত্তিক ক্লোনিং ভেক্টর যা প্লাজমিড এবং ব্যাকটেরিওফেজ উভয় বৈশিষ্ট্যই দেখায়,F1 ফেজ প্রতিলিপি সহ একটি F1 উৎপত্তি ধারণ করে,ব্যাক্টেরিওফেজের ক্যাপসিডে প্যাকেজ করার ক্ষমতার মধ্যে তারতম্য রয়েছে, কারণ তাদের প্যাকেজিংয়ের জন্য একটি জেনেটিক সিকোয়েন্স সংকেত রয়েছে এমন ধরনের প্ল্যাসমিডকে ফ্যাগেমিড বলে। এধরনের প্ল্যাসমিড কোসমিড থেকে ভিন্ন ও এটি একটি হাইব্রিড ভেক্টর বাহক হয়ে থাকে। উদাহরণস্বরূপঃ Escherichia coli

(১৩)রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড প্ল্যাসমিড (RNA plasmid):-আরএনএ প্ল্যাসমিড যদিও বেশিরভাগ প্ল্যাসমিড ডাবল-স্ট্র্যান্ডেড ডিএনএ অণু, কিছু একক-স্ট্র্যান্ডেড ডিএনএ বা প্রধানত ডবল-স্ট্র্যান্ডেড আরএনএ নিয়ে গঠিত। আরএনএ প্ল্যাসমিড হল অ-সংক্রামক এক্সট্রা ক্রোমোসোমাল রৈখিক আরএনএ রেপ্লিকন, উভয়ই এনক্যাপসিডেটেড(Encapsulated) এবং আনক্যাপসিডেটেড(Uncapsulated), যা ছত্রাক এবং বিভিন্ন গাছপালা, শেওলা থেকে শুরু করে ভূমি গাছ পর্যন্ত পাওয়া যায়। তবে অনেক ক্ষেত্রে, RNA ভাইরাস এবং অন্যান্য সংক্রামক RNA থেকে RNA প্ল্যাসমিডকে স্পষ্টভাবে আলাদা করা কঠিন বা অসম্ভব হতে পারে।এ প্ল্যাসমিডের অপর নাম হলো রাইবোমিড(Ribomid) বলে। উদাহরণস্বরূপঃ Escherichia coli (প্ল্যাসমিডীয় নিউক্লিওবেসসমূহ হলো T:-থায়ামিন,A:-অ্যাডিনোসিন,C:-সাইটোসিন ও G:-গুয়োনোসিন।)

(১৪) আত্নহত্যা বা আত্নঘাতী প্লাজমিড(Suicide plasmid):-একটি আত্মঘাতী প্লাজমিড হল এক ধরনের প্লাজমিড যা আণবিক জীববিজ্ঞানে ব্যবহৃত হয় যা হোস্ট জীবের জিনোমে সংহত করার জন্য এবং একটি প্রাণঘাতী ঘটনা প্ররোচিত করার জন্য ডিজাইন করা হয়েছে, যা রূপান্তরিত কোষের বেঁচে থাকা রোধ করে। হোস্ট জিনোমে প্লাজমিডের একীকরণ সাধারণত একটি গুরুত্বপূর্ণ জিনকে ব্যাহত করে বা একটি বিষাক্ত জিন প্রবর্তন করে, যার ফলে কোষের মৃত্যু ঘটে। আত্মহত্যার প্লাজমিড প্রায়ই জিন নকআউট পরীক্ষার জন্য বা বিভিন্ন জীবের প্রয়োজনীয় জিন অধ্যয়নের জন্য নিযুক্ত করা হয়।আত্নঘাতী প্লাসমিড হলো এমন একটি প্লাসমিড, যা একটি বা একাধিক জীবাণুকে উপস্থাপন করতে ব্যবহৃত হয়। এই প্লাসমিডগুলি জীবাণুদ্ধারণ, জীবাণুস্থানান্তরণ এবং অন্যান্য গবেষণা কাজে ব্যবহৃত হতে পারে। আত্নঘাতী প্লাসমিডগুলি বাক্সাইডি থাকতে পারে এবং অনেক ক্ষেত্রে জীবাণুদ্ধারণে ব্যবহৃত হয়।আত্নঘাতী প্লাসমিড কে সাধারিত অবস্থায় সাইড কিলার প্লাসমিড (SKP:-Side Killer Plasmid) বলা হয়। এই প্লাসমিড জীবাণুকে নষ্ট করার জন্য ব্যবহৃত হয় এবং জীবাণুস্থানান্তরণে সাহায্য করতে পারে। আত্নঘাতী প্লাসমিড কে ব্যবহার করে বাক্টেরিয়া আত্নঘাত করতে পারে এবং অন্যান্য বাক্টেরিয়াদের সাথে প্রতিস্থাপন হতে পারে। আত্নঘাতী প্লাসমিড বলতে বুঝায় এমন একটি প্লাসমিড যা হোস্ট জীবাণুর জেনোমে ইনটিগ্রেট হতে পারে এবং একটি মারাত্মক ঘটনা উৎপন্ন করতে পারে, যা হোস্ট সেলের বেঁচে থাকতে অক্ষম করে। এই প্লাসমিডের ইন্টিগ্রেশন সাধারণভাবে হোস্ট সেলে বিশেষ সংস্কার এবং তারপর একটি জীবনপ্রতি অভিযান চালাতে পারে, যে জন্য সুইসাইড প্লাসমিড সংজ্ঞায়িত। এই ধরণের প্লাসমিডগুলি সাধারণভাবে জিন নষ্ট বা ক্ষতিকর জিন উপস্থাপনের জন্য ব্যবহৃত হয়, যাদের মাধ্যমে বায়োলজিক গবেষণা এবং জীবাণু উদ্ধারণের ক্ষেত্রে ব্যবহার হতে পারে। সুইসাইড বা আত্নঘাতী প্লাসমিড সাধারণত রেপ্লিকেটিভ প্লাসমিডের সম্পূর্ণরূপে বিপরীত বৈশিষ্ট্যসম্পন্ন জিনসমূহ রয়েছে।

(১৫) রিকম্বিনেন্ট প্লাসমিড(Recombinant plasmid):একটি রিকম্বিন্যান্ট প্লাজমিড হল একটি প্লাজমিড যার মধ্যে একটি বিদেশী ডিএনএ খণ্ড বা জিন ঢোকানো হয়েছে । প্লাজমিড হল ডিএনএর ছোট বৃত্তাকার টুকরা যা ব্যাকটেরিয়া কোষে এবং কিছু ইউক্যারিওটে যেমন ইস্ট এবং গাছপালা প্রাকৃতিকভাবে বিদ্যমান। রিকম্বিন্যান্ট প্লাজমিড হোস্টের ক্রোমোসোমাল ডিএনএ থেকে স্বাধীনভাবে প্রতিলিপি তৈরি করে।প্রার্থীরা ক্লোনিং স্থানান্তর এবং জিন হেরফের করার উদ্দেশ্যে পদ্ধতি হিসাবে পরীক্ষামূলকভাবে প্লাজমিড ব্যবহার করেন। তারা প্লাজমিড ভেক্টরে ডিএনএ খন্ড বা জিন সন্নিবেশ করে, যা একটি রিকম্বিনেন্ট প্লাজমিড হিসাবে পরিচিত।

[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Sinkovics, J; Harvath J; Horak A. (১৯৯৮)। "The Origin and evolution of viruses (a review)"। Acta Microbiologica et Immunologica Hungarica45 (3–4): 349–90। পিএমআইডি 9873943 
  2. Thomas, Christopher M; Summers, David (২০০৮)। "Bacterial Plasmids"। Encyclopedia of Life Sciencesআইএসবিএন 0470016175ডিওআই:10.1002/9780470015902.a0000468.pub2 
  3. Lederberg J (১৯৫২)। "Cell genetics and hereditary symbiosis"Physiol. Rev.32 (4): 403–430। পিএমআইডি 13003535 
  4. Stanley Falkow। "Microbial Genomics: Standing on the Shoulders of Giants"Microbiology Society 
  5. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; finbarr নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  6. Finbarr Hayes (২০০৩)। "Chapter 1 - The Function and Organization of Plasmids"। Nicola Casali, Andrew Preston। E. Coli Plasmid Vectors: Methods and Applications। Methods in Molecular Biology, Vol. 235। Humana Press। পৃষ্ঠা 5–6। আইএসবিএন 978-1-58829-151-6 
  7. T. A. Brown (২০১০)। "Chapter 2 - Vectors for Gene Cloning: Plasmids and Bacteriophages"। Gene Cloning and DNA Analysis: An Introduction (6th সংস্করণ)। Wiley-Blackwell। আইএসবিএন 978-1405181730 
  8. David Summers (১৯৯৬)। "Chapter 1 - The Function and Organization of Plasmids"। The Biology of Plasmids। Wiley-Blackwell; First Edition। পৃষ্ঠা 21–22। আইএসবিএন 978-0632034369