Plegmund | |
---|---|
ক্যান্টারবেরির আর্চবিশপ | |
নিযুক্ত | ৮৯০ |
মেয়াদ শেষ | আগস্ট ২, ৯১৪ বা ৯২৩ |
পূর্ববর্তী | ইথেলরেড |
পরবর্তী | এথেলম |
আদেশ | |
পবিত্রকরণ | ৮৯০ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
মৃত্যু | আগস্ট ২, ৯১৪ বা ৯২৩ |
পোপের আখ্যা | |
উৎসবের দিন | আগস্ট ২ |
শ্রদ্ধাজ্ঞাপন | রোমান ক্যাথলিক গীর্জা[১] |
মহাত্ম্য | প্রাক ধর্মসভা |
প্লেগমান্ড (বা প্লেগেমান্ড;[২] মৃত্যুঃ আগস্ট ২, ৯১৪ বা ৯২৩) মধ্যযুগীয় ইংরেজ ক্যান্টারবেরির একজন আর্চবিশপ। ৮৯০ সালে আর্চ বিশপ হয়ে ওঠার আগে তিনি সম্ভবতিনির্জনবাস করতেন। আর্চবিশপ হিসেবে, তিনি উইনচেস্টার বিশপীয় এলাকা পুনর্গঠিত করেন, চারটি নতুন সী গঠন করেন এবং ধর্মীয় গ্রন্থ অনুবাদে বেশ কয়েকজন বিখ্যাত পণ্ডিতের সাথে কাজ করনে। মৃত্যুর পর তাকে ধর্মীয় আদর্শ হিসেবে মান্য করা হয়।
মেরিকান বংশোদ্ভত হওয়া ছাড়া প্লেগমান্ডের প্রাথমিক জীবন সর্ম্পকে তেমন বেশি কিছু জানা যায়নি।[২] একটি ঐতিহাসিকের মতে, তার মৃত্যু প্রায় ৩০০ বছর পরে,[৩] বিবৃতি অনুসারে জানা যায় যে চেশিয়েরের প্লেমস্টলের একটি আশ্রমে তিনি সন্ন্যাসী হিসেবে জীবন যাপন করতেন।[২][ক] পণ্ডিত হিসেবে তার খ্যাতি[৪] রাজা মহান আলফ্রেডের নজর কেড়েছিল।[৫] ৮৮৭ সালে কিছু সময় পূর্বে, আলফ্রেড প্লেগমান্ডকে তার রাজদরবারে ডেকে পাঠান। সেখানে তিনি ওয়ারফেরথ, উরচেস্টারের যাজক, এথেলস্তান এবং ওয়েরওলফ নামে আরো তিনজন পণ্ডিতের সাথে গবেষণামূলক গ্রন্থ পপ গ্রেগরি দ্যা গ্রেটের পুরতান ইংরেজি অনুবাদে কাজ করতেছিলেন।[২]
৮৯০ সালে রাজা আলেফ্রেড প্লেগমান্ডকে সী অব ক্যান্টাবরির জন্য নির্বাচিত করেছিলেন|[৬] প্লেগমান্ডের প্রধান ধর্মযাজক হওয়ার বিষটি এঙ্গলো-সাক্সন ঘটনাপঞ্জির পান্ডুলিপি ই এ লিপিবদ্ধ রয়েছে এভাবে: “প্লেগমেন্ড স্রষ্টা এবং সকল মানুষের দ্বারা প্রধান ধর্মযাজক হিসেবে নির্বাচিত হয়েছেন”।[৭][খ] ফাল্ক, রেমিসের প্রধান ধর্মযাজক, প্লেগমেন্ডের নির্বাচনের প্রশাংসা করেন, বিবৃতিতে তিনি বলেন যে মানুষের মাঝে মূর্তিপূজার যে বিশ্বাসটি অবশিষ্ট রয়েছে তা সমূলে উৎপাটনে তিনি সাহায্য করতে পারবেন।[৮] যাহোক, ক্যান্টাবরির প্রধান ধর্মযাজক এথেলরেডের মৃত্যুর পর প্লেগমেন্ডকে বিশপ হিসেবে নিযুক্তদানে বেশ কিছু সময় লেগে যায়; গ্রিমবাল্দকে, ফেলেমিশীয় সন্ন্যাসী এবং পণ্ডিত, এপিসকোপাল সী এর পদে যোগদান করার জন্য আহবান করার কারণে হতে পারে. যদিও তিনি তা প্রত্যাখ্যান করেন।[৪][৯] পোপ ফোরমোসাস প্লেগমেন্ডেকে বিশপরে পোশাকটির অধিকারীর পদটি প্রদান করেন।[২]
নবম শতাব্দিতে, সী অব ক্যান্টাবরির অবস্থা খুবই শোচনীয় ছিল। এই অবস্থায়, প্লেগমেন্ডের দায়িত্বগুলোর মধ্যে অন্যতম ছিল গির্জার কতৃর্ত্ব পুনরায় প্রতিষ্ঠিত করা, এবং, দায়িত্বটি পালনের একটি প্রচেষ্টা হিসেবে, ৯০৯ এবং ৯১৮ সালের ভিতর ক্রেডিটন, রামসবুরি, শেরবন এবং ওয়েলসের উইনচেস্টার বিশপীয় এলাকায় নতুন একটি এলাকা তৈরী করেন। এর থেকে বুঝা যায় যে ভবিষ্যতে ওয়েসেক্সের প্রতিটি বিশপীয় এলাকায় যেমন ডেবন এবং করণওয়েলের জন্য ক্রেডিটনের, উইল্টশাইরের জন্য রামসবুরির, ডরসেটের জন্য শেরব্রোনের এবং সমারসেটের জন্য ওয়েলসের জন্য নিজস্ব যাজক নিয়োজিত হবে।[১০] এই উদ্দেশ্যে, প্লেগমেন্ডকে পপ সারগুয়িস ৩, যিনি পোপ ফরমুসাস এর সকল কার্যবিধিকে নিষিদ্ধ করেছিলেন, এর অনুমোদন অর্জনের প্রয়োজন হয় এবং ৯০৮ সালে প্লেগমেন্ড রোমে যান যাতে তিনি তার উদ্দেশ্যের অনুমোদন করাতে পারেন। এক শতাব্দির মধ্যে ক্যান্টাবরির যাজক হিসেবে তিনিই প্রথম রোমে যাত্রা করেন এবং তিনি সাধক ব্লাইসের দেহাবশেষের কিছু অংশ নিয়ে তিনি ফিরে আসেন।[২]
প্লেগমেন্ডের বিশপীয় এলাকার নিয়ন্ত্রণে, ল্যাটিন ভাষায় তার লেখনীর উন্নতী ঘটে, যেখানে পূর্ববর্তী অন্য দুই ধর্মযাজক লেখনী তেমন উন্নত ছিল না।[২] ৮৯৯ সালে যখন আলফ্রেডের মৃত্যু হয়, প্লেগমেন্ড তার পুত্র এ্যাডওয়ার্ডকে রাজা হিসেবে ঘোষণা দেন।[৫] ধর্মীয় দায়িত্বের পাশাপাশি, প্লেগমেন্ড রাজ্যের বিভিন্ন বিষয়ের সাথে জড়িত ছিলেন এবং ৯০১, ৯০২, ৯০৩, ৯০৪ এবং ৯০৯ এ্যাডওয়া দি এলডার কর্তৃক আয়োজিত আনুষ্ঠানিক আইন প্রণয়ন সভায় তিনি যোগ দিয়েছিলেন। ৯০৯ সালে উইনচেস্টারে অবস্থিত নিউ মিনিস্টারের উচুঁ টাওয়ারটি তিনি উৎসর্গৃ করেন।[২]
প্লেগমেন্ড ৯১৪[২] বা ৯২৩ সালের ২ অগাস্ট মৃত্যুবরণ করেন।[৫][১১] মৃত্যুর পর তিনি একজন সাধক হিসেবে বিবেচিত হন এবং ২ আগস্টে তার স্মরণে ধর্মীয় উৎসব পালিত হয়। যাই হোক, ত্রয়োদশ শতাব্দি থেকে তার স্মরণ ধর্মানুষ্ঠান পালিত হয়ে আসছে।[১]
ক্যাথলিক চার্চ উপাধি | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী Æthelred |
ক্যান্টারবারী আর্চবিশপ 890–914 |
উত্তরসূরী এথেলম |