ফজল শাহাবুদ্দীন | |
---|---|
জন্ম | |
মৃত্যু | ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৪[১] | (বয়স ৭৮)
জাতীয়তা | বাংলাদেশী |
নাগরিকত্ব | বাংলাদেশ |
পেশা | কবি |
পুরস্কার | বাংলা একাডেমী, একুশে পদক পুরস্কার |
ফজল শাহাবুদ্দীন (জন্মঃ ফেব্রুয়ারি ৪, ১৯৩৬ - মৃত্যুঃ ৯ ফেব্রুয়ারি, ২০১৪) বাংলাদেশের একজন খ্যাতিমান আধুনিক কবি।[২] তিনি বিংশ শতকের ষাট দশকের কবি হিসাবে চিহ্নিত। কর্মসূত্রে দীর্ঘকাল তিনি সাংবাদিকতা করেছেন। এছাড়া স্বাধীন বাংলাদেশে সাপ্তাহিক পত্রিকার প্রচলনে তিনি পথিকৃতের ভূমিকা রেখেছেন। তার কর্মজীবনের অন্যতম স্বীকৃতি একুশে পদক। তার কবিতা পৃথিবীর বেশ কয়েকটি ভাষায় অনূদিত হয়েছে।
তিনি ১৯৩৬ সালে ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় জন্মগ্রহণ করেন,[৩] [৪] এবং তার কবিতার বিস্তৃতি ষাটের দশকের মাঝামাঝি থেকে মৃত্যু পর্যন্ত পরবর্তী ৪ দশক। তিনি সাপ্তাহিক বিচিত্রা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক ছিলেন, এছাড়া তিনি আরও কাজ করেছেন সচিত্র সন্ধানী এবং দৈনিক বাংলা পত্রিকায়। ৭৮তম জন্মদিনের ৫ দিনে পরে ২০১৪ সালে কবি শাহাবুদ্দীন মৃত্যুবরণ করেন।[৫]
ফজল শাহাবুদ্দীন সাপ্তাহিক বিচিত্রা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক হিসাবে কাজ করেন দীর্ঘদিন। এরপর পুরানা পল্টনে হারুন এন্টারপ্রাইজ নামের ডায়রি প্রস্তুতকারী প্রতিষ্ঠানের অন্যতম পরিচালক হিসাবে কাজ করতেন। হারুন এন্টারপ্রাইজটির অফিস ছিল কবি, সাহিত্যিক, বুদ্ধিজীবীদের আড্ডা। ১৯৯২ সালে দৈনিক জনকন্ঠ প্রকাশের প্রাক্কালে তিনি এর সাহিত্যপাতা ও অলংকরণে প্রথম দিকে যুক্ত হন। ফজল শাহাবুদ্দীন এখান থেকে একটি লিটল ম্যাগাজিন সম্পাদনা করেছেন। সামরিক শাসক হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর বন্ধু হিসাবে রাষ্ট্রীয় সুবিধা নিয়ে একটি আন্তর্জাতিক কবিতা কেন্দ্র করার চেষ্টা করেন এবং কয়েকবার আন্তর্জাতিক কবিতা সম্মেলন করেন। তিনি বাংলাদেশে বসন্তকালীন কবিতা উৎসবের আয়োজক, যার ধারা বর্তমানেও অব্যাহত। কবি মৃত্যুর পূর্ব পর্যন্ত হারুন এন্টারপ্রাইজে বসতেন এবং নিয়মিত আড্ডা ও সাহিত্যভাবনার মধ্যেই তার সময় কাটাতেন। সাবেক সামরিক শাসক এরশাদ এর সঙ্গে বন্ধুত্বের সুবাদে তিনি তার সহায়তা নিয়ে একটি কবিতাকেন্দ্র নামে একটি পূর্ণাঙ্গ ইনস্টিটিউট গড়ারও স্বপ্ন দেখতেন।
ফজল শাহাবুদ্দীনের উল্লেখযোগ্য গ্রন্থের মধ্যে রয়েছে
|সংগ্রহের-তারিখ=
(সাহায্য)