বিচারপতি এম ফজলুল হক | |
---|---|
তত্ত্বাবধায়ক সরকার | |
কাজের মেয়াদ ১১ জানুয়ারি ২০০৭ – ১২ জানুয়ারি ২০০৭ | |
রাষ্ট্রপতি | ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ |
পূর্বসূরী | ইয়াজউদ্দিন আহম্মেদ |
উত্তরসূরী | ফখরুদ্দীন আহমেদ |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১৯৩৮ |
মৃত্যু | ১৬ নভেম্বর ২০২৩[১] |
রাজনৈতিক দল | স্বাধীন |
বিচারপতি মোহাম্মদ ফজলুল হক (১৯৩৮-১৬ নভেম্বর ২০২৩)[২][১] বাংলাদেশের উচ্চ আদালতের একজন বিচারক ছিলেন। তিনি ২০০৭ সালে নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা ছিলেন।
ফজলুল হক ৩১ অক্টোবর, ২০০৬ রাষ্ট্রপতির অধীনে ও প্রধান উপদেষ্টার নেতৃত্বে দশ জন উপদেষ্টা নিয়ে গঠিত নির্দলীয় তত্ত্বাবধায়ক সরকারের উপদেষ্টা নির্বাচিত হন।[৩] উক্ত পদ দেশের একজন মন্ত্রীর সমতুল্য।
২০০৬ সালের শেষের দিকে বাংলাদেশে রাজনৈতিক সংকট শুরু হয়েছিলো। প্রধান উপদেষ্টার সিদ্ধান্তক্রমে নির্বাচনের ঘোষণা দেওয়া হয়, এমনকি বাংলাদেশের বৃহত্তম রাজনৈতিক দল আওয়ামী লীগ যদি নির্বাচনে না আসে, তবুও নির্বাচন করার কথা বলা হয়। এই সময় ফজলুল হক অন্যান্য উপদেষ্টাদের সাথে আওয়ামী লীগের সাথে বেশ কয়েকবার আলোচনায় বসেন। আলোচনার মাধ্যমে ২২ জানুয়ারি, ২০০৭ সালের নির্বাচনে আওয়ামী লীগের অংশগ্রহণ নিশ্চিত করার ব্যবস্থা করা হয়।[৪] প্রধান উপদেষ্টার সাথে মতানৈক্য হওয়ায় চার জন উপদেষ্টা পদত্যাগ করলেও ফজলুল হক পতত্যাগ করেন নি।
১১ জানুয়ারি, ২০০৭ প্রধান উপদেষ্টা পদত্যাগ করেন। তখন নতুন প্রধান উপদেষ্টা নির্বাচিত হওয়ার পূর্ববর্তী সময়ের পর্যন্ত ফজলুল হককে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের প্রধান উপদেষ্টা করা হয়।[৫][৬][৭] ১২ জানুয়ারি, ২০০৭ ড. ফখরুদ্দীন আহমেদ নতুন প্রধান উপদেষ্টা হিসেবে নিয়োগ পান এবং ফজলুল হক বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে কম সময়ের জন্য হওয়া সরকার প্রধানের পদ থেকে চলে যান।[৮]
২০০৭ ও ২০০৮ সালে তার বিরুদ্ধে দুর্নীতি দমন কমিশন ঘুষ কেলেঙ্কারির তদন্ত করে ও অভিযুক্ত করে যা ২০১০ সাল পর্যন্ত স্থায়ী ছিলো।[৯][১০]