ফতহুল্লাহ শীরাজী | |
---|---|
জন্ম | শিরাজ, সফবীয় সাম্রাজ্য (অধুনা ইরান)[১] |
মৃত্যু | ১৫৮৮–৮৯ খ্রি. (৯৯৭ হিজরি)[২] কাশ্মীর, মোগল সাম্রাজ্য (অধুনা ভারত)[১][২] |
দাম্পত্য সঙ্গী | মুজফফর খান তুরবতীর মেয়ে[১] |
ধর্ম | শিয়া ইসলাম[১] |
সৈয়দ মীর ফতহুল্লাহ শিরাজী[৩] (ফার্সি: سید میر فتح الله شیرازی; মৃত্যু ১৫৮৮–৮৯)[২] ছিলেন একজন পারসিক সুফি বহুবিদ্যাবিশারদ ও উদ্ভাবক যিনি ধর্মতত্ত্ব, সাহিত্য, ব্যাকরণ, দর্শন, চিকিৎসা বিজ্ঞান, গণিত, জ্যোতির্বিদ্যা, জ্যোতিষশাস্ত্র, বলবিজ্ঞানসহ বহু বিষয়ে বিশেষজ্ঞ ছিলেন।[১] শিরাজী মোগল সম্রাট আকবরের একজন ঘনিষ্ঠ আস্থাভাজন ছিলেন এবং তার রাজদরবারে বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন।[১] তাকে ‘আমীনুল মুল্ক’, ‘আসাফ উদ্দৌলা’, ‘রোস্তম সানী’ ইত্যাদি উপাধিতে ভূষিত করা হয়েছিল।[৪]
বঙ্গাব্দের বিকাশ এবং উন্নয়নে আমির ফতুল্লাহ শিরাজীর অনেক অবদান রয়েছে। মোগল সম্রাট আকবরের সময়ে প্রচলিত হিজরী চান্দ্র পঞ্জিকাকে সৌর পঞ্জিকায় রূপান্তরিত করার সিদ্ধান্ত নেয়া হয়। সম্রাট আকবর ইরান থেকে আগত বিশিষ্ট বিজ্ঞানী ও জ্যোতির্বিদ "আমির ফতুল্লাহ শিরাজী"কে[৫] হিজরী চান্দ্র বর্ষপঞ্জীকে সৌর বর্ষপঞ্জীতে রূপান্তরিত করার দায়িত্ব প্রদান করেন। ফতুল্লাহ শিরাজীর সুপারিশে পারস্যে প্রচলিত সৌর বর্ষপঞ্জীর অনুকরণে ৯৯২ হিজরী মোতাবেক ১৫৮৪ খ্রিষ্টাব্দে সম্রাট আকবর হিজরী সৌর বর্ষপঞ্জীর প্রচলন করেন। তবে তিনি ঊনত্রিশ বছর পূর্বে তার সিংহাসন আরোহণের বছর থেকে এ পঞ্জিকা প্রচলনের নির্দেশ দেন। এজন্য ৯৬৩ হিজরী সাল থেকে বঙ্গাব্দ গণনা শুরু হয়। ৯৬৩ হিজরী সালের মুহররম মাস ছিল বাংলা বৈশাখ মাস, এজন্য বৈশাখ মাসকেই বঙ্গাব্দ বা বাংলা বর্ষপঞ্জির প্রথম মাস এবং ১লা বৈশাখকে নববর্ষ ধরা হয়।[৬]