ফরিদুর রেজা সাগর | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | |
পেশা | চলচ্চিত্র পরিচালক, প্রযোজক ও সংলাপ রচয়িতা |
কর্মজীবন | ১৯৬৬ - বর্তমান |
পিতা-মাতা | |
আত্মীয় | কেকা ফেরদৌসী (বোন) |
পুরস্কার | বাংলা একাডেমি পুরস্কার (২০০৫), একুশে পদক (২০১৫) |
ফরিদুর রহমান সাগর (২২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫৫) হলেন একজন বাংলাদেশী লেখক, চলচ্চিত্র পরিচালক ও প্রযোজক। তিনি ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আইয়ের ব্যবস্থাপনা পরিচালক।[১] ২০০৫ সালে শিশুসাহিত্যের বিশেষ অবদানের জন্য তিনি বাংলা একাডেমি পুরস্কার এবং ২০১৫ সালে গণমাধ্যম শাখায় একুশে পদক লাভ করেন।[২]
ফরিদুর রেজা সাগর ১৯৫৫ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি ঢাকায় জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা মো: ফজলুল হক; যিনি একজন বিখ্যাত চলচ্চিত্র পরিচালক ছিলেন। তার মাতা কথাসাহিত্যিক রাবেয়া খাতুন।[৩] সাগর বাল্য বয়সে তার পিতার পরিচালনায় শিশুতোষ চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন। এছাড়া তিনি বাংলাদেশ টেলিভিশনের বিভিন্ন শিশুতোষ অনুষ্ঠানের সাথেও জড়িত ছিলেন। তিনি তেজগাঁও পলিটেকনিক হাই স্কুল থেকে এসএসসি পাশ করেন।
ফরিদুর রেজা সাগর ১৯৬৬ সালে বাল্য বয়সেই একজন অভিনেতা হিসেবে চলচ্চিত্র শিল্পে প্রবেশ করেন। তিনি প্রেসিডেন্ট নামক একটি শিশুতোষ চলচ্চিত্রে প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেন। তিনি সাহিত্য লেখালেখি করেন, তাঁর কিছু উল্লেখযোগ্য প্রকাশনা হল: একটি গল্পের বই, মেঘনা-ও-গল্পো বুড়ো, মেঘনা ও আলাদিনের প্রদীপ, মেঘনা-ও-ইতি, কক্সবাজার কাকাতুয়া বা টেলিভিশন, জিবলার শাঙ্গি। তিনি শিশুদের জন্য পঞ্চাশটিরও বেশি বই লিখেছেন। দু:সাহসিক কাজ, রহস্য, ভ্রমণ, স্মৃতি, আতঙ্ক, মুক্তিযুদ্ধ, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনী ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের ধারায় তিনি শিশুদের জন্য লিখেছেন।
তিনি ইমপ্রেস টেলিফিল্ম ও চ্যানেল আই প্রতিষ্ঠা করেন।
তিনি শিশুদের জন্য অনেক চিত্রনাট্য এবং নাটক লিখেছেন। তিনি ৪২টি পূর্ণদৈর্ঘ্য চলচ্চিত্র প্রযোজনা করেছেন।
তিনি কনা রেজাকে বিয়ে করেন। মেঘনা এবং মোহনা নামে তাঁদের দুই মেয়ে রয়েছে।