ফারুখশিয়ার | |||||
---|---|---|---|---|---|
১০মমুঘল সম্রাট | |||||
রাজত্ব | ১১ই জানুয়ারি, ১৭১৩ – ২৮শে ফেব্রুয়ারি ১৭১৯ | ||||
পূর্বসূরি | জাহানদার শাহ | ||||
উত্তরসূরি | রাফি উল-দারজাত | ||||
জন্ম | ২০শে আগস্ট ১৬৮৫ আওরঙ্গাবাদ, মুঘল সাম্রাজ্য | ||||
মৃত্যু | ২৯শে এপ্রিল ১৭১৯ (৩৩ বছর) দিল্লি, মুঘল সাম্রাজ্য | ||||
সমাধি | |||||
দাম্পত্য সঙ্গী | ৩ জন বিবাহিতা স্ত্রী
| ||||
বংশধর |
| ||||
| |||||
রাজবংশ | তিমুরিদ | ||||
রাজবংশ | তিমুরিদ | ||||
পিতা | আযিম-উশ-শান | ||||
মাতা | সাহিবা নিশওয়ান | ||||
ধর্ম | ইসলাম |
আবু’ল মুজ়ফ়্ফ়র মুঈনউদ্দীন মুহাম্মদ শাহ ফ়ার্রুখ়-সিয়ার আলিম আকবর সনি ওয়ালা শান পাদশাহ-ই-বহর-উ-বর, যিনি শাহিদ-ই-মজ়লুম বা ফররুখসিয়ার নামেও পরিচিত, (২০শে আগস্ট, ১৬৮৫ – ১৯শে আগস্ট, ১৭১৯) জাহানদার শাহকে হত্যা করে ১৭১৩ খ্রিষ্টাব্দ থেকে ১৭১৯ খ্রিষ্টাব্দ পর্যন্ত মুঘল সম্রাট ছিলেন।[১] সুদর্শন হলেও তিনি ছিলেন দূর্বল শাসক, তিনি সহজেই উপদেষ্টাদের দ্বারা প্রভাবিত হয়ে পরতেন। ফররুখসিয়ার চারিত্রিক ভাবে নিজে স্বাধীনভাবে রাজ্য শাসনে অক্ষম ছিলেন। তার রাজত্ব দেখা শোনা করতো সৈয়দ ভাতৃগণ, মুঘল শাসনের ছায়াতলে থেকে যারা রাজ্যের একটি বড় শক্তিতে পরিনত হয়েছিল।[২]
মুহাম্মদ ফররুখসিয়ার ১৬৮৩ সালের ২০ আগস্ট (৯ রমজান ১০৯৪ হিজরি) দাক্ষিণাত্য মালভূমির ঔরঙ্গাবাদ শহরে কাশ্মীরি মা সাহিবা নিসওয়ানের ঘরে জন্মগ্রহণ করেন।[৩] তিনি সম্রাট প্রথম বাহাদুর শাহের দ্বিতীয় পুত্র এবং সম্রাট আওরঙ্গজেবের নাতি আজিম-উশ-শানের দ্বিতীয় পুত্র ছিলেন।
১৬৯৬ খ্রিষ্টাব্দে ফররুখসিয়ার তার পিতার সাথে বাংলায় তাঁর অভিযানে যোগ দেন। আওরঙ্গজেব ১৭০৭ সালে বাংলা থেকে আজিম-উশ-শানকে ফিরিয়ে আনেন এবং ফররুখসিয়ারকে প্রদেশের দায়িত্ব গ্রহণের নির্দেশ দেন। ফররুখসিয়ার তার প্রথম বছরগুলি বাংলার সুবাহের রাজধানী জাহাঙ্গীরনগর (বর্তমান ঢাকা) শাসন করেন।[৪]
মুঘল সম্রাটদের মধ্যে ইনি ছিলেন নবম মুঘল সম্রাট এবং ১৭১৭ সালে একটি ফরমানের মাধ্যমে ব্রিটিশ ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানিকে শুল্ক ছাড়া বাংলায় বাণিজ্য করার অনুমতি দেন। সৈয়দ ভাইরা তার সময়ে ক্ষমতাশালী হয়ে উঠে। কথিত আছে যে, ১৭১২ সালে জাহান্দার শাহ (ফররুখসিয়ারের চাচা) ফররুখসিয়রের পিতা আজিম-উশ-শানকে পরাজিত করে মুঘল সাম্রাজ্যের সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন।[৫] ফররুখশিয়ার পিতার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন এবং হুসেন আলী খান (বাংলার সুবেদার) এবং তার ভাই এবং এলাহাবাদের সুবেদার আবদুল্লাহ খান এর সাথে যোগ দেন। তারা আজিমাবাদ থেকে এলাহাবাদ পৌঁছলে জাহান্দার শাহের সামরিক জেনারেল সৈয়দ আবদুল গাফফর খান গর্দেজী এবং ১২,০০০ সৈন্যের সাথে আবদুল্লাহ খানের সাথে সংঘর্ষ হয় এবং আবদুল্লাহ এলাহাবাদ দুর্গে ফিরে যায়। তবে, তার মৃত্যুর কথা জানতে পেরে গার্দেজির সেনাবাহিনী পালিয়ে যায়। পরাজয়ের পরে জাহানদার শাহ জেনারেল খাজা আহসান খান ও তাঁর ছেলে আযউদ্দিনকে প্রেরণ করেছিলেন। তারা খাজওয়াহে (বর্তমান ফতেপুর জেলা, উত্তর প্রদেশ, ভারত) পৌঁছে তারা জানতে পেরেছিল যে ফররুখসিয়ার হুসেন আলী খান এবং আবদুল্লাহ খানকে নিয়ে ছিলেন। আবদুল্লাহ খান ভ্যানগার্ডের নির্দেশ দেওয়ার সাথে সাথে ফররুখসিয়ার আক্রমণ শুরু করেছিলেন। রাতভর অশ্বারোহীদের লড়াইয়ের পরে আযউদ্দিন ও খাজা আহসান খান পালিয়ে যায় এবং শিবিরটি ফররুখশিয়ারের হাতে পড়ে যায়। ১ জানুয়ারী, ১৭১৩-তে ফররুখসিয়ার ও জাহানদার শাহের বাহিনী বর্তমান উত্তর প্রদেশের আগ্রার ৯ মাইল (১৪ কিমি) পূর্বে সমুগড়ে মিলিত হয়েছিল। জাহানদার শাহকে পরাজিত ও কারাবন্দী করা হয়েছিল এবং পরের দিন ফররুখশিয়ার নিজেকে মুঘল সম্রাট হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি মুঘল রাজধানী দিল্লির দিকে যাত্রা করেছিলেন এবং লাল দুর্গ এবং দুর্গটি দখল করেছিলেন। বাঁশের রডে আরোহণ করা জাহানদার শাহের মাথাটি একটি জল্লাদ দ্বারা একটি হাতির উপরে বহন করা হয়েছিল এবং তার দেহটি অন্য একটি হাতি দ্বারা বহন করেছিল।
ফররুখসিয়ার সৈয়দ ভাইদের সহায়তায় জাহানদার শাহকে পরাজিত করেন এবং ভাইদের মধ্যে একজন আবদুল্লাহ খান উজির (প্রধানমন্ত্রী) পদ চান। তার দাবি প্রত্যাখ্যান করা হয়, কারণ পদটির জন্য গাজীউদ্দিন খানকে প্রতিশ্রুতি দেওয়া হয়েছিল, তবে ফররুখসিয়ার তাকে ওয়াকিল-ই-মুতলাক নামে রিজেন্ট হিসাবে পদ দেওয়ার প্রস্তাব দেন। আবদুল্লাহ খান তা প্রত্যাখ্যান করে বলেন যে তিনি উজিরের পদ তার প্রাপ্য কারণ তিনি জাহানদার শাহের বিরুদ্ধে ফররুখসিয়ারের সেনাবাহিনীর নেতৃত্ব দিয়েছেন। ফররুখসিয়ার শেষ পর্যন্ত তার দাবি মেনে নেন এবং আবদুল্লাহ খান উজি হন।[৬] তার ভাই হুসেন আলী খান মীর বখশী বা কমান্ডার-ইন-চিফ হন।
ইতিহাসবিদ উইলিয়াম আরভিনের মতে, ফররুখসিয়ারের ঘনিষ্ঠ সহযোগী তৃতীয় মীর জুমলা এবং খান দাউরান তার মনে সন্দেহের বীজ বপন করেছিলেন যে তারা তাকে সিংহাসন থেকে ছিনিয়ে নিতে পারে। এই ঘটনাসম্পর্কে জানতে পেরে আরেক সাইয়্যেদ ভাই (হুসেন আলী খান) আবদুল্লাহ খানকে লিখেছিলেন: "যুবরাজের কথাবার্তা এবং তার কর্মের প্রকৃতি থেকে এটি স্পষ্ট ছিল যে তিনি এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যিনি তার সেবার প্রতিদানপর প্রতি কোনও মনোযোগ দেননি, বিশ্বাসের শূন্যতা আছে, লজ্জাহীনভাবে ওয়াদা ভঙ্গকারী"।[৭] হুসেন আলী খান "নতুন রাজা আনার পরিকল্পনা বিবেচনা না করে" তাদের স্বার্থে কাজ করা জন্য বিদ্যমানকে কাজে লাগানোর চিন্তা করে। ফররুখসিয়ার তাদের মোকাবেলা করতে পারেনি, কারণ সৈয়দ ভাইয়েীা সেনাবাহিনীর সবচেয়ে শক্তিশালী অংশের নিয়ন্ত্রণ বজায় রেখেছিল এবং এইভাবে পরবর্তীটি সাম্রাজ্যের কার্যত শাসক হয়ে ওঠে।[৮]
১৭১২ সালে জাহান্দার শাহ (ফররুখসিয়ারের চাচা) ফররুখসিয়রের পিতা আজিম-উশ-শানকে পরাজিত করে মুঘল সাম্রাজ্যের সিংহাসনে আরোহণ করেছিলেন। ফররুখশিয়ার পিতার মৃত্যুর প্রতিশোধ নিতে চেয়েছিলেন এবং হুসেন আলী খান (বাংলার সুবেদার) এবং তার ভাই এবং এলাহাবাদের সুবেদার আবদুল্লাহ খান এর সাথে যোগ দেন। তারা আজিমাবাদ থেকে এলাহাবাদ পৌঁছলে জাহান্দার শাহের সামরিক জেনারেল সৈয়দ আবদুল গাফফর খান গর্দেজী এবং ১২,০০০ সৈন্যের সাথে আবদুল্লাহ খানের সাথে সংঘর্ষ হয় এবং আবদুল্লাহ এলাহাবাদ দুর্গে ফিরে যায়। তবে, মৃত্যুর কথা জানতে পেরে গার্দেজির সেনাবাহিনী পালিয়ে যায়। পরাজয়ের পরে জাহানদার শাহ জেনারেল খাজা আহসান খান ও তাঁর ছেলে আযউদ্দিনকে প্রেরণ করেছিলেন। তারা খাজওয়াহে (বর্তমান ফতেপুর জেলা, উত্তর প্রদেশ, ভারত) পৌঁছে তারা জানতে পেরেছিল যে ফররুখসিয়ার হুসেন আলী খান এবং আবদুল্লাহ খানকে নিয়ে ছিলেন। আবদুল্লাহ খান ভ্যানগার্ডের নির্দেশ দেওয়ার সাথে সাথে ফররুখসিয়ার আক্রমণ শুরু করেছিলেন। রাতভর আর্টিলারি লড়াইয়ের পরে আযউদ্দিন ও খাজা আহসান খান পালিয়ে যায় এবং শিবিরটি ফররুখশিয়ারের হাতে পড়ে যায়। ১ জানুয়ারী, ১৭১৩-তে ফররুখসিয়ার ও জাহানদার শাহের বাহিনী বর্তমান উত্তর প্রদেশের আগ্রার ৯ মাইল (১৪ কিমি) পূর্বে সমুগড়ে মিলিত হয়েছিল। জাহানদার শাহকে পরাজিত ও কারাবন্দী করা হয়েছিল এবং পরের দিন ফররুখশিয়ার নিজেকে মুঘল সম্রাট হিসাবে ঘোষণা করেছিলেন। ১২ ফেব্রুয়ারি তিনি মুঘল রাজধানী দিল্লির দিকে যাত্রা করেছিলেন এবং লাল দুর্গ এবং দুর্গটি দখল করেছিলেন। বাঁশের রডে আরোহণ করা জাহানদার শাহের মাথাটি একটি জল্লাদ দ্বারা একটি হাতির উপরে বহন করা হয়েছিল এবং তার দেহটি অন্য একটি হাতি দ্বারা বহন করেছিল।
১৭১৯ সালের ফেব্রুয়ারিতে ৩৩ বছর বয়সে ক্ষমতায়নের ৬ বছরের মাথায় সায়ীদ ভাতৃদ্বয় এর সাথে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়েন ও যুদ্ধে পরাজিত হয়ে বন্দি হন । সায়ীদ ভাতৃদ্বয় তার সৎ চাচা রাফি-উস-শান এর ১৯ বর্ষীয় কনিষ্ঠ পুত্র রাফি উদ-দারাজাতকে দিল্লির মসনদে বসায়। বন্দিদশায় ফররুখসিয়ারকে অন্ধ করে দেয়া হয়। প্রায় অনাহারে , পিপাসা তেষ্টায় ২ মাস পর মৃত্যু বরণ করেন।
পূর্বসূরী: জাহানদার শাহ |
মুঘল সম্রাট ১৭১৩–১৭১৯ |
উত্তরসূরী: রাফি উল-দারজাত |
এই নিবন্ধটি অসম্পূর্ণ। আপনি চাইলে এটিকে সম্প্রসারিত করে উইকিপিডিয়াকে সাহায্য করতে পারেন। |