ফলিত নীতিশাস্ত্র (applied ethics) হচ্ছে ব্যক্তিগত বা সর্বজনীন সমস্যা নির্দিষ্ট কিছু বিষয় বা সমস্যার ক্ষেত্রে নৈতিক অবস্থান থেকে নেয়া একটি দার্শনিক অবস্থান, যেখানে সেই বিষয় বা সমস্যার ক্ষেত্রে নৈতিক বিচার করতে হয়। তাই এটি আমাদের প্রাত্যহিক জীবনের অনেক ক্ষেত্রে কোনটি নৈতিক তা শনাক্ত করার জন্য দার্শনিক পদ্ধতি ব্যবহার করে। যেমন জীবনীতিশাস্ত্র সম্প্রদায় জীবন বিজ্ঞানে আইনি সমস্যার ক্ষেত্রে সঠিক কার্য কী হবে তা শনাক্ত করে, যেমন ইউথেনেশিয়া (কষ্ট থেকে পরিত্রাণ দিতে জীবন এর পরিসমাপ্তি ঘটানো), স্বল্প স্বাস্থ্য সম্পদের বণ্টন, অথবা গবেষণায় মানব ভ্রূণের ব্যবহার। পরিবেশগত নীতিশাস্ত্র বাস্তুসংস্থানগত বিভিন্ন প্রশ্ন নিয়ে সচেতন থাকে, যেমন দূষণ নির্মূল করার জন্য সরকার ও প্রতিষ্ঠানের দায়। সামাজিক নৈতিকতার প্রশ্নে থাকে "হুইসেলব্লোয়ারদের" ক্ষেত্রে তাদের কর্মীদের আনুগত্যের বিরুদ্ধে সাধারণ জনগণের প্রতি দায়িত্ব কী হবে। এরকমভাবেই, পেশাদারী দর্শনের (professional philosophy) ক্ষেত্রে এটি তুলনামূলকভাবে গুরুত্বপূর্ণ এবং একাডেমিয়ার ভিতর ও বাহির উভয়ক্ষেত্রেই এটি যথেষ্ট মর্যাদাপ্রাপ্ত বিষয়।[১]
ফলিত নীতিশাস্ত্র আদর্শগত নীতিশাস্ত্রের থেকে আলাদা, যেখানে মানুষের কী সঠিক ও ভুল বলে বিশ্বাস করা উচিত, এটা নিয়ে আলোচনা করে; এবং এটা পরানীতিশাস্ত্র থেকে আলাদা যা নৈতিক উক্তিসমূহের প্রকৃতি নিয়ে আলোচনা করে।
ফলিত নীতিশাস্ত্রের একটি বিশেষ প্রকারভেদে (পোরটার, ২০০৬) একে ছয়টি আলাদা ক্ষেত্রে ভাগ করা হয়, যাতে জাতীয় ও আন্তর্জাতিক মাত্রায় ( Dimensions ) প্রতিষ্ঠানিক ও সামাজিক সমস্যাগুলোর মোকাবেলা সহজে করা যায় :