ফাতিমা আল-ফুযায়লিয়া | |
---|---|
উপাধি | শায়েখা |
ব্যক্তিগত তথ্য | |
মৃত্যু | ১৮৩১ খ্রিস্টাব্দ, ১২৪৭ হিজরি |
ধর্ম | ইসলাম |
অঞ্চল | আরব |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি |
প্রধান আগ্রহ | উসুল আল-ফিকহ, ফিকহ, তাফসির |
কাজ | ইসলামী পণ্ডিত |
মুসলিম নেতা | |
যাদের প্রভাবিত করেন |
ফাতিমা বিনতে হামাদ আল-ফুযায়লিয়া, যিনি আল-শাইখা আল-ফুযায়লিয়া (মৃত্যু ১৮৩১) নামেও পরিচিত ছিলেন। তিনি অষ্টাদশ ও ঊনবিংশ শতাব্দীতে হাদিস শাস্ত্রের একজন মুসলিম পণ্ডিত ও বিশেষজ্ঞ ছিলেন।[১][২][৩] তিনি নারী মুহাদ্দিসদের লম্বা ধারার শেষ পণ্ডিতদের একজন হিসেবে বিবেচিত হন।[৪]
ফাতিমা বিনতে হামাদ আল-ফুদায়লিয়া দ্বাদশ ইসলামী শতাব্দীর শেষ হওয়ার আগে জন্মগ্রহণ করেন, এবং শীঘ্রই ক্যালিগ্রাফি এবং বিভিন্ন ইসলামী বিজ্ঞান শিল্পে পারদর্শী হন। হাদিসের প্রতি তার বিশেষ আগ্রহ ছিল, এই বিষয়ে একটি ব্যাপক পান্ডিত্য অর্জন করেন। তিনি এ বিষয়ে ডিপ্লোমা লাভ করেন, এবং নিজের অধিকারে একজন গুরুত্বপূর্ণ মুহাদ্দিস হিসেবে খ্যাতি অর্জন করেন।
তিনি উসুল, ফিকহ ও তাফসীরের একজন বিশেষজ্ঞ ছিলেন।[৩] মক্কায় তার বক্তৃতায় অনেক বিশিষ্ট মুহাদ্দিস উপস্থিত ছিলেন, যারা তার কাছ থেকে সার্টিফিকেট নিয়েছিলেন। এদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল উমর আল-হানাফি ও মুহাম্মদ সালেহ।[২] যে সব পণ্ডিত তার সাথে অধ্যয়ন করেছেন তারা তার ধার্মিকতা, ন্যায়পরায়ণতা এবং যুহদ চর্চার জন্য তার প্রশংসা করেছেন। তিনি সুন্দর ক্যালিগ্রাফিতে বই লেখার জন্য অত্যন্ত সম্মানিত ছিলেন।[৩]
জীবনের শেষের দিকে তিনি মক্কায় বসতি স্থাপন করেন যেখানে তিনি একটি সমৃদ্ধ পাবলিক লাইব্রেরি প্রতিষ্ঠা করেন। তিনি ১৮৩১ সালে (হিজরী ১২৪৭) মৃত্যুবরণ করেন।[২]