ফাতিমা মারুয়ান, আরোও ফাতেমা মারুয়েন, (জন্ম ১৯৫২) হচ্ছেন একজন একটি মরোক্কান চিকিৎসক, ব্যবসায়িক নির্বাহী এবং রাজনীতিবিদ। ২০০২ থেকে ২০০৫ পর্যন্ত, তিনি কাসাব্লাংকার ইববে রোচড বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালের এন্ডোক্রিনলজি ও বিপাকীয় রোগের প্রধান চিকিৎসক ছিলেন।[১] আরো সম্প্রতি, প্রধানমন্ত্রী আব্দেলিল্লাহ বেনকিরেন-এর অধীনে অক্টোবর ২০১৩ থেকে এপ্রিল ২০১৭ পর্যন্ত তিনি ন্যাশনাল র্যালি অফ ইন্ডিপেনডেন্ট-এর সদস্য হিসেবে কারুশিল্প ও সামাজিক অর্থনীতি বিষয়ক মন্ত্রী নিযুক্ত হন।[২]
ফাতিমা ১৯৫২ সালে কাসাব্ল্যাংকা এর পূর্বে অবস্থিত বেন্সলিমানে-এ জন্মগ্রহণ করেন। ফাতিমা মারুয়ান লিওন বিশ্ববিদ্যালয়ে মেডিসিনে অধ্যয়ন করেন। তিনি কাসাব্লাংকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিসিন ও ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক এবং গবেষক হন। তিনি এন্ডোক্রিনিলজি এবং পুষ্টি ঘাটতি জনিত রোগের বিশেষজ্ঞ, তিনি কাসাব্লাংকা ইবনে রোচড হাসপাতালের এন্ডোক্রিনিলজি বিভাগ, ডায়াবেটোলজি এবং পুষ্টি বিভাগের নেতৃত্ব দেন। মারুয়ান মরক্কোর ডায়াবেটিস নিমূর্ল কমিশনের সদস্য।[৩] তিনি মরক্কো সোসাইটি অফ এন্ডোক্রিনিলজি, ডায়াবেটিস এবং পুষ্টি -এর প্রধান হন।[৪] ফাতিমা মারুয়ান বেশ কয়েকটি বৈজ্ঞানিক প্রকাশনায় অবদান রেখেছেন।[৫]
রাজনৈতিক ক্ষেত্রে, ন্যাশনাল র্যালি অফ ইন্ডিপেনডেন্ট এর সদস্য হিসাবে, তিনি স্বাস্থ্য ও শিক্ষা পরিকল্পনা উন্নয়নে অংশ নেন। ২০১৩ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত তিনি কারুশিল্প ও সামাজিক অর্থনীতি মন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।[৪]
মারুয়ান এছাড়াও কাসাব্লাংকা শিকাগো সিস্টার সিটি এসোসিয়েশনের বোর্ড সদস্য। তিনি ত্রিভাষিক, আরবি, ফরাসি এবং ইংরেজিতে কথা বলেন।[৬] সান্তে এস.এ.এস এর গন্তব্যস্থলের বৈজ্ঞানিক বোর্ডের সদস্য, তিনি কাসাব্লাংকার ক্যালিফোর্নিয়া কার্ডিওলজি ক্লিনিকের জন্যও কাজ করেছেন।[১]
ফাতেমা মারুয়ান বিবাহিত এবং তার দুই সন্তান রয়েছে।[৩]