মোছা: ফাতেমা আকবরী فاطمه اکبری | |
---|---|
জন্ম | ফাতেমা ১৯৭৪ |
জাতীয়তা | আফগানিস্তান |
মাতৃশিক্ষায়তন | আমেরিকান বিশ্ববিদ্যালয়, আফগানিস্তান[২] |
পুরস্কার | ১০,০০০ নারী উদ্যোক্তা কৃতিত্ব পুরস্কার |
ফাতেমা আকবরী (ফার্সি: فاطمه اکبری)[৩] একজন আফগান উদ্যোক্তা এবং নারী আইনজীবী যিনি গুলিস্তান সাদাকাত কোম্পানি এবং বেসরকারী সংস্থা মহিলা বিষয়ক কাউন্সিলের প্রতিষ্ঠাতা । ২০১১ সালে তিনি ১০,০০০ নারী উদ্যোক্তা পুরস্কার অর্জন করেন। [৩][৪]
১৯৯৯ সালে তার স্বামীর মৃত্যুর পর তার সন্তানকে লালনপালন করার অর্থ যোগান দিতে ফাতেমা আকবরিকে সুতোরের কাজ করতে হয়েছিল,[৫] মূলত তিনি ইরানের বিল্ডিং সাইটগুলিতে কাজ করতেন। সেখানে তালিবান আফগানিস্তানের নিয়ন্ত্রণ গ্রহণের সময় তার পরিবার পালিয়ে যায়। [৩] ২০০৩ সালে তিনি নিজের দেশে ফেরেন এবং কাবুলের গুলিস্তান সাদাকাত কোম্পানী প্রতিষ্ঠা করেন। সেখানে আসবাবপত্র নির্মাণের কাজ শুরু করেন। [৬] তিনি আফগানিস্তানে সংঘর্ষের সময় নিহত বা অক্ষম মানুষের স্ত্রীদের আয় করার উপায় হিসাবে একটি কর্মশালার ভিত্তি প্রদান করেছিলেন। [৭] ২০০৯ সালে তিনি আমেরিকান ইউনিভার্সিটি অফ আফগানিস্তানে গোল্ডম্যান স্যাস- স্পন্সর করা ১০,০০০ নারী কর্মসূচীতে নামকরণ করেন [৩] যার লক্ষ্যে ছিল ব্যবসায় ও ব্যবস্থাপনায় উন্নয়নশীল দেশগুলির নারীদের প্রশিক্ষণ দেওয়া। [৮]
তার অপারেশন ও নারী সাক্ষরতার ক্লাস সম্প্রসারণে, স্থানীয় নেতাদের সাথে আলোচনার মাধ্যমে তালিবান- নিয়ন্ত্রিত এলাকায় কাজ করতে সক্ষম হয়েছেন।
২০০৪ সালে, ফাতেমা আকবরী আফগানিস্তানের এনজিও নারী বিষয়ক কাউন্সিল প্রতিষ্ঠা করেন, যাতে মানবাধিকার সম্পর্কিত উভয় লিঙ্গ শিক্ষার পাশাপাশি হস্তশিল্পে মহিলাদের প্রশিক্ষণ দেওয়া যায়। [৯] এনজিও এবং তার নিজের ব্যবসায়ের মাধ্যমে, ২০১১ সালের তিনি আফগানিস্তানে ৫৬১০ জনকে প্রশিক্ষণ দিয়েছিলেন। [৯]
১২ এপ্রিল ২০১১ সালে গ্লোবাল লিডারশিপ পুরস্কারে ১০,০০০ নারী উদ্যোক্তা অর্জনের সম্মাননা দিয়ে আকবরীকে সম্মানিত করা হয়। উপস্থাপনায়, ভটিট ভয়েসেস তার প্রশংসা করেছিল
"অন্য আফগান নারীদের ক্ষমতায়ন করার জন্য - তার তৃণশয্যা ব্যবসায় দ্বারা সরবরাহিত কর্মসংস্থান এবং তার বেসরকারি সংস্থা (এনজিও) দ্বারা তালিবান-নিয়ন্ত্রিত এলাকায় নারীকে শিক্ষিত করছে ফলে সাক্ষরতা ও দক্ষতা বাড়াচ্ছে।" [৩]
৩০-৩১ মার্চ ২০১১-এর মধ্যে, তিনি ডালাসে দুই দিনের সম্মেলনের আয়োজনে প্যানেলে সদস্য ছিলেন । মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক রাষ্ট্রপতি জর্জ ডব্লিউ বুশ এবং আফগান প্রেসিডেন্ট হামিদ কারজাই আহ্বান করেন- আফগানিস্তানের ভবিষ্যত নির্মাণে: নারী স্বাধীনতা প্রচার ও তাদের অর্থনৈতিক সুযোগকে অগ্রসর করছে। [১০]