ফারজাদ ফারজিন | |
---|---|
![]() | |
জন্ম | ফারজাদ ফারজিন ২৪ জুন ১৯৮১ তেহরান, ইরান |
পেশা | সঙ্গীতজ্ঞ, কণ্ঠশিল্পী, গীতিকার, সুরকার |
উচ্চতা | ১.৮৭ মিটার |
সঙ্গীত কর্মজীবন | |
ধরন | |
বাদ্যযন্ত্র |
|
কার্যকাল | ২০০০–বর্তমান |
লেবেল | চেহরিয়ে খানদান, ইরানগাম, নাভয়ে রামিশে |
ওয়েবসাইট | www |
ফারজাদ ফারজিন (ফার্সি: فرزاد فرزین) (জন্ম ২৪ জুন ১৯৮১; তেহরান, ইরান[১]) হলেন একজন ইরানি গায়ক, গীতিকার, প্রস্তুতকারক এবং অভিনেতা।[২]
ফারজাদ ২০০১ সালে প্রতিষ্ঠিত করুজ গ্রুপের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের একজন ছিলেন। তিনি নিজের প্রথম অ্যালবাম প্রকাশের জন্য করুজ গ্রুপ থেকে বিদায় নেন। দলে ফারজাদের জায়গায় শেরভিন সোহরাবিয়ান স্থলাভিষিক্ত হোন।[৩][৪] ব্যক্তিগত কারণে তিনি করুজ ত্যাগ করেন,[৫][অনির্ভরযোগ্য উৎস?] তবে করুজ গ্রুপে করা তার সব গানের সত্ত্ব নিজের নামে রেখে দেন।[৬] [৭]
গানগুলোর শর্তাদি, নাম ও রেকর্ড লেবেল সংক্রান্ত একাধিক সংশোধনের পর অবশেষে তিনি তার প্রথম (বৈধ) অ্যালবাম শারারেহ ২০০৫ সালে নাবায়ে রামিশের অধীনে প্রকাশ করতে সক্ষম হোন।[৬][৮] [৯] তার দ্বিতীয় (বৈধ) অ্যালবাম শক দিনের আলোর মুখ দেখতে অনেক সময় নেয়। প্রকৃতপক্ষে এর প্রকাশের সাল ২০০৬ নির্দিষ্ট করা হলেও গানগুলো ইন্টারনেটে ফাঁস হয়ে পড়ায় স্থগিত করা হয়।[১০] ফলস্বরূপ ইরানের ভেতরে বৈধভাবে অ্যালবাম প্রকাশ ও গান গাওয়ার জন্য তাকে কঠিন সময় পার করতে হয়। তবে এরমধ্যে ২০০৭ সালে তিনি মোহসেন ইয়েগানেহের সাথে বেশ কিছু নেদারল্যান্ডস ও জার্মানিতে কনসার্টে গান পরিবেশন করেন।[১১][১২][১৩] শক অ্যালবামটি ২০০৮ সালে প্রকাশিত হয়।
পরবর্তী অ্যালবাম প্রকাশের দিন দোকানে একই সমস্যার পুনরাবৃত্তি হওয়া এড়াতে ফারজাদ ব্লগ ও পাইরেসি ওয়েবসাইটগুলোকে তার পরবর্তী অ্যালবাম ফাঁস না করার জন্য বলেছিলেন।[১৪] ফারজাদ খুব ভয় পেয়েছিলেন এই ভেবে যে হয়ত তার নতুন শানস অ্যালবামের গানগুলো আবার ভুল শিরোনামের কভারে ফাঁস হয়ে যেতে পারে।[১৫] তিনি এতো চিন্তিত ছিলেন যে তিনি সারারাত ঘুমাতে পারেননি।[১৬] যে দেশে বৈধ সঙ্গীত টেলিভিশন চ্যানেলের অস্তিত্ব নেই, সেদেশের সিনেমা হল ও সিডি/ডিভিডি যোগে এই অ্যালবামের প্রকাশের খবর প্রচার করার ব্যাপারটা তখন নতুন বলা চলে।[১৭]
২০১০ সালের আগস্টের শেষের দিকে তার অ্যালবাম শানস এর দ্বিতীয় গান চিকেহ চিকেহ দিয়ে ইউরোপীয় চার্টে আত্মপ্রকাশ করেন এবং নিজের নতুন অ্যালবাম দিয়ে চার্টের সপ্তাহের জন্য স্থান ধরে রাখতে পেরেছিলেন।[১৮] এটি ইরানি অনলাইন গণমাধ্যমে অনেক বেশি মনোযোগ আকর্ষণ করতে সক্ষম হয়।[১৯][২০]
ফারজাদ ফারজিন গায়কের পাশাপাশি একজন অভিনেতাও। তার প্রথম অভিনয় ছিল পেরসারানে আজোরি চলচ্চিত্রে একজন গায়ক চরিত্রে যা মাজিদ ঘারিযাদেহ পরিচালনা করে।[২১] এর বহু বছর আগে তিনি অনেক শর্টফিল্মে অভিনয় করেছেন, এছাড়া তিনি আরসালান আমিরহোসেইনি পরিচালিত দনিয়ায়ে মেহবুব টেলিফিল্মে অভিনয় করেন।[৫][অনির্ভরযোগ্য উৎস?] ফারজাদ ফারজিন সম্প্রতি একটি চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন যা একজন গায়কের কাহিনী নিয়ে যা বড় স্বপ্ন হচ্ছে পারস্য উপসাগরে নৌকার উপর দাঁড়িয়ে গান গাওয়া।[২২] এছাড়া তিনি বিভিন্ন মিউজিক ভিডিওতে অভিনয় করেছেন। তিনি সাগ হয়ে পোশালি ও অশেগানেহ ধারাবাহিকে অভিনয় করেছেন। এছাড়াও তিনি মানকান ধারাবাহিকে অভিনয়শিল্পীদের একজন।
ফারজাদ সরকারের অনুমতি নিয়ে নিম্নোক্ত অ্যালবামগুলো প্রকাশ করেন।
নিচের অ্যালবামগুলো আনুষ্ঠানিক প্রকাশের জন্য সরকারি অনুমতিপত্র পাওয়ার পূর্বেই ইন্টারনেটে ছড়িয়ে যায়। ফলস্বরূপ, ফারজাদ ফারজিন এগুলোর জন্য অনুমতিপত্র পাননি এবং এমনকি নির্দিষ্ট সময়ের জন্য কোন গান প্রকাশে তার উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপ করা হয়।
ফারজাদ আনুষ্ঠানিকভাবে "তবেসতুনেহ" নামে একটি রিমিক্স অ্যালবাম প্রকাশ করেন।