ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | মোহাম্মদ ফারভিজ মাহারুফ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | কলম্বো, শ্রীলঙ্কা | ৭ সেপ্টেম্বর ১৯৮৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ফারা,[১] দ্য রুফ[২] | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ৩ ইঞ্চি (১.৯১ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৯৮) | ৬ মে ২০০৪ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ৭ জুন ২০১১ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১২১) | ২৫ এপ্রিল ২০০৪ বনাম জিম্বাবুয়ে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৮ মার্চ ২০১২ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৩/০৪-২০০৬/০৭ | ব্লুমফিল্ড ক্রিকেট ও অ্যাথলেটিক ক্লাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭/০৮-বর্তমান | নন্দেস্ক্রিপ্টস ক্রিকেট ক্লাব | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭/০৮-বর্তমান | ওয়েয়াম্বা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৭/০৮-২০০৯/১০ | দিল্লি ডেয়ারডেভিলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১১ | ল্যাঙ্কাশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০১৩ | বরিশাল বার্নার্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ১৩ মার্চ ২০১২ |
মোহাম্মদ ফারভিজ মাহারুফ (তামিল: பர்வீஸ் மஹூஹ்ஃப்; জন্ম: ৭ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৪) কলম্বোয় জন্মগ্রহণকারী শ্রীলঙ্কার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য তিনি। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডারের দায়িত্ব পালন করছেন। ঘরোয়া ক্রিকেটে ব্লুমফিল্ড, নন্দেস্ক্রিপ্টস, ওয়েয়াম্বা, দিল্লি ডেয়ারডেভিলস, ল্যাঙ্কাশায়ার ও বরিশাল বার্নার্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন ফারভিজ মাহারুফ।
৮ বছর বয়স থেকে ক্রিকেট খেলতে শুরু করেন। পাশাপাশি ফুটবল খেলায়ও অংশ নিতেন তিনি। ২০০৪ সালের অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট বিশ্বকাপে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেট দলের পক্ষে অধিনায়কত্ব করেন। ওয়েসলি কলেজে অধ্যয়ন করেন তিনি। ঐ সময়ে উইকেট-কিপার কাম ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলেন। অনূর্ধ্ব-১৩ বছরের ক্রিকেট থেকে নিয়মিতভাবে বোলিং করতে শুরু করেন। এক খেলায় দলের পাঁচজন খেলোয়াড় সর্দিতে আক্রান্ত হলে মাহারুফকে বোলিংয়ে আমন্ত্রণ জানানো হয়। খেলায় তিনি হ্যাট্রিকসহ ছয় উইকেট পান।[৩] এরফলে ফাস্ট বোলিংয়ের দিকে ঝুঁকে পড়েন তিনি। বিদ্যালয়ে থাকাকালীন নিজস্ব সেরা ২৪৩ ও সেরা বোলিং ৮/২০ লাভ করেন।
২০০৪ সালে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে তার টেস্ট অভিষেক ঘটে।[৪] এপ্রিল-মে মাসে জিম্বাবুয়ে সফরে ৫ ওডিআই ও ২ টেস্ট সিরিজে খেলার জন্য জিম্বাবুয়ে সফরে দলের সদস্য হন। সিরিজের তৃতীয় ওডিআইয়ে মাহারুফসহ দুইজন খেলোয়াড়ের ওডিআই অভিষেক হয়। ঐ খেলায় তিনজন নিয়মিত খেলোয়াড় বিশ্রামে ছিলেন। খেলায় তিনি তিন উইকেট পান ও জিম্বাবুয়ে দল ওডিআইয়ের ইতিহাসে নিজেদের সর্বনিম্ন দলীয় সংগ্রহ ৩৫ করে রেকর্ড গড়ে।[৫] পরবর্তী দুই খেলায় তিনি আরও দুই উইকেট পান। এরফলে ১৬.৬০ গড়ে ৫ উইকেট নেন তিনি।[৬] একই সফরে মাহারুফের টেস্ট অভিষেক ঘটে।
এরপর থেকেই নিয়মিতভাবে একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নিচ্ছেন। জুলাই-আগস্ট, ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কা, ভারত ও ওয়েস্ট ইন্ডিজকে নিয়ে তিন-জাতির ইন্ডিয়ান অয়েল কাপ আয়োজন করে। কিন্তু প্রতিযোগিতা শুরুর পূর্বে স্বাগতিক দলের সর্বাপেক্ষা বয়োজ্যেষ্ঠ সিম বোলার চামিন্দা ভাস আহত হলে মাহারুফ দিলহারা লোকুহেত্তিগে’র সাথে বোলিং উদ্বোধনে নেতৃত্ব দেন।[৭] ওডিআইয়ের ইতিহাসে সর্বাপেক্ষা মিতব্যয়ী বোলিং পরিসংখ্যানের নজির গড়েন। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে তিনি নির্ধারিত ১০ ওভার বোলিং করে মাত্র ৯ রান দেন।[৮] এরফলে তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার পান।
২০১০ সালের এশিয়া কাপের ৬ষ্ঠ খেলায় তিনি স্মরণীয় সাফল্য পান। ২২ জুন, ২০১০ তারিখে ডাম্বুলার রাঙ্গিরি ডাম্বুলা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত খেলায় ভারতের বিপক্ষে হ্যাট্রিক করেন তিনি। রবীন্দ্র জাদেজাকে এলবিডব্লিউ, প্রবীন কুমারকে বোল্ড ও জহির খানকে কুমার সাঙ্গাকারা’র কটে পরিণত করে এ কৃতিত্ব লাভ করেন তিনি।[৯]