ফারহিও ফারাহ ইব্রাহিম العبارة فرح إبراهيم | |
---|---|
জন্ম | ১৯৮২/১৯৮৩ |
পেশা | নারী অধিকার কর্মী, উদ্যোক্তা |
ফারহিও ফারাহ ইব্রাহিম (সোমালি: Farxiiyo Faarax Ibraahiim, আরবি: العبارة فرح إبراهيم) হলেন সোমালিয়ার একজন নারী অধিকার কর্মী ও উদ্যোক্তা। নারী অধিকার ও নারী প্রজনন স্বাস্থ্য নিয়ে কাজ করে চলেছেন তিনি।
ফারহিও ফারাহ ইব্রাহিম জন্মেছিলেন সোমালিয়ার এক মুসলিম পরিবারে, ১৯৮২ ও ১৯৮৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে।[১] নব্বইয়ের দশকে সোমালিয়ায় গৃহযুদ্ধ চলাকালে তার দাদাকে হত্যা করা হয়েছিলেন, তার মা হয়েছিলেন নির্যাতিতা। অতঃপর, ১৯৯২ সালে তিনি ও তার পরিবার কেনিয়ায় চলে যায়।[২]
অষ্টম শ্রেণীতে পড়াকালীন সময়ে তাকে স্কুল ছাড়তে হয়েছিল। তার সাথে তার থেকে বয়সে অনেক বড় এক ব্যক্তির বিয়ে ঠিক হয়েছিল। তিনি এই অসম বিয়ে থেকে বাঁচতে পরিবার থেকে বিচ্ছিন্ন হন।[২]
২০০২ সালে কেনিয়ার জাতীয় গির্জা পরিষদের প্রজনন স্বাস্থ্যবিষয়ক প্ররোচক হিসেবে নিযুক্ত হন। তিনি এরপর এইচআইভি/এইডস পরীক্ষাবিষয়ক কর্মকাণ্ড পরিচালনা করতে থাকেন। এছাড়াও, তিনি কাজ করেছেন পরিবার পরিকল্পনা নিয়ে, কাজ করেছেন নারী খৎনার বিরুদ্ধে। তার কর্মকাণ্ড তার পরিবার ও তার রক্ষণশীল সমাজব্যবস্থাকে চিন্তিত করেছিল। এসবের দরুন তাকে কেনিয়ার জাতীয় গির্জা কাউন্সিলের চাকরিটা ছাড়তে হয়েছিল।[২]
২০০৮ সালে তিনি উদ্যোক্তা হিসেবে যাত্রা শুরু করেন।[২] এছাড়াও, তিনি নারী ও কিশোরীদের অধিকার নিয়ে কাজ করে চলেছেন।[৩]
তার কর্মকাণ্ডের স্বীকৃতিস্বরূপ তাকে ২০০৮ সালে আন্তর্জাতিক সাহসী নারী পুরস্কার প্রদান করে মার্কিন পররাষ্ট্র দফতর।[৩]