ফাসলে কারগাদান | |
---|---|
পরিচালক | বাহমান গবাদি |
প্রযোজক | বাহমান গবাদি |
রচয়িতা | বাহমান গবাদি |
শ্রেষ্ঠাংশে | বেহরুজ ভসউহি মনিকা বেলুচ্চি ইলিমাজ এরদোয়ান ক্যানার সিন্দ্রৌক বেরেন সাত বেলসিম বিলগিন আলি পোর্তাস |
সুরকার | কেহান কালহোর |
চিত্রগ্রাহক | তউরাজ আসলানী |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ৮৮ মিনিট |
দেশ | ইরান[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তুর্কী[১][২] |
ভাষা | পারসি তুর্কী |
ফাসলে কারগাদান (ফার্সি: فصل کرگدن) ২০১২ সালের ইরানি চলচ্চিত্র। এটির পরিচালক ছিলেন বাহমান গবাদি। ইরানি বিপ্লবের সময়, রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের ভেতর গড়ে ওঠা একটি প্রেম ও সামাজিক যন্ত্রনার কাহিনী তুলে ধরেছে এই ছবি। কুর্দ-ইরানি কবি সাদেঘ কামানগার-এর জীবন অবলম্বনে এই চলচ্চিত্রটি নির্মিত।[৩]
ইরানে বিপ্লবের তিরিশ বছর পর জেলখানা থেকে মুক্তি পায় কবি সোহেল। ইসলামি প্রজাতান্ত্রিক বিপ্লবী সরকার তাকে রাজনৈতিক কবিতা লেখার জন্যে গ্রেপ্তার করেছিল। তার স্ত্রী মিনাকেও জেলে পাঠানো হয়। জেলের মধ্যে মীনাকে ধর্ষণ করে তাদের বাড়ির পুরনো ড্রাইভার আকবর। আসলে বিপ্লবের আগে শাহ'র আমলে মিনার বাবা রাজতান্ত্রিক সেনাবাহিনীর কর্নেল ছিলেন। মেয়ের গায়ে আকবর অতীতে হাত দেওয়ার চেষ্টা করলে কর্নেল আকবরকে প্রহার করেন। তারই শোধ তুলতে ক্ষমতা বদলের পর আকবর বিপ্লবী দলে যোগ যায়। কর্নেলকে হত্যা করে তার মেয়ে জামাইকে জেলে পাঠানোর ব্যবস্থা করে। জেলের মধ্যেই সোহেলের সঙ্গে দেখা করিয়ে দেওয়ার অজুহাতে আকবর মীনাকে ধর্ষণ করে। সেই ধর্ষণের ফলে দুটি যমজ বাচ্চা হয় মীনার। জেলখানায় মীনাকে জানানো হয় সোহেল মারা গেছে যদিও তার কবর দেখতে পায়না মীনা। আকবরের কৃপায় ছাড়া পায় ও দুই সন্তানকে নিয়ে আকবরের সাথে থাকতে শুরু করে। সোহেল এর অনেক পরে জেল থেকে ছাড়া পেয়ে ভবঘুরে জীবন যাপন করতে থাকে। ইস্তাম্বুলে এক পতিতার সাথে সহবাস করার পর সে দেখতে পায় মেয়েটির পিঠে তারই লেখা কবিতা উল্কিতে আঁকা রয়েছে। বজ্রাহত সোহেল জানতে চায় এই কবিতা তার গায়ে কীভাবে এল। পতিতা মেয়েটি জানায় সে শুনেছে এটি তারই পিতার লেখা কবিতা যা ছোটবেলায় তার মা স্মৃতিচিহ্ন হিসেবে মেয়ের গায়ে লিখে দিয়েছিলেন। ছবির শেষ দৃশ্যে পুলিশের ক্রেন খালের ভিতর জলমগ্ন একটা গাড়ি উদ্ধার করে আনে, অনুমান করা যায় ওর ভেতরেই ছিল সোহেল আর আকবরের লাশ। পরের দৃশ্যে মীনা, তার মেয়েদেরকে নিয়ে একটা স্টিমারে ইউরোপের দিকে চলে যেতে থাকে।[৩]