| |||||||
প্রতিষ্ঠাকাল | 1 November 1923 (as Aero O/Y)[১] | ||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
হাব |
| ||||||
নিয়মিত যাত্রী প্রোগ্রাম | Finnair Plus | ||||||
জোট | oneworld | ||||||
অধীনস্ত কোম্পানি |
| ||||||
বিমানবহরের আকার | 72 (incl. Nordic Regional Airlines)[২] | ||||||
গন্তব্য | 108 | ||||||
প্রধান কোম্পানি | Finnair Group[৩] | ||||||
প্রধান কার্যালয় | Helsinki Airport Vantaa, Finland[৪] | ||||||
গুরুত্বপূর্ণ ব্যক্তি | Pekka Vauramo, President & CEO[৫] | ||||||
আয় | EUR 2.3 billion (2015)[৬] | ||||||
পরিচালন আয় | EUR 23.7 million (2015)[৬] | ||||||
কর্মচারী | 4,817 (January 2016)[৭] | ||||||
ওয়েবসাইট | finnair.com |
ফিন এয়ার হচ্ছে ফিনল্যান্ড এর জাতীয় এবং সর্ববৃহৎ বিমানসংস্থা।[৮] এর প্রধান কার্যালয় ভান্টা এবং এর বিমান চলাচলের প্রধান কেন্দ্রস্থল হচ্ছে হেলসিঙ্কি ভান্টা এয়ারপোর্ট। ফিন এয়ার এবং এর সাবসিডিয়ারিগুলো দেশটির অভ্যন্তরীন এবং আন্তর্জাতিক উভয় ধরনের ফ্লাইট নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। বিমান সংস্থাটির প্রধান শেয়ার হোল্ডার হচ্ছে ফিনল্যান্ড সরকার।[৯] ফিনল্যান্ড সরকার সংস্থাটির ৫৫.৮% শেয়ারের অংশীদার। ফিন এয়ার ওয়ানওয়ার্ল্ড এয়ারলাইন এলায়েন্স এর একজন সদস্য। ২০১৫ সালে এয়ারলাইনটি ইউরোপ এর ৬০ টি গন্তব্যস্থলে, এশিয়ার ১৩ টি গন্তব্যস্থলে এবং উত্তর আমেরিকার ৪ টি গন্তব্যস্থলে ১০ মিলিয়ন এর অধিক যাত্রী পরিবহন করে। ২০১৬ সালের জানুয়ারী মাস অনুসারে বিমান সংস্থাটির কর্মী সংখ্যা ছিল ৪,৮১৭ জন।[৭]
১৯২৩ সালে কনসাল ব্রুনো লিউকান্ডার এরো ও/ওয়াই নামে ফিন এয়ার প্রতিষ্ঠা করেন। কোম্পানীটির এওয়াই কোডটি এ হতেই এসেছে। এওয়াই এর পূর্ণ রূপ হচ্ছে এরো ইহটিয়ো। ফিনিশ ভাষায় ইহটিয়ো অর্থ হচ্ছে কোম্পানী। কনসাল ব্রুনো লিউকান্ডার পূর্বে ফিনল্যান্ডের এস্তোনীয় এয়ারলাইন এরোনট অপারেশনটি পরিচালনা করেন। ১৯২৩ সালের মাঝামাঝি সময়ে লিউকান্ডার জাংকারস কোম্পানীর সাথে নতুন এয়ারলাইনের ৫০% মালিকানার বদৌলতে এয়ারক্রাফট সরবরাহ ও টেকনিক্যাল সাপোর্ট পাওয়ার উপর ভিত্তি করে একটি চুক্তি করেন।
২০১৩ সালে ফিন এয়ার এর নতুন দপ্তর চালু করে, যার নাম ছিল হাউস অব ট্রাভেল এন্ড ট্রান্সপোর্ট(অথবা এইচওটিটি)। এর পূর্বের প্রধান কার্যালয় ছিল হেলসিঙ্কি এয়ারপোর্ট এর গ্রাউন্ড ফ্লোরে। নতুন প্রধান অফিসের নির্মাণ কাজ ২০১১ সালে শুরু হয় এবং ২০১৩ সালের জুন মাসে যথাসময়ে শেষ হয়। পূর্বের প্রধান কার্যালয়টি ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত ব্যবহৃত হয় এবং পরবর্তীতে হেলসিঙ্কি সিটি সেন্টারে এর নতুন কার্যালয় প্রতিষ্ঠা করা হয়।[১০] নতুন কার্যালয়টি ৭০,০০০ বর্গ মিটার(৭,৫০,০০০ বর্গ ফুট) স্থান জুড়ে রয়েছে। এর মধ্যে ২২,৪০০ বর্গ মিটার(২,৪১,০০০ বর্গ ফুট) স্থান শুধুমাত্র অফিস কার্যক্রমের জন্য বরাদ্দ রয়েছে।[১১]
এয়ারলাইনটি এর প্রধান কেন্দ্রস্থল হেলসিঙ্কি হতে এশিয়া, ইউরোপ এবং উত্তর আমেরিকার ৩৭ টি দেশের ১১০টি গন্তব্যস্থলে এর বিমানসমূহ পরিচালনা করে থাকে। ২০১৫ সালের ২৫ সেপ্টেম্বর ফিন এয়ার ঘোষণা করে যে ক্রমবর্ধমান চাহিদার প্রতি লক্ষ্য রেখে এয়ারলাইনটি আমেরিকার শিকাগোতে এর ফ্লাইট সংখ্যা বাড়াবে। ২০১৬ সালের গ্রীষ্মে ফিন এয়ার ইউরোপে নতুন ৪টি শিডিউলকৃত রুট চালু করে। ২০১৬ সালের শেষের দিকে এয়ারলাইন্সটি ২০১৭ সালের গ্রীষ্মে নতুন কিছু গন্তব্যস্থলে তাদের বিমান পরিচালনার পরিকল্পনার কথা ব্যক্ত করে।
নিন্মের এয়ারলাইন গুলোর সাথে ফিন এয়ার এয়ারলাইন্সের কোড শেয়ার চুক্তি বিদ্যমান রয়েছে।[১২]
২০১৫ সালের ২২ জুলাই অনুযায়ী ফিন এয়ার এর বিমানবহরে নিন্মের বিমানগুলো রয়েছে।[১৩] এয়ারবাস এ৩১৯-১০০, এয়ারবাস এ৩২০-২০০, এয়ারবাস এ৩২১-২০০, এয়ারবাস এ৩৩০-৩০০, এয়ারবাস এ৩৪০-৩০০, এয়ারবাস এ৩৫০-৯০০, এটিআর ৭২-৫০০, এমব্রায়ার ই-১৯০ । [১৪]
সাধারণভাবে বেশিরভাগ ইউরোপীয় ফ্লাইটগুলোতে সালাদ এবং স্যান্ডউইচ ই্ত্যাদি খাবার এবং অ্যালকোহলমুক্ত পানীয় পরিবেশিত হয়ে থাকে। তবে যাত্রীরা অ্যালকোহলযুক্ত পানীয় এবং অন্যান্য খাবারের আইটেম ক্রয় করে আহার করতে পারেন। দেশের অভ্যন্তরীণ ফ্লাইট এবং ইউরোপের সংক্ষিপ্ত ফ্লাইটগুলোতে স্ন্যাকস কিনতে পারা যায় এবং অ্যালকোহলমুক্ত পানীয় পরিবেশনের ব্যবস্থা রয়েছে। বিজনেস ক্লাস যাত্রীদের জন্য সুস্বাদু খাবার এবং পানীয় পরিবেশনের ব্যবস্থা রয়েছে।[১৫][১৬]