ফিফা (সিরিজ) | |
---|---|
ডেভেলপার | ইএ স্পোর্টস |
পরিবেশক | এলেক্ট্রনিক আর্টস |
ফিফা (ইংরেজি ভাষায়ঃ FIFA) একটি ফুটবল ভিত্তিক মাল্টিপ্লেয়ার গেম সিরিজ। ইএ স্পোর্টস এর লেবেলে প্রতিবছর একটি করে গেম মুক্তি পায়। ১৯৯৩ সালে প্রথম মুক্তি পাওয়া গেমটিতেই ফিফার কাছ থেকে অফিসিয়াল লাইসেন্স নেয়। বর্তমানের ফিফা গেম গুলোতে একচেটিয়া ভাবে রয়েছে বিশ্বের প্রধান ও অপ্রধান ক্লাব ও লীগগুলোর অফিসিয়াল লাইসেন্স, যাতে রয়েছে খেলোয়াড়দের ও দলগুলোর আসল নাম।
ফিফার গেম সিরিজ হলো অন্যতম সেরা সর্বাধিক বিক্রীত ভিডিও গেম [১]। এছাড়া ফিফা ১১ হলো দ্রুততম বিক্রিত খেলাধুলা বিষয়ক গেম। [২]
এ গেমটিতে ছিল ৮টি জাতীয় লীগ।
এ গেমটি থ্রিডি গ্রাফিক্সে উন্নত ছিল এবং প্লেস্টেশনেও খেলা যেত। এতে খেলোয়াড়দের আসল নাম ব্যবহার করা হয়।
ফিফার এই ভার্সনে ধারাভাষ্যে জন মটসন ও অ্যান্ডি গ্রের কণ্ঠ ব্যবহার করা হয়। ইনডোর ফুটবল উপস্থাপন করা হয়।
এতে গ্রাফিক্স আরও উন্নত করা হয়। রোড টু ওয়ার্ল্ড কাপ মোড উপস্থাপন করা হয় এবং সঙ্গীত প্লেলিস্ট প্রয়োগ করা হয়।
ইনডোর ফুটবল তুলে নেওয়া হয়। খেলোয়াড়ভেদে বিভিন্ন উচ্চতা ও উন্নত জার্সি ব্যবহার করা হয়।
এতে ৪০টিরও বেশি জাতীয় দল উপস্থাপন করা হয়।
এতে প্রথমবারের মত কিছু খেলোয়াড়ের জন্য বরাদ্দ ছিল নিজস্ব চেহারা।
পাসিং এর জন্য প্রথমবারের মত ব্যবহার করা হয় পাওয়ার বার।
ফিফা ২০০৩ আগের ভার্সনগুলো থেকে সম্পূর্ণ নতুন গেমপ্লে নিয়ে বাজারে মুক্তি পায়। এতে আরও উন্নত স্টেডিয়াম, খেলোয়াড় ও জার্সি ব্যবহার করা হয়। এতে ছিল টিভির মত রিপ্লের ব্যবস্থা। এতে ছিল এক্সবক্সে খেলার ব্যবস্থা।
ফিফা ২০০৪ আগের ভার্সন থেকে খুব একটা বেশি উন্নত করা হয়নি। এতে অনলাইন মোড নতুন ভাবে সংযোজিত করা হয়।
ফিফা ২০০৫-এ ছিল ক্যারিয়ার মোড ছিল।
এতে টিম কেমিস্ট্রি উপস্থাপিত হয় এবং ক্যারিয়ার মোড আরও উন্নত করা হয়।
এতে নতুন নতুন স্টেডিয়াম ব্যবহার করা হয়। এক্সবক্স ৩৬০-এর জন্য সম্পূর্ণ আলাদা ইন্সটলেশান সিস্টেম ছিল, যাতে অপ্রধান লীগ ও দলগুলো অনুপস্থিত ছিল।
এতে সম্পূর্ণ নতুন বি এ প্রো মোডটি উপস্থাপিত হয়, যেখানে ব্যবহারকারী নিজেই শুধুমাত্র একজন খেলোয়াড়কে নিয়ন্ত্রণ করতে পারবে।
ফিফা ২০০৯-এ বি এ প্রো মোডটি আরও উন্নত করা হয়, যাতে ছিল অনলাইন খেলার ব্যবস্থা।
ফিফা ২০১০-এ ম্যানেজার মোডটি আরও উন্নত করা হয়। এতে প্রতি ম্যাচের পারফর্মেন্স অনুযায়ী খেলোয়াড়দের মান বাড়তো। এতে ৫০টি স্টেডিয়াম ও ৩১টি লীগ ব্যবহাআর করা হয়। এতে খেলোয়াড়দের ড্রিবলিং-এও উন্নতি সাধন করা হয়।
ফিফা ১১-এ ম্যানেজার মোড-কে পরিবর্তন করে ক্যারিয়ার মোড বলা হয়। এতে ব্যবহারকারী গোলরক্ষক হয়ে খেলতে পারেন। এতে পাসিং সিস্টেমে পরিবর্তন সাধন করা হয়।