ফিরোজ শাহ কোটলা (হিন্দী: फ़िरोज़ शाह कोटला, উর্দু: فروز شاہ کوٹلا) দিল্লীর সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক দ্বারা নির্মিত দিল্লীর পঞ্চম শহর ফিরোজাবাদের প্রাসাদ ও দুর্গ বিশেষ। বর্তমানে এই স্থাপত্য ধ্বংসাবশেষে পরিণত হয়েছে।
দিল্লীর সুলতান ফিরোজ শাহ তুঘলক ১৩৫৪ খ্রিষ্টাব্দে যমুনা নদীর তীরে দিল্লীর পঞ্চম শহর ফিরোজাবাদের পত্তন করেন। এই শহরে তিনি তার কোটলা বা দুর্গ প্রাসাদ নির্মাণ করেন যা ফিরোজ শাহ কোটলা নামে পরিচিত।
প্রাচীর ঘেরা এই স্থাপত্যের এক দিকে জামি মসজিদের ছাদবিহীন ধ্বংসস্তুপ বর্তমান। অতীতে এটি দিল্লীর সবচেয়ে বড় মসজিদ ছিল। ১৩৯৮ খ্রিষ্টাব্দে দিল্লী আক্রমণকারী তৈমুর লং এই মসজিদে প্রতি শুক্রবার নমাজ পড়তে আসতেন।[১]
জামি মসজিদের ধ্বংসাবশেষের পাশে ১৩.১ মিটার উঁচু বেলেপাথরের তৈরী একটি স্তম্ভ বর্তমান। এই স্তম্ভটি সম্রাট অশোক দ্বারা খ্রিষ্টপূর্ব তৃতীয় শতকে নির্মিত। ফিরোজ শাহ তুঘলক এই স্তম্ভটিকে পাঞ্জাবের আম্বালা থেকে আনিয়ে এখানে ১৩৫৬ খ্রিষ্টাব্দে পুনর্স্থাপনা করেন। [২][৩] এই স্তম্ভের উৎকীর্ণ লিপি থেকে জেমস প্রিন্সেপ ১৮৩৭ খ্রিষ্টাব্দে ব্রাহ্মী লিপির পাঠোদ্ধার করেন।[১]
২৮°৩৮′১৬″ উত্তর ৭৭°১৪′৩৫″ পূর্ব / ২৮.৬৩৭৭৮° উত্তর ৭৭.২৪৩০৬° পূর্ব