ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ফিলিপ ক্লাইভ রড্রিক টাফনেল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | বার্নেট, লন্ডন, ইংল্যান্ড | ২৯ এপ্রিল ১৯৬৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | টাফার্স, দ্য ক্যাট, টু সুগার্স, দ্য ডক্টর | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | স্লো লেফট আর্ম অর্থোডক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার, ধারাভাষ্যকার, লেখক | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৫৪৭) | ২৬ ডিসেম্বর ১৯৯০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২৩ আগস্ট ২০০১ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ১১১) | ৭ ডিসেম্বর ১৯৯০ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ২০ ফেব্রুয়ারি ১৯৯৭ বনাম নিউজিল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৬–২০০২ | মিডলসেক্স | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৯০ | মেরিলেবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ৩১ জুলাই ২০১৮ |
ফিলিপ ক্লাইভ রড্রিক টাফনেল (ইংরেজি: Phil Tufnell; জন্ম: ২৯ এপ্রিল ১৯৬৬) লন্ডনের বার্নেট এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ও ধারাভাষ্যকার। খেলোয়াড়ী জীবন থেকে অবসর নেয়ার পর টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব হিসেবে কাজ করছেন। ১৯৯০ থেকে ২০০১ সময়কালে ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন।
ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের প্রতিনিধিত্ব করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ স্লো লেফট আর্ম অর্থোডক্স বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন ‘টাফার্স’ ডাকনামে পরিচিত ফিল টাফনেল।
হাইগেট স্কুলে অধ্যয়ন করেছেন ফিল টাফনেল। সেখানেই তার ক্রিকেট প্রতিভার সক্ষমতা লক্ষ্য করা যায়। ফলশ্রুতিতে, উপরের শ্রেণীতে অধ্যয়ন না করা স্বত্ত্বেও জুনিয়র বিদ্যালয়ের প্রথম একাদশের অধিনায়ক হিসেবে মনোনীত করা হয় তাকে। হাইগেট থেকে চলে আসার পর সাউথগেট স্কুলে অধ্যয়ন করেন ও ক্রিকেট খেলায় অংশ নেন।[১]
কোয়ানটিটি সার্ভেয়িং বিষয়ে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেন ও পেশাদারী পর্যায়ের খেলায় অংশগ্রহণ কিংবা কোয়ানটিটি সার্ভেয়ার হিসেবে কাজ করতে প্রতিকূল অবস্থার মুখোমুখি হন। শেষ পর্যন্ত পূর্বোক্তটিই গ্রহণ করেন তিনি।
স্লো লেফট আর্ম অর্থোডক্স স্পিন বোলার হিসেবে খেলতেন ফিল টাফনেল। ১৯৮৬ থেকে ২০০২ সময়কালীন ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে মিডলসেক্সের পক্ষে খেলেন। ৩১৬টি প্রথম-শ্রেণীর খেলার প্রায় সবগুলোই মিডলসেক্সে থাকাকালীন খেলেছেন। টাফনেল মাঝে-মধ্যে বল হাতে দলে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।
মিডলসেক্সের সাথে এক দশকেরও অধিক সময় অতিবাহিত করেন। এ সময়ে সহস্রাধিক প্রথম-শ্রেণীর উইকেট পেয়েছেন। ১৯৯৯ সালে ‘হোয়াট নাউ?’ শিরোনামীয় আত্মজীবনীমূলক গ্রন্থ প্রকাশ করেন।
সমগ্র প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবনে সহস্রাধিক উইকেট লাভ, নিজস্ব ব্যক্তিত্ব, আচরণে বিনম্রতা ও খেলাকালীন বলকে নিয়ন্ত্রণের কারণে জনপ্রিয় ক্রীড়াব্যক্তিত্বে পরিণত করেছে তাকে।[২]
১৯৯০ থেকে ২০০১ সময়কালে সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ইংল্যান্ডের পক্ষে ৪২ টেস্ট ও ২০টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণ করেছেন তিনি। ২৬ ডিসেম্বর, ১৯৯০ তারিখে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট অভিষেক ঘটে ফিল টাফনেলের। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে ৪২ টেস্ট ও ২০টি একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশগ্রহণের সুযোগ হয় তার। এ পর্যায়ে ১২১টি টেস্ট উইকেট লাভে সক্ষমতা দেখান। ২০১৫ সাল পর্যন্ত সর্বকালের সেরা ইংরেজ বোলারদের মধ্যে তিনি ৩৭তম স্থান দখল করে আছেন।[৩] ৩৭.৬৮ গড়ে উইকেট লাভ করলেও প্রকৃত বোলারের মর্যাদা পেয়েছেন।
১৯৯৭ সালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে অ্যাশেজ সিরিজের ওভাল টেস্টে খেলায় ১১/৯৩ লাভ করেন। ইংল্যান্ড ১৯ রানে জয় পেয়েছিল ও তিনি ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন। একই মাঠে ১৯৯১ সালে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে সাত উইকেট পান। তন্মধ্যে, প্রথম ইনিংসে ৬/২৫ পেয়েছেন।[৪] তবে, পূর্ণাঙ্গ টেস্ট খেলোয়াড়ী জীবনে ১২১ উইকেট লাভের জন্য উইকেট প্রতি ৩৭.৬৮ রান খরচ করতে হয়েছে তাকে।
মার্ক ওয়াহ এ প্রসঙ্গে উল্লেখ করেন যে, যদি আপনি তাকে আক্রমণ করে বসেন, তাহলে তিনি রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমায় বোলিং করবেন ও খেলার বাইরে নিজেকে নিয়ে যাবেন।[৫] লক্ষ্যণীয় যে, ওয়াহ টাফনেলের বলে সবচেয়ে বেশীবার টেস্টে আউট হয়েছেন। সাতবারের মধ্যে তিনবারই বোল্ড হন ওয়াহ।[৬]
ব্রিটিশ টক শো উপস্থাপক মাইকেল পার্কিনসনের অভিমত, নয় বছর বয়সে বোলিং উদ্বোধনে নেমেছেন ও ক্লাবের জুনিয়র দলে ব্যাটিং করেছেন। এছাড়াও, পার্কিনসনের মতে, তিনি সাধারণমানের ফিল্ডিং করতেন যা আনুমানিক আগস্ট, ১৯৯৬ সালে ইংরেজ ক্রিকেট ব্যবস্থাপনায় বেশ গুরুত্ব পায়।[৭]
তবে, টাফনেলের ফিল্ডিং পরিবর্তিতে উত্তরণ ঘটেছিল। বিশ্রাম কক্ষে নিদ্রারত অবস্থার ন্যায় প্রবৃত্তি বিরাজমান থাকায় ‘দ্য ক্যাট’ ডাকনামে আখ্যায়িত হয়েছেন। এছাড়াও, চা পানের প্রতি দূর্বার আগ্রহের কারণে ‘টু সুগার্স’ ডাকনামে পরিচিত পান। ইংল্যান্ডের দলীয় সঙ্গী মাইক অ্যাথারটনের মতে, টাফনেল অত্যধিক ধূমপান করতেন।[৮]
২০ জুলাই, ২০১১ তারিখে ক্রীড়া ও গণমাধ্যমে সম্পৃক্ততার অসামান্য অবদানের স্বীকৃতিস্বরূপ মিডলসেক্স বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সম্মানসূচক ডক্টরেট ডিগ্রী লাভ করেন।[৯]
২০০৩ সাল থেকে বিবিসি রেডিও’র টেস্ট ম্যাচ স্পেশালে বিশ্লেষক হিসেবে অংশগ্রহণ করেন। এছাড়াও, বিবিসি রেডিও ফাইভে দ্য ফিল টাফনেল ক্রিকেট শো ও টাফার্স এন্ড ভন ক্রিকেট শো’র উপস্থাপক ছিলেন তিনি। একই সালে ক্রিকেট সাংবাদিক অ্যাডাম হাদাওয়েকে সাথে নিয়ে ‘ফিল টাফনেল’স এ টু জেড অব ক্রিকেট’ পুস্তক প্রকাশ করেন।[১০]
# | বোলিং পরিসংখ্যান | খেলা | প্রতিপক্ষ | মাঠ | শহর | দেশ | সাল |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ৫/৬১ | ২ | অস্ট্রেলিয়া | সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ড | সিডনি | অস্ট্রেলিয়া | ১৯৯১ |
২ | ৬/২৫ | ৫ | ওয়েস্ট ইন্ডিজ | দি ওভাল | লন্ডন | ইংল্যান্ড | ১৯৯১ |
৩ | ৫/৯৪ | ৬ | শ্রীলঙ্কা | লর্ডস | লন্ডন | ইংল্যান্ড | ১৯৯১ |
৪ | ৭/৪৭ | ৭ | নিউজিল্যান্ড | ল্যাঙ্কাস্টার পার্ক | ক্রাইস্টচার্চ | নিউজিল্যান্ড | ১৯৯২ |
৫ | ৭/৬৬ | ২৮ | অস্ট্রেলিয়া | দি ওভাল | লন্ডন | ইংল্যান্ড | ১৯৯৭ |
# | বোলিং পরিসংখ্যান | খেলা | প্রতিপক্ষ | মাঠ | শহর | দেশ | বছর |
---|---|---|---|---|---|---|---|
১ | ১১/১৪৭ | ৭ | নিউজিল্যান্ড | ল্যাঙ্কাস্টার পার্ক | ক্রাইস্টচার্চ | নিউজিল্যান্ড | ১৯৯২ |
২ | ১১/৯৩ | ২৮ | অস্ট্রেলিয়া | দি ওভাল | লন্ডন | ইংল্যান্ড | ১৯৯৭ |
# | প্রতিপক্ষ | মাঠ | তারিখ | অবদান | ফলাফল |
---|---|---|---|---|---|
১ | নিউজিল্যান্ড | এএমআই স্টেডিয়াম, ক্রাইস্টচার্চ | ২০ ফেব্রুয়ারি, ১৯৯৭ | ১০-১-২২-৪, ১ কট; ডিএনবি | ইংল্যান্ড ৪ উইকেটে বিজয়ী[১১] |
১৯৮৯ সালে অ্যালিসন স্কুইয়ার্সের সাথে বিবাহ-বিচ্ছেদ ঘটান। তার দুই কন্যা রয়েছে। সাবেক মেয়ে বন্ধু জেন ম্যাকএলভয়ের গর্ভে এলি এবং সাবেক পত্নী লিসা বারের গর্ভে পপি জন্মগ্রহণ করে। ১৯৯৪ সালে ব্যক্তিগত জীবন সংবাদপত্রের শিরোনামে চলে আসে। সাবেক মেয়ে বন্ধু ম্যাকএলভয়কে নিগৃহীত করার কারণে £৮০০ পাউন্ড-স্টার্লিং জরিমানা দেন। এরপর তাদের সম্পর্ক শেষ হয়ে যায়।[১২]
টাফনেলের বর্ণাঢ্যময় জীবনধারা মাঝেমধ্যেই ট্যাবলয়েডগুলোয় প্রকাশিত হতে থাকে। ১৯৯৭ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে ক্যানাবিস ব্যবহার করেন। তবে, জরিমানা থেকে রক্ষা পান।[১৩]
বিবাহ-বিচ্ছেদের প্রাক্কালে বার আদালতে টাফনেলের বিরুদ্ধে শারীরিক নিপীড়ন, নির্যাতন ও অভূক্ত রাখার অভিযোগ আনেন। এছাড়াও, তিনি দাবী করেন যে, টাফনেল নিয়মিতভাবে তাকে নিগৃহীত[১৪] ও নির্যাতন চালাতো।[১৫] বর্তমানে তিন ডনের সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক স্থাপন করেছেন ও সৎকন্যা অ্যালানাকে নিয়ে বসবাস করছেন।[১৬]
ক্রিকেট সম্পর্কীয় দাতব্য সংস্থা ক্রিকেট ফর চ্যাঞ্জের সভাপতির দায়িত্বে রয়েছেন ফিল টাফনেল।[১৭] এছাড়াও, যুক্তরাজ্যভিত্তিক শিশুদের দাতব্য সংস্থা দ্য চিলড্রেন্স ট্রাস্ট, ট্যাডওয়ার্থের সহ-সভাপতি তিনি।[১৮] ২০১৭ সালে রয়্যাল বার্টন অ্যাগ্নেস ক্রিকেট ক্লাবের সভাপতি হিসেবে মনোনীত হন। ক্রেগ হোয়াইটের স্থলাভিষিক্ত হন তিনি।[১৯] আর্সেনালের একনিষ্ঠ সমর্থক ফিল টাফনেল।[২০][২১]
পূর্বসূরী টনি ব্ল্যাকবার্ন |
আ’ম এ সেলিব্রিটি, গেট মি আউট অব হিয়ার! বিজয়ী ২০০৩ |
উত্তরসূরী ক্যারি ক্যাটোনা |