ফুকুওকা প্রশাসনিক অঞ্চল 福岡県 | |
---|---|
প্রশাসনিক অঞ্চল | |
জাপানি প্রতিলিপি | |
• জাপানি | 福岡県 |
• রোমাজি | Fukuoka-ken |
স্থানাঙ্ক: ৩৩°৩৬′ উত্তর ১৩০°৩৫′ পূর্ব / ৩৩.৬০০° উত্তর ১৩০.৫৮৩° পূর্ব | |
দেশ | জাপান |
অঞ্চল | কিউশু |
দ্বীপ | কিউশু |
রাজধানী | ফুকুওকা |
আয়তন | |
• মোট | ৪,৯৭১.০১ বর্গকিমি (১,৯১৯.৩২ বর্গমাইল) |
এলাকার ক্রম | ২৯শ |
জনসংখ্যা (১লা জুন ২০১৩) | |
• মোট | ৫০,৮৮,৪৮৩ |
• ক্রম | ৯ম |
• জনঘনত্ব | ১,০২০.২৬/বর্গকিমি (২,৬৪২.৫/বর্গমাইল) |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | JP-40 |
জেলা | ১২ |
পৌরসভা | ৬০ |
ফুল | উমে ফুল (প্রুনাস মুমে) |
গাছ | অ্যাজালিয়া (রোডোডেন্ড্রন ৎসুৎসুসি) |
পাখি | জাপানি বুশ ওয়ার্বলার (সেটিয়া ডাইফোন) |
ওয়েবসাইট | www.pref.fukuoka.lg.jp/somu/ multilingual/english/top.html |
ফুকুওকা প্রশাসনিক অঞ্চল (福岡県? ফুকুওকা কেন্) হল জাপানের কিউশু দ্বীপের উত্তর প্রান্তে অবস্থিত একটি প্রশাসনিক অঞ্চল।[১] এর রাজধানী ফুকুওকা নগর।[২]
উত্তর কিউশুর সাথে এশীয় মূল ভূখণ্ডের যোগাযোগ ছিল পুরা প্রস্তর যুগ থেকে। অনেকগুলি কোফুন সমাধিক্ষেত্রও উদ্ধার করা গেছে।
পূর্বতন চিকুগো, চিকুযেন ও বুযেন প্রদেশের বিভিন্ন অংশ নিয়ে বর্তমান ফুকুওকা প্রশাসনিক অঞ্চল গঠিত হয়েছে।[৩] ইতিহাসের দীর্ঘ সময় ধরে ফুকুওকা চীন ও কোরিয়ার সাথে জাপানের সংযোগদ্বার হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে এসেছে। ত্রয়োদশ শতাব্দীর শেষভাগে কুবলাই খানের বিফল জাপান আক্রমণের সময় এই অঞ্চলটি জাপানি প্রতিরোধের মূল কেন্দ্র ছিল।
আধুনিক যুগেও ফুকুওকার গুরুত্ব বজায় আছে। ২০১৫ এর হিসেব অনুযায়ী ফুকুওকা নগর জাপানের পঞ্চম বৃহত্তম নগর। ১৯৮৯ খ্রিঃ এখানে এশিয়া-প্রশান্ত মহাসাগরীয় প্রদর্শনী অনুষ্ঠিত হয়। ২০১৪ খ্রিঃ জাপান সরকার “বৈশ্বিক উদ্যোগ ও কর্মসংস্থানের” জন্য ফুকুওকা নগরকে “জাতীয় কৌশলগত অঞ্চল” হিসেবে মনোনীত করে।
২০১৬ এর মে মাসে কিতাকিউশু নগরে জি৭ গোষ্ঠীর দেশগুলির শক্তি বিষয়ক মন্ত্রীদের একটি সভা হয়।[৪]
ফুকুওকা প্রশাসনিক অঞ্চলের উত্তর ও দক্ষিণে সমুদ্র, পশ্চিমে সাগা প্রশাসনিক অঞ্চল এবং পূর্বে ওওইতা ও কুমামোতো প্রশাসনিক অঞ্চলের অবস্থান। উত্তরে কান্মোন প্রণালীর অপর পাড়ে রয়েছে হোনশু দ্বীপের য়ামাগুচি প্রশাসনিক অঞ্চল।
কিউশু দ্বীপের দুই বৃহত্তম নগর ফুকুওকা ও কিতাকিউশু, ফুকুওকা প্রশাসনিক অঞ্চলে অবস্থিত। দ্বীপের অধিকাংশ শিল্পও এখানে গড়ে উঠেছে। কিউশুর উত্তর উপকূলের নিকটবর্তী বেশ কিছু ক্ষুদ্র ক্ষুদ্র দ্বীপও ফুকুওকার আওতায় আছে।
২০১২ এর এপ্রিল মাসের হিসেব অনুযায়ী ফুকুওকা প্রশাসনিক অঞ্চলের মোট ভূমির ১৮ শতাংশ সংরক্ষিত বনাঞ্চল। এর মধ্যে আছে সেতোকাইনাই জাতীয় উদ্যান; গেঙ্কাই, কিতাকিউশু ও য়াবা-হিতা-হিকোসান উপ-জাতীয় উদ্যান এবং পাঁচটি প্রশাসনিক আঞ্চলিক উদ্যান।[৫]
ফুকুওকা প্রশাসনিক অঞ্চলে জাপানের অন্যতম বৃহত্তম শিল্পাঞ্চল অবস্থিত। এর অর্থনীতি কিউশু দ্বীপের অর্থনীতির ৪০% অধিকার করে আছে। প্রধান প্রধান শিল্পের মধ্যে আছে মোটরগাড়ি, অর্ধপরিবাহী পদার্থ নির্মাণ ও লৌহ-ইস্পাত শিল্প। টায়ার প্রস্তুতকারক বিখ্যাত সংস্থা ব্রিজস্টোন ও বৈদ্যুতীন যন্ত্রাংশ বিক্রেতা বেস্ট দেঙ্কির কেন্দ্র হিসেবে ফুকুওকা বিখ্যাত।
বেশ কিছু গুরুত্বপূর্ণ জাদুঘর ফুকুওকা প্রশাসনিক অঞ্চলে অবস্থিত, যেমন ফুকুওকা শিল্পকলা জাদুঘর, ফুকুওকা এশীয় শিল্পকলা জাদুঘর, ফুকুওকা নগর জাদুঘর, গেঙ্কো ঐতিহাসিক জাদুঘর, হাকাতা মাচিয়া লোকসংস্কৃতি জাদুঘর ও কিউশু জাতীয় জাদুঘর। ফুকুওকা দুর্গ অন্যতম ঐতিহাসিক স্থান। ওওহোরি উদ্যান প্রাকৃতিক দৃশ্যের উপভোগ্যতার জন্য দেশখ্যাত। দোন্তাকু উৎসব আড়ম্বর সহকারে পালিত হয়।