![]() | |
সাইটের প্রকার | ব্যক্তিগত কোম্পানি |
---|---|
প্রতিষ্ঠা | ২০১২সিঙ্গাপুর | ,
সদরদপ্তর | বার্লিন, জার্মানি |
পরিবেষ্টিত এলাকা | সিঙ্গাপুর বাংলাদেশ বুলগেরিয়া কম্বোডিয়া হংকং জাপান লাওস মালয়েশিয়া মায়ানমার পাকিস্তান ফিলিপাইন রোমানিয়া তাইওয়ান থাইল্যান্ড |
মালিক | ডেলিভারি হিরো |
প্রতিষ্ঠাতা(গণ) | রালফ ওয়েনজেল বেঞ্জামিন বাউয়ের ফেলিক্স প্লগ রোহিত চাড্ডা |
প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা | জ্যাকব অ্যাঞ্জেল |
প্রধান ব্যক্তি | জুলিয়ান ডেমস (CMO) |
শিল্প | অনলাইনে খাবার অর্ডার |
ওয়েবসাইট | foodpanda |
ফুডপান্ডা হলো অনলাইনে খাবার অর্ডার করার একধরনের ব্র্যান্ড বা কোম্পানি। এটি ডেলিভারি হিরো এর মালিকানাধীন একটি অনলাইন খাদ্য এবং মুদি বিতরণ প্ল্যাটফর্ম। এটির প্রধান সদরদপ্তর জার্মানির বার্লিন শহরে অবস্থিত এবং চারটি মহাদেশ জুড়ে প্রায় ৫০ টি দেশে ২০ টি ব্র্যান্ডের সাথে এটি কাজ করে।[১] ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে জার্মানির ডেলিভারি হিরো নামক প্রতিষ্ঠানটি ফুডপান্ডা গ্রুপকে কিনে নেয় এবং বর্তমানে এটি তাদের দ্বারাই পরিচালিত হয়ে থাকে।[২] ফুডপান্ডা বর্তমানে চীনের বাইরে এশিয়ার বৃহত্তম খাদ্য ও মুদি সরবরাহের প্ল্যাটফর্ম।[৩]
দ্য ফুডপান্ডা গ্রুপ ২০১২ সালে রালফ ওয়েনজেল, রোহিত চাড্ডা, বেন বাউয়ের এবং ফেলিক্স প্লগ এর দ্বারা প্রতিষ্ঠা লাভ করে। লুকাস নাজেল ও রিকু ওয়েডার এর মাধ্যমে ফুডপান্ডার সিঙ্গাপুরে ব্যবসা শুরু হয়।[৪] ২০১৪ এর ফেব্রুয়ারিতে ফুডপান্ডা তাদের প্রতিদ্বন্দ্বী পাকিস্তানি ইট অই কে কিনে নেয়।[৫] ২০১৬ সালের নভেম্বরে কোম্পানিটি তাদের ডেলিভারি ক্লাবে বিজনেস ১০০ মিলিয়ন ডলারের বিনিময়ে রাশিয়ার mail.ru কে বিক্রি করে দেয়।[৬] এবং ২০১৬ সালের ডিসেম্বরে দ্য ফুডপান্ডা গ্রুপকে ডেলিভারি হিরো নামক প্রতিষ্ঠান কিনে নেয়। ২০১৭ সালের ডিসেম্বরে ওলা ক্যাবস কর্তৃক ভারতে ফুডপান্ডার ব্যবসা প্রতিষ্ঠিত হয়।[৭]
ফুডপান্ডার অনলাইনে খাদ্য অর্ডারের কাজ তাদের মোবাইল অ্যাপ ও ওয়েবসাইটের মাধ্যমে ক্রেতারা সম্পন্ন করে থাকেন।[৮][৯] ক্রেতারা খাদ্য অর্ডার করতে মোবাইল অ্যাপ অথবা ওয়েবসাইটের মাধ্যমে প্রবেশ করে নিকটস্থ রেস্তোরাঁর মাধ্যমে খাবার অর্ডার করে নিতে পারেন এবং ফুডপান্ডার কর্মীরা তা নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে ক্রেতার কাছে পৌঁছে দিয়ে থাকেন।[১০]
ফুডপান্ডার বর্তমানে এশিয়ার ১৪টি দেশে ও ইউরোপের ৩টি দেশে তাদের সেবা দিচ্ছে,যার মধ্যে রয়েছে:
বর্তমানে কোম্পানিটির মূলধন ৩১৮ মিলিয়ন ডলারে পৌঁছেছে।[১১] ২০১৩ সালের এপ্রিলে ফুডপান্ডাকে শুরুর দিকে ২০ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করে ইনভেস্টমেন্ট এবি কিনেভিক, পেনোমেন ভেঞ্চার এবং রকেট ইন্টারনেট কোম্পানিত্রয়।[১২][১৩] ২০১৩ সালের সেপ্টেম্বরে আইএমইএনএ (iMENA) নামক কোম্পানিও ফুডপান্ডাকে ব্যবসায়িক কাজে ৮ মিলিয়ন ডলার অর্থায়ন করে।[১৪] ২০১৪ সালের ফেব্রুয়ারিতেও গ্রুপ অব ইনভেস্টর এবং পেনোমেন ভেঞ্চার থেকেও ২০ মিলিয়নের অধিক অর্থায়ন আসে।[১৫] একই বছরের আগস্টের ১১ তারিখে ফুডপান্ডা ঘোষণা করে যে গ্রুপ অব ইনভেস্টর থেকে আরও ৬০ মিলিয়ন ডলারের অর্থ সাহায্য আসে।[১৬] এছাড়াও কোম্পানিটি পরবর্তীতে আরও বিভিন্ন অর্থ বিনিয়োগকারী সংস্থা হতে অর্থ সাহায্য নেয়।[১৭][১৮]
২০১৭ সালের ১ নভেম্বর ফুডপান্ডা তাদের লোগো কমলা রঙ থেকে পরিবর্তন করে বর্তমান সংস্করণ গোলাপি রঙে হালনাগাদ করে। ফুডপান্ডার মূল ব্র্যান্ড ডেলিভারি হিরো তাদের লোগোতে পরিবর্তন আনার পর, ফুড পান্ডার লোগোতেও পরিবর্তন করা হয়। কোম্পানি অনুযায়ী তাদের নতুন লোগোটি পূর্বের তুলনায় আরও স্মরণীয় হবে বলে মনে করেন তারা। ফুডপান্ডার আরেকটি সহযোগী কোম্পানি হচ্ছে ফুডুরা, যেটির অনুকরণেই বর্তমান লোগো ডিজাইন করা হয়েছে।[১৯]