ফুরফুরা, শ্রীরামপুর মহকুমা | |
---|---|
গ্ৰাম | |
![]() গ্রামের ফুরফুরা শরীফ নামে একটি মাজার | |
![]() ![]() ফুরফুরা, শ্রীরামপুর মহকুমা ![]() ![]() ফুরফুরা, শ্রীরামপুর মহকুমা | |
স্থানাঙ্ক: ২২°৪৫′১৬″ উত্তর ৮৮°০৭′৪৮″ পূর্ব / ২২.৭৫৪৫° উত্তর ৮৮.১৩০১° পূর্ব | |
দেশ | ![]() |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | হুগলি |
উচ্চতা | ১১ মিটার (৩৬ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০০১) | |
• মোট | ৬,৭২০ |
ভাষা | |
• সরকারি | বাংলা |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+5:30) |
পিন | ৭১২৭০৬ |
টেলিফোন কোড | +৯১ |
আইএসও ৩১৬৬ কোড | IN-WB |
ফুরফুরা ভারতের পশ্চিমবঙ্গের হুগলি জেলার শ্রীরামপুর মহকুমার জাঙ্গিপাড়া সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি গ্রাম। গ্রামটি ফুরফুরা দরবার শরীফের জন্য পুরো উপমহাদেশে বিখ্যাত হয়ে আছে।[১] ধর্মীয় ও আধ্যাত্মিক কারণে এই গ্রামে বছরে বহু দর্শনার্থী আসে। বিশেষ করে যখন পীরের মেলা চলে, তখন বহু মানুষ এই গ্রামে যাতায়াত করে।[২] এই গ্রামে ৬০০০ এর বেশী মানুষ বসবাস করে, গ্রামে একটি সরকারি গ্রামীণ হাসপাতাল রয়েছে যেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা সেবা প্রদান করা হয়।
১৩৭৫ সালে জনৈক মুকলিশ খান কর্তৃক নির্মিত একটি মসজিদকে কেন্দ্র করে এই গ্রামের ইতিহাস শুরু হয়।[৩]
উল্লেখ্য, সেইসময়ে এক ক্ষত্রিয় রাজা এখানে রাজত্ব করত। রাজত্বকালে শাহ কবির হালিবি ও করমুদ্দিন নামে দুই মুসলিম সৈন্য এই ক্ষত্রিয় রাজার বিরুদ্ধে যুদ্ধ করে বিজয় লাভ করে।অন্য বর্ণনায় ৪ মুসলিম ভ্রাতা যুদ্ধ করে শহীদ হন।তাঁদেরকে ফুরফুরার ইতিহাসে ‘গন্জে শুহাদা’ বলা হয়।বিজয়ের পর যে আনন্দোৎসব করা হয়েছিল সে উৎসবকে ফার্সি ভাষায় ‘ফররে ফরাহ’ বলা হয়।কালের পরবর্তনের সাথে সাথে ‘ফররে ফরাহ’ শব্দ ফুরফুরা-তে পরিণত হয়।(সূত্রঃ ফুরফুরার ইতিহাসঃ ইশাআতে ইসলাম কুতুবখানা, মার্কাযে ইশাআতে ইসলাম, ফুরফুরা দরবার, ২/২, দারুস সালাম, মীরপুর ঢাকা, বাংলাদেশ)[৪] তাদের সমাধি আজও হিন্দু ও মুসলমান উভয় ধর্মের লোকের কাছে খুব পবিত্র।[৪]
বর্তমানে ১৮৪৫ সালে জন্ম নেওয়া পীর আবু বকর সিদ্দিকী ও তার পাঁচ ছেলে পাঁচ ছেলে আবদুল হাই সিদ্দিকী, আল্লামা আবু জাফর সিদ্দিকী, আবদুল কাদের সিদ্দিকী, নাজমুস সায়াদাত সিদ্দিকী ও জুলফিকার আলী সিদ্দিকীর মাজার রয়েছে।[৫] এসমস্ত মাজারের জন্য এই গ্রামটি ধর্মভিত্তিক পর্যটক ও পবিত্র স্থান বলে বিবেচিত হয়ে আসছে। এই পাঁচ পীর এই গ্রাম সহ অনন্য গ্রামে বহু শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান ও দাতব্য প্রতিষ্ঠান নির্মাণ করেছেন।[৬] এই গ্রামে প্রতিবছর বাংলা বর্ষপঞ্জির ফালগুন মাসের ২১, ২২ ও ২৩ তারিখ দরবার শরীফের জলসা অনুষ্ঠিত হয়।[৭][৮]
এই গ্রামে ৬০০০ এর বেশী মানুষ বসবাস করে। মুসলিম সংখ্যা বেশী হলেও এই গ্রামে হিন্দু সম্প্রদায়ের অস্তিত্ব রয়েছে।
এই গ্রামে স্কুল, কলেজ ও মাদ্রাসা শিক্ষাব্যবস্থা বিদ্যমান আছে। আলিয়া ও কওমি মাদ্রাসা রয়েছে, এসব প্রতিষ্ঠানের কিছু স্থানীয় পীরেরা তৈরি করেছিলো।
ফুরফুরা শরীফের একটি সরকারি গ্রামীণ হাসপাতাল রয়েছে যেখানে বিনামূল্যে চিকিৎসা করা হয়।