ফেডেরিকা মন্টসেনি | |
---|---|
স্বাস্থ্য ও সামাজিক কল্যাণ মন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১৯৩৬/১১/০৪ – ১৯৩৭/০৫/১৭ | |
পূর্বসূরী | জোসে টমাস ইয়ে পিঁয়েরে |
উত্তরসূরী | জেসাস হার্নান্দেজ টমাস (স্বাস্থ্য) জেইম আইগুয়েডে ইয়ে মিঁরো (সামাজিক কল্যাণ) |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | মাদ্রিদ, স্পেন | ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯০৫
মৃত্যু | ১৪ জানুয়ারি ১৯৯৪ তউলইস, ফ্রান্স | (বয়স ৮৮)
সন্তান | ভিদা এসগ্লেস মন্টসেনি জার্মিনাল এসগ্লেস মন্টসেনি ব্লাঙ্কা এসগ্লেস মন্টসেনি |
ফেডেরিকা মন্টসেনি আই মানে (কাতালান: [munˈsɛɲ]; ১২ই ফেব্রুয়ারি, ১৯০৫ - ১৪ই জানুয়ারি, ১৯৯৪[১]) স্প্যানিশ বিদ্রোহকালীন একজন স্প্যানিশ নৈরাজুবাদী, বুদ্ধিজীবী ও স্বাস্থ্যমন্ত্রী ছিলেন। তিনি একজন কবি, উপন্যাসলেখক, রচনাবিদ এবং শিশুসাহিত্যিক হিসেবে সুপরিচিত। এছাড়া তিনি নারী আন্দোলন শুরু করেন।[১]
মন্টসেনি ১২ই ফেব্রুয়ারি, ১৯০৫ সালে মাদ্রিদে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতামাতা একটি নৈরাজ্যবাদ সংবাদপত্র লা রেভিস্তা ব্লাঙ্কা (১৮৯৮-১৯০৫) এর সাথে যুক্ত ছিলেন। ফেডেরিকা মন্টসেনি ছিলেন, তার নিজের ভাষায়ই পুরানো নৈরাজ্যবাদী পরিবারের কন্যা। তার পিতা জোয়ান মন্টসেনি (ফেডেরিকো উরালস) একজন স্বৈরাচার-বিরোধী লেখক, প্রোপাগান্ডাকারী ছিলেন এবং মাতা, সোলেদাদ গুস্তাভো একজন নৈরাজ্যবাদ ছিলেন। ১৯১২ সালে তার পরিবার কাতালোনিয়ায় ফিরে আসে এবং একত্রে তারা একটি প্রকাশনা সংস্থা খোলেন যা স্বাধীনতাবিষয়ক সাহিত্য রচনা করবে[১]। মন্টসেনি নৈরাজ্যবাদী শ্রমিক সংঘ সিএনটি (কনফেডারেশন ন্যাশনাল দেল ট্রাবাজো) তে যোগদান করেন এবং নৈরাজ্যবাদ সংবাদপত্র যেমন সোলিদারিদা ওবরেরা, টিয়েরা ইয়ে লিবারতাদ ও নুয়েভা সেন্ডায় লেখালেখি করেন। ১৯২৭ সালে তিনি ফেডেরাসিয়ান এনারকুয়েস্তা ইবেরিকা (এফএআই)-এর সাথে যুক্ত হন।[১]
স্প্যানিশ বেসামরিক যুদ্ধকালীন সময়ে মন্টসেনি প্রজাতন্ত্রী সরকারকে সমর্থন করেন। তিনি প্রজাতন্ত্রীদের কর্তৃক অনুষ্ঠিত টেরিটরি "আগে সৎ মানুষের মধ্যে ধারণাতীত রক্ত জন্য একটি রিরংসা" ("a lust for blood inconceivable in honest man before") নামক সহিংসতা প্রত্যাখ্যান করেন।[২] নভেম্বর, ১৯৩৬ সালে ফ্রান্সিসকো লার্গো কাবালেরো মন্টসেনিকে স্বাস্থ্যমন্ত্রী হিসেবে নিযুক্ত করেন। এরফলে তিনি স্পেনের ইতিহাসে সর্বপ্রথম মহিলা কেবিনেট মন্ত্রী হন।[৩] তিনি দক্ষিণ ইউরোপের প্রথম মহিলা মন্ত্রী (পূর্বে ফিনল্যান্ডের নিনা বাং ও মিনা সিলাংপা শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন) ছিলেন। মন্ত্রী হয়ে তিনি জনস্বাস্থ্যকে দরিদ্র এবং শ্রমজীবিদের জন্য উপযোগী করে তোলেন।[১] শেষে তিনি বিকেন্দ্রীকরণকে সমর্থন করেন, সম্পূর্ণ দায়িত্বপূর্ণ এবং প্রতিরোধী স্বাস্থ্য-কর্মসূচী চালু করেন যেন পুরো শ্রমজীবি সংস্থাকে যুদ্ধের জন্য সচল থাকে। তিনি নৈরাজ্যবাদী নারীবাদি আন্দোলন থেকে উদ্বুদ্ধ হন যেখানে ১৯২০ সাল থেকে প্রজনন অধিকার-এর দিকে মনোযোগ দেয়া হয় এবং ১৯৩৬ সালে মন্ত্রী ড. ফেলিক্স মার্টি ইবানেজ, জেনারালিতাত দ্য কাতালুনিয়ার স্বাস্থ্য ও সামাজিক কল্যাণ বিভাগের পরিচালক ইউজেনিক রিফর্ম অফ এবরশন নামক একটি আইন পাস করেন। এর ফলে গর্ভপাত কাতালোনিয়ায় বৈধ হয়ে ওঠে।[১]
তার পারিবারিক স্বাধীনতার ঐতিহ্যের ফলে তার পপুলার ফ্রন্ট সরকারে যুক্ত হবার সিদ্ধান্ত কঠিন ছিল। যদিও সরকারে যুক্ত হবাটা নৈরাজ্যতান্ত্রিক শ্রমিক আন্দোলন সিনটি কর্তৃক অনুপ্রাণিত হয়, তথাপি একটি একত্রিত কর্মসূচী উপস্থানের জন্য সরকারের সঙ্গে সহযোগিতার বিষয়টি্র বিরোধিতা ফ্যাসিবাদীরা করেন। ফ্রান্সিসকো ফ্রাঙ্কোর বিদ্রোহী সৈন্যরা হুমকি দেয় এবং যুদ্ধ শেষেও দীর্ঘদিন বিষয়টি প্রশ্নের সম্মুখীন হয়ে থাকে। তবে উল্লেখযোগ্য যে তিনি এমা গোল্ডম্যান সাথে তর্কশাস্ত্রে জড়িত হন, এবং ১৯৩৭ এর ক্যামিলো বার্নারি খোলা চিঠিতে যে কঠোর সমালোচনা করেন, তার প্রাপকও ছিলেন তিনিই। অনেক নৈরাজ্যবাদীরা জন্য, সহযোগিতার বিষয় উভয়দের জন্যই – মার্কসবাদী ও সরকারের কাছেই – এখনও একটি কলহপ্রিয় বিষয়।
তিনি ১৯৩৯ সালে ফ্রান্সে ফিরে আসেন। এখানে তিনি অনেক বই লেখেন, তন্মধ্যে সামাণ্য সংখ্যকের বিষয়ই ছিল রাজনীতি।[১]