ফেতিহ ১৪৫৩ | |
---|---|
পরিচালক | ফারুক অকসয় |
প্রযোজক | এইসি জার্মান |
রচয়িতা | ইরফান সারুহান |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | বেঞ্জামিন ওয়ানফিশ |
প্রযোজনা কোম্পানি | অকসয় ফিল্ম প্রোডাকশন্স |
পরিবেশক | তিগলন চলচ্চিত্র কিনোস্টার |
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১৬০ মিনিট |
দেশ | তুরস্ক |
ভাষা | তুর্কি |
নির্মাণব্যয় | $১৮.২ মিলিয়ন [১] |
আয় | $৩৪,৪৮৪,৮৩৭ [২] |
ফেতিহ ১৪৫৩ (ইংরেজি:The conquest 1453) হল একটি বীরত্বগাঁথাসূচক ঐতিহাসিক ঘটনাভিত্তিক একশনধর্মী তুর্কী চলচ্চিত্র যা ২০১২ সালের ১৬ই ফেব্রুয়ারি মুক্তি পায়। এর পটভূমি ও কাহিনী পঞ্চদশ শতাব্দীর উসমানীয় সম্রাট দ্বিতীয় মুহাম্মদ (উসমানীয় সুলতান) অর্থাৎ মুহাম্মদ ফাতিহ বা বিজয়ী সম্রাট এর রাজত্বকালে উসমানীয়দের দ্বারা কন্সটান্টিনোপল (পরবর্তীতে ইস্তানবুল) বিজয়ের ঘটনাসমুহের উপর ভিত্তি করে করা হয়েছে। এতে সম্রাট দ্বিতীয় মুহাম্মদের চরিত্রে অভিনয় করেন খ্যাতিমান তুর্কী অভিনেতা দাভরিম এভিন। ছবিটি মুক্তি দেয়ার আঠারো দিনের মাথায় এটি তুরস্কের সবচেয়ে ব্যবসাসফল চলচ্চিত্রের রেকর্ডকে ভেঙে ফেলে। বর্তমানে এটি তুর্কী ভাষার সবচেয়ে আলোচিত ও ব্যবসাসফল চলচ্চিত্র।
নবী মুহাম্মদ(সা.) এর মদীনায় থাকাকালীন সময়ের (৬২৭খ্রিষ্টাব্দ) একটি স্থানীয় ঐতিহাসিক ঘটনা প্রদর্শনের মাধ্যমে চলচ্চিত্রটির প্রথম দৃশ্য উন্মোচন করা হয়, যেখানে দেখানো হয় সাহাবী আবূ আইয়ুব আল-আনসারী অপরাপর সাহাবীদেরকে বলছেন যে, নবীজী বলেছেন, একজন মহান সেনাপ্রধান এবং তার সৈন্যদল কর্তৃক কন্সটান্টিনোপল বিজিত হবে।
এর পরের দৃশ্যেই চিত্রপট নাটকীয়ভাবে চতুর্দশ শতকে মোড় নেয় যেখানে সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের জন্মের প্রেক্ষাপট দেখানো হয়। অনতিবিলম্বে প্রেক্ষাপট সুলতানের তারুণ্যকে তুলে ধরে যেখানে উসমানীয় সুলতান মুহাম্মাদ ফাতিহ তার সেনাপতি হাসানের সাথে লড়ছেন। এরপর পিতা মুরাদের মৃত্যু, যুদ্ধ পরিকল্পনা, খলিল পাশার সাথে বিরোধ, কন্সটানটিনোপলের সমুদ্রসীমায় সুদৃঢ় লৌহশৃঙ্খল এড়িয়ে সমুদ্রতটে তৈলতক্তা কৌশল অবলম্বনে জাহাজ পারাপারের মত বুদ্ধিদীপ্ত পদক্ষেপ প্রদর্শনের মধ্য দিয়ে কাহিনী যুদ্ধে এগিয়ে যায়। অবশেষে ৫৭দিনের অনবরত কামানগোলা নিক্ষেপের মাধ্যমে কন্সটান্টিনোপলের দেয়াল ভাঙন, রক্তযুদ্ধ, হাসানের ত্যাগ ও কন্সটান্টিনপল দখলের মধ্য দিয়ে চলচ্চিত্রটি সমাপ্ত হয়।
অভিনয়শিল্পীর নাম | চরিত্রের নাম | চরিত্রের বিবরণ |
---|---|---|
দাভরিম এভিন | সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদ | উসমানীয় সাম্রাজ্যের সপ্তম সুলতান। তার শাসনামলে ১৪৫৩ সালে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের রাজধানী, কন্সটান্টিনোপল উসমানীয় সাম্রাজ্যের অধিনে চলে আসে এবং এভাবে বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতন ঘটে, যার ফলে উসমানীয় সাম্রাজ্য পৃথিবীর একটি অন্যতম শক্তিশালী রাষ্ট্র হিসেবে স্থান লাভ করে। |
ইব্রাহিম চেলিক্কল | উলুবাতলি হাসান | ছিলেন সুলতান দ্বিতীয় মুহাম্মদের অধীনস্থ একজন তিমারলি সিপাহি। কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের সময় তার বীরোচিত ভূমিকার কারণে তাকে স্মরণ করা হয়। শহরের দেয়ালে প্রথম যে সৈনিকরা উঠতে সক্ষম হয় হাসান ছিলেন তাদের অন্যতম। তার পরে প্রায় ৩০ জন তাকে অনুসরণ করে। এসময় তার হাতে ছিল একটি তলোয়ার, একটি ছোট ঢাল এবং উসমানীয়দের পতাকা। যুদ্ধের সময় চারপাশের গোলাগুলির ভেতরে তিনি দেয়ালে উঠে পড়েন এবং পতাকা স্থাপন করেন এবং তার ১২ জন বন্ধু আসা পর্যন্ত তিনি পতাকা রক্ষা করেন। এরপর তিনি আহতাবস্থায় পড়ে যান। এসময় তার শরীরে ২৭টি তীর বিদ্ধ ছিল। |
ডাইলেক সারবেস্ট | ইরা | উরবানের পালক কন্যা। হাসানের প্রেয়সী। |
রেজেপ আকতুগ | সম্রাট একাদশ কন্সটানটাইন | The last Byzantine emperor. In this film, when he dies, Mehmed orders Byzantine noblemen to bury him in Christian tradition. |
Cengiz Coşkun | Knight Giustiniani | Genoese general. He is killed by Hasan. |
Erden Alkan | Çandarlı Halil Pasha | Ottoman Grand Vizier serving under Murad II and Mehmed II. He rejects all Mehmed's plans relating to the conquest of Constantinople and urges peace with Byzantium. |
Naci Adıgüzel | Grand Duke Notaras | The last Megas Doux of Constantinople. He shows strong opposition towards Constantine's intention to seek help from Vatican and Genoa. |
Erdoğan Aydemir | উরবান | একজন ধাতু বিশারদ ও প্রকৌশলী। ১৪৫৩ খ্রিষ্টাব্দে কনস্টান্টিনোপল অবরোধের সময় তিনি উসমানীয় সুলতানের জন্য বিরাট একটি কামান নির্মাণ করেন। |
İlker Kurt | দ্বিতীয় মুরাদ | ষষ্ঠ উসমানীয় সুলতান, দ্বিতীয় মুহাম্মদের পিতা। |
Sedat Mert | জাগান পাশা | An Ottoman military commander who is used to be an ardent advocate for the conquest of Constantinople. He often confronts with Halil Pasha urging to live in peace with Byzantine Empire. |
Raif Hikmet Çam | Akshemseddin | One of Mehmed's tutors. He comes to Mehmed in the 40th day of the siege, and motivates the then-upset and frustrated Sultan with the discovery of Abu Ayyub Al Anshari's tomb near the Walls of Constantinople. |
Namık Kemal Yıiğittürk | Molla Hüsrev | One of Mehmed's tutors who invites Akshemseddin to motivate the Sultan in the 40th day of the siege. |
Öner As | Molla Gürani | One of Mehmed's tutors who invites Akshemseddin to motivate the Sultan in the 40th day of the siege. |
Mustafa Atilla Kunt | Şahabettin Pasha | An Ottoman military commander and vizier. He is tasked by Sultan Mehmed II to make three furnaces. During the siege of Constantinople he attacks the city from Tekfur Palace (Palace of the Porphyrogenitus) and the Gate of Caligaria. |
Özcan Aliser | Saruca Pasha | An Ottoman military commander and vizier. |
Murat Sezal | İsa Pasha | An Ottoman military commander. |
Faik Aksoy | Karaca Pasha | An Ottoman military commander. During the siege of Constantinople, he attacks the city from the Gate of Charisius and Blachernae Palace (Ayvansaray). |
Hüseyin Santur | Süleyman Pasha | An Ottoman admiral. During the siege of Constantinople, he attacks the city from the Golden Horn. He is banished by Mehmed after the failure to enter the Golden Horn. |
Ali Rıza Soydan | Pope | An unnamed Pope of Vatican (the contemporary Pope in that time was Nicholas V). |
Ali Ersin Yenar | Doge of Genoa | An unnamed Doge of Genoa who orders Giustiniani to command Genoese army after an assault towards Genoese freight in the Bosphorus (the contemporary Doge in that time was Pietro di Campofregoso). |
İzzet Çivril | Cardinal Isidore | A cardinal who offers supports from Vatican to Byzantium. |
Adnan Kürkçü | Gennadius Scholarius | An Orthodox theologian who strongly opposes the Emperor's plan to unite Eastern Orthodoxy with Roman Catholicism. |
Şahika Koldemir | Gülbahar Hatun | Mehmed's wife, mother of Prince Bayezid. |
Edip Tüfekçi | Prince Orhan | Pretender to the Ottoman throne who is an exile in Constantinople. During the siege of Constantinople, he is assigned to defend Port of Langa. |
Aslan İzmirli | Karamanoğlu İbrahim | Bey of Karamanids provoked to rebel against Ottoman Empire by Constantine XI. |
Yiğitcan Elmalı | শাহজাদা বায়েজিদ | দ্বিতীয় মুহাম্মদের পুত্র।. |
Oğuz Oktay | প্রথম উসমান | তুরস্কের উসমানীয় সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা। এই সাম্রাজ্য, যেটি তার নাম অনুসারে রাখা হয়, তা ছয় শতাব্দী ধরে পৃথিবীর একটি সাম্রাজ্য হিসেবে বিদ্যমান থাকে। এই চলচ্চিত্রে সুলতান মুহাম্মাদের স্বপ্নে তার চরিত্রটি প্ররসিত হয়। |
Tuncay Gençkalan | আবু আইয়ুব আনসারি | মুহাম্মদ এর একজন সাহাবি। কনস্টান্টিনোপল বিজয়ের জন্য প্রেরিত অভিযানে তিনি অংশ নেন এবং যুদ্ধে অবতীর্ণ হওয়ার পর অসুস্থ হয়ে পড়েন। অভিযান চলাকালে তিনি মারা যান।কনস্টান্টিপোলের দেয়ালের কাছে তাকে দাফন করা হয়। |
Halis Bayraktaroğlu | Kurtçu Doğan | Leader of the Janissary. |
Songül Kaya | Lady Emine | Halil Pasha's wife. |
Hüseyin Özay | Ali the Blacksmith | Hasan's teacher. |
Buminhan Dedecan | Mustafa | An Ottoman tunnel master. |
Emrah Özdemir | Selim | An Ottoman tunnel foreman. |
Yiğit Yarar | Hüseyin | An Ottoman soldier. |
Hüseyin Bozdemir | Mahmud | Orban's assistant. |
Osman Volkan Erciyes | Fathıl IV | The last brother of Mehmed. In this film, when he dies, Mehmed becomes ruler. |
২০১২ সালের ১৫ই ফেব্রুয়ারি স্থানীয় সময় দুপুর ২:৫৩ মিনিটে চলচ্চিত্রটি জাতীয়ভাবে তুরস্কে এবং তার একদিন পর, ১৬ই ফেব্রুয়ারি তে আন্তর্জাতিকভাবে বহির্বিশ্বে মুক্তি দেয়া হয়। মুক্তির প্রথম সপ্তাহেই ছবিটির প্রায় পঁচিশ লাখ টিকিট বিক্রি হয় এবং সর্বমোট ৪.৫ কোটি ডলার আয় করে রেকর্ড ভঙ্গ করে। মুক্তির প্রায় একবছর পর ২০১৩ সালের ৩রা মার্চ চলচ্চিত্রটি বাংলাদেশে স্টার সিনেপ্লেক্সে চলচ্চিত্রটির আন্তর্জাতিক নাম "ফেতিহ ১৪৫৩: ব্যাটল অব টু এম্পায়ার্স" নামে মুক্তি পায়।[৩]
চলচ্চিত্রটির আবহসঙ্গীতসমগ্র ২০ মার্চ আইটিউনসে এবং ৩ এপ্রিল অডিও সিডি আকারে মুক্তি পায়। চলচ্চিত্রটির আবহসঙ্গীত পরিচালনায় ছিলেন ব্রিটিশ সঙ্গীত পরিচালক বেঞ্চামিন ওয়ালফিস্চ।
সিনেমাটি বাণিজ্যিকভাবে চলাকালে তুরস্কের তৎকালীন(২০১২) প্রধানমন্ত্রী রেজেপ তাইয়িপ এরদোয়ানের জন্য একটি বিশেষ প্রদর্শনীর ব্যবস্থা করা হয় এবং সিনেমাটি দেখে তিনি অত্যন্ত পছন্দ করেন[৪]। অপরদিকে, ছায়াছবির পটভূমিতে ঐতিহাসিকভাবে বিরোধীপক্ষ হিসেবে সম্পর্ক থাকার সুবাদে গ্রীসে ছবিটিকে নিয়ে ব্যাপক সমালোচনা ও বিতর্ক শুরু হয় এবং বৈষম্যবাদী ও বিভ্রান্তিকর হিসেবে চলচ্চিত্রটির বিরুদ্ধে অভিযোগ ওঠে[৫]। এছাড়াও গ্রীসের একটি দৈনিক পত্রিকা চলচ্চিত্রটিকে তুরষ্কের "রাজনৈতিক চক্রান্ত" হিসেবে অভিহিত করে[৬]।