এই নিবন্ধের যাচাইযোগ্যতার জন্য অতিরিক্ত তথ্যসূত্র প্রয়োজন। |
![]() | |
![]() | |
নামসমূহ | |
---|---|
অন্যান্য নাম
আয়রন সালফাইড, ফেরাস সালফাইড, কালো আয়রন সালফাইড, প্রোটোসালফিউরেট অফ আয়রন
| |
শনাক্তকারী | |
ত্রিমাত্রিক মডেল (জেমল)
|
|
কেমস্পাইডার | |
ইসিএইচএ ইনফোকার্ড | ১০০.০১৩.৮৮১ |
ইসি-নম্বর | |
পাবকেম CID
|
|
ইউএনআইআই | |
কম্পটক্স ড্যাশবোর্ড (EPA)
|
|
| |
| |
বৈশিষ্ট্য | |
FeS | |
আণবিক ভর | ৮৭.৯১০ গ্রাম প্রতি মোল |
বর্ণ | ধূসর, কখনো কখনো খণ্ড বা গুঁড়া হিসেবে পাওয়া যায় |
ঘনত্ব | ৪.৮৪ গ্রাম প্রতি সেমি৩ |
গলনাঙ্ক | ১,১৯৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস (২,১৮১ ডিগ্রি ফারেনহাইট; ১,৪৬৭ kelvin) |
নগণ্য (অদ্রবণীয়) | |
দ্রাব্যতা | অম্লের সাথে বিক্রিয়া করে |
+১০৭৪.১০-৬ সেমি৩/মোল | |
ঝুঁকি প্রবণতা | |
প্রধান ঝুঁকিসমূহ | হাইড্রোজেন সালফাইড এর উৎস, বায়ুর সংস্পর্শে এলে অগ্নিকাণ্ড ঘটাতে পারে (pyrophoric) |
এনএফপিএ ৭০৪ | |
পরিবর্তনশীল | |
সম্পর্কিত যৌগ | |
সম্পর্কিত যৌগ
|
ফেরাস অক্সাইড আয়রন ডাইসালফাইড |
সুনির্দিষ্টভাবে উল্লেখ করা ছাড়া, পদার্থসমূহের সকল তথ্য-উপাত্তসমূহ তাদের প্রমাণ অবস্থা (২৫ °সে (৭৭ °ফা), ১০০ kPa) অনুসারে দেওয়া হয়েছে। | |
![]() ![]() ![]() | |
তথ্যছক তথ্যসূত্র | |
আয়রন (II) সালফাইড বা ফেরাস সালফাইড (ইংরেজি: Iron (II) sulfide, Ferrous sulfide ;ব্রিটিশ ইংরেজিতে বানান sulphide) হচ্ছে রাসায়নিক যৌগ এবং খনিজ পদার্থের একটি গোত্র, যার মোটামুটি রাসায়নিক সংকেত হচ্ছে FeS। আয়রন সালফাইডসমূহ অনেক ক্ষেত্রেই লোহার ঘাটতি সম্পন্ন নন-স্টয়কিওমেট্রিক যৌগ। এদের সবাই কালো বর্ণের, পানিতে অদ্রবণীয় কঠিন যৌগ।
লোহা () এবং সালফারকে () উত্তপ্ত করে পাওয়া যায়।[১]
নিকেল আর্সেনাইড এর গাঠনিক কাঠামো অনুসরণ করে, যেখানে কেন্দ্রীয় অষ্টতলকীয় এবং ত্রিকোণীয় প্রিজমাকৃতির সালফাইড () বিদ্যমান থাকে।
আয়রন সালফাইড, হাইড্রোক্লোরিক অ্যাসিডের সাথে বিক্রিয়া করে হাইড্রোজেন সালফাইড উন্মুক্ত করে।[২]
সালফিউরিক অ্যাসিডের সাথেও আয়রন সালফাইড একই ধরনের বিক্রিয়া করে।
সিক্ত বায়ুতে, আয়রন সালফাইড জারিত হয়ে সোদক ফেরাস সালফেট গঠন করে।
আয়রন-সালফার প্রোটিন হিসেবে প্রকৃতিতে ব্যাপকভাবে আয়রন সালফাইড এর উপস্থিতি দেখা যায়।
জলাভূমি কিংবা হ্রদ বা মহাসাগরের মৃত এলাকার মত অক্সিজেন-স্বল্প (বা হাইপক্সিক) অবস্থায় জৈব পদার্থ ক্ষয় হতে থাকলে, সালফেট-বিজারক ব্যাকটেরিয়া পানিতে উপস্থিত বিভিন্ন ধরনের সালফেটকে বিজারিতে করে। এর ফলে হাইড্রোজেন সালফাইড উৎপন্ন হয়। এই হাইড্রোজেন সালফাইডের অংশবিশেষ পানি অথবা কঠিন পদার্থে বিদ্যমান ধাতব আয়নের সাথে বিক্রিয়া করে আয়রন অথবা ধাতব সালফাইড গঠন করে, যেগুলো পানিতে অদ্রবণীয়। এই ধাতব সালফাইডসমূহ, যেমন- আয়রন (II) সালফাইড, অনেক ক্ষেত্রেই কালো বা বাদামী বর্ণের হয়ে থাকে, যা ক্রমশ কাদার রং ধারণ করে।
ডিসাল্ফোভিব্রিও (Desulfovibrio) নামক একটি সালফেট-বিজারক ব্যাকটেরিয়া'র বর্জ্য পদার্থ হিসেবে পিরোটাইট (Pyrrhotite) উৎপন্ন হয়।
যখন অনেকক্ষণ ধরে ডিম রান্না করা হয়, তখন এর কুসুমের পৃষ্ঠ সবুজ রং ধারণ করতে পারে। এই বর্ণ পরিবর্তন ঘটে আয়রন (II) সালফাইডের কারণে, যা ডিমের কুসুমে বিদ্যমান লোহার সাথে ডিমের সাদা অংশ থেকে তাপের প্রভাবে উন্মুক্ত হাইড্রোজেন সালফাইডের বিক্রিয়ার ফলে উৎপন্ন হয়।[৩] পুরনো ডিমের ক্ষেত্রে এই বিক্রিয়া দ্রুততর হয়ে থাকে, কেননা সেগুলোর সাদা অংশ অধিকতর ক্ষারীয় প্রকৃতির হয়।[৪]
পেপটোন আয়রন অ্যাগার বিকাশ মাধ্যমে কালো রঙের অধঃক্ষেপ হিসেবে ফেরাস সালফাইডের উপস্থিতি দ্বারা সিস্টিন বিপাকীয় উৎসেচক সিস্টিন ডি-সাল্ফহাইড্রেজ (cysteine desulfhydrase) উৎপাদনকারী অণুজীবের সাথে অন্যান্য অণুজীবের পার্থক্য করা যায়। পেপটোন আয়রন অ্যাগার -এ সিস্টিন নামক অ্যামিনো অ্যাসিড এবং ফেরিক সাইট্রেট নামক একটি রাসায়নিক নির্দেশক উপস্থিত থাকে। সিস্টিনের ভাঙনের ফলে হাইড্রোজেন সালফাইড উন্মুক্ত হয়, যা ফেরিক সাইট্রেট এর সাথে বিক্রিয়া করে ফেরাস সালফাইড গঠন করে।