ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
জন্ম | সেন্ট জেমস, বার্বাডোস | ৮ এপ্রিল ১৯৫৯|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
তাসমানিয়ান টাইগার্স | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বার্বাডোস | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
অরেঞ্জ ফ্রি স্টেট | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
গ্লুচেস্টারশায়ার | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০১৮ |
ফ্রাঙ্কলিন দাকস্তা স্টিফেনসন (ইংরেজি: Franklyn Stephenson; জন্ম: ৮ এপ্রিল, ১৯৫৯) বার্বাডোসের সেন্ট জেমস এলাকায় জন্মগ্রহণকারী বিখ্যাত ও সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট তারকা। চারটি মহাদেশে বিভিন্ন দলের সদস্যরূপে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। দলে তিনি মূলতঃ অল-রাউন্ডার ছিলেন। মাঝারিসারির মারকুটে ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলার পাশাপাশি ডানহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন ফ্রাঙ্কলিন স্টিফেনসন।
স্বর্ণালী সময়ে আরোহণকালে প্রকৃত ফাস্ট বোলারের দায়িত্ব পালন করতেন। পাশাপাশি ধীরগতিসম্পন্ন বলের প্রবর্তক তিনি ও একদিনের ক্রিকেটে প্রথম বোলার হিসেবে নিয়মিতভাবে এ ধরনের বল করতেন। প্রকৃত অল-রাউন্ডার হিসেবে ফ্রাঙ্কলিন স্টিফেনসন ১৯৭৮ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের যুবদলের পক্ষে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ড গমন করেন। এরপর আট মাসেরও কম সময়ের মধ্যে ১৯৮১সালে অক্টোবরের শেষদিকে প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে অভিষিক্ত হন। প্রথমে অস্ট্রেলিয়ায় তাসমানিয়া, এরপর নিজ জন্মভূমি বার্বাডোস ও অবশেষে ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেটে গ্লুচেস্টারশায়ারের পক্ষে খেলেছেন। তবে, অভিষেক খেলার পর ১৯৮২-৮৩ মৌসুমে চতুর্থ মহাদেশের দলে অংশগ্রহণের পর বিপত্তি ঘটতে শুরু করে।
লরেন্স রো ও আলভিন কালীচরণের নেতৃত্বে বিদ্রোহী ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশের সদস্যরূপে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে যান। বিশ্ব ক্রিকেট থেকে তৎকালীন বর্ণবৈষম্যবাদী দক্ষিণ আফ্রিকায় টেস্ট ও একদিনের আন্তর্জাতিকে অংশ নেন তারা। ফলশ্রুতিতে দলের প্রত্যেক সদস্যকেই আজীবনের জন্য সকল স্তরের ক্রিকেট খেলতে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়। ১৯৮৯ সালে এ নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার করা হলেও ফ্রাঙ্কলিন স্টিফেনসনকে আর টেস্ট খেলতে দেখা যায়নি। বৈশ্বিক পর্যায়ে তাকে অন্যতম সেরা ক্রিকেটারের মর্যাদা দেয়া হলেও ওয়েস্ট ইন্ডিজের পক্ষে টেস্ট খেলার সুযোগ পাননি।[১]
বিদ্রোহী সদস্যদের অনেকের ন্যায় স্টিফেনসনকে ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান ক্রিকেটে খেলতে দেখা যায়। ১৯৮৯-৯০ মৌসুমের রেড স্ট্রিপ কাপ সিরিজে বার্বাডোসের পক্ষে খেলেন। তবে, খেলোয়াড়ী জীবনের অধিকাংশ সময়ই ইংরেজ কাউন্টি দল ও দক্ষিণ আফ্রিকায় ফ্রি স্টেটের পক্ষে খেলেছেন তিনি।
১৯৮৮ সালে নটিংহ্যামশায়ারের পক্ষে প্রথম মৌসুম অতিবাহিত করেন ফ্রাঙ্কলিন স্টিফেনসন। প্রথম মৌসুমটি দূর্দান্তভাবে অতিক্রম করেন। ১৯৬৯ সাল থেকে ইংরেজ প্রথম-শ্রেণীর খেলা কম আয়োজনের প্রেক্ষিতে একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে নিউজিল্যান্ডীয় বিখ্যাত অল-রাউন্ডার রিচার্ড হ্যাডলি’র ১০০০ রান ও ১০০ উইকেট প্রাপ্তির ন্যায় ডাবল লাভের পর ১৯৮৮ সালে সর্বশেষ ক্রিকেটার হিসেবে তিনি এ কৃতিত্বের অধিকারী হন। এ মৌসুমে ১০১৮ রান ও ১২৫ উইকেট পান তিনি। ফলশ্রুতিতে পরের বছর উইজডেন কর্তৃক অন্যতম বর্ষসেরা ক্রিকেটারের সম্মাননায় ভূষিত হন তিনি।[২] এছাড়াও, ক্রিকেট সোসাইটি’র পক্ষ থেকে শীর্ষস্থানীয় অল-রাউন্ডারের মর্যাদা দেয়া হয়। তন্মধ্যে, মৌসুমের চূড়ান্ত খেলায় ইয়র্কশায়ারের বিপক্ষে উভয় ইনিংসে নটসের পক্ষে সেঞ্চুরি করার পাশাপাশি ১১ উইকেট লাভ করেন। অসাধারণ ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শন করা স্বত্ত্বেও নটসরা ১২৭ রানের ব্যবধানে পরাভূত হয়েছিল।[৩]
পরবর্তী তিন মৌসুমেও নিরবিচ্ছিন্নভাবে তিনি তার এই কার্যকর অল-রাউন্ড নৈপুণ্য অব্যাহত রাখেন। ১৯৯২ সালে সাসেক্সে স্থানান্তরিত হন। সেখানে তিনি আরও চার মৌসুম খেলেন। ১৯৯৪ সালে ৭৫০ রান ও ৬৭ উইকেট নিয়ে শীর্ষস্থানীয় অল-রাউন্ডার হন।
১৯৯৫ সালের পর ইংরেজ কাউন্টি ক্রিকেট থেকে অবসর নেন ও দক্ষিণ আফ্রিকান ঘরোয়া ক্রিকেটে অংশ নেন। ১৯৯৬-৯৭ মৌসুমের পর আর খেলার জগতে ফিরে আসেননি তিনি। ক্রিকেট খেলার পাশাপাশি দক্ষ গল্ফার হিসেবে ফ্রাঙ্কলিন স্টিফেনসনের সুনাম ছিল।