ব্যক্তিগত তথ্য | |||
---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ফ্রেদেরিকো রদ্রিগেস দে পাউলা সান্তোস[১] | ||
জন্ম | ৫ মার্চ ১৯৯৩ | ||
জন্ম স্থান | বেলু ওরিজোঁতি, ব্রাজিল | ||
উচ্চতা | ১.৬৯ মিটার (৫ ফুট ৬+১⁄২ ইঞ্চি) | ||
মাঠে অবস্থান | মধ্যমাঠের খেলোয়াড় | ||
ক্লাবের তথ্য | |||
বর্তমান দল | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ||
জার্সি নম্বর | ১৭ | ||
যুব পর্যায় | |||
২০০৩–২০০৯ | আতলেতিকো মিনেইরো | ||
২০০৯–২০১০ | পোর্তু আলেগ্রে | ||
২০১০–২০১২ | ইন্তেরনাসিওনাল | ||
জ্যেষ্ঠ পর্যায়* | |||
বছর | দল | ম্যাচ | (গোল) |
২০১২–২০১৩ | ইন্তেরনাসিওনাল | ৩৩ | (৭) |
২০১৩–২০১৮ | শাখতার দোনেৎস্ক | ১০১ | (১০) |
২০১৮– | ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড | ১০৮ | (৬) |
জাতীয় দল‡ | |||
২০১৩ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ | ৩ | (০) |
২০১৫ | ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ | ২ | (০) |
২০১৪– | ব্রাজিল | ২৭ | (০) |
* কেবল ঘরোয়া লিগে ক্লাবের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা গণনা করা হয়েছে এবং ১৬:০৪, ২৭ আগস্ট ২০২২ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সকল তথ্য সঠিক। ‡ জাতীয় দলের হয়ে ম্যাচ ও গোলসংখ্যা ১৬:০৪, ২৭ আগস্ট ২০২২ (ইউটিসি) তারিখ অনুযায়ী সঠিক। |
ফ্রেদেরিকো রদ্রিগেস দে পাউলা সান্তোস (পর্তুগিজ: Fred, ব্রাজিলীয় পর্তুগিজ: [ˈfɾɛd(ʒ)i]; জন্ম: ৫ মার্চ ১৯৯৩; ফ্রেজ নামে সুপরিচিত) হলেন একজন ব্রাজিলীয় পেশাদার ফুটবল খেলোয়াড়। তিনি বর্তমানে ইংল্যান্ডের পেশাদার ফুটবল লিগের শীর্ষ স্তর প্রিমিয়ার লিগের ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড এবং ব্রাজিল জাতীয় দলের হয়ে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন। তিনি মূলত কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেললেও মাঝেমধ্যে আক্রমণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় এবং রক্ষণাত্মক মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেন।
২০০৩–০৪ মৌসুমে, ব্রাজিলীয় ফুটবল ক্লাব আতলেতিকো মিনেইরোর যুব পর্যায়ের হয়ে খেলার মাধ্যমে ফ্রেজ ফুটবল জগতে প্রবেশ করেছেন এবং পরবর্তীকালে পোর্তু আলেগ্রে এবং ইন্তেরনাসিওনালের যুব দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি ফুটবল খেলায় বিকশিত হয়েছেন। ২০১২ সালে, ব্রাজিলীয় ক্লাব ইন্তেরনাসিওনালের হয়ে খেলার মাধ্যমে তিনি তার জ্যেষ্ঠ পর্যায়ের খেলোয়াড়ি জীবন শুরু করেছেন; ইন্তেরনাসিওনালের হয়ে ২ মৌসুমে ৩৩ ম্যাচে ৭টি গোল করার পর ২০১৩–১৪ মৌসুমে তিনি ইউক্রেনীয় ক্লাব শাখতার দোনেৎস্কে যোগদান করেছেন। শাখতার দোনেৎস্কের হয়ে তার তিন মৌসুমে ইউক্রেনীয় প্রিমিয়ার লিগের শিরোপা জয়লাভ করেছেন। ২০১৮–১৯ মৌসুমে, তিনি প্রায় ৫৯ মিলিয়ন ইউরোর বিনিময়ে শাখতার দোনেৎস্ক হতে ইংরেজ ক্লাব ম্যানচেস্টার ইউনাইটেডে যোগদান করেছেন।
২০১৩ সালে, ফ্রেজ ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক পর্যায়ে অভিষেক করেছিলেন। ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে খেলার পর পরের বছর তিনি ব্রাজিলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন; ব্রাজিলের জার্সি গায়ে তিনি এপর্যন্ত ১৯ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন। তিনি ব্রাজিলের হয়ে ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপ এবং ২টি কোপা আমেরিকায় (২০১৫ এবং ২০২১) অংশগ্রহণ করেছেন, যার মধ্যে ২০২১ সালে তিতের অধীনে কোপা আমেরিকার রানার-আপ হয়েছেন।
ব্যক্তিগতভাবে, ফ্রেজ বেশ কিছু পুরস্কার জয়লাভ করেছেন, যার মধ্যে ২০১৯–২০ উয়েফা ইউরোপা লিগের মৌসুম সেরা দলে অন্তর্ভুক্তি অন্যতম।
ফ্রেদেরিকো রদ্রিগেস দে পাউলা সান্তোস ১৯৯৩ সালের ৫ই মার্চ তারিখে ব্রাজিলের বেলু ওরিজোঁতিতে জন্মগ্রহণ করেছেন এবং সেখানেই তার শৈশব অতিবাহিত করেছেন।
ফ্রেজ ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ এবং ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২৩ দলের হয়ে খেলার মাধ্যমে ব্রাজিলের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[২] ২০১৩ সালের ১১ই জানুয়ারি তারিখে তিনি ২০১৩ দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে ইকুয়েডর অনূর্ধ্ব-২০ দলের বিরুদ্ধে ম্যাচে ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে অভিষেক করেছেন।[৩][৪] ব্রাজিল অনূর্ধ্ব-২০ দলের হয়ে তিনি ২০১৩ দক্ষিণ আমেরিকান অনূর্ধ্ব-২০ চ্যাম্পিয়নশিপে অংশগ্রহণ করেছেন,[৫][৬] যেখানে তার দল গ্রুপ পর্ব শেষে মাত্র ৪ পয়েন্ট নিয়ে গ্রুপ পর্ব থেকেই বিদায় নিয়েছিল। এই আসরে তিনি ৩ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছিলেন।[৭] ব্রাজিলের বয়সভিত্তিক দলের হয়ে তিনি ৫ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
২০১৪ সালের ১২ই নভেম্বর তারিখে, মাত্র ২১ বছর ৮ মাস ৭ দিন বয়সে, বাম পায়ে ফুটবল খেলায় পারদর্শী ফ্রেজ তুরস্কের বিরুদ্ধে অনুষ্ঠিত প্রীতি ম্যাচে অংশগ্রহণ করার মাধ্যমে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্রাজিলের হয়ে অভিষেক করেছেন।[৮][৯][১০] উক্ত ম্যাচের ৮৫তম মিনিটে মধ্যমাঠের খেলোয়াড় লুইজ গুস্তাভোর বদলি খেলোয়াড় হিসেবে তিনি মাঠে প্রবেশ করেছিলেন;[১১] ম্যাচে তিনি ২২ নম্বর জার্সি পরিধান করে কেন্দ্রীয় মধ্যমাঠের খেলোয়াড় হিসেবে খেলেছিলেন।[১২] ম্যাচটি ব্রাজিল ৪–০ গোলের ব্যবধানে জয়লাভ করেছিল।[১৩] ব্রাজিলের হয়ে অভিষেকের বছরে ফ্রেজ সর্বমোট ২ ম্যাচে অংশগ্রহণ করেছেন।
ফ্রেজ রাশিয়ায় অনুষ্ঠিত ২০১৮ ফিফা বিশ্বকাপের জন্য তিতের অধীনে ঘোষিত ব্রাজিল দলে স্থান পাওয়ার মাধ্যমে প্রথমবারের মতো ফিফা বিশ্বকাপে অংশগ্রহণ করার সুযোগ পেলেও তিনি একটি ম্যাচেও অংশগ্রহণ করেননি।[১৪][১৫][১৬] এই আসরে ব্রাজিল কোয়ার্টার-ফাইনালে বেলজিয়ামের কাছে ২–১ গোলের ব্যবধানে পরাজিত হয়ে আসর হতে বিদায় নিয়েছিল।[১৭]
২০১৫ কোপা আমেরিকার সময় মূত্রবর্ধক হাইড্রোক্লোরোথাইয়াজিড পরীক্ষায় ইতিবাচক ফলাফল এসেছিল।[১৮] অবশেষে ২০১৭ সালের মার্চ মাসে, তাকে ২০১৭ সালের জুলাই মাস পর্যন্ত নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।[১৯]
দল | সাল | ম্যাচ | গোল |
---|---|---|---|
ব্রাজিল | ২০১৪ | ২ | ০ |
২০১৫ | ৪ | ০ | |
২০১৮ | ৫ | ০ | |
২০২১ | ১২ | ০ | |
২০২২ | ৪ | ০ | |
সর্বমোট | ২৭ | ০ |