ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | জর্জ ফ্রেডরিক গ্রেস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ডাউনএন্ড, দক্ষিণ গ্লুচেস্টারশায়ার | ১৩ ডিসেম্বর ১৮৫০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২২ সেপ্টেম্বর ১৮৮০ ব্যাসিংস্টোক, হ্যাম্পশায়ার | (বয়স ২৯)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট (রাউন্ডআর্ম) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | অল-রাউন্ডার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | এইচ. গ্রেস, ই. এম. গ্রেস, ডব্লিউ. জি. গ্রেস (ভ্রাতৃত্রয়); ডব্লিউ. আর. গিলবার্ট (কাকাতো ভাই) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ২৩) | ৬ সেপ্টেম্বর ১৮৮০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৭০-১৮৮০ | গ্লুচেস্টারশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৮৭০-১৮৭৬ | ইউএসইই | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২১ ডিসেম্বর ২০১৬ |
জর্জ ফ্রেডরিক ফ্রেড গ্রেস (ইংরেজি: Fred Grace; জন্ম: ১৩ ডিসেম্বর, ১৮৫০ - মৃত্যু: ২২ সেপ্টেম্বর, ১৮৮০) দক্ষিণ গ্লুচেস্টারশায়ারের ডাউনএন্ডে জন্মগ্রহণকারী ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ১৮৬৬ থেকে ১৮৮০ সময়কালে গ্লুচেস্টারশায়ার, ইউনাইটেড সাউথ অব ইংল্যান্ড ইলাভেন (ইউএসইই) দলের পক্ষে খেলেন। এছাড়াও ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের পক্ষে একটিমাত্র টেস্টে অংশ নিয়েছিলেন ফ্রেড গ্রেস। ডানহাতি ব্যাটসম্যান হিসেবে ডানহাতে ফাস্ট রাউন্ডআর্ম বোলিংয়ে পারদর্শিতা দেখিয়েছেন।
পরিসংখ্যানগতভাবে চিহ্নিত প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটের ১৯৫ খেলায় অংশ নিয়েছিলেন তিনি।[ফ ১] ঐ খেলাগুলোয় ৬,৯০৬ রান তোলেন। তন্মধ্যে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ ছিল অপরাজিত ১৮৯*। অসাধারণ ফিল্ডার হিসেবেও পরিচিতি পেয়েছেন তিনি। এছাড়াও মাঝে-মধ্যে উইকেট-রক্ষণের দায়িত্বেও ছিলেন। ১৭০ ক্যাচ নেয়াসহ তিনটি স্ট্যাম্পিংয়ে জড়িত রয়েছেন তিনি। ৩২৯ উইকেট লাভ করেন। সেরা বোলিং পরিসংখ্যান গড়েছেন ৮/৪৩।[১][২]
ফ্রেড পরিবারের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য ছিলেন ফ্রেড গ্রেস। হেনরি, আলফ্রেড, ইএম এবং ডব্লিউজি - বড় চার ভাইদের সকলেই ক্রিকেটের সাথে সম্পৃক্ত ছিলেন। ইএম এবং ডব্লিউজি’র ন্যায় সমসাময়িককালে মুদ্রিত আকারে তিনি জি. এফ. গ্রেস নামে সংক্ষিপ্ত আকারে পরিচিত হয়েছিলেন। পরবর্তীতে অবশ্য তিনি ফ্রেড নামেই পরিচিতি পান। তবে বড় দুই ভাই হেনরি ও আলফ্রেড তাঁদের নামের প্রথম অংশেই সর্বদা পরিচিত ছিলেন।[৩][৪][৫]
ক্লাব ক্রিকেটেই তিনি সকলের আকর্ষণের কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হন। তাঁর বাবা ওয়েস্ট গ্লুচেস্টারশায়ার ক্রিকেট ক্লাবে খেলেছিলেন। মাত্র ১৩ বছর বয়সে ১৮৬৪ সালে ঐ ক্লাবেও তাঁর অংশগ্রহণ ঘটে। বলা হয়ে থাকে যে, ডব্লিউজি’র ন্যায় তিনি সোজা ব্যাটে খেলতে অনভ্যস্ত ছিলেন।[৬] কিন্তু, হিটিংয়ের মাধ্যমে ঠিকই তা পুষিয়ে নিয়েছিলেন। ফিল্ডিংয়ে তাঁর দাঁড়ানোর ভঙ্গীমা ছিল অসাধারণ। খেলায় সর্বক্ষণই অসাধারণ পরিচয় দিতেন ও বর্ণাঢ্যময় ফিল্ডিংয়ের মাধ্যমে প্রশংসা কুড়াতেন।[৭]
প্রশ্নাতীতভাবেই ১৮৭০-এর দশকে ফ্রেড গ্রেস শীর্ষস্থানীয় ক্রিকেটার ছিলেন। কিন্তু অনেকেরই অভিমত যে, ডব্লিউজি’র কারণে তাঁর সাফল্য অনেকাংশেই চোখে পড়েনি।
সেপ্টেম্বর, ১৮৮০ সালে ওভালে ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়ার মধ্যকার খেলাটি টেস্টের মর্যাদা পায়। ঐ খেলায় প্রথমবারের মতো ইএম, ডব্লিউজি এবং ফ্রেড - এ তিন ভাই ইংল্যান্ড দলের পক্ষে অংশগ্রহণ করেছিলেন।
সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে একটিমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ করেছেন লেন বাটারফিল্ড। ৬ সেপ্টেম্বর, ১৮৮০ তারিখে ওভালে সফরকারী অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। এটিই তার একমাত্র টেস্টে অংশগ্রহণ ছিল। এরপর আর তাকে কোন টেস্টে অংশগ্রহণ করতে দেখা যায়নি।
একমাত্র টেস্টের উভয় ইনিংসে শূন্য রান করেন। এরফলে দশজন ক্রিকেটারের অন্যতম হিসেবে তাদের একমাত্র টেস্টের উভয় ইনিংসে শূন্য রানে আউট হবার তালিকার শীর্ষে থেকে খেলোয়াড়ী জীবন সম্পন্ন করেছেন। এ তালিকায় গর্ডন রো, লেন বাটারফিল্ড ও সাম্প্রতিককালে গ্যাভিন হ্যামিলটন রয়েছেন।
২২ সেপ্টেম্বর, ১৮৮০ তারিখে তাঁর দেহাবসান ঘটে। নিউমোনিয়ায় আক্রান্ত হন ও ফুসফুসের সংক্রমণে তাঁর মৃত্যু হয়। তাঁর শবযাত্রায় প্রায় ৩,০০০ লোক উপস্থিত ছিল ও ডাউনএন্ডের সমাধিস্থলে তাঁকে সমাধিস্থ করা হয়। ঐ দিনই অস্ট্রেলীয়রা শেষ খেলায় অংশ নিয়েছিল ও বাহুতে কালো কাপড় ধারণ করে তাঁকে নীরব শ্রদ্ধাজ্ঞাপন করে। দ্য টাইমস এ প্রসঙ্গে লিখে যে, তাঁর পুরুষসূলভ আচরণ ও সোজাসাপ্টা জবাবই তাঁকে জনপ্রিয়তায় নিয়ে আসেনি বরং আতিথেয়তা ও বন্ধুসূলভ আচরণও সকলকে বিমোহিত করে রেখেছিল।[৮]
তবে গ্রেসের অসুস্থতার বিষয়ে স্যাঁতস্যাঁতে হোটেলের বিছানায় অবস্থানের কারণে ঘটেছে বলে জানা যায়।[৪] কিন্তু তা সাময়িকভাবেই বিতর্কের লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়। কেননা, ওভালে অনুষ্ঠিত খেলা চলাকালীনই তিনি ঠাণ্ডায় আক্রান্ত হন ও এ অবস্থাতেই তিনি ব্যাসিংস্টোকে এসেছিলেন।