![]() ১৮৮৪ সালের সংগৃহীত স্থিরচিত্রে ফ্রেড মর্লে | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | ফ্রেডরিক মর্লে | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | সাটন-ইন-অ্যাশফিল্ড, নটিংহ্যামশায়ার, ইংল্যান্ড | ১৬ ডিসেম্বর ১৮৫০|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ২৮ সেপ্টেম্বর ১৮৮৪ সাটন-ইন-অ্যাশফিল্ড, নটিংহ্যামশায়ার, ইংল্যান্ড | (বয়স ৩৩)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | বামহাতি ফাস্ট | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
সম্পর্ক | সন্তান: ‘সারাহ’, ‘হ্যারল্ড’ ও ‘অ্যালেন’ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ২৬) | ৬ সেপ্টেম্বর ১৮৮০ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২১ ফেব্রুয়ারি ১৮৮৩ বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২২ জুলাই ২০১৭ |
ফ্রেডরিক (‘স্পিডি ফ্রেড’)[১][২][৩] মর্লে (ইংরেজি: Fred Morley; জন্ম: ১৬ ডিসেম্বর, ১৮৫০ - মৃত্যু: ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৪) নটিংহামশায়ারের সাটন-ইন-অ্যাশফিল্ড এলাকায় জন্মগ্রহণকারী প্রথিতযশা পেশাদার ইংরেজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। ইংল্যান্ড ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ১৮৮০ থেকে ১৮৮৩ সময়কালে ইংল্যান্ডের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন। শীর্ষে আরোহণকালে তাকে ইংল্যান্ডের সর্বাপেক্ষা দ্রুতগতিসম্পন্ন বোলার হিসেবে বিবেচনা করা হতো। এছাড়াও, ১৩ বছরব্যাপী নটিংহামশায়ারের পক্ষে খেলেন। বামহাতে ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বামহাতে ফাস্ট বোলিং করতেন ফ্রেড মর্লে।
১৮৭৯-৮০ মৌসুমে মর্লে রিচার্ড ডাফ্টের সাথে উত্তর আমেরিকা সফরে যান। ১৮৮০ সালে তিনি খেলার জন্য মনোনীত হন যা পরবর্তীকালে ইংল্যান্ডে প্রথম টেস্ট খেলারূপে স্বীকৃতি লাভ করে। খেলায় তিনি ৮/১৪৬ পান; তন্মধ্যে, প্রথম ইনিংসেই পেয়েছিলেন পাঁচ উইকেট।[৪] ১৮৮২-৮৩ মৌসুমে সম্মানীয় ইভো ব্লাইয়ের দলের সদস্যরূপে অ্যাশেজ করায়ত্ত্ব করতে অস্ট্রেলিয়া সফরে যান। তবে, কলম্বো বন্দরে দলের জাহাজে আরোহণের সময় তিনি গুরুতরভাবে উরুতে আঘাতপ্রাপ্ত হন।[৫] আনুষ্ঠানিকভাবে এ ঘটনাকে দূর্ভাগ্যজনকরূপে আখ্যায়িত করা হয়। তবে গুজব রয়েছে যে, কিছু ইতিহাসবেত্তা প্রতিপক্ষীয় ক্রিকেট দলের যোগসাজসে এটি ঘটেছে বলে দাবী করা হয়ে থাকে।[১][২]
এ আঘাতের পর থেকে তার বোলিং সক্ষমতা দূর্বলতর হতে থাকে। তিনি আর কখনো এ আঘাত থেকে উত্তরণ ঘটাতে সমর্থ হননি। ক্রমাগত স্বাস্থ্যের অবনতি ও আর্থিক সুবিধা আনয়ণে ব্যর্থ হওয়ায় তিনি তার পরিবারের সদস্যদের কাছ থেকে প্রত্যাখ্যাত হন। বাদ-বাকী জীবন তার করুণ অবস্থায় নিপতিত হয়।[৬]
মাত্র ৩৩ বছর বয়সে ২৮ সেপ্টেম্বর, ১৮৮৪ তারিখে মাত্রাতিরিক্ত দেহে জলের উপস্থিতির কারণে তার দেহাবসান ঘটে।[৭] বামহাতে একটি বল রেখে তাকে সমাহিত করা হয়।[৬] ‘হান্না’ নাম্নী এক সেলাইকর্মীকে বিয়ে করেন। তাদের সংসারে ‘সারাহ’, ‘হ্যারল্ড’ ও ‘অ্যালেন’ নামীয় তিন সন্তান ছিল। জন্মকালীন ‘ফ্রেডেরিক মর্লে’ নামে তাকে নিবন্ধিত করা হয়েছিল।