স্যার ফ্র্যাংক স্টেনটন | |
---|---|
জন্ম | ম্যানচেস্টার, ইংল্যান্ড | ১৭ মে ১৮৮০
মৃত্যু | ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭ | (বয়স ৮৭)
জাতীয়তা | ইংরেজ |
পেশা | ইতিহাসবিদ |
দাম্পত্য সঙ্গী | ডরিস মেরি স্টেনটন |
স্যার ফ্র্যাংক মেরি স্টেনটন এফবিএ (ইংরেজি: Sir Frank Merry Stenton; ১৭ মে, ১৮৮০ – ১৫ সেপ্টেম্বর ১৯৬৭) ছিলেন বিংশ শতাব্দীর এক অ্যাংলো-স্যাক্সন ইংল্যান্ড-বিশারদ ইতিহাসবিদ তথা রয়্যাল হিস্টোরিক্যাল সোসাইটির সভাপতি (১৯৩৭-১৯৪৫)।[১]
সাউথওয়েল, নটিংহ্যামশায়ারের হেনরি স্টেনটনের পুত্র[২] স্যার ফ্র্যাংক স্টেনটন কেবল কলেজ, অক্সফোর্ডে শিক্ষালাভ করেছিলেন এবং ১৯৪৭ সা;এ সাম্মানিক অক্সব্রিজ ফেলো নির্বাচিত হয়েছিলেন।[৩]
অ্যালেন ময়ারের সঙ্গে স্টেনটন ইংলিশ প্লেস-নেম সোসাইটির দ্বিতীয় খণ্ড দ্য প্লেস-নেমস অফ বাকিংহ্যামশায়ার রচনা করেন। বইটি প্রকাশিত হয় ১৯২৫ সালে। ১৯২৯ সালে তিনি অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে ফোর্ড বক্তৃতা প্রদান করেন। এরপর তিনি অক্সফোর্ড হিস্ট্রি অফ ইংল্যান্ড-এর অন্যতম খণ্ড অ্যাংলো-স্যাক্সন ইংল্যান্ড রচনা করেন। ১৯৪৩ সালে প্রথম প্রকাশিত এই বইটি সেই যুগের ইতিহাসের একটি ধ্রুপদি গ্রন্থ হিসেবে পরিগণিত হয়।
স্টেনটন ছিলেন রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের ইতিহাসের অধ্যাপক (১৯২৬-১৯৪৬)। এরপর তিনি উক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য (১৯৪৬-১৯৫০) হয়েছিলেন। রিডিং-এর উপাচার্য থাকাকালীন তিনি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃক হোয়াইটনাইটস পার্ক ক্রয়ের পৌরোহিত্য করেন। পরবর্তী দশকগুলিতে এখানে একটি নতুন শিক্ষাপ্রাঙ্গন তৈরি হওয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্ষেত্র প্রসারিত হয়েছিল। ২০০৮ সালের নভেম্বর মাসে ঘোষণা করা হয় যে সেই শিক্ষাপ্রাঙ্গনে একটি নতুন আবাসিক হল তৈরি করা হবে এবং স্টেনটনের সম্মানে সেটিকে স্টেনটন হল নামে অভিহিত করা হবে। ১৯৬৭ সালে রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ে বার্ষিক স্টেনটন বক্তৃতার সূচনা ঘটে। বিশিষ্ট ইতিহাসবিদগণ এই বক্তৃতা দিয়ে থাকেন।[৪]
১৯৪৮ নববর্ষ সম্মাননা উপলক্ষ্যে তাঁকে নাইটহুড প্রদান করা হয়।[৫] ১৯৪৮ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি বাকিংহ্যাম প্রাসাদে রাজা ষষ্ঠ জর্জের থেকে নাইটহুডের খেতাব-পত্র লাভ করেন।[৬]
তাঁর স্ত্রী ডরিস মেরি স্টেনটন অ্যাংলো-স্যাক্সন ইংল্যান্ড গ্রন্থের তৃতীয় সংস্করণের একটি ভূমিকা রচনা করেন। এই সংস্করণটি স্যার ফ্র্যাংক স্টেনটনের মৃত্যুর পর প্রকাশিত হয়েছিল। এছাড়া ডরিস মেরি স্টেনটন ১৯৭০ সালে প্রকাশিত প্রিপেয়ারেটরি টু অ্যাংলো-স্যাক্সন ইংল্যান্ড: বিইং দ্য কালেক্টেড পেপারস অফ ফ্র্যাংক মেরি স্টেনটন গ্রন্থটি সম্পাদনা করেন। ডরিস মেরি স্টেনটন নিজেও এক ইতিহাসবিদ ছিলেন। তাঁর রচিত গ্রন্থাবলির মধ্যে পেলিকান হিস্ট্রি অফ ইংল্যান্ড ধারাবাহিকের ইংলিশ সোসাইটি ইন দি আর্লি মিডল এজেস ও দি ইংলিশ ওম্যান ইন হিস্ট্রি (১৯৫৭) বই দু’টি উল্লেখযোগ্য।[৪]
ফ্র্যাংক স্টেনটন ও তাঁর স্ত্রীর গবেষণা পত্র, তাঁদের গ্রন্থাগার ও মুদ্রা সংগ্রহ বর্তমানে রিডিং বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি বিশেষ সংগ্রহশালার অংশ।
অ্যাকাডেমিক অফিস | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী এফ. এম. পোউইক |
রয়্যাল হিস্টোরিক্যাল সোসাইটির সভাপতি ১৯৩৭–১৯৪৫ |
উত্তরসূরী রবার্ট উইলিয়াম সেটন-ওয়াটসন |
টেমপ্লেট:রয়্যাল হিস্টোরিক্যাল সোসাইটির সভাপতি টেমপ্লেট:এফবিএ ১৯২৬