বখত-উন-নেসা বেগম | |||||
---|---|---|---|---|---|
জন্ম | আনু. 1547 | ||||
মৃত্যু | 2 June ১৬০৮ (বয়স ৬০–৬১) আগ্রা, ভারত | ||||
দাম্পত্য সঙ্গী | শাহ আব্দুল মা'য়ালি খাজা হাসান নকশবন্দী | ||||
বংশধর | মির্জা বদি-উজ-জামান মির্জা ওয়ালী | ||||
| |||||
রাজবংশ | তৈমুরি রাজবংশ | ||||
পিতা | হুমায়ুন | ||||
মাতা | মাহে চুচাক বেগম |
বখত-উন-নেসা বেগম [a](ফার্সি: بخت النسا بیگم ;আনু. ১৫৪৭ - ২ জুন, ১৬০৮) একজন মোগল রাজকন্যা। তার নামের অর্থ হলো "মহিলাদের মধ্যে ভাগ্যবান"। তিনি মোগল সম্রাট হুমায়ুনের কন্যা।
বখত-উন-নেসা বেগম ১৫৪৭ সালে বাদাখশানে জন্মগ্রহণ করেন। তার মায়ের নাম মাহে চুচাক বেগম। তার জন্মের রাতে সম্রাট হুমায়ুন একটা আশ্চর্য স্বপ্ন দেখেন, তাই তার নাম রাখেন 'বখত-উন-নেসা'। তার ভাইবোনদের মধ্যে আছেন মির্জা মুহাম্মদ হাকিম,ফারুক ফাল মির্জা, সাকিনা বানু বেগম এবং আমিন বানু বেগম।[১]
যখন মাহে চুচাক বেগম কাবুল শাসন করতেন, তখন শাহ আব্দুল মা'য়ালি লাহোরের জেল থেকে পালিয়ে কাবুল চলে আসেন এবং তার কাছে আশ্রয় চান। চুচাক বেগম তাকে অভ্যর্থনা জানান এবং তার মেয়ে বখত-উন-নেসা বেগমকে তার সাথে বিয়ে দেন।[২][৩] আব্দুল মা'য়ালী চুচাক বেগমের আধিপত্য ও হস্তক্ষেপে বিরক্ত হয়ে পড়েন। তিনি কাবুল নিজের অধিকারে নেওয়ার জন্য পরিকল্পনা করেন। ১৫৬৪ সালে তিনি চুচাক বেগমকে হত্যা করেন।[৪] পরবর্তীতে শাহ আব্দুল মা'য়ালিকে হত্যা করা হয়।[৫]
আবদুল মা'য়ালীর মৃত্যুর পর হাকিম মির্জার তত্ত্বাবধানে বখত-উন-নেসাকে খাজা হাসান নখশবন্দীর সাথে বিয়ে দিয়েছিলেন।[৩][৬] খাজা হাসানের সাথে তিনি দুইজন পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। তারা হলেন মির্জা বাদি-উজ-জামান ও মির্জা ওয়ালী।[৭] ১৬১২ সালে সম্রাট জাহাঙ্গীর সম্রাটের আকবরের পুত্র রাজকুমার দানিয়েল মির্জার মেয়ে বুলাকি বেগমের সাথে মির্জা ওয়ালীকে বিয়ে দিয়েছিলেন।[৮]
তার ভাই হাকিম মির্জা কাবুলের গভর্নর ছিলেন। সম্রাট আকবর তার বিরুদ্ধে যুদ্ধ ঘোষণা করেছিলেন। যুদ্ধ শুরু হলে তিনি পালিয়ে পাহাড়ে চলে গিয়েছিলেন। যুদ্ধে তিনি পরাজিত হন এবং সম্রাট আকবর তাকে ক্ষমা করেন। কিন্তু কাবুলের গভর্নর পদে তাকে না রেখে বখত-উন-নেসা বেগমকে বসানো হয়। সম্রাট আকবর ঘোষণা দেন যদি হাকিম মির্জা যদি আবারও অন্যায় করে, তাহলে তার প্রতি কোন সদয়তা প্রদর্শন করা হবে না। এরপর সম্রাট আকবর কাবুল থেকে চলে আসেন। সম্রাটের প্রত্যাবর্তনের পর হাকিম মির্জা সব ক্ষমতা নিজের হাতে নিয়ে নিয়েছিলেন, যদিও সকল দাপ্তরিক আদেশ বখ-উন-নেসা বেগমের নামে পালন করা হতো।[৯][১০][১১]
বখত-উন-নেসা বেগম ১৬০৮ সালের ১ জুন মারা যান। [১২]