Bongaigaon বঙাইগাঁও | |
---|---|
City | |
ডাকনাম: আসামের শৈল্পিক ও বাণিজ্যিক হাব + নিম্ন আসামের রেলওয়ে রাজধানী | |
আসাম, ভারত-এ অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°২৯′ উত্তর ৯০°৩৪′ পূর্ব / ২৬.৪৮° উত্তর ৯০.৫৬° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | আসাম |
অঞ্চল | নিম্ন আসাম |
জেলা | বঙাইগাঁও ও চিরাং জেলা (শহরটির ১০% অঞ্চল) |
বিভাগ | ৪ |
বিভাগের নাম | মধ্য, উত্তর, দক্ষিণ, শৈল্পিক |
শহরের ধরণ | পৌর এলাকা (UA, ভারত) |
বঙাইগাঁও নগর নিগম | ২৯ সেপ্টেম্বর ১৯৮৯ |
প্রতিষ্ঠাতা | আসাম সরকার |
সরকার | |
• ধরন | নগরপ্রধান–নগরপালিকা |
• শাসক | বঙাইগাঁও নগর নিগম |
• উপায়ুক্ত | এম.এস লক্ষ্মীপ্রিয়া, (আইএএস) |
• জেলা পুলিশ অধ্যক্ষ | স্বপ্নিল ডেকা, (এপিএসসি) |
আয়তন | |
• City | ১৪ বর্গকিমি (৫ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৬২.৬ মিটার (২০৫.৪ ফুট) |
জনসংখ্যা | |
• City | ১,২৯,৮৯৪ |
• ক্রম | ৬তম |
• জনঘনত্ব | ৯,৩০০/বর্গকিমি (২৪,০০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর | ১,৩৯,৬৫০ |
ভাষাসমূহ | |
• সরকারী | অসমীয়া, বড়ো ইংরেজি |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৩ পোস্টকোড
|
টেলিফোন কোড | ০৩৬৬৪-XXXXXX |
যানবাহন নিবন্ধন | AS-19, AS-26 |
স্বাক্ষরতা | ৯৬.৪২% (২০১১) |
আইনসভা ধরন | নগর নিগম |
পরিকল্পনা বিভাগ | ৩ |
লিঙ্গানুপাত | ৯৬১ প্রতি ১০০০ পুরুষে (২০১১ আদমশুমারি) ♂/♀ |
জলবায়ু | উপ-ক্রান্তীয় (কোপেন) |
দিল্লি থেকে দূরত্ব | ১,৭২৫ কিলোমিটার (১,০৭২ মাইল) |
মুম্বই থেকে দূরত্ব | ২,৬৫০ কিলোমিটার (১,৬৫০ মাইল) |
বৃষ্টিপাত | ১,৭১৭.৭ মিলিমিটার (৬৭.৬৩ ইঞ্চি) |
গড় বার্ষিক তাপমাত্রা | ২৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস (৭৭ ডিগ্রি ফারেনহাইট) |
গ্রীষ্মকালীন তাপমাত্রা | ৩৩ - ৩৮ °সে |
শীতকালীন তাপমাত্রা | ৮ - ২১ °সে |
বঙাইগাঁও পৌর এলাকা সহ আউট গ্রোথ (ওজি) | |
বঙাইগাঁও পৌর এলাকা সহ জনগণনা নগর (সিটি) | ৩টি অঞ্চল
|
ওয়েবসাইট | bongaigaon |
† ২০১৫-এর আনুমানিক হিসাব |
বঙাইগাঁও (/bɒŋˈɡaɪɡaʊ/ ( )) শহর আসামের বঙাইগাঁও জেলার সদর ও আসামের একটি উল্লেখযোগ্য স্থান। এটি বঙাইগাঁও ও চিরাং জেলা বিস্তৃত করে আছে। এটি উত্তর-পূর্ব সীমান্ত রেলের প্রবেশদ্বার হিসাবে কাজ করে। এখানে উত্তর-পূর্ব ভারতের দ্বিতীয় সর্ববৃহৎ রেলওয়ে স্টেশন নিউ বঙাইগাঁও জংশন রেলওয়ে স্টেশন অবস্থিত। গুয়াহাটি, যোরহাট, ডিব্রুগড় ও শিলচর সহিত এটি আসামের জনবহুল পৌর এলাকাসমূহের অন্যতম এক শহর।
এটি কোচ হাজোদের শেষতম রাজধানী ছিল। এছাড়াও এখানে বিভিন্ন ঐতিহাসিক স্মৃতিসৌধ আছে। এই নগরটি দুইটি ভাগে বিভক্ত – বঙাইগাঁও মূল নগর ও নতুন বঙাইগাঁও। শহরটি আসমের রাজধানী গুয়াহাটি থেকে ১৮০কিমি পশ্চিমে অবস্থিত। বড়ো জনগোষ্ঠীর দাবী স্বরূপ, ২০০৫ সালে বঙাইগাঁও-এর এক বিশাল অংশ চিরাং জেলাকে অর্পণ করা হয়। বঙাইগাঁও-এ একটি মুখ্য পেট্রোরাসায়নিক সংস্থা, ইন্ডিয়ান অয়েল কর্পোরেশন লিমিটেড[১][২](আইওসিএল বিজিআর)[৩] আছে। ১৯০৮ সালে রেলওয়ে স্টেশনের প্রতিষ্ঠার সাথে সাথে এটি ভারতীয় রেলের মানচিত্রে স্থান পায়। আইটিআই, বঙাইগাঁও কলেজ, আসাম রাজ্যিয় বিদ্যুৎ পরিষদের[৪][৫] দপ্তর প্রভৃতি সংস্থাসমূহ এবং এই শহরটির নির্মাণের কাজও প্রধানত ১৯৬০ দশকের শুরুর দিকে আরম্ভ হয়। শালাকাটি-তে তাপীয় বিদ্যুৎ উৎপাদন কেন্দ্র এবং ১৯৭২ সালে ঢালিগাঁও-এ বঙাইগাঁও শোধনাগার ও পেট্রোরাসায়নিক লিমিটেড[৬] (বিআরপিএল)[৭] কমপ্লেক্স স্থাপনের সাথে শহর নির্মাণের কাজও অগ্রগতি লাভ করে। যদিও তখন এগুলো বঙাইগাঁও নগর নিগমের অধীনে ছিল না। শহরটি জনগণের দাবীসমূহও পূরণ করে। ১৯৬১ সালে প্রথমবারের মতন বঙাইগাঁও টাউন কমিটি গঠন করা হয় এবং ১৯৭৭ সালে নগর নিগম-এ উন্নত করা হয়। বর্তমান সময়ে, ২৫টি বিভাগ সহ ১৪.৩১ বর্গ কিমি এলাকা জুড়ে এই শহরটি বিদ্যমান।
শপিং মল, রেস্তোরাঁ, হোটেল, আবাসিক অ্যাপার্টমেন্ট এবং শিক্ষা প্রতিষ্ঠান-এর বাড়তি সংখ্যার সাথে সাথে শহরটি আসামের শৈল্পিক ও বাণিজ্যিক হাব-এর অন্যতম অঞ্চলে পরিণত হয়েছে। এছাড়াও এখানে মানস জাতীয় উদ্যান[৮][৯] প্রভৃতি পর্যটনস্থল আছে যা এটিকে রাজ্যের পর্যটন-এর গুরুত্বপূর্ণ ভিত হিসাবে পরিগণিত করেছে। রাজ্যের মাঝামাঝি অঞ্চলে অবস্থান করার দরুণ শহরটিতে অসমীয় সংস্কৃতির প্রচুর প্রকাশ পাওয়া যায়। স্থানীয় ব্যক্তিদের মধ্যেও শহরটি সমবেত হওয়ার পছন্দের স্থানগুলির মধ্যে একটি।
লোককথা অনুসারে, বঙাইগাঁও নামটি বন(বন্য) ও গাঁই(গরু) শব্দদ্বয় থেকে উদ্ভূত হয়েছে। সুদূর অতীতে,বন্য গরুরা গ্রামবাসীদের কাছে ভয়ের কারণ ছিল, যার ফলস্বরূপ অঞ্চলটি এই নাম লাভ করে।
১৯৮৯ সালে, আসাম সরকার গোয়ালপাড়া ও কোকড়াঝাড় থেকে কিছু জায়গা নিয়ে বঙাইগাঁও নামের নতুন একটি জেলা বানানোর সিদ্বান্ত নেয়, যেটির মুখ্যালয় বঙাইগাঁও শহরে অবস্থিত থাকবে। ২৯ সেপ্টেম্বর, ১৯৮৯ সালে আসাম সরকার বঙাইগাঁও জেলা নির্মাণের ঘোষণা করে। ২০০৫ সালে আসাম সরকার বঙাইগাঁও নগরটিকে একটি শহর হিসাবে ঘোষণা করে।
মূল গোয়ালপাড়া জেলাটি ১৮২২ সালে প্রথম নির্মাণ করা হয়। এটি নির্মাণ করেন ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির এক কর্মচারী ডেভিড স্কোট, যিনি রংপুর নগরে (বর্তমান বাংলাদেশ-এ) মুখ্যালয় থাকা নবনির্মিত উত্তর পূর্ব রংপুর জেলার প্রথম আয়ুক্ত ছিলেন, এবং নবনির্মিত গোয়ালপাড়া জেলাটিকে উত্তর-পূর্ব রংপুর জেলার সাথে পরিচালনার জন্য যুক্ত করা হয়। প্রাক্তন বিজনী সাম্রাজ্য যেটিতে অবিভক্ত গারো পাহাড় অন্তর্ভুক্ত ছিল, সেটি নিয়ে ১৮২২ সালে অবিভক্ত গোয়ালপাড়া জেলা স্থাপিত হয়। ১৮৬৬ সালে, গারো পাহাড়কে গোয়ালপাড়া জেলা থেকে আলাদা করা হয়। সেই সালেই "বৃহত্তর কোচ বিহার" নির্মাণ করা হয় এবং গোয়ালপাড়া জেলার অবশিষ্টাংশ রংপুর জেলা থেকে তুলে নিয়ে কোচবিহার-এর সাথে লাগানো হয়। ১৮৭৪ সালে ব্রিটিশ সরকার (ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানির উত্তরসূরী) আসাম উপত্যকা প্রদেশ নামক একটি নতুন প্রদেশ গঠন করে এবং গোয়ালপাড়া জেলাকে কোচবিহার থেকে প্রতিসারণ করে উক্ত প্রদেশের সাথে জুড়ে দেয়, যেটি নগণ্য কিছু রাজনৈতিক বিরোধিতা বাদ দিলে এখন পর্যন্তও বহাল আছে। এই মূল গোয়ালপাড়া জেলা থেকে বর্তমানে পাঁচটি নতুন জেলার উৎপত্তি হয়েছে, যথা – (১) গোয়ালপাড়া (২) ধুবড়ি (৩) কোকড়াঝাড় (৪) বঙাইগাঁও এবং (৫) চিরাং।
এই অনুচ্ছেদটিতে কোনো উৎস বা তথ্যসূত্র উদ্ধৃত করা হয়নি। |
বিজনী সাম্রাজ্য ১৫শ শতাব্দী থেকে ১৯৫৬ সালে দেশীয় রাজ্যের সমাপ্তি পর্যন্ত বিদ্যমান ছিল। ইন্দো-মঙ্গোলীয় নৃগোষ্ঠীর অন্তর্গত কোচ জমিদাররা এই সাম্রাজ্য শাসন করেন।
বিজনী সাম্রাজ্য ২৫০ ৫৩° ও ২৬০ ৩২° উত্তর এবং ৯০০ ৮৫° ও ৯১০ ৮৫° পূর্ব-এর মধ্যে অবস্থিত ছিল। জমিদারিটি বিজনী পরিবারের অধিকারে ছিল। বিজনী পরিবার কোচ রাজা নরনারায়ণ, যিনি ১৫৩৪ থেকে ১৫৮৪ পর্যন্ত কামতা রাজ্য শাসন করেন, তাঁর উত্তরপুরুষ ছিলেন। তাঁর প্রয়াণের পূর্বে, তিনি তাঁর পুত্র লক্ষ্মী নারায়ণ এবং তাঁর ভ্রাতুষ্পুত্র রঘুরায়-এর (চিলারায়-এর পুত্র) মধ্যে ভাগ করে দেন। রঘুরায় বরপেটার (বর্তমানে আসামের একটি জেলা) বরনগরে রাজধানী স্থাপন করেন এবং সংকোশ নদীর পূর্বদিকের কোচ অঞ্চলসমূহ তাঁর অংশ হিসাবে প্রাপ্ত হন।
১৫৮৪ সালে নরনারায়াণের মৃত্যুর পর রঘুরায় স্বাধীনতা ঘোষণা করেন। রঘুরায় কর্তৃক সাম্রাজ্যের পূর্ব অংশ কোচ হাজো এবং পশ্চিম অংশ কোচ বিহার হিসাবে কথিত হয়। স্বাধীনতা ঘোষণার পরে শীঘ্রই দুই সাম্রাজ্যের মধ্যে শত্রুতা দৃশ্যমান হয়। রঘুরায়-এর পর তাঁর পুত্র পরীক্ষিত নারায়ণ রাজপদ প্রাপ্ত হন, এবং তিনি ১৬০২ সালে ঢাকার নবাব, যিনি লক্ষ্মী নারায়ণের(কোচ বিহারের রাজা) দ্বারা স্থানান্তরিত হন, তাঁর সৈন্যদের সাথে যুদ্ধে পরাজিত হন। পরীক্ষিত ধুবড়ীতে পরাজিত হন এবং শান্তির প্রস্তাব দেন। কিন্তু পুনরায় তিনি তাঁর শত্রুতা শুরু করেন, যার জন্য ১৬১৪ সালে তাঁকে পাণ্ডু, বর্তমান গুয়াহাটি তে নিয়ে আশা হয়। সেখানে পরীক্ষিত আত্মসমর্পণ করেন এবং মুঘল সাম্রাজ্যের মন্ত্রী হয়ে থাকতে সম্মত হন। কিন্তু পদ গ্রহণের পূর্বেই তিনি মৃত্যুবরণ করেন। তখন মুঘলেরা কবিশেখরকে কানুনগোর পদে নিযুক্তি দেন এবং শেখ ইব্রাহিম কারোরিকে মুঘলদের জন্য প্রশাসন পদ্ধতি নির্মাণ করতে নির্দেশ করেন। পরীক্ষিতের পুত্র বিজিত নারায়ণকে মানস এবং সংকোশ নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলের জমিদার হিসাবে প্রতিপন্ন করা হয়, এবং তাঁর থেকেই বিজনী পরিবারের সূত্রপাত হয়। রাজা বিজিত নারায়ণ-এর নাম থেকে "বিজনী" নামটির উৎপত্তি, যা বর্তমানে বড়োল্যান্ড টেরিটরিয়াল এরিয়ার চিরাং জেলার মহকুমা।
মুঘল শাসনকালে, বিজনীর রাজা বিজিত নারায়ণ ৫,৯৯৮ টাকার কর প্রদান করেন, যা পরবর্তীতে বার্ষিক ৬৮টি হাতি প্রদানে পরিবর্তিত হয়। ১৭শ শতকের শেষের দুই দশকে, আসামে মুঘলদের প্রভাব কমতে থাকে এবং ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি ক্রমশ বাংলা সহ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তে নিজেদের অবস্থান দৃঢ় করতে থাকে।
১৭৬৪ সালে সংঘটিত হওয়া বক্সারের যুদ্ধের মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি বাংলার দেওয়ানি প্রাপ্ত হয় এবং ১৭৯৩ সালে জমি থেকে আদায় করা রাজস্বের পরিমাণ সম্বন্ধে বাংলার জমিদারদের সাথে চুক্তি(স্থায়ী নিষ্পত্তি নামে কথিত) করে। ১৮২৬ সালের ইয়াণ্ডাবু সন্ধি র মাধ্যমে ইস্ট ইন্ডিয়া কোম্পানি পরিশেষে পূর্ব ও পশ্চিম আসামের নিয়ন্ত্রণ নিজের কাছে নেয়। যদিও স্থায়ী নিষ্পত্তিতে গোয়ালপাড়া কখনও অন্তর্ভুক্ত ছিল কি না সেটা সন্দেহজনক। ইম্পারিয়াল গেজেটার অব ইন্ডিয়ার (অংশ ৮) মতে, জমির রাজস্বের পরিবর্তে বিজনী সাম্রাজ্যের একটি অংশ সবসময় স্বীকার করা হত, যদিও এটি অধীনতার চিহ্নস্বরূপ প্রদত্ত উপঢৌকন হিসাবে তর্ক করা হয়। ১৯০২ সালে প্রকাশিত ইম্পারিয়াল গেজেটার অব ইন্ডিয়া বিবৃত করে যে বিজনী পরিবার ১,৫০০ টাকার রাজস্ব প্রদান করেন এবং ৯৫০ বর্গ মাইল (২,৫০০ বর্গ কিমি) অঞ্চলের জন্য় ১৯,০০০ টাকার উপকর ও আনুমানিক ২ লাখ টাকা খাজনা প্রদান করেন।
১৮৬৪-১৮৪৫ সালে ব্রিটিশ ভারত এবং ভুটানের মধ্যে হওয়া ভুটান যুদ্ধের অন্তে, বিজনী পরিবার পূর্ব ডুয়ারের এক বৃহৎ অঞ্চল দাবী করেন এবং উক্ত অঞ্চলসমূহ ভুটান সরকারের অধীনে তাঁদের অধিকারে ছিল বলে বর্ণনা করেন। তাঁদের দাবী মঞ্জুর করা হয় এবং ১৮৭০ সালে নাবালক বিজনী রাজার পক্ষ হতে কোর্ট অব ওয়ার্ডসের সাথে একটি চুক্তি করা হয়। ইদানীং কোন অঞ্চল অবধি তাঁদের জমিদারী ছিল সেটা নিয়ে অনিশ্চয়তা আছে, কিন্তু ১৮৮২ সালে ভারত সরকার বলেন যে ১,৩০,০০০একর (৫৩০ বর্গ কিমি) জমি রাজার পাওয়া উচিত। এই জমিদারীসমূহ সাধারণত ভারত সরকারের সরাসরি ব্যবস্থাপনার অধীনে থেকেছিল, এবং সংগৃহীত রাজস্বের ৭.৫ শতাংশ লাভের অংশ হিসাবে রাজাকে প্রদান করা হয়েছিল।
১৯৭৭ সালে বঙাইগাঁও পৌরসভা গঠন করা হয়। বর্তমান এই অঞ্চলটিতে ২৫টি বিভাগ রয়েছে। বঙাইগাঁও বড়পেটা লোকসভা কেন্দ্র-এর অন্তর্গত।[১০] ফণী ভূষণ চৌধুরী হলেন বঙাইগাঁও বিধানসভা কেন্দ্রের বর্তমান এম.এল.এ.।
২০১১ সালের আদমশুরারি অনুযায়ী বঙাইগাঁও শহরে ১,৭৪,৮১০ জন লোক বসবাস করে। উক্ত নগরটিতে অসম সরকার অধীনস্থ নগর উন্নয়ন কমিটি রয়েছে। এখানকার মুল বসতি হচ্ছে হিন্দু ধর্মিয় ব্যক্তি। নগরের অধিকাংশ লোক বাঙালী ও কোচ রাজবংশী। বাঙালী ও কোচ রাজবংশী ছাড়াও এখানে বিভিন্ন জনজাতির লোক বসবাস করে।
বঙাইগাঁও-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) | ৩০ (৮৬) |
৩৩ (৯১) |
৩৮ (১০০) |
৪০ (১০৪) |
৩৮ (১০০) |
৪০ (১০৪) |
৩৭ (৯৯) |
৩৭ (৯৯) |
৩৭ (৯৯) |
৩৫ (৯৫) |
৩২ (৯০) |
২৮ (৮২) |
৪০ (১০৪) |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২৩ (৭৩) |
২৫ (৭৭) |
৩০ (৮৬) |
৩১ (৮৮) |
৩১ (৮৮) |
৩১ (৮৮) |
৩২ (৯০) |
৩২ (৯০) |
৩১ (৮৮) |
৩০ (৮৬) |
২৭ (৮১) |
২৪ (৭৫) |
২৯ (৮৪) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ১০ (৫০) |
১২ (৫৪) |
১৫ (৫৯) |
২০ (৬৮) |
২২ (৭২) |
২৫ (৭৭) |
২৫ (৭৭) |
২৫ (৭৭) |
২৪ (৭৫) |
২১ (৭০) |
১৬ (৬১) |
১১ (৫২) |
১৯ (৬৬) |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) | ৫ (৪১) |
৬ (৪৩) |
৬ (৪৩) |
১১ (৫২) |
১৬ (৬১) |
১৮ (৬৪) |
২০ (৬৮) |
২১ (৭০) |
২০ (৬৮) |
১৫ (৫৯) |
১০ (৫০) |
৫ (৪১) |
৫ (৪১) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১১.৪ (০.৪৫) |
১২.৮ (০.৫০) |
৫৭.৭ (২.২৭) |
১৪২.৩ (৫.৬০) |
২৪৮.০ (৯.৭৬) |
৩৫০.১ (১৩.৭৮) |
৩৫৩.৬ (১৩.৯২) |
২৬৯.৯ (১০.৬৩) |
১৬৬.২ (৬.৫৪) |
৭৯.২ (৩.১২) |
১৯.৪ (০.৭৬) |
৫.১ (০.২০) |
১,৭১৭.৭ (৬৭.৬৩) |
উৎস: wunderground.com[১১] |
অসমের অন্যান্য স্থানের ন্যায় বঙাইগাঁও শহরের যাতায়ত ব্যবস্থা উন্নত। শহরটি ভারতীয় রেল ও স্থলপথ দ্বারা অসমের বিভিন্ন স্থান যেমন: গুয়াহাটি, তেজপুর, যোরহাট, ডিব্রুগড়, শিবসাগর প্রভৃতি স্থানের সহিত সংযুক্ত।
বঙাইগাঁও শহর উত্তর ও দক্ষিণ ক্রমে ৩১নং ও ৩৭নং রাষ্ট্রীয় ঘাইপথের মাঝে অবস্থিত। রাষ্ট্রীয় ঘাই পথের সহিত মুখ্য ও উপপথ সংযুক্ত।
বঙাইগাঁও শহর ভারতীয় রেলওয়ে দ্বারা সম্পূর্ণ ভারতের বিভিন্ন প্রান্তের সহিত সংযুক্ত। অঞ্চলটিতে দুইটি রেল স্টেশন বিদ্যমান:
নিউ বঙাইগাঁও রেল জংশনটি শহরটির পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত। এই জংশনটি অসমের দ্বিতীয় বৃহত্তম ও নামনি অসমের বৃহত্তম জংশন। উক্ত রেল স্টেশনটিতে অসমের চলাচলকারী সকল যাত্রীবাহী রেল স্টেশনটি স্পর্শ করে। যেমন: রাজধানী এক্সপ্রেশ, নর্থ-ইষ্ট এক্সপ্রেশ ও কামরূপ এক্সপ্রেশ প্রভৃতি।
বঙাইগাঁও শহরের নিকটবর্তী বিমান বন্দরটি হচ্ছে লোকপ্রিয় গোপীনাথ বরদলৈ আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর। এর দূরত্ব প্রায় ১৬৫কিঃমিঃ।
অসমীয়া দৈনিক খবরের কাগজ অসমীয়া প্রতিদিন অসমের গুয়াহাটি, ডিব্রুগড়, উত্তর লখিমপুর ও বঙাইগাঁও থেকে প্রকাশিত হয়।
বঙাইগাঁওয়ে মনোরঞ্জনের উদ্দেশ্যে মায়াপুর নামক একটি ছবিঘর রয়েছে।
শহরটিতে ৯টি চিকিৎসালয় আছে, যথা -
সর্বার্থসাধক চিলারায় স্টেডিয়ামটি বঙাইগাঁও শহরের প্রান্তে বর্ষণগাঁও-এ অবস্থিত। এছাড়াও শহরটিতে চিলারায় ইন্দোর স্টেডিয়াম নামক একটি ইন্দোর স্টেডিয়াম, বরপারাতে একটি সুইমিং পুল এবং চাপাগুরী সড়কের কাছে একটি ছোটো স্টেডিয়াম আছে।