রোগশয্যাসম্বন্ধীয় তথ্য | |
---|---|
অন্যান্য নাম | ব্যানকোভিড |
প্রয়োগের স্থান | মাংসপেশী |
বঙ্গভ্যাক্স হিসাবে পরিচিত গ্লোব বায়োটেক দ্বারা প্রস্তুতকৃত একটি কোভিড-১৯ টিকা। এটি ব্যানকোভিড নামেও পরিচিত। এটি একটি এমআরএনএ টিকা।[১] ২৩ অক্টোবর ২০২১ সালে এটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল কর্তৃক মানবদেহে ট্রায়াল শুরু করার নীতিগত অনুমোদন লাভ করে।[২]
এটি এক ডোজেই কাজ হয়।[৩]
+৪° সেলসিয়াস তাপমাত্রায় এক মাস এবং -২০°সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ছয় মাস পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায় এই টিকা।[৪]
বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিলে ২০২১ সালে ১৭ জানুয়ারি আবেদন করা হয় এবং প্রোটোকল ও প্রয়োজনীয় তথ্য উপাত্ত ১৭ ফেব্রুয়ারিতে জমা দেয়া হয়।[১]
১৬ জুন ২০২১ তারিখে ওষুধ প্রশাসন অধিদপ্তর শর্তসাপেক্ষে হিউম্যান ট্রায়ালের নীতিগত অনুমোদন দেয়।[৫] কিন্তু গত ২২ জুন ২০২১ তারিখে বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল-বিএমআরসি একটি চিঠি দিয়ে গ্লোব বায়োটেককে জানায়, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের আগে বানর বা শিম্পাঞ্জির শরীরে প্রয়োগ করে এ টিকা পরীক্ষা করতে হবে। তারপরই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের নৈতিক অনুমোদন দেওয়ার বিষয়টি বিবেচনা করা হবে। আর শীঘ্রই ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন দিতে স্বাস্থ্য সচিবসহ সংশ্লিষ্টদের উকিল নোটিস পাঠানো হয়েছে। উকিল নোটিসে বলা হয়, বানর বা শিম্পাঞ্জির শরীরে পরীক্ষা চালাতে হলে তৃতীয় পক্ষের গবেষণাগার (থার্ড পার্টি রিসার্চ ল্যাব) প্রয়োজন। কিন্তু বাংলাদেশে এই ধরনের কোনো গবেষণাগার নেই। গ্লোব বায়োটেক এ বিষয়ে ভারত ও চীনের দুটি প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করলে তারা জানায়, এ মুহূর্তে তাদের হাতে সময় নেই এবং এ ধরনের পরীক্ষার জন্য আবেদন করতে হবে সরকারের মাধ্যমে। নোটিসে আরো বলা হয়, “এটা স্পষ্ট যে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের অনুমোদন না দিয়ে বানর বা শিম্পাঞ্জির শরীরে ট্রায়ালের জন্য শর্ত জুড়ে দেওয়ার অর্থ হচ্ছে এই ভ্যাকসিনটি যাতে আলোর মুখ না দেখে।”[৬]
২৩ অক্টোবর ২০২১ সালে এটি বাংলাদেশ মেডিকেল রিসার্চ কাউন্সিল কর্তৃক মানবদেহে ট্রায়াল শুরু করার নীতিগত অনুমোদন লাভ করে।[৭]
এর গবেষণাটি এলসভিয়ারের ভ্যাক্সিন জার্নালে প্রকাশিত হয় ২০২১ সালের মে মাসে।[৮]