বদরুদ্দিন আজমল | |
---|---|
সংসদ সদস্য, লোকসভা | |
দায়িত্বাধীন | |
অধিকৃত কার্যালয় ২০০৯ | |
পূর্বসূরী | আনোয়ার হোসেন |
সংসদীয় এলাকা | ধুবড়ী |
আসাম বিধানসভার সদস্য | |
কাজের মেয়াদ ২০০৬ – ২০০৯ | |
বিধানসভার আসন | সালমারা দক্ষিণ |
পূর্বসূরী | ওয়াজেদ আলী চৌধুরী |
উত্তরসূরী | ওয়াজেদ আলী চৌধুরী |
কাজের মেয়াদ ২০০৬ – ২০০৬ | |
বিধানসভার আসন | যমুনামুখ |
পূর্বসূরী | খালিলুর রহমান চৌধুরী |
উত্তরসূরী | সিরাজ উদ্দিন আজমল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০ (বয়স ৬৭) বম্বে, বোম্বে রাজ্য, ভারত (বর্তমানে মুম্বাই, মহারাষ্ট্র) |
রাজনৈতিক দল | নিখিল ভারতীয় সংযুক্ত গণতান্ত্রিক মোর্চা (২০০৫ থেকে বর্তমান) |
জীবিকা | রাজনীতিবিদ, ব্যবসায়ী |
ধর্ম | ইসলাম |
বদরুদ্দিন আজমল[১] (জন্ম ১২ ফেব্রুয়ারি ১৯৫০) হচ্ছেন ভারতীয় সংসদের[২] ধুবড়ি লোকসভার সদস্য।[৩] তিনি অসম সংযুক্ত গণতান্ত্ৰিক মোৰ্চা প্রতিষ্ঠা করেন যার বর্তমান নাম নিখিল ভারতীয় সংযুক্ত গণতান্ত্ৰিক মোৰ্চা। তিনি ভারতীয় রাজনীতিতে বিশেষত আসামে, তার অবস্থান একত্রিত করেন। তিনি আসাম রাজ্যের জমিয়ত উলামায়ে হিন্দের সভাপতি।
আজমল ২০১৫-১৬ সালে জর্ডানের রয়্যাল ইসলামিক স্টাটিজিক স্টাডিজ সেন্টারের প্রকাশিত বিশ্বের ৫০০ সর্বাধিক প্রভাবশালী মুসলমানদের তালিকাভুক্ত ছিলেন।[৪]
দারুল উলুম দেওবন্দ থেকে দাওরায়ে হাদিস ডিগ্রি অর্জনকারী মাওলানা বদরুদ্দিন আজমল শিল্পপতি, ব্যবসায়ী এবং একজন সমাজকর্মী।[৫]
তিনি হাজোইয়ের হাজী আব্দুল মজিদ মেমোরিয়াল (হ্যাম) পাবলিক ট্রাস্টের ব্যবস্থাপনা ট্রাস্টি। এই ট্রাস্টটি আসামের হাজোইতে অবস্থিত দাতব্য হাসপাতাল হাজী আব্দুল মজিদ মেমোরিয়াল হাসপাতাল ও রিসার্চ সেন্টারের জন্য পরিচিত।[৬]
২০০৬ সালের আসাম আইন পরিষদের নির্বাচনে, তিনি যুগপৎ দুটি আসন — দক্ষিণ সালমারা ও যমুনামূখ থেকে ভোটের মাধ্যমে নির্বাচিত হন। তখনই এইউডিএফ পার্টি ১০টি আসনে জয়লাভ করে এবং তিনি সেই দলের নেতা হিসেবেও নির্বাচিত হন।[৭]
আসাম আইন পরিষদের ২০১১ সালের নির্বাচনে, এআইইউডিএফ ১৮ আসনে জয়লাভ করে এবং আসামের বৃহত্তম বিরোধী দল হিসেবে আবির্ভূত হয়।[৮]
নিখিল আসাম স্টুডেন্টস ইউনিয়নের সাথে আরেকটি মুসলিম গ্রুপ সাদু আসাম গারিয়া-মোরাই দেসি (এসএজিএমজে), ২০১২ সালে আসামের সহিংসতার ঘটনায় উস্কানিমূলক মন্তব্যের জন্য আজমলকে দায়ী করে।[৯]
২০১৯ সালের লোকসভা নির্বাচনে, আজমলই তার দলের একমাত্র প্রার্থী ছিলেন যিনি তার আসনটি ধরে রেখেছিলেন, ধুবড়ি থেকে আবার জিতেছিলেন। ৭ সন্তানের সাথে, ভারতের যে কোনো সংসদ সদস্যের মধ্যে তার সবচেয়ে বেশি সন্তান রয়েছে।[১০] ২০২০ সালে, আজমল ঘোষণা করেছিলেন যে তিনি এবং কংগ্রেস আসন্ন ২০২১ সালের নির্বাচনে জোটে থাকবেন।[১১]
আজমল আসাম সাহিত্য সভার ২০০৪ সালের হোজাই অধিবেশন কমিটির সভাপতি ছিলেন, এবং দারুল হাদীস, জয়নগর মাদ্রাসা, আসামের সভাপতি।[৫]