আবু মুহাম্মদ মাহমুদ ইবনে আহমদ ইবনে মুসা বদরুদ্দীন আইনী প্রায়শই আল-আইনী নামে অধিক পরিচিত, (আরবি: بدر الدين العيني, প্রতিবর্ণীকৃত: Badr al-ʿAynī; জন্ম: ৭৬২ হিজরি/১৩৬১ সাল, মৃত্যু ৮৫৫ হিজরি/১৪৫৩ সাল)[১][২] হানাফি মাযহাব ও শাজিলি তরিকার একজন সুন্নি ইসলামী পণ্ডিত ছিলেন।[৩] আল-আইনী হল আল-আয়ন্তাবির একটি সংক্ষিপ্ত রূপ, যা তার আদি শহরকে নির্দেশ করে। তিনি একজন বিশিষ্ট পণ্ডিত ছিলেন যাকে তার সময়ের সবচেয়ে প্রভাবশালী হানাফি ফকীহ ও হাদিস বিশারদ হিসেবে গণ্য করা হয়।[৪]
বদরুদ্দীন আইনী | |
---|---|
ব্যক্তিগত তথ্য | |
জন্ম | ৩০ জুলাই ১৩৬১ |
মৃত্যু | ২৮ ডিসেম্বর ১৪৫১ | (বয়স ৯০)
ধর্ম | ইসলাম |
যুগ | মধ্যযুগ |
অঞ্চল | কায়রো |
আখ্যা | সুন্নি |
ব্যবহারশাস্ত্র | হানাফি[৬][৭] |
ধর্মীয় মতবিশ্বাস | মাতুরিদি[৫] |
তিনি ৭৬২ হিজরিতে (১৩৬০ খ্রিস্টাব্দে) আইনতাব (বর্তমানে আধুনিক তুরস্কের গাজিয়ানতেপ) শহরে এক পণ্ডিত পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন।[৮] তিনি ইতিহাস, আদব ও ইসলামি ধর্মীয় বিজ্ঞান অধ্যয়ন করেন এবং তার মাতৃভাষা তুর্কিতে সাবলীল ছিলেন, যা তাকে তার সমসাময়িকদের থেকে আলাদা করেছে এবং তাকে তার সাধনায় সাহায্য করেছে।[৯] কিছু প্রমাণ রয়েছে যে তিনি অন্তত কিছু ফার্সিও জানতেন।[১০] ৭৮৮ হিজরিতে (১৩৮৬ খ্রিস্টাব্দে) তিনি জেরুজালেমে যান, যেখানে তিনি হানাফি শাইখ আল-সায়রামির সাথে দেখা করেন, যিনি কায়রোতে নতুন প্রতিষ্ঠিত জাহিরিয়া মাদ্রাসা (বিদ্যালয়) এবং খানকাহ (সুফি রিট্রিট) এর প্রধান ছিলেন। আল-সায়রামি আইনীকে তার সাথে কায়রোতে যাওয়ার জন্য আমন্ত্রণ জানান, যেখানে তিনি জাহিরিয়াহ সুফিদের একজন হয়ে ওঠেন।[১১]
الآثار المخطوطة: ۱ ـ رسالة التوحيد على مذهب الإمام أبي منصور الماتريدي، للإمام بدر الدين العيني