বদরুদ্দীন তৈয়বজী | |
---|---|
![]() | |
৩য় সভাপতি, ভারতের জাতীয় কংগ্রেস | |
কাজের মেয়াদ ১৮৮৭ - ১৮৮৮ | |
পূর্বসূরী | দাদাভাই নওরোজি |
উত্তরসূরী | জর্জ ইয়েল |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | ১০ই অক্টোবর, ১৮৪৪ বোম্বাই প্রেসিডেন্সি, ব্রিটিশ ভারত |
মৃত্যু | ১৯শে আগস্ট, ১৯০৬ লন্ডন,ইংল্যান্ড, যুক্তরাজ্য |
প্রাক্তন শিক্ষার্থী | লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় মিডল টেম্পল |
পেশা | আইনজীবী, সমাজকর্মী, রাজনীতি |
বদরুদ্দীন তৈয়বজী (১০ই অক্টোবর, ১৮৪৪ - ১৯শে আগস্ট, ১৯০৬) ব্রিটিশ ভারতের একজন আইনজীবী, সমাজকর্মী, ও রাজনৈতিক নেতা। বদরুদ্দীন তৈয়বজী বোম্বাই হাইকোর্টে ব্যারিস্টারি করা প্রথম ভারতীয়। তিনি ভারতের জাতীয় কংগ্রেসের তৃতীয় সভাপতি ছিলেন। তিনি জাতীয় কংগ্রেসের অন্যতম প্রতিষ্ঠাতা সদস্য ও কংগ্রেসের প্রথম মুসলিম সভাপতি[১]।
বদরুদ্দীন তৈয়বজী ১৮৪৪ সালের ১০ই অক্টোবর বোম্বাইয়ের একটি সুলাইমানি বোহরা মুসলিম পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তার বাবা ছিলেন মোল্লা তায়াব আলি ভাই মিয়াঁ।
দাদা মাখরা মাদ্রাসা থেকে ফারসি ও উর্দু শেখার পর বদরুদ্দীন তৈয়বজী বোম্বাইয়ের এলফিনস্টোন ইন্সিটিটিউশনে ভর্তি হন। ১৮৬০ সালে ১৬ বছর বয়সে তিনি লন্ডনের নিউবারি হাইপার্ক কলেজে পড়াশোনা শুরু করেন। ১৮৬৩ সালে বদরুদ্দীন তৈয়বজী লন্ডন বিশ্ববিদ্যালয় ও মিডল টেম্পলে ভর্তি হন[২]। কিন্তু চোখের সমস্যর জন্য এক বছর পর ১৮৬৪তেই তিনি ফিরে আসেন কিন্তু মিডল টেম্পলে তিনি তার পড়াশোনা চালিয়ে যান।
বদরুদ্দীন তৈয়বজীর বড় ভাই কাম্রুমদ্দিন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেসের প্রতিষ্ঠার ব্যাপারে খুবই সক্রিয় ছিলেন।
জাতীয় কংগ্রেসের সাথে ভারতীয় মুসলিমদের যোগাযোগ স্থাপনের ব্যাপারে বদরুদ্দীন তৈয়বজী দারুন ভূমিকা পালন করেছিলেন। সেসময় ভারতের বহু মুসলিম নেতারাই কংগ্রেস সম্পর্কে বিরুপ ধারণা পোষণ করতেন। তারা মনে করতেন কংগ্রেস কখনই ভারতীয় মুসলিমদের প্রতিনিধিত্ব করতে পারে না, সৈয়দ আহমদ খান ছিলেন অন্যতম। সৈয়দ আহমেদ খান একবার চিঠি লিখে বদরুদ্দীন তৈয়বজীকে কংগ্রেস সম্পর্কে মনোভাব ব্যক্ত করেন।
কংগ্রেস সম্পর্কে এরুপ সমালোচনা শোনার পরও বদরুদ্দীন তৈয়বজী কংগ্রেসের সাথে সম্পর্ক বজায় রাখেন। তিনি বিশ্বাস করতেন ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস ভারতের হিন্দু ও মুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের স্বার্থ রক্ষা করে চলতে সক্ষম[৩]।
১৮৯৫সালে তিনি বোম্বাই হাইকোর্টের বিচারপতি নিযুক্ত হন। তিনি ছিলেন হাইকোর্টের প্রথম মুসলিম ও তৃতীয় ভারতীয় বিচারপতি। পরবর্তীতে তিনি প্রথম ভারতীয় হিসাবে বোম্বাই হাইকোর্টের প্রধান বিচারপতি হন। তিনি ছিলেন আধুনিক মুসলিম[৪], নারীশিক্ষার ব্যাপারে তিনি ছিলেন সমর্থক। তিনি তার কন্যাদের পড়াশোনার জন্য প্রথমে বোম্বাইয়ে ও পরবর্তীতে লন্ডনেও পাঠিয়েছিলেন।
১৯০৬ সালের ১৯শে আগস্ট লন্ডনে আকস্মিক হার্ট অ্যাটাকে বদরুদ্দীন তৈয়বজী মারা যান।