সংরক্ষণ অবস্থা | |
---|---|
![]() | |
বিলুপ্ত | |
সংকট জনক | |
কম সংকট জনক | |
অন্যান্য শ্রেণী | |
| |
সম্পর্কিত বিষয় | |
![]() উপরে রেড লিস্ট ক্লাসের তুলনা ![]() | |
বন্য পরিবেশে বিলুপ্ত আই ইউ সি এন লাল তালিকায় বিলুপ্ত বিভাগের পূর্ববর্তী বিভাগ। সেই সকল প্রজাতি বা উপপ্রজাতিকেই বন্য পরিবেশে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করা হয় যাদের সর্বশেষ জ্ঞাত জীবিত সদস্য বা সদস্যসমূহ তাদের ঐতিহাসিক আবাসস্থল ছাড়া অন্য কোথাও বসবাস করছে কিংবা বন্দী অবস্থায় রয়েছে।[১] প্রজাতি বা উপপ্রজাতি বন্য পরিবেশে বিলুপ্ত হয়েছে কিনা সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়ার জন্য তাদের ঐতিহাসিক আবাসস্থলে নির্দিষ্ট সময়ে একটি নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত অনুসন্ধান চালানো হয়। অনুসন্ধান ব্যর্থ হলে প্রজাতি বা উপপ্রজাতিটি বন্য পরিবেশে বিলুপ্ত বলে ঘোষণা করা হয়।[২]
পুনঃঅবমুক্তকরণ বলতে কোন একটি প্রজাতি বা উপপ্রজাতিকে তাদের পুরোন আবাস, যেখান থেকে একসময় তারা স্থানীয়ভাবে বিলুপ্ত হয়ে গিয়েছিল সেখানে পুনরায় অবমুক্ত করাকে বোঝায়। যেসকল প্রজাতি বা উপপ্রজাতি বন্য পরিবেশে বিলুপ্ত হয়ে গেছে এবং বিভিন্ন চিড়িয়াখানায় বা সংরক্ষিত স্থানে প্রজাতি বা উপপ্রজাতিটির শেষ কিছু সদস্য জীবিত রয়েছে, তাদেরকে তাদের পুরোন আবাসে ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তবে এক্ষেত্রে অনেকগুলো প্রতিবন্ধকতা রয়েছে। একটি প্রজাতির সঠিক প্রজননক্ষম স্ত্রী ও পুরুষ সদস্য খুঁজে বের করা বেশ কঠিন ব্যাপার। এই কারণে পৃথিবী থেকে একটি প্রজাতি সম্ভবত সম্পূর্ণভাবে হারিয়ে গেছে। একলা জর্জ (Lonesome George) ছিল পৃথিবীর শেষ পিন্টা দ্বীপের কচ্ছপ। সে ছিল গালাপাগোস কচ্ছপের একটি উপপ্রজাতির শেষ জীবিত সদস্য। ২০১২ খ্রিষ্টাব্দের ২৪ জুন একলা জর্জ মারা যায়। একই উপপ্রজাতির অন্য কোন প্রজননক্ষম স্ত্রী সদস্য পাওয়া যায়নি বলে উপপ্রজাতিটি সংরক্ষণ করা সম্ভব হয়নি।[৩]
আবার অনেকসময় গুটিকতক সদস্যের বংশবৃদ্ধির ফলে জীন-বৈচিত্র্য ব্যাহত হয়। জীনের স্বল্পতার ফলে কয়েক বংশধর পর মারণ জীনের উদ্ভব হয় ও প্রজাতির সদস্যরা একে একে মারা যেতে থাকে। আবার আবদ্ধ পরিবেশে জন্ম নেওয়া প্রাণীরা বন্য পরিবেশে জীবন-ধারণের উপযোগী হয় না। ফলে তাদেরকে তাদের পুরনো আবাসে পুণঃঅবমুক্তকরণ কষ্টসাধ্য হয়ে দাঁড়ায়।