ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | রবার্ট জর্জ হল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | ক্যাম্পারডাউন, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া | ১৯ আগস্ট ১৯৪৬|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
মৃত্যু | ১৭ সেপ্টেম্বর ২০১৭ নিউক্যাসল, নিউ সাউথ ওয়েলস | (বয়স ৭১)|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | ডাচি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | ডানহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | লেগ ব্রেক গুগলি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল |
| |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
টেস্ট অভিষেক (ক্যাপ ৩২৬) | ২৩ নভেম্বর ১৯৮৪ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ টেস্ট | ২ জানুয়ারি ১৯৮৬ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ৮৪) | ১৫ জানুয়ারি ১৯৮৫ বনাম ওয়েস্ট ইন্ডিজ | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ৩০ মে ১৯৮৫ বনাম ইংল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৭৮/৭৯–১৯৮৬/৮৭ | নিউ সাউথ ওয়েলস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
১৯৮৭ - ১৯৮৮ | ওয়েলিংটন ফায়ারবার্ডস | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৩ আগস্ট ২০১৭ |
রবার্ট জর্জ হল্যান্ড, ওএএম (ইংরেজি: Bob Holland; জন্ম: ১৯ অক্টোবর, ১৯৪৬ - মৃত্যু: ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭) সিডনির ক্যাম্পারডাউনে জন্মগ্রহণকারী অস্ট্রেলিয়ার আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার ছিলেন। অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে নিউ সাউথ ওয়েলসের প্রতিনিধিত্ব করেছেন।[১] ‘ডাচি’ ডাকনামে পরিচিত ছিলেন বব হল্যান্ড। ২৬ জানুয়ারি হল্যান্ড অর্ডার অব অস্ট্রেলিয়া পদবীধারী হন।
নিউক্যাসলে ক্রিকেট জীবনের অধিকাংশ সময় পার করেন। শেষদিকে জ্বলে উঠেন তিনি। ৩৮ বছর বয়সে তার টেস্ট অভিষেক হয়। এরফলে অর্ধ-দশকেরও বেশি সময় ধরে অস্ট্রেলিয়ার বয়োজ্যেষ্ঠ টেস্ট অভিষেকধারীর মর্যাদা পেয়ে আসছেন তিনি। ৩২ বছর বয়সে ১৯৭৮-৭৯ মৌসুমে নিউ সাউথ ওয়েলসের দল নির্বাচকমণ্ডলী তাকে লেগ স্পিন বোলিং করার জন্য আমন্ত্রণ জানান। ১৯৮০-এর দশকে দলের বোলিং আক্রমণে নেতৃত্ব দিয়ে ঘরোয়া শেফিল্ড শিল্ডে প্রতিযোগিতায় আধিপত্য বিস্তারে প্রভূতঃ ভূমিকা রাখেন। লেফট আর্ম অর্থোডক্স বোলার মারে বেনেট ও অফ স্পিনার গ্রেগ ম্যাথিউসকে সাথে নিয়ে স্পিন নির্ভর বোলিং আক্রমণ গড়ে তোলেন। ১৯৮২-৮৩, ১৯৮৪-৮৫ ও ১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে শেফিল্ড শিল্ডের শিরোপা বিজয়ী দলের সদস্য ছিলেন।[২] নিউজিল্যান্ডের ঘরোয়া লীগে ওয়েলিংটনের পক্ষে এক মৌসুম খেলে হল্যান্ড তার প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন শেষ করেন।
১৫ বছর বয়সে বেমন্ট ক্লাবের খেলোয়াড় ও কোচ কলিন ম্যাককুলের সাথে পরিচয় ঘটে তার। ১৯৬৫-৬৬ মৌসুমে মাইক স্মিথের নেতৃত্বাধীন এমসিসি দলের বিপক্ষে ১৯ বছর বয়সে নর্দার্ন এনএসডব্লিউ’র সদস্যরূপে খেলেন। ১৯৭৫-৭৬ মৌসুমে একই দলের সদস্যরূপে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ একাদশের বিপক্ষে উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানরূপে মাঠে নামেন।
১৯৮৪-৮৫ মৌসুমে ব্রিসবেনে অনুষ্ঠিত সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে অংশগ্রহণের মাধ্যমে তার টেস্ট অভিষেক হয়। তুলনামূলকভাবে তিনি তেমন সফলতা পাননি। ২/৯৭ লাভসহ ৬ ও ০ রান তুলেন। খেলায় অস্ট্রেলিয়া আট উইকেটের ব্যবধানে পরাভূত হয়েছিল। অ্যাডিলেডের তৃতীয় টেস্টেও তাকে দলে রাখা হয়। খেলায় তিনি ২/১৬৩ লাভ করেন।[৩] ফলশ্রুতিতে দল থেকে বাদ পড়েন তিনি। এরপর তিনি নিউ সাউথ ওয়েলসে পাড়ি জমান ও চমকপ্রদ ক্রীড়াশৈলী উপস্থাপন করেন। এরফলে দল নির্বাচকমণ্ডলী পুনরায় তাকে টেস্ট দলে অন্তর্ভুক্ত করে। ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক খেলায় দল জয় পায়। সিডনি ক্রিকেট গ্রাউন্ডে অনুষ্ঠিত পঞ্চম টেস্টে হল্যান্ড ও মারে বেনেট - উভয়কে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। দল নির্বাচকমণ্ডলী উপলব্ধি করেন যে, প্রস্তুতিমূলক খেলায় সফরকারী দলের স্পিন বোলিং আক্রমণে দূর্বলতা রয়েছে। এরফলে, সিডনির শুষ্ক পিচে স্পিন নির্ভর আক্রমণের সূচনা করা হয়।[৪] পুরো গ্রীষ্মে প্রতিপক্ষ অস্ট্রেলিয়াকে ওয়েস্ট ইন্ডিজ দুমড়ে-মুচড়ে দিয়েছিল। তারা প্রথম তিন টেস্টে যথাক্রমে ইনিংস, আট উইকেট ও ১৯১ রানে পরাজিত করে। এছাড়াও, চতুর্থ টেস্টে ৩৭০ রানের জয়ের লক্ষ্যমাত্রায় অস্ট্রেলিয়ার সংগ্রহ ৮/১৯৮ হলে সময়ের কারণে ড্রয়ে পরিণত হয়। ক্রিকেটবোদ্ধারা অস্ট্রেলিয়ার আরও একটি পরাজয়ের আশঙ্কা করছিলেন। তবে, তারা টসে জয় পেয়ে ৪৭১/৯ তুলে। এর বিপরীতে ওয়েস্ট ইন্ডিজ ১৬৩ রানে অল-আউট হয়। হল্যান্ড ৬/৫৪ পান। ভিভ রিচার্ডস, ডেসমন্ড হেইন্স, ল্যারি গোমস ও অধিনায়ক ক্লাইভ লয়েড তার শিকারে পরিণত হন। ফলো-অনে পড়ে ২৫৩ রানে গুটিয়ে যায়। এবার হল্যান্ড ৪/৯০ পান ও খেলায় দশ উইকেট পান।[৫] নিউ সাউথ ওয়েলসের এ জুটি সফরকারীদের উপর ছড়ি ঘুরায়। ২০ উইকেটের ১৫টিই তারা দখল করলে অস্ট্রেলিয়া অপ্রত্যাশিতভাবে ইনিংস ব্যবধানে জয় তুলে নেয়।[২]
এসসিজিতে স্পিন সফলতার পর একই মাঠে ত্রি-দেশীয় প্রতিযোগিতায় সফরকারীদের বিপক্ষে তার ওডিআই অভিষেক হয়। খেলায় তিনি ০/৫০ দিয়ে ব্যয়বহুল বোলারে পরিণত হন। এরপর ঐ মৌসুমে তিনি আর খেলেননি।[৬]
১৯৮৫ সালের অ্যাশেজ সফরে ইংল্যান্ডে যাবার জন্য মনোনীত হন। কিন্তু সেখানে তিনি অনিয়মিতভাবে সফলতা পান। ওডিআইয়ে কেবলমাত্র ম্যানচেস্টারের প্রথম খেলায় অংশ নেন। খেলায় তিনি ২/৪৯ দিয়ে সর্বাধিক ব্যয়বহুল বোলার হন। দল জয় পেলেও খেলা থেকে বাদ পড়েন তিনি।[৬] প্রথম টেস্টে খেলার জন্য মনোনীত হননি। তবে, লর্ডসের দ্বিতীয় টেস্টে অন্তর্ভুক্ত হন। দ্বিতীয় ইনিংসে ৫/৬৮ পান। এ সময়ে ধীরলয়ে মাইক গ্যাটিং ও ইয়ান বোথামের মধ্যকার শতরানের জুটি ভেঙ্গে ফেলেন এবং শেষ চার উইকেট পান। ফলশ্রুতিতে জয়ের ছোট্ট লক্ষ্যমাত্রায় নেমে অস্ট্রেলিয়া দল খুব সহজেই তাড়া করে সফলতা পায়।[৩]
অধিকাংশ সময়ই রক্ষণাত্মক ভঙ্গীমায় তাকে মাঠে নামানো হয়। পরবর্তী তিন টেস্টে ৩৫৫ রান খরচায় অল্প কয়েকটি উইকেট পেয়েছিলেন তিনি। ফলশ্রুতিতে, সিরিজের ষষ্ঠ ও চূড়ান্ত টেস্টে প্রথম একাদশের বাইরে রাখা হয়।
১৯৮৫-৮৬ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়ায় তার সফলতম সময় অতিবাহিত হয়। প্রথম টেস্টে ১০৬ রান দিয়ে কোন উইকেট পাননি যাতে অস্ট্রেলিয়া ইনিংসের ব্যবধানে পরাজিত হয়েছিল। তবে, অ্যাডিলেড ওভালে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে খেলায় ১০ উইকেট তুলে নেন। ফলে প্রতিবেশী দেশটির বিপক্ষে চার উইকেটে জয় তুলে নিয়ে হোয়াইটওয়াশ এড়ায় অস্ট্রেলিয়া দল। প্রথম ইনিংসে ৬/১০৬ লাভ করে নিউজিল্যান্ডকে ৪/৬৮ থেকে ৯/১৬৯-এ রূপান্তর করেন। তৃতীয় টেস্টে ৩/৯০ পেলেও উপর্যুপরি পাঁচবার শূন্য রান সংগ্রহ করেন। ফলশ্রুতিতে অস্ট্রেলিয়াকে নিউজিল্যান্ডের কাছে প্রথম ও একমাত্র সিরিজ পরাজয়বরণ করা থেকে রক্ষা করতে পারেননি তিনি।
ভারতের বিপক্ষে সিরিজের শুরুতে বাদ পড়েন ও তৃতীয় টেস্টে দলে ফিরে আসেন। এ টেস্টটিই তার সর্বশেষ টেস্ট ছিল। স্পিন বোলিং মোকাবেলায় সিদ্ধ ভারতীয়দের বিপক্ষে তার বোলিংয়ের কার্যকারীতা পাওয়া যায়নি। ১/১১৩ পান ও ভারত দল ৬০০ রান তুললে ইনিংস পরাজয়বরণ করে অস্ট্রেলিয়া দল। সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে এগারো টেস্টে অংশগ্রহণ করেন। ৩৯.৭৬ গড়ে ৩৪ উইকেট পান। সিডনি, লর্ডস ও অ্যাডিলেডের টেস্টে সফলতা বাদে বাদ-বাকী আট টেস্টে মাত্র নয় উইকেট পান তিনি।
নিউজিল্যান্ড ও ভারত সফরে দল থেকে উপেক্ষিত হন। ক্রিকেট লেখক ফিল উইলকিন্স মনে করেন, ভারত সফরে হল্যান্ডকে দলের বাইরে রাখার ফলে উপযোগী পরিবেশ ও মানসিকভাবে দলকে চাপের মধ্যে রাখে যাতে ঘণ্টার পর ঘণ্টা ব্যয় করতে হয়, প্রতিক্ষার প্রহর গুনতে হয় ও পরিশ্রম করতে হয়েছে দলকে।[৭]
অক্টোবর, ১৯৮৬ সালে হল্যান্ড মন্তব্য করেন যে, ‘গত মৌসুম শেষে আমি টের পাই যে, আমি বেশ ক্লান্ত হয়ে গেছি। আমার বোলিংয়ে ছন্দ হারিয়ে ফেলি ও প্রাণ ছিল না। আমি দর্শকদের চাহিদামাফিক নিজেকে বিলিয়ে দিতে পারিনি। আমার বলকে যথেষ্ট পরিমাণে স্পিন করতে পারিনি।’
১৯৮৬-৮৭ মৌসুমের গ্রীষ্মের শুরুর দিকে অস্ট্রেলীয় দল নির্বাচকমণ্ডলীর মনোযোগের কেন্দ্রবিন্দুতে উপনীত হন। তবে তাকে দলে ঠাই না দিয়ে গ্রেগ ম্যাথুজ, পিটার স্লিপ ও পিটার টেলরকে দলে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।
তার বোলিং অনেকাংশই নিখুঁত নিশানায় ও হরেকরকম লেগ ব্রেক, টপস্পিন ও গুগলি নির্ভরশীল ছিল। ৯৫টি প্রথম-শ্রেণীর খেলায় ৩১৬ উইকেট পেয়েছেন। তবে ব্যাটিংয়ে বেশ দূর্বল ছিলেন। প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে তার ব্যাটিং গড় ছিল মাত্র ৯.৬৭। টেস্টে উপর্যুপরি পাঁচবার শূন্য রানের সন্ধান পেয়েছেন। অগৌরবজনক এ রেকর্ডের সাথে অজিত আগরকর ও মোহাম্মদ আসিফের সাথে নিজেকে শামিল করেন তিনি।[৮] তাস্বত্ত্বেও ১৯৮৪-৮৫ মৌসুমের শেফিল্ড শিল্ডে নিউ সাউথ ওয়েলসের শিরোপা জয়ে প্রভূতঃ ভূমিকা রেখেছেন।
সম্প্রতি পুরঃপ্রকৌশলী হিসেবে অবসর নিয়েছেন হল্যান্ড। ব্যক্তিগত জীবনে বিবাহিত তিনি। ক্যারোলিন নাম্নী এক রমণীর পাণিগ্রহণ করেন। তাদের সংসারে ক্রেগ, রোহন ও নাওমি এ তিন সন্তান রয়েছে। তন্মধ্যে রোহনের নাম রেখেছেন তার দৃষ্টিকোণে সর্বকালের সেরা ক্রিকেট তারকা সাবেক ওয়েস্ট ইন্ডিয়ান রোহন কানহাইয়ের নাম অনুসরণে।[৯] রবার্টের ৫ নাতি রয়েছে। টমাস হল্যান্ড উচ্চ বিদ্যালয়ের ছাত্রাবস্থায় কিলাবেন বে দলের পক্ষে খেলছেন।
খেলা থেকে অবসর নেয়ার পর শৈশবের স্মৃতি রোমন্থন ও স্থানীয় সাউদার্ন লেকস ক্রিকেট ক্লাবের সাথে জড়িত ছিলেন। এছাড়াও বোলিং কোচের দায়িত্ব পালন করেছেন যা অস্ট্রেলিয়ার বিভিন্ন উচ্চ বিদ্যালয় ও কোচিং ক্লিনিকে প্রয়োগ ঘটিয়েছেন।[১০]
আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে মাঠে অনেক খারাপ আচরণের ঘটনা ঘটলেও হল্যান্ড তার ভদ্র আচরণের জন্য সুপরিচিত ছিলেন।
আগস্ট, ২০১৬ সালে সহধর্মিণীসহ ছুরিকাহত হন ও তাদেরকে লেক ম্যাককুয়ারির হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। স্বেচ্ছাসেবী কিউরেটর হিসেবে ক্রিকেটে মাঠ পরিচর্যাকালীন এক পুরুষ ও এক মহিলার চলন্ত মোটরসাইকেল থামানোকে কেন্দ্র করে এ ঘটনা ঘটে।[১১]
এপ্রিল, ২০১৭ সালে বব হল্যান্ডের মস্তিষ্ক থেকে টিউমার অপসারণ করা হয়।[১২] পরবর্তীতে মস্তিষ্কের ক্যান্সারে রূপান্তরিত হবার পর জুলাই, ২০১৭ সালে চিকিৎসা করা হয়।[১৩] অতঃপর ১৭ সেপ্টেম্বর, ২০১৭ তারিখে ৭১ বছর বয়সে নিউ সাউথ ওয়েলসের নিউক্যাসলে তার দেহাবসান ঘটে।