এই নিবন্ধটি মেয়াদোত্তীর্ণ।(জানুয়ারি ২০২১) |
ব্যক্তিগত তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
পূর্ণ নাম | উইলিয়াম বয়েড র্যাঙ্কিন | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জন্ম | লন্ডনডেরি, কাউন্টি লন্ডনডেরি, উত্তর আয়ারল্যান্ড | ৫ জুলাই ১৯৮৪|||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ডাকনাম | স্ল্যাটার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উচ্চতা | ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি (২.০৩ মিটার) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ব্যাটিংয়ের ধরন | বামহাতি | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বোলিংয়ের ধরন | ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ভূমিকা | বোলার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
আন্তর্জাতিক তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
জাতীয় দল | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
একমাত্র টেস্ট (ক্যাপ ৬৬১) | ৩ জানুয়ারি ২০১৪ ইংল্যান্ড বনাম অস্ট্রেলিয়া | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ওডিআই অভিষেক (ক্যাপ ২৩০) | ৩১ জানুয়ারি ২০০৭ আয়ারল্যান্ড বনাম বার্মুদা | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
শেষ ওডিআই | ১৬ সেপ্টেম্বর ২০১৩ ইংল্যান্ড বনাম আয়ারল্যান্ড | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
ঘরোয়া দলের তথ্য | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
বছর | দল | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৬-২০০৭ | ডার্বিশায়ার | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
২০০৮-বর্তমান | ওয়ারউইকশায়ার (জার্সি নং ৩০) | |||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান | ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
| ||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||||
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ৫ জানুয়ারি ২০১৪ |
উইলিয়াম বয়েড র্যাঙ্কিন (ইংরেজি: William Boyd Rankin; জন্ম: ৫ জুলাই, ১৯৮৪) উত্তর আয়ারল্যান্ডে জন্মগ্রহণকারী আন্তর্জাতিকমানের ক্রিকেটার। তিনি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট অঙ্গনে ইংল্যান্ড এবং আয়ারল্যান্ড - উভয় দলের পক্ষেই খেলছেন। ক্রিকেট খেলায় তিনি মূলতঃ ডানহাতি মিডিয়াম ফাস্ট বোলাররূপে নিজ দায়িত্ব পালন করছেন।
দীর্ঘদেহী র্যাঙ্কিনের উচ্চতা ৬ ফুট ৮ ইঞ্চি। ফলে বোলিংয়ের তিনি ইপ্সিত বাউন্সিং প্রদান করতে পারেন। এক সাক্ষাৎকারে এ প্রসঙ্গে তিনি তার আদর্শ হিসেবে কার্টলি অ্যামব্রোস এবং গ্লেন ম্যাকগ্রা’র নাম উচ্চারণ করেন।[১] হার্পার অ্যাডামস ইউনিভার্সিটি কলেজ থেকে কৃষি বিষয়ে পড়াশোনা করেন। এ সময়েই তিনি তার ব্যাটিং নৈপুণ্য প্রদর্শনের জন্য কাজ করে যান।[২]
ক্যারিবীয় অঞ্চলে অনুষ্ঠিত ২০০৭ সালের ক্রিকেট বিশ্বকাপে র্যাঙ্কিন সফলভাবে কাটান। প্রতিযোগিতায তিনি আয়ারল্যান্ডের সর্বোচ্চ উইকেট সংগ্রহকারীর ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছিলেন তিনি। ৯ খেলায় ২৯.৬৭ স্ট্রাইক রেটে ২৭ রান গড়ে ১২ উইকেট লাভ করেন। আয়ারল্যান্ডের দ্বিতীয় খেলায় র্যাঙ্কিনের চমকপ্রদ পরিসংখ্যান (৩/৩২) করায় পাকিস্তান ১৩২ রানে অল-আউট হয় ও তার দল জয়লাভ করে যা বড় ধরনের অঘটন ঘটায়। এ বিজয়ের ফলে আয়ারল্যান্ড দল পরবর্তী রাউন্ডে উত্তীর্ণ হয়।[৩] কিন্তু ফিবুলায় ফাটল ধরায় ভারত ও দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে তিনি মাঠে নামতে পারেননি ও তার দল পরাজিত হয়।[৪]
বিশ্বকাপের পর আগস্ট, ২০০৮ সালে র্যাঙ্কিন আয়ারল্যান্ডের হয়ে প্রথম অংশগ্রহণ করেন।[৫] ওয়ারউইকশায়ারে যোগদানের পূর্বে তিনি কেনিয়ার বিপক্ষে ৩ ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুইটি খেলায় অংশ নেন। প্রথম খেলায় তিনি ২৬ রানের বিনিময়ে ২ উইকেট নেন ও ৩৩ রানে জয়লাভ করে তার দল।[৬] আয়ারল্যান্ড ৮ ওভার ব্যাটিং করা অবস্থায় বৃষ্টিজনিত কারণে তিনি দ্বিতীয় খেলায় বোলিং করতে পারেননি।[৭] অক্টোবর, ২০০৮ সালে র্যাঙ্কিন আন্তঃমহাদেশীয় কাপে নামিবিয়ার বিপক্ষে খেলেন। খেলায় তার বোলিং পরিসংখ্যান ছিল ৭/৭২; যাতে তিনি দ্বিতীয় ইনিংসে ৫/৩৯ নেন ও তার দল আট রানের ব্যবধানে পরাজিত করে। এ খেলায় তিনি তার প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেটে প্রথম পাঁচ-উইকেট লাভ করেন।[৮] প্রতিযোগিতার চূড়ান্ত খেলায় নামিবিয়ার বিরুদ্ধে আয়ারল্যান্ড ৯ উইকেটে জয়ী হয় যাতে তার অংশগ্রহণ ছিল ৬/২০৭।[৯]
আগস্ট, ২০১২ সালে র্যাঙ্কিং আয়ারল্যান্ডে পক্ষে না খেলার ঘোষণা দেন। এর বিপরীতে তিনি ইংল্যান্ড দলের হয়ে একদিনের খেলায় অংশগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।[১০] অতঃপর ২৫ জুন, ২০১৩ তারিখে সফরকারী নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ইংল্যান্ডের হয়ে টুয়েন্টি২০ আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। পরবর্তীতে ২০১৩-১৪ মৌসুমে অস্ট্রেলিয়া সফরে অ্যাশেজ সিরিজে অংশগ্রহণের জন্য তার নামও অন্তর্ভুক্ত হয়। ৩ জানুয়ারি, ২০১৪ তারিখে অ্যাশেজের ৫ম টেস্টে অভিষেক ঘটে র্যাঙ্কিনের। টেস্টের ২য় ইনিংসে পিটার সিডল জনি বেয়ারস্টোকে কট দিলে তিনি তার প্রথম টেস্ট উইকেট লাভ করেন।
২০০৭ সালের ইংরেজ ক্রিকেট মৌসুমে ডার্বিশায়ার কর্তৃপক্ষ তার সাথে চুক্তি নবায়ণ করে। কিন্তু আঘাতজনিত কারণে তিনি অল্প কয়েকটি খেলায় অংশ নেন।[৪] তিনি মাত্র তিনিট প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট খেলায় অংশগ্রহণ করে ২৯.২০ রান গড়ে ১০ উইকেট লাভ করেছিলেন। তন্মধ্যে ৪/৪১ নেন তার পূর্বতন ক্লাব মিডলসেক্সের বিপক্ষে এবং ঐ খেলাতেই তিনি তার সেরা ৮/১২১ করেন।[১১][১২] এছাড়াও তিনি পাঁচটি একদিনের ক্রিকেটে সর্বমোট ৪ উইকেট নেন যাতে তার সেরা পরিসংখ্যান ছিল ২/৫৬।[১৩]