বরোদা এবং গুজরাত রাজ্য এজেন্সি | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
ব্রিটিশ ভারতের এজেন্সি | |||||||||||||
১৯৩৩–১৯৪৪ | |||||||||||||
![]() বরোদা ও গুজরাত রাজ্য এজেন্সির ক্ষেত্রফলের মানচিত্র৷ বরোদারাজ্যের অঞ্চলগুলি বেগুনী ও অন্যান্য রাজ্য সবুজ রঙে দৃশ্যমান | |||||||||||||
আয়তন | |||||||||||||
• ১৯৩১ | ৪২,২৬৭ বর্গকিলোমিটার (১৬,৩১৯ বর্গমাইল) | ||||||||||||
জনসংখ্যা | |||||||||||||
• ১৯৩১ | ৩৭,৬০,৮০০ | ||||||||||||
ইতিহাস | |||||||||||||
১৯৩৩ | |||||||||||||
১৯৪৪ | |||||||||||||
| |||||||||||||
"আ কালেকশন অব ট্রিটিজ, এঙ্গেজমেন্টস, এন্ড সনদস রিলেটিং টু ইন্ডিয়া এন্ড নেইবাওরিং কান্ট্রিজ" |
বরোদা এবং গুজরাত রাজ্য এজেন্সি ছিলো ব্রিটিশ ভারতের একটি রাজনৈতিক এজেন্সি, যা বোম্বে প্রেসিডেন্সির ব্রিটিশ সরকারের সাথে উক্ত অঞ্চলের দেশীয় রাজ্যগুলির সম্পর্ক স্থাপন করতো৷[১]
ব্রিটিশ ভারতের পাঁচমহল জেলার জেলা সমাহর্তা ও রাজনৈতিক প্রতিনিধি বরোদা শহরে বাস করতেন৷
১৯৩৩ খ্রিস্টাব্দে খ্যাতনামা গায়েকোয়ার বরোদা রাজ্য, বরোদা এজেন্সির অন্যান্য ক্ষুদ্রতর দেশীয় রাজ্য, বোম্বে প্রেসিডেন্সির উত্তর প্রান্তে অবস্থিত দেশীয় রাজ্য, রীবাকাণ্ঠা এজেন্সি, সুরাট এজেন্সি, নাশিক এজেন্সি, কৈরা এজেন্সি এবং থানা এজেন্সি প্রভৃতি একত্রিত করে বরোদা ও গুজরাত রাজ্য এজেন্সি গঠন করা হয়৷[২]
১৯৪৪ খ্রিস্টাব্দের ৫ই নভেম্বর তারিখে এই এজেন্সিটিকে পশ্চিম ভারত রাজ্য এজেন্সির (উইসা) অন্তর্ভুক্ত করা হয় ও বৃহত্তর বরোদা, পশ্চিম ভারত ও গুজরাত রাজ্য এজেন্সি গঠন করা হয়৷ ভারতের স্বাধীনতা লাভের পর এটিকে বোম্বে রাজ্যের অন্তর্ভুক্ত করা হয় যা বর্তমানে গুজরাত রাজ্যের অংশ৷[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের পর থেকে ভারতের একাধিক ছোট ছোট দেশীয় রাজ্য, এস্টেট এবং থানাকে একত্রিত করে তুলনামূলক বৃহত্তর প্রশাসনিক এককে উত্তীর্ণ করার পরিকল্পনায় হল সংযুক্তির পরিকল্পনা বা দা অ্যাটাচমেন্ট স্কিম। পশ্চিম ভারতে এই একক গঠনের ক্ষেত্রে ১৫,০০০ বর্গ কিলোমিটার ক্ষেত্রফল যুক্ত এবং অর্ধ মিলিয়ন জনবসতি বিশিষ্ট বরোদা রাজ্য ছিল মূল ক্ষেত্র। বৃহত্তম দেশীয় রাজ্য টি সঙ্গে যুক্ত করা হয় অন্যান্য একাধিক ক্ষুদ্রতর দেশীয় রাজ্য। ১৯৪০ খ্রিস্টাব্দের পয়লা ফেব্রুয়ারি তারিখে পেথাপুর এবং ওই বছরই জুন ও জুলাই মাসের মধ্যে দেলোটি সহ কাতোসান থানা, কলসাপুরা, মাগুনা, মেমদপুরা, রামপুরা, রানিপুরা, তেজপুরা, বরসোরা, পালেজ তালুক এবং বরিষ্ঠ ও কনিষ্ঠ ইজপুরা রাজ্য একত্রিত করা হয়। এর পরবর্তী সময়ে ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ১০ই জুলাই তারিখে অম্বলিয়ারা, ঘোরাসর, ইলোল, খাডাল, পাতড়ি, পুনাদ্রা, রণাসন, বসোড়া এবং বাও রাজ্য গুলিকে একত্রিত করা হয়।[৩] ওই একই সময়ের মধ্যে কিছু ছোট ছোট তালুক যুক্ত করা হয়। ১৯৪৩ খ্রিস্টাব্দের ২৪ জুলাই তারিখে সচোদর রাজ্য সহ কিছু ছোট ছোট অনধিকৃত জমি এজেন্সির সঙ্গে যুক্ত করা হয়। অন্তিমে ডিসেম্বর মাসে বাজানা, বিলখা, মালপুর, মাণসা এবং বড়িয়া নামক ছোট ছোট রাজ্যগুলিকে যুক্ত করা হয়।[৪]
এই এজেন্সিতে আশির অধিক পৃথক দেশীয় রাজ্য থাকলেও তার অধিকাংশই ছিলো গৌণ এবং ক্ষুদ্র রাজ্য৷ রাজ্যগুলির অনেকগুলিই ব্রিটিশ করদ বা প্রত্যক্ষ কিমবা পরোক্ষভাবে ব্রিটিশ প্রভাবিত ছিলো৷ বরোদা রাজ্যটি ছিলো এই এজেন্সির সর্বাধিক ক্ষত্রফল বিশিষ্ট রাজ্য, যা এজেন্সির অন্যান্য দশটি তোপ সেলামী সম্মানপ্রাপ্ত রাজ্যগুলির মধ্যে অগ্রগণ্য ছিলো৷ বহু ক্ষুদ্রতর রাজ্য ও কাথিয়াবাড় এজেন্সির কিছু রাজ্য বরোদাকে বার্ষিক করদানও করতো৷[৫] জাফরাবাদ রাজ্য পূর্বে এই এজেন্সির অংশ হলেও পরে এটিকে কাথিয়াবাড় এজেন্সিতে স্থানান্তরিত করা হয়৷
সমস্ত রাজ্য সহ এই এজেন্সিটির মোট ক্ষেত্রফল ছিলো ৪২,২৬৭ কিমি২ (১৬,৩১৯ মা২)৷ ১৯৩১ খ্রিস্টাব্দে সম্মিলিত জনসংখ্যা ছিলো প্রায় ৩৭,৬০,৮০০ জন৷[৬]
তোপ সেলামী রাজ্য :
অ-তোপ সেলামী রাজ্য :
Salute states :
Non-salute states :
Sankheda :
Pandu (incl. three Dorka estates) :