বর্ন ইনটু ব্রথেলস : ক্যালকাটা'স রেড লাইট কিড্স | |
---|---|
পরিচালক | জানা ব্রিসকি রস কাউফম্যান |
প্রযোজক | জানা ব্রিসকি রস কাউফম্যান |
রচয়িতা | জানা ব্রিসকি রস কাউফম্যান |
শ্রেষ্ঠাংশে | শান্তি দাস পূজা মুখার্জী অভিজিৎ হালদার সুচিত্রা |
সুরকার | জন ম্যাকডোয়েল |
চিত্রগ্রাহক | জানা ব্রিসকি রস কাউফম্যান |
সম্পাদক | রস কাউফম্যান |
মুক্তি | ১৭ জানুয়ারি, ২০০৪ (premiere at Sundance) ৮ ডিসেম্বর, ২০০৫ (NYC only) ২ সেপ্টেম্বর, ২০০৫ |
স্থিতিকাল | ৮৫ মিনিট |
ভাষা | বাংলা ইংরেজি |
বর্ন ইনটু ব্রথেলস : ক্যালকাটা'স রেড লাইট কিড্স (Born into Brothels: Calcutta's Red Light Kids) একটি ২০০৪ খ্রিষ্টাব্দে মুক্তিপ্রাপ্ত আমেরিকান তথ্যচিত্র। এই তথ্যচিত্রটি কলকাতার পতিতাপল্লী সোনাগাছি অঞ্চলের যৌনকর্মী বা বারবণিতাদের সন্তানদের উপরে তোলা হয়েছিল। এই বহু প্রশংসিত তথ্যচিত্রটি জানা ব্রিসকি এবং রস কাউফম্যান দ্বারা লিখিত এবং পরিচালিত হয়েছিল। তথ্যচিত্রটি ২০০৪ সালে তথ্যচিত্র বিভাগে অ্যাকাডেমি পুরস্কার পেয়েছিল।
জানা ব্রিসকি একজন ব্রিটিশ আলোকচিত্রী। তিনি কলকাতায় আসেন সেখাকার পতিতা বা যৌনকর্মীদের ছবি তোলার জন্য। এখানে থাকার সময়ে তিনি যৌনকর্মীদের সন্তানদের সাথে বন্ধুত্ব করেন। এই শিশু এবং কিশোর কিশোরীদের ক্যামেরা দেওয়া হয় যাতে তারা নিজেদের পারিপার্শ্বিক অবস্থার ছবি তুলতে পারে এবং নিজেদের জীবনকে আরো উন্নত করতে পারে। এই ছেলেমেয়েদের তোলা আলোকচিত্রগুলি এই তথ্যচিত্রে ভাল করে দেখানো হয়েছে। তথ্যচিত্রে তাদের ফটোগ্রাফি শিক্ষার ক্লাস এবং সোনাগাছিতে তাদের দৈনিক জীবনযাপন তুলে ধরা হয়েছে। এই ছেলেমেয়েদের তোলা ছবি কলকাতায় প্রদর্শনীতে দেখানো হয় এবং এদের মধ্যে একজন অভিজিৎ হালদারকে একটি আলোকচিত্র বিষয়ক কনফারেন্সে যোগ দেবার জন্য আমস্টারডামে পাঠানো হয়। তথ্যচিত্রটিতে জানা ব্রিসকি যে এই ছেলেময়েদের আবাসিক বিদ্যালয়ে পাঠানোর জন্য যে চেষ্টা করেছিলেন তাও দেখানো হয়েছে।
তথ্যচিত্রটিতে মোট আটজন ছেলে মেয়েকে তুলে ধরা হয়েছে। এরা হল:
অভিজিৎ - (ডানদিকের পোস্টারে বাঁ দিক থেকে চতুর্থ) তথ্যচিত্রটি তোলার সময় অভিজিতের বয়স ছিল ১১ বছর। সে প্রতিভাবান একজন শিল্পী। ছবি আঁকায় সে বহু পুরস্কার পেয়েছে। ফটোগ্রাফি ওয়ার্কশপে তার তোলা ছবিগুলি সব থেকে আকর্ষনীয় হয়েছিল। ওয়ার্ল্ড প্রেস ফটো ফাউন্ডেশন ২০০২ সালে নেদারল্যান্ডে অভিজিৎকে আমন্ত্রণ জানায় চিলড্রেন্স জুরি হিসাবে। ২০০৫ সালে অভিজিৎ আমেরিকাতে চার বছরের উচ্চ বিদ্যালয়ের স্কলারশিপ পায়।
গৌর - (ডানদিকের পোস্টারে বাঁ দিক থেকে ষষ্ঠ) তথ্যচিত্রটি তোলার সময় গৌরের বয়স ছিল ১৩। গৌর চিন্তাশীল এবং সংবেদনশীল। সে নিজের পরিবেশ এবং পারিপার্শ্বিক অবস্থা পছন্দ করে না এবং ফটোগ্রাফির মাধ্যমে একে পালটে দিতে চায়। সে বন্ধুদের ক্রিকেট খেলার ছবি, খরগোশের এবং বন্ধু পূজার ছবি তুলেছিল।
কচি - (ডানদিকের পোস্টারে বাঁ দিক থেকে তৃতীয়) তথ্যচিত্রটি তোলার সময়ে কচির বয়েস ছিল ১০। সে খুবই লাজুক এবং মিষ্টি একটা মেয়ে। সে নিজের পরিবার, পশুপাখি, বাগান এবং পার্কের ছবি তুলেছিল। বর্তমানে সে সবেরা ফাউন্ডেশন নামের একটি হোমে থাকে এবং সেখানেই পড়াশোনা করে।
মানিক - (ডানদিকের পোস্টারে বাঁ দিক থেকে সপ্তম) তথ্যচিত্রটি তোলার সময়ে মানিকের বয়স ছিল ১০। মানিক একটা ছোট্ট ঘরে তার বোন শান্তির সাথে থাকে। মানিক ঘুড়ি ওড়াতে ভালবাসে। সে একজন সাহসী ফটোগ্রাফার যে নানা রকমের পরীক্ষা নিরীক্ষা করতে ভালবাসে।
পূজা - (ডানদিকের পোস্টারে বাঁ দিক থেকে প্রথম) তথ্যচিত্রটি তোলার সময়ে পূজার বয়েস ছিল ১১। সে নিজের মা, দিদা এবং তার পোষা টিয়াপাখির সাথে থাকে। স্বভাবের দিক থেকে সে টমবয়ের মত। গৌর তার সেরা বন্ধু।
শান্তি - (ডানদিকের পোস্টারে বাঁ দিক থেকে অষ্টম) তথ্যচিত্রটি তোলার সময়ে তার বয়েস ছিল ১১। শান্তি তার ভাই মানিক আর মায়ের সাথে থাকে। শান্তি নিজের পরিবারের ছবি তুলতে ভালবাসে। কিন্তু ভিডিও ক্যামেরা আরো বেশি পছন্দ করে। শান্তি বর্ন ইনটু ব্রথেলের একটি ক্লাসরুমের দৃশ্য তুলেছিল।
সুচিত্রা - (ডানদিকের পোস্টারে বাঁ দিক থেকে দ্বিতীয়) তথ্যচিত্রটি তোলার সময়ে সুচিত্রার বয়েস ছিল ১৪। সে একজন প্রতিভাবান আলোকচিত্রী। সে ছাদে রোজকার জীবনের নানা ছবি তুলেছিল। সুচিত্রার তোলা তার বোনের বন্ধুর ছবি অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশন্যালের ২০০৩ সালের ক্যালেন্ডারের কভারে ছাপা হয়েছিল।
তাপসী - (ডানদিকের পোস্টারে বাঁ দিক থেকে পঞ্চম) তথ্যচিত্রটি তোলার সময়ে তাপসীর বয়স ছিল ১১। সে একজন শিক্ষিকা হতে চায় এবং নিজের ভাই ও বোনের দায়িত্ব নিতে চায়। সে নিজের জীবনের কঠিন পরিস্থিতির ছবি তুলেছিল। তাপসী বর্তমানে সংলাপ হোমে থাকে।